৭ ডিসেম্বর, সময় সন্ধ্যা ৬টা।
স্থান মতিঝিল জীবন বীমা ভবন এলাকা।
তথাকথিত বিরোধীদলীয় জোটের ডাকা টানা 'অবরোধের' একটি দিন।
খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরক্তি চরমে পৌঁছেছে। কাঁহাতক আর সহ্য হয় এইসব বেহুদা স্টান্টবাজি!
প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আজাদ লেখেছিলেন, "আমি পাকিস্তানিদের কখনই বিশ্বাস করি না, যখন তারা গোলাপ ফুল হাতে নিয়েও আসে।"
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার পথে, খিদে পেয়েছে বেশ। কিন্তু কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না।
খিদেটা উপেক্ষাও করা যাচ্ছে না। লেবু আর আদাকুচি দেয়া তিন কাপ চা পরপর মেরে দিলাম, খিদেটা এখন আর জ্বালাবে না।
রোদের তেজ কম নয়, বেশ কড়া বরঞ্চ। অফিস থেকে নিচে নেমে এসেও ভালো লাগছে না।
চা খেলাম, খিদেটাকে মাটিচাপা দিলাম। এবার বরং উপরে উঠে যাই, কাজ করি গিয়ে।
আজকের দিন গেল আমার ছাতামাথা পাগলামির একটা ফুল প্যাকেজ কমপ্লিট করতে করতে
সকালে বের হওয়ার আগে কাপড়চোপড় ঘেঁটে যা বাছাই করলাম সব কালো রঙের, মা বলল তুমি তো কাবাব হয়ে যাবা গরমে, আমি বললাম মেঘলা মেঘলা সকাল কাজেই অসুবিধা নাই, মা বলল বাঘা রোদ উঠবে একটু পর, এগুলি পরার দরকার নাই। আমি অসুবিধা নাই বলে চাপিয়ে নিলাম সেগুলো
যাত্রা শুরুই হল 'ফিউজিটিভ অ্যাকশন' দিয়ে
কিছু কিছু দিন যায় বেশ ক্লান্তিকর, কিন্তু কোন একটা কারণে ইন্টারেস্টিং, এবং মনে রাখার মতন। গতকাল দিনটি ছিল অনেকটা সেরকম। জুন মাসের দাবদাহ চলছে সারা দেশজুড়ে, ঢাকা শহরকে এককাঠি সরেস বলব আমি, রাজধানীর হরেকরকম গ্যাঞ্জাম ধুলোবালি জ্যাম ইত্যাদি মিলিয়ে গরমের কষ্টকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু তবু কোথায় যেন একটা মায়ার টান টের পাই ঢাকা শহরটার জন্য। আমার শৈশবের শহর, ভালবাসার শহর, প্রেমের শহর, বিড়ম্বনার শহ
লক্ষ শহীদ রক্ত দিয়ে
ভাসিয়ে দিল দেশ,
দাঁড়িয়ে সেই রক্তস্রোতে
ভাবছি, "আহা! বেশ!!"
হাজার মানুষ হত্যা করেও
যাচ্ছে বেঁচে কাদের,
কাঠখড় এত ভস্ম করে
এই কি বিচার তাদের!
অতপর গর্দভকুলের প্রতিনিধি সদম্ভে কহিল,
"চৌধুরী সাহেব, গর্দভ হইতে পারি, কিন্তু আমাদিগেরও দুগ্ধ হইয়া থাকে।"
রোজকার সিস্টেমে দিয়েছিনু রওনা
রাজধানী শহরেতে ম্যালা কিছু পাওনা।
কাছাকাছি গিয়ে দেখি - ও মা! এ যে অবরোধ!!
যেতে মোরে মানা করে কতিপয় নির্বোধ!
খোঁজ নিয়ে দেখি সেথা সবকিছু বদ্ধ
সরকারি লোকজন খায় কচু সেদ্ধ!
কাজকাম ফেলে সব লোকে আছে বাসাতে,
বেরুলেই পেয়াদার বাড়ি খাবে পাছাতে ...
আমি বলি, এ কী হাল! চিত্র যে উল্টা!
এইসব করে তারা ছিঁড়বে কী চুলটা?
সভা করে বিরোধীরা, করে হোক ধন্য;
লোটাখানা হাতে, উঁকি দিয়ে দেখি
জলের বদলে ছাই;
কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই ...
কামালের বড় খায়েশ হয়েছে
নরকে ঘুরতে যাই;
কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই ...
আদিষ্ট হয়ে মূল সেনাপতি বলে
"আমি ওই দলে নাই;
কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই" ...
তাইতো চলিছে একেলা কামাল
পুঁছিবার টাইম নাই;
কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই ...