বাংলাদেশ: আশায় নতুন জীবনের বসতি - ৬

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: সোম, ০৫/০১/২০০৯ - ১২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভারতীয় সেনাবাহিনী অস্ত্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছিল

বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের ঠুনকো প্রতিরোধ পাকিস্তানী সামরিক হামলার মুখে খুব বেশী সুবিধা করতে পারেনি। ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত অবস্থা এমনই ছিল। ডিসেম্বরে ভারত যুদ্ধে যোগ দেয়। এরপর পাকিস্তানীদের বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে মাত্র ১৩ দিন লেগেছিল।

"ভারতীয় সেনাবাহিনী সাহায্য না করলে আমাদের এই কাজ করতে হয়ত আরও দুই বা তিন বছর লাগত, কিন্তু একদিন না একদিন আমরা অবশ্যই সফল হতাম।" মোহাম্মদ হাবিবুল আলম নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ২১ বছর বয়সী ছাত্র আমাকে এই কথাগুলোই বলল। ঘোড়ার নালের মত ঘোর কৃষ্ণ বর্ণের জমকালো গোঁফটা তাকে বেশ মানিয়েছে। আমরা ঢাকাস্থ ইন্টার-কন্টিনেন্টাল হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে বসে আলাপ করছিলাম। উল্লেখ্য, মুক্তিবাহিনীতে থাকার সময় আলম এই হোটেলেই ২৮ পাউন্ড প্লাস্টিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল।

"অনেক পাক সেনা মদ্যপান ও গুপ্তচরদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য এই হোটেলে আসত।" এটুকু বলার পর আলম তাদের সেই অভিযানের পরিকল্পনা হাতে-কলমে দেখাতে শুরু করল। আমি তাকে অনুসরণ করলাম।

আমরা হোটেল থেকে বেরিয়ে গেলাম এবং সামনের দরজা দিয়ে আবার প্রবেশ করলাম। লবিতে আসার পর ডেস্কের এক কর্মচারী আলমকে অভিবাদন জানাল। অভিবাদনে সাড়া দেয়ার পর সে বলল, "মানুষ যখন হোটেলে আসে তখন তাদের হাতে ব্যাগ থাকে। আমরা এই ব্যাগকেই কাজে লাগালাম- অর্থাৎ ব্যাগে করেই এই হোটেলে বিস্ফোরক আনা হয়েছিল।" তারপর আমাকে নিচতলার পুরুষ টয়লেটে নিয়ে গেল। টয়লেটের একটি লকারেই তারা বিস্ফোরকের প্যাকেট স্থাপন করেছিল। সে স্থানটিই সচক্ষে দেখলাম।

"বিস্ফোরণে এই পুরো জায়গাটাই উড়ে গিয়েছিল।" হাতের ইশারায় আলম বিস্ফোরণের ভঙ্গিটাও দেখিয়ে দিল। এরপর হলওয়ে পেরিয়ে আমরা কফির দোকানের দিকে গেলাম। এক কুলি দৌড়িয়ে এসে তার সাথে হাত মেলাল। সে আবার বলে চলল, "বোমাটি বিস্ফোরিত হওয়ার কথা ছিল ১৫ মিনিট পর। আমি তাই বেশ দ্রুত রাস্তা পেরিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম। হাতে একটি ক্যামেরা ছিল, বিস্ফোরণের ছবি তোলার জন্য।"

আমরা চা হাতে গল্প করছিলাম। এক ওয়েটার এসে আলমকে চিনতে পেরে বলল, টাকা লাগবে না। আমি আলমকে প্রশ্ন করলাম, "তুমি এই সবগুলো লোকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিলে, তারপরও ওরা এতো বন্ধুভাবাপন্ন কেন?" সে উত্তরে বলল, "কারণ ওরা সবাই মুক্তিবাহিনী ছিল।"

autoনিরাশার মাঝে দিনযাপন: ঢাকার মোহাম্মদপুরের এক স্কুলের মাঠে তৈরী বিহারী ক্যাম্পে বসবাসকারী ১৮,০০০ বিহারীর জীবনে যেন আর কোন আশা নেই। খাদ্যস্বল্পতা, পানি দূষণ ও অসুস্থ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখানকার প্রধান সমস্যা। কোন দেশই তাদের চায় না, আর বাঙালিরা তাদের চাকরি ও ঘরবাড়ি কেড়ে নিয়েছে। সরকার প্রতিজ্ঞা করেছে, যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব মেনে নেবে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু তিক্ততার অবসান ঘটেনি, তাই যারা এখনও বাঙালিদের রক্তে হাত রঞ্জিত করার মত মনোভাব পোষণ করে তাদের ভবিষ্যৎ খুবই অনিশ্চিত।

এখানে এমন তরুণ খুব কমই দেখেছি যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। আবদুল আলী নামে ১৬ বছরের এক কিশোরের সাথে পরিচয় হল, যুদ্ধে সে তার দুই পা-ই হারিয়েছে। আহমেদ খান নামে এক স্কুল শিক্ষককে দেখলাম। সে যুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর একজন কমান্ডার ছিল, তার অধীনে ১০০০ মানুষ যুদ্ধ করেছিল।

সে-ই আমাকে বলল, "আমি আমার ছাত্রদেরকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশনে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিলাম। তারা আমাদের বাবা-মা, ভাই-বোনদেরকে যে অত্যাচার করেছে; হ্যাঁ, বিশেষত বোনদের সাথে তারা যা করেছে তা দেখার পর, তাদের বিরুদ্ধে হাত তোলা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় ছিল না।"

বাংলার বোনদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অনেককেই সেনানিবাসে বন্দী করে রাখা হয়েছে, মাসের পর মাস তাদের উপর অত্যাচার চলেছে। এদের অনেকের বয়স ছিল মাত্র ১১ বা ১২। সরকারী পরিসংখ্যান মতে এদেশের ২ লক্ষ নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এই সংখ্যা কিছুটা অতিরঞ্জিতও হতে পারে, কিন্তু এতে কোন সন্দেহ নেই যে, হাজার হাজার বাঙালি নারীকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

সরকারী আদেশের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষিত নারীদেরকে "বীরাঙ্গনা" উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। কিন্তু গর্ভবতী কিশোরীদেরকে তো এই বীরাঙ্গনা উপাধি রক্ষা করতে পারেনি। কঠোর সামাজিক বিধির কারণে কট্টর মুসলিম পরিবারগুলোতে তাদের জায়গা হয়নি। এদের অনেকেই নিজের চুল পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

"খুব কম মেয়েই তাদের এই সন্তান বাঁচিয়ে রাখতে চায়। এজন্য যারা গর্ভপাত করতে চেয়েছে তাদেরকে আমরা সাহায্য করেছি।" "কেন্দ্রীয় নারী পুনর্বাসন সংস্থা"-র সচিব সাহেরা আহমেদ আমাকে আরও বললেন, "এছাড়া দেশে বর্তমানে পাঁচ-ছয়টির মত আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে যারা এই নবজাতকদের লালন-পালনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে।"

এক সময় শেখ মুজিব দেশের সবার উদ্দেশ্যে একটি অনুরোধপত্র প্রকাশ করেছিলেন, এর মাধ্যমে তিনি তরুণদের অনুরোধ করেছিলেন এই বীরাঙ্গনাদেরকে বিয়ে করতে। অনুরোধপত্রটির ৯,০০০ জবাবও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু শেষে এসে সব ভেস্তে যায়। কারণ পুরুষদের প্রায় সবাই যৌতুক চাইছিল। একজন একটি সম্পূর্ণ নতুন গাড়ির দাবী জানিয়েছিল, আরেকজন নিজের কবিতা প্রকাশের জন্য প্রকাশকদের যে টাকা দিতে হয়, তা দাবী করে বসেছিল।

autoযুদ্ধ এদের অলস করেছে: কর্ণফুলী রেয়ন ও চন্দ্রঘোনার রাসায়নিক কারখানার শ্রমিকরা আবার কাজ শুরু করার অপেক্ষায় আছে। অধিকাংশ কারখানার মালিকই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীরা, তারা যুদ্ধ শেষে টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রহমান সব কারখানাকে জাতীয়করণ করেছেন। কিন্তু মূলধন ও কাঁচামালের অভাবে অনেকগুলোই কাজ শুরু করতে পারছে না।

বাংলাদেশে থাকার সময় আমি সবসময়ই চেষ্টা করেছি হতাশা ঝেড়ে ফেলতে। এদেশে যারা আসছেন তাদের সবাইকেই হতাশা ঘিরে ধরে, তাই ঝেড়ে ফেলার কাজটি আমার জন্য সহজ ছিল না। হতাশা থেকে বাঁচতেই সবুজ পাহাড়ের দেশে পালিয়ে গিয়েছিলাম। এই পাহাড়গুলোতে একসময় বাঘ, চিতা ও বুনো হাতির দল ঘুরে বেড়াতো।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থান। এই অংশে ভারত ও বার্মা উভয় দেশের সাথেই এদেশের সীমান্ত আছে। ঢাকা থেকে ১৭৫ মাইল গাড়ি চালিয়ে তবেই এখানে এসে পৌঁছলাম। প্রায় এক দিন লেগেছে। কারণ রাস্তার লেন মাত্র একটি, সেই লেনেও আবার পথচারী ও গবাদি পশুর আনাগোনা। সূর্যাস্তের সময় বঙ্গোপসাগর যখন ছোপ ছোপ রক্তিম আভায় ছেয়ে গেল, তখনই আমরা পূর্বদিকের পাহাড় অভিমুখে যাত্রা করলাম।

রাস্তার দু পাশে ক্রান্তীয় গাছগাছালির ঝোপ, তার মাঝে থেকে থেকে কিছু সেগুন গাছ সবকিছু ছাড়িয়ে উঠে গেছে। কলা ও আম গাছগুলো ফলের ভারে ন্যুব্জ হয়ে আছে। এক জায়গায় দেখলাম, বনের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে- এক বুড়ো হাতি মালিকের আদেশ মোতাবেক বিশাল বিশাল গাছের গুড়ি পার্শ্ববর্তী নদীর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

autoস্বাভাবিক জীবনের গর্জন: আদমজী পাটকলের ১০০০ তাঁতকল একটানা গর্জন করে যাচ্ছে। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল। পৃথিবীর মোট পাটের অর্ধেকই এদেশে উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ তাই বৈদেশিক মুদ্রার জন্য এর উপর খুব বেশী নির্ভর করে। অবশ্য সিনথেটিক্স-এর জয়জয়কার পাটের ভবিষ্যতের প্রতি হুমকিস্বরূপ।

পার্বত্য অঞ্চলের ২৫০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে কাপ্তাই হ্রদের অবস্থান। কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দেয়ার মাধ্যমে এই বিশাল জলাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। এটিই দেশের প্রধান জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎস হিসেবে কাজ করে। জলাশয়টি একই সাথে বেশ মনোরম। এর আশেপাশে বেশ কিছু পার্বত্য গোষ্ঠী বাস করে যাদের জীবনধারা খুবই আদিম ধরণের। এখানে আসলে মনে হয় অতীতে চলে গেছি।

উদাহরণ হিসেবে মুরং গোষ্ঠীর কথা বলা যায়।
আমি এক বন্ধুকে নিয়ে ভাড়া করা নৌকায় চড়ে এখানে পৌঁছলাম। নৌকার ইঞ্জিনের শব্দ শুনে দুটি ছেলে পাহাড় বেয়ে দৌড়ে নিচে নামল। দুজনেরই পরনে ছিল বিশেষ ধরণের আঁটসাঁট পাজামা, কোমর থেকে শুরু করে হাটুর নিচ পর্যন্ত চলে গেছে। তাদের মুখে ছিল বালকসুলভ কৌতুহলের সচকিত হাসি, হাসতে না চাইতেই যেন এটুকু বেরিয়ে আসছে।

তারা আমাদেরকে নৌকা ভিড়াতে সাহায্য করল এবং পথ দেখিয়ে নিয়ে চলল। একে তো পাহাড়ী রাস্তা, তার উপর জট পাকানো বাঁশ আর বিভিন্ন ধরণের হালকা ও আগাছাসমৃদ্ধ গাছপালার বাহার। এরা দুই দিক থেকে সরু রাস্তাটিকে একেবারে জেঁকে ধরেছে। এসব দেখে বিশ্বাস করতে মোটেই কষ্ট হয় না যে, একসময় এই বন দুর্ভেদ্য ছিল এবং এখানটাতেই হিংস্র চিতারা শুয়ে শুয়ে হরিণের জন্য অপেক্ষা করত।

মুরং তামাক- আগুন থেকে এক অন্যরকম ধূয়া

অবশেষে একটি খোলা জায়গায় এসে পৌঁছলাম। পুরো স্থান জুড়ে অনেকগুলো বাঁশের তৈরী কুঁড়ে ঘর, এর সাথে আছে ছনের ঘর- যেগুলো খুটির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এক লোককে দেখলাম ছায়ায় বসে পাইপের তামাক টানছে, আর একটু পরপরই থুত ফেলছে। তার পাশে বসে এক বৃদ্ধা পুরু লাঠি দিয়ে গমের আস্ত আস্ত দানা গুড়ো করছে। আমি লোকটির সাথে ছায়ায় বসলাম, তার কাছ থেকে এক পাইপ ভর্তি স্থানীয় তামাকও গ্রহণ করলাম। স্থানীয়ভাবে তৈরী এই তামাক পাতা আগুন পেলে খুব দ্রুত জ্বলে উঠে।

autoমুরংরা হ্রদে মাঝেমধ্যে মাছও ধরে। কৃষিকাজ করে সেই আদ্যিকালের জ্বালাও-পোড়াও পদ্ধতিতে। হ্যাঁ, কৃষি জমি তৈরীর জন্য তারা বনের অনেকটা অংশই আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। পাহাড়ের গায়ে পোড়া ছাইভস্ম বৃষ্টির পানিতে ভিজে যে সমৃদ্ধ মাটি তৈরী করে তাতেই বীজ বুনে। আত্মায় বিশ্বাস করলেও তাদের কোন সুসংজ্ঞায়িত ধর্ম নেই। তারা বিশ্বাস করে, তাদের কাছে যে ঐশী গ্রন্থ আসার কথা ছিল, তা কলাপাতায় লেখা হয়েছিল। কলাপাতাগুলো গরু খেয়ে ফেলায় তাদের আর ধর্মগ্রন্থ পাওয়া হয়নি।

হৃদয় রামেজু রোয়াজা নামে ৪৫ বছর বয়সের এক সুদর্শন পুরুষ এসে নিজেকে গোষ্ঠীপ্রধান হিসেবে পরিচয় দিলেন। তিনিই বললেন, গত বছরের ঝামেলার সময় তার গোষ্ঠীর অনেকেই পাকিস্তানীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিল। তার কথামতে তিনি পাহাড়েই ছিলেন, কিন্তু লুকিয়ে। এখন অন্যরাও ফিরে এসেছে। যারা বেঁচে আছে তারা আবার নতুন করে জীবন শুরু করেছে, কয়েক শ বছর ধরে তাদের জীবন যেভাবে চলছিল এখনও সেভাবেই চলছে।

বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকটি শহর এবং প্রায় ৭০,০০০ গ্রামের মধ্যে চট্টগ্রামের মত নির্মল পরিবেশ আর কোথাও নেই। এর পিছন দিকে পার্বত্যভূমি আর পায়ের কাছে বঙ্গোপসাগর। প্রাচীনকালে এই অঞ্চলটি ত্রিপুরা রাজ্যের অধীনে একটি সামান্য জেলে গ্রাম ছিল। সেই জেলে গ্রামকে আজও "কুয়াশা ও পানি থেকে উত্থিত সৌন্দর্য্য" হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ষোড়শ শতকে পর্তুগীজ নাবিকরা এখানে বানিজ্য করতে আসে এবং অঞ্চলটিকে "পোরতু গ্রাঁদি" (Porto Grande) ডাকা শুরু করে।

বর্তমানে চট্টগ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ এবং এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ও ব্যস্ততম বন্দর হিসেবে বিবেচিত হয়। বিদেশ থেকে জাহাজযোগে এখানেই ত্রাণ সামগ্রী আসে। বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ব্যবস্থাপনাও এই শহরকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়।

এই বসন্তে চার্লস কাইজার আমাকে বললেন, "আমরা কেবল আগামী এক মাসেই এখানে ৩০০,০০০ টন খাদ্যশস্য আসবে বলে আশা করছি। সম্প্রতি মাত্র ৯ দিনে ১৮,০০০ টন ত্রাণ সামগ্রী বন্দরে নামিয়েছি। আমার তো মনে হয় এটা কোন না কোন রেকর্ড করে ফেলেছে।"

[চলবে...]

১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব | ৫ম পর্ব


মন্তব্য

স্বপ্নাহত এর ছবি

পড়ছি চলুক

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

রণদীপম বসু এর ছবি

auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নিবিড় এর ছবি

চলুক
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

পড়ছি চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

দ্রোহী এর ছবি

পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায়......

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

যথারীতি চলুক

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ফারুক হাসান এর ছবি

কিছুটা সাহিত্যের ছোঁয়া থাকায় এই পর্বটা অনুবাদ করতে বেশ কষ্টই হবার কথা। তবে যথারীতি বিপ্লব!

-----------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী,
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।