বিড়ম্বনার রোজনামচা - ২

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি
লিখেছেন অকুতোভয় বিপ্লবী (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৭/২০১৩ - ১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকের দিন গেল আমার ছাতামাথা পাগলামির একটা ফুল প্যাকেজ কমপ্লিট করতে করতে দেঁতো হাসি

সকালে বের হওয়ার আগে কাপড়চোপড় ঘেঁটে যা বাছাই করলাম সব কালো রঙের, মা বলল তুমি তো কাবাব হয়ে যাবা গরমে, আমি বললাম মেঘলা মেঘলা সকাল কাজেই অসুবিধা নাই, মা বলল বাঘা রোদ উঠবে একটু পর, এগুলি পরার দরকার নাই। আমি অসুবিধা নাই বলে চাপিয়ে নিলাম সেগুলো খাইছে

যাত্রা শুরুই হল 'ফিউজিটিভ অ্যাকশন' দিয়ে খাইছে
মিটিং করতে বাইক নিয়ে গুলশানের পথে বাসা থেকে বের হয়ে বড় রাস্তায় যেতে না যেতেই দেখি হাজার হাজার পুলিশ কি যেন করছে, এর মধ্যে একজন 'অতি উৎসাহী' রাইফেলধারী কনস্টেবল আইল্যান্ডের উপর দাঁড়িয়ে আবার আমাকে ইশারায় থামতে বলল, মানে তেনাদের 'বড় স্যার'কে দিয়ে 'চেক' করাবে আর কি। হাতে সময় খুবই কম, মিটিঙে দেরি হলে মানইজ্জতের সওয়াল, তাই আমি ইশারায় 'থামাচ্ছি' বলে সাইডে চাপলাম হাল্কা স্লো করে, তারপরেই কষে টান মেরে পুলিশের 'চোখে ধুলো' দিয়ে পালালাম খাইছে

সাধারণত গুলশান যাওয়ার পথে শর্টকাট হিসেবে হাতিরঝিল দিয়ে চলে যাই। হাতিরঝিলের গুলশান-১ প্রান্তে পৌঁছে একটু 'রঙ' সাইড মেরে গুলশান-১ এ চলে যাই, তা না হলে রামপুরা ব্রিজের উপর দিয়ে নতুন বাজার দিয়ে ঢুকতে হবে, নয়ত বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোন দিয়ে ... সে এক মহাভারত। তো গুলশান - ১ এর নিকেতন প্রান্তে পৌঁছানর পর দেখি পুরো রাস্তাই একদম আঠা লেগে আছে জ্যামের কারণে, একেবারে গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেট মোড় পর্যন্ত, আমি পুরো রাস্তাই টুকটুক করে রঙ সাইড মেরে মোড়ে পৌঁছে গেলাম যেখানে যমদূতের মতন সার্জেন্ট তার অনেকগুলি স্যাঙ্গাত নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, মামলা মোকদ্দমা করার কাগজপত্র নিয়ে। সেখানে গিয়ে আবার পাগলামি চাপল। দেখলাম সিগন্যাল ক্লিয়ার হয়েছে, আমি সার্জেন্টের চোখের সামনে দিয়েই গিয়ার কমিয়ে কষে দিলাম এক টান, গুলশান-২ এর পথে। দ্রুত অন্য গাড়িগুলোর মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দিলাম খাইছে

যথারীতি সে রাস্তাও জ্যামে আঠালো হয়ে আছে, চিপা-টিপা কেটে কোনরকমে এগুচ্ছি, এমন সময় আবার পড়বি তো পড় মালীর ঘাড়েই - এক বেবিট্যাক্সিওয়ালার ঘাড় মটকানোর সময়, অর্থাৎ মামলা ঠুকে দেয়ার সময়েই ঠিক এক সার্জেন্টের সামনে গিয়েই পড়লাম, আরেকটু হলে ওই সার্জেন্টের মোটরসাইকেলসমেত পিষে ফেলার অবস্থা আর কি, সাঁই করে একটা রাফ কাট মেরে কাটিয়ে গেলাম আর যথারীতি গাড়িসমুদ্রে বিলীন হয়ে গেলাম খাইছে

কাজ সেরে ফেরার পথে মনে হল বাংলালিংক অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছি যখন, এখানে কাজ করা বন্ধুর সাথে একটু দেখা করেই যাই। কেএফসির আরেকটু সামনে বড় করে এবং আড়ম্বর করে এনামেল পেইন্ট দিয়ে NO PARKING লেখা একটা জায়গার সামনে আড়ম্বর করে বাইক পার্ক করলাম, তারপর কল দিলাম বন্ধুকে। সে বলল মাত্র সে অফিসের পথে রওনা দিয়েছে, রাত জেগে ব্রাজিল-স্পেন ম্যাচ দেখবে বলে অর্ধদিবস ছুটি নিয়েছে সে। এদিকে আসতে তার মিনিট বিশেক লাগবে হয়তো।

সকালে শূন্যে পিকেটিং করতে আসা বেরসিক মেঘ আকাশের দখল ছেড়ে কোথায় যেন পালাল, আর আমার কালো পোশাকআশাক আমার সাথে বেঈমানি শুরু করল, অপেক্ষা করতে করতে কুলকুল করে ঘামতে লাগলাম। আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম - মায়ের কথা কানে না তুললে কানের নিচে চটকানা খেতে হয় মন খারাপ

মিনিট বিশেক পর বন্ধুটি জানাল সে আগের জায়গাতেই আছে, জ্যামে আটকে, কিন্তু এই জ্যাম ছাড়লেই খুব তাড়াতাড়ি চলে আসতে পারবে। আমি ভাবলাম, ওর সাথে দেখা করতে যখন এসেছি আর এতক্ষণ অপেক্ষাই যখন করলাম, তাহলে বরং আর কিছুক্ষণ দাঁড়াই, দেখি কতক্ষণে আসে ব্যাটা। মিনিট দশেক পর সে এল এবং বলল তার অফিসে লাঞ্চ করাবে আমাকে। আমি বললাম ঠিকাছে কবুল। প্রায় ৭ বছর পর বাংলালিংক অফিসে ঢুকলাম আবার।

২০০৬ এ একটা স্পন্সরের জন্য বাংলালিংক অফিসে গিয়েছিলাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। নয়নাভিরাম নারী কর্মীদের দেখে তখন আর বের হতে ইচ্ছে করছিল না খাইছে
২০১৩ তে আবার যখন ঢুকলাম ভেতরে, দেখলাম আমি আগের মতই আছি ... হিহিহি দেঁতো হাসি

যাই হোক, আমি তো দুপুরে খাওয়াদাওয়া করি খুবই অনিয়মিতভাবে। বন্ধু আমাকে লাঞ্চ করাতে নিয়ে গেলেও আমি গেলাম ঠিক খাওয়ার লোভে নয়, কিছুক্ষণ আড্ডা দিতে। সে ভাত, গরু, সবজি ইত্যাদি নিয়েছে। আমি ভাত খাই না বলে নিলাম একটা নানরুটি আর একটু গরু। সাথে ডেজার্ট হিসেবে একটু ফিরনি। সে বলল, তোমাকে খাওয়াতে এনে তো লস হয়ে গেল, কিছুই তো নাও নাই দেখি! আমি বললাম, আমি তো আসলে তেমন ক্ষুধার্ত না, খাওয়ার জন্য আপসেট হওয়ার কিছু নাই। খেতে খেতে গল্প করছিলাম আর আমার চোখ যথারীতি রাডারের মতন ঘুরছিল 'নয়নাভিরাম নারী কর্মীদের' দিকে খাইছে

খাওয়াদাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ আড্ডা মেরে বের হওয়ার আগে বন্ধুটি বলল, একটা ভালো কথা বলি, বাইক সাথে আছে যখন, অফিসে যাওয়ার আগে এক দৌড়ে চলে যাও বাসায়, কাপড় চেঞ্জ করে আসো, নয়তো কাবাব হয়ে যাবা আসলেই। আমি হেঁহেঁহেঁহেঁ করতে করতে বের হয়ে গেলাম। এবং ফেরার সময় আক্ষরিক অর্থেই কাবাব হয়ে গেলাম মন খারাপ

সন্ধ্যায় আরেক বন্ধুর সাথে গেলাম আরেকটা মিটিং-এ পুরানা পল্টনে। সেখান থেকে সেই বন্ধুকে বাইকের পেছনে চড়িয়ে অফিসে ফেরার কথা। ফেরার সময় ভাবলাম একটু ফ্রি রাস্তা ধরি, বিজয়নগর হয়ে মিন্টো রোড ধরলাম, এবং মিন্টো রোডে ঢোকামাত্র বুঝলাম আমি আমার জীবনের অন্যতম বড় ভুলটি এইমাত্র সাধন করেছি। পুরোটা রাস্তা ভয়ঙ্কর জ্যামে ঠাসা, এখানে একমাত্র নিজেরা পাউরুটি হয়ে এই জ্যামে গড়াগড়ি খেয়ে নিজেদের গায়ে একটু মাখিয়ে নেয়া ছাড়া কিছুই করার নেই। অনেকক্ষণ সময় ধরে ধীরে ধীরে রাণীখেত আক্রান্ত মুরগির মতন ধুঁকতে ধুঁকতে রূপসী বাংলা হোটেলের মোড়ের ফোয়ারা পর্যন্ত এসে আটকে গেলাম। বিরাট একটা সিগন্যাল পড়েছে। বন্ধুটি পেছন থেকে বলতে লাগল তার নাকি আজকে একটা দাওয়াত ছিল। এবং সেটা খুব কাছেই মগবাজারের ক্যান্টন রেস্তরাঁয়। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কিসের দাওয়াত, সে বলল তার এক কলিগের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আমি বললাম, পাত্র নাকি পাত্রী? সে উত্তর দিল এটা পাত্রীর প্রোগ্রাম। আমি সবকটা দাঁত বের করে বললাম, চল যাই। সে বলে - আসলেই যাবি? বললাম - তোর আপত্তি না থাকলে দেঁতো হাসি

বন্ধুটি খুশি হয়ে গেল। বকবক করেই চলেছে সে এরপর থেকে, জানিস মেয়েটা হ্যান সুন্দর, ত্যান চরম ইত্যাদি ইত্যাদি, আর আমার সেই যে সবকটা দাঁত বের হয়েছে তো হয়েছেই, কোনভাবেই মুখ বন্ধ করতে পারছি না, রাস্তার ধুলোবালি সমানে মুখের ভিতর ঢুকে কিচকিচ করছে, কিন্তু আমার দাঁত বের হয়েই আছে খাইছে

জ্যামের মধ্যে থেকেই ম্যালা আন্দোলন সংগ্রামের পর চিপাচুপা মেরে বাইক ঘোরালাম মিন্টো রোডের আরেক প্রান্ত ধরে ঘুরে মগবাজার যাওয়ার জন্য। পাশের লেনে যেতেই হুশ করে চলে এল পুলিশের একটা এসকর্ট পিকআপ, সাদা হেলমেট পরা পুলিশগুলো হাতে লাল বাতি জ্বলে থাকা সিগন্যাল স্ট্যান্ড নাড়াতে নাড়াতে কোন এক হোমরাচোমরা মন্ত্রী গোছের কারও বিশাল পাজেরোকে এসকর্ট করতে করতে যাচ্ছে। হঠাৎ সামনে আমার বাইক পড়তেই তাদের একজন ঝাড়ি মেরে উঠল, আর আমি নতুন এলাকায় বেমক্কা এসে পড়া নেড়ি কুকুরের মতন লেজ গুটিয়ে একপাশে চেপে গেলাম বাইক নিয়ে, গড়াতে গড়াতে পাজেরোটি পাশ কাটাল তারপর। বুকে একদলা থুতু মেরে গন্তব্যের দিকে রওনা দিলাম।

আরও ম্যালা ঝক্কিঝামেলা, মতান্তরে জ্যামজেলি পেরিয়ে মগবাজারের ক্যান্টনের সামনে এসে থামলাম। তখন রাত নয়টা। বাইকটা পার্ক করতেই দেখি দুটো সেডান এসে থামল, তার মধ্য থেকে বিয়েবাড়ি সাজে নানাবিধ রমণীরা বের হয়ে এলেন। একটা অনিন্দ্যসুন্দর তরুণীর দিকে চোখ আটকে গেল। চুম্বকের সামনে লোহার টুকরো পড়েছে যেন খাইছে

অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে বসলাম আমি আর আমার বন্ধু। আমাদের দুজনেরই এখন সবকটা দাঁত বের হয়ে আছে। আর চোখ খালি সেই অনিন্দ্যসুন্দর তরুণীর দিকে চলে যাচ্ছে। আর যেহেতু বিয়েবাড়ি, কাজেই পলিশ করা এবং পলিশ ছাড়া সবরকমের সুন্দরীদের আনাগোনাই প্রচুর। আমরা বেশ খোশমেজাজে অপেক্ষা করতে লাগলাম। খাবারের গন্ধও নাকে আসছিল সেইসাথে, খোশমেজাজের উচ্চমার্গীয় পর্যায়ে অবস্থান করছিলাম তখন খাইছে

কিছুক্ষণের মধ্যেই কনে হলুদের সাজে এসে বসল হলুদমঞ্চে। মেয়েটা আসলেই বেশ সুন্দর। আমরা বেশ খুশি হলাম দেঁতো হাসি

মুশকিল হল, ইতোমধ্যেই সাড়ে দশটা বেজে গেছে, খাবারের নামগন্ধও নাই, খালি গন্ধ আছে। খালি পেটে আর কতক্ষণ অপ্সরা অবলোকন করা যায় বলুন! উসখুস শুরু হয়ে গেল আমাদের। আমি প্রস্তাব করলাম, চল এক কাপ চা মেরে আসি, এর মধ্যে খাওয়াদাওয়া শুরু হয়ে যেতেও পারে আর না হলেও সমস্যা নাই, খিদে মাটিচাপা দেয়া গেল আরও কিছুক্ষণের জন্য। সে রাজি হল। বের হয়ে চায়ের দোকান খুঁজতে খুঁজতে একটা দোকান পেলাম। দোকানদার 'চা দিতাছি খাড়ান' বলার পর অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও যখন চা দিচ্ছিল না, তখন দেখলাম সে মাত্র পানি চড়াল! হতাশ হয়ে গেলাম একেবারে, ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল স্বপ্নের পৃথিবী মন খারাপ

আরও কিছুক্ষণ পর চা খেয়ে দেখলাম প্রায় এগারোটা বেজে গেছে। ততক্ষণে খানাপিনার খায়েশ মিটে গেছে দুজনেরই। বাইবাই বলে দুজন দুজনের বাসায় রওনা দিলাম।

বাসায় এসে দেখি, আমার রুমের ফ্যান নষ্ট।


মন্তব্য

পাপ্পু  এর ছবি

ভাও টও
ভাও না ?

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

অ্যাঁ! ম্যাঁও

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

চরম উদাস এর ছবি

একটা নানরুটি আর একটু গরু। সাথে ডেজার্ট হিসেবে একটু ফিরনি।

মন খারাপ

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

চিন্তিত

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

তারেক অণু এর ছবি

মন খারাপ মিছা কতা

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

তা বটে ইয়ে, মানে...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়তে বইসা আমারও দাঁত দেখা যাইতেছিল দেঁতো হাসি
ইসরাত

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

লইজ্জা লাগে দেঁতো হাসি

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

কাবাবের মত লেখা - (আপনার কালো পোশাকে হওয়া কাবাব না, গরুর মাংসের)

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

ভালু না ফসা?

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

গরুর গোশটা কেমন লেগেছিল? তারেকানুর লেখার মত? কাবাবটাও সেই রকম।

আলতাইর এর ছবি

একখান গবেষণা করা উচিত। মোটর সাইকেল পাইলেই কি মাইনষে রঙ সাইড মারে? কুশ্চেন রে মামা কুশ্চেন ইয়ে, মানে...

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

হুম।

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

স্যাম এর ছবি

লেখা দারুন, সুন্দরী দর্শনে হিংসা আর ফ্যান নস্টে সমবেদনা শয়তানী হাসি

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দেঁতো হাসি

চিন্তিত

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেখাভর্তি খালি খাওয়াদাওয়ার কথা মন খারাপ

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

দেঁতো হাসি

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

নজমুল আলবাব এর ছবি

তুমি দেখি মিটিং এর উপ্রেই থাকো। আচ্ছা জিনিসটা মিটিং না মেটিং? আমি হালায় আংরেজী জানিনা সে অনেকদিন... চিন্তিত

সার্জেন্ট ফাঁকি দেবার পদ্ধতিটা ভালো না। একদম না। এটা করবানা কখনো। একদম হারাম ধরে নাও। সিনিয়ার মোটরসাইক্লিস্ট হিসাবে এইটা আমার উপদেশ ধরে নিতে পারো।

মায়ের কথা মেনে চলো। কালো কাপড় খুব যন্ত্রনা দেয়। এটা মেনে নাও।

লেখা ভালো হচ্ছে। বন্ধ করো না সিরিজটা।

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

হেঁহেঁ, মেটিং না, মিটিংই খাইছে

সার্জেন্ট ফাঁকি দিই না সাধারণত, বেমক্কা তাড়াহুড়া না থাকলে এই কাজটা করি না হাসি

কালো কাপড় যন্ত্রণা তো দেয়ই, আমি অবস্থা বুঝেই পরি আর কি। আর মায়ের উপদেশ হচ্ছে সেই জিনিস যেটা বেকায়দায় পড়লেই মনে পড়ে যে মা বলেছিল এই কথা হাসি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

চলবে? হাসি

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

কৌস্তুভ এর ছবি

ভালৈছে শয়তানী হাসি

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।