চায়ের কাপে ঝড়

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ০১/০৩/২০০৬ - ১০:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


শাহানার চা নিয়ে তোলা প্রশ্নের পর অনেকের মন্তব্য এমনটি পোস্ট হয়ে গেছে চায়ের ওপর। আমিও মন্তব্য করেছি। কিন্তু এটি অনেক বড় বিষয়। শুরু করি একটি লেখা দিয়ে। ধীরে ধীরে আরো কিছু লিখলে হয়তো পুরো বিষয়টি উঠে আসবে।
কথা হচ্ছিল জেসমিন চা নিয়ে। যার আদিনিবাস চীন। অর্থাৎ জেসমিন চা হচ্ছে চীনের ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধী চা। সবুজ চা-পাতা যখন শুকানো হয় তখন এর সাথে রাখা হয় তাজা জেসমিন ফুল। তাতে ফুলের গন্ধটা চায়ে চলে আসে।

সবুজ চা'র প্রচলন চীন থেকে শুরু হয়েছে। আর চীনাদের সবসময় দেখবেন সবুজ চা'র কাপে চুমুক দিতে। আমি নিজেও যখনই চীনা রেস্টুরেন্টে খেতে যাই তখন সবুজ চা' খেতে ভুলি না। তো সবুজ চা আবিষ্কারের পেছনে একটি গল্প আছে। আজ শুধু সেকথাই বলবো। খ্রিস্ট পূর্ব 2737 সালের কথা। চীনা সম্রাট শেন-নুং খাওয়ার জন্য পানি গরম করছিলেন। তখন চা-পাতা দুর্ঘটনাবশত: সেই পানির মধ্যে পড়ে যায়। তিনি পান করার পর দেখলেন যে খুব সুন্দর একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং শরীরটাও বেশ তরতাজা লাগছে। সম্রাটের ধারণা বলে কথা। শুরু হয়ে গেল গরম পানিতে চা পাতা দিয়ে পানের সংস্কৃতি।
সবুজ চা খাওয়ার অবশ্য নিয়মটা একটু ভিন্ন। আমরা তো জ্বাল দিতে শুরু করলে চুলা থেকে কিছু নামাতেই চাই না। তবে সবুজ চা'র জন্য পানি এতোটা গরম করতে হয় না। পানি পুরো ফুটানো যাবে না। ফুটতে শুরু করার আগেই নামিয়ে ফেলতে হবে। আর চা পাতা তাতে দিয়ে বড়জোর 1-3 মিনিট রাখতে হবে। নতুবা চা খেতে তিতা লাগবে। খেয়াল রাখতে হবে যে চায়ের মধ্য দিয়ে আপনার কাপের তলা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কিনা। এর চেয়ে বেশি ঘন করা যাবে না।
আর বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত যে, সবুজ চাতে এন্টিঅক্সিডেন্টস আছে যা ফ্রিরেডিক্যালের ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। চীনাদের ত্বক দেখবেন। বয়সের সাথে সেখানে কালো দাগ বা অন্য কোনো ধরনের আস্তরণ পড়ে না। সবই সবুজ চা পানের গুণে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।