একটা ব্র্যাকেট থেকে আমাদের বঞ্চিত রাখা ঠিক্না

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ১২/১২/২০০৯ - ৮:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
প্রথম দু:খটা পেয়েছিলাম জাতীয় গ্রন্থাগার মানে শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির কাছ থেকে। আর সেই দু:খের ওপর সিলমোহর মেরে ক্ষত পাকাপোক্ত করে দিয়েছিল বিল গেটসের মাইক্রোসফট।

তবে আজ অনেকদিন পর একটু আরাম বোধ করছি। আরামের কারণ দুইটা আলাদা আলাদা সংবাদ দেখার পর মনে একটা তুলনামূলক ভাবনার জন্ম। সেই ভাবনাই কিছুটা স্বস্তি এনে দিল হৃদয়ে। বেঁচে থাকলে আশা করি পুরনো ক্ষত পুরাপুরি নিরাময়ের সুখ পেতেও হয়তো দেরি হবে না।

সংবাদটা দুইটার একটা হলো, জেমস্ ক্যামেরন নতুন ছবি মুক্তি দিচ্ছেন – সেটার নাম ‘অবতার’। অন্য সংবাদটা হলো, ‘ব্যাচেলার’ ও ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ এর পর সরোয়ার ফারুকি নতুন ছবি বাজারে আনছেন, সেটার নাম – ‘থার্ড পার্সন সিংগুলার নাম্বার’।

২.
পাবলিক লাইব্রেরিতে প্রথম যে দু:খ পেয়েছিলাম তার কারণ ছিল একটা অভিধান। অভিধানের নামটা ইংরেজি ছিল, অনুবাদ করলে দাঁড়ায় এরকম - ইংরেজি ভাষায় ভারতীয় ভাষা সমূহের অবদান। ইয়া মোটা অভিধানে কয়েক হাজার শব্দের তালিকা দেয়া যা বিভিন্ন ভারতীয় ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষায় জায়গা করে নিয়েছে। দু:খের সাথে খেয়াল করলাম এই দান-খয়রাতের তালিকায় বাংলা ভাষার নাম বলতে গেলে নাই। পরিচিত যেসব শব্দ ইংরেজি ভাষায় দেখতে পাই সেসব দানের দায়িত্ব নিয়েছে সংস্কৃত, হিন্দি, তামিল ইত্যাদি ভাষা। আমাদের পন্ডিত, গুরু, অবতার, রাজা, শান্তি, কর্ম, মোল্লা, মুন্সি, এমন কি জগন্নাথ পর্যন্ত ইংরেজিতে পাচার হয়ে গেছে। কিন্তু কৃতিত্ব অন্যদের ঘাড়ে। এর কোনোটা হিন্দি, কোনোটা মারাঠি কোনোটা গুজরাটিদের অবদান। বাংলার অবদান প্রায় শূন্য। মনের দু:খে একটা নতুন গালি উদ্ভাবন করলাম: ইংরেজি একটা শব্দহারাম ভাষা।

কি আর করা? শাহবাগের মোড়ে ঝালমুড়ি খাই আর আমাদের কৃতিত্বকে যারা মানতে নারাজ তাদেরকে মনে মনে শুদ্ধ বাংলায় গালি-গালাজ করে মনের ঝাল মিটাই।

৩.
সেই অতি পুরাতন দু:খ নতুন করে বাড়িয়ে দিল মাইক্রোসফট। ইংরেজি ছাড়াও নানা ভাষায় কায়-কারবার শুরু করলো মাইক্রোসফট। না, যখন বাংলা ভাষার নামের পাশে ভেঙে যাওয়া রাজনৈতিক দলের মত ব্র্যাকেট দেখলাম তখন দু:খ পাই নাই।

জাতীয় পার্টি ভেঙে জাপা (ম-না), জাপা (ছা-না) ইত্যাদির মত বাংলা ভাষার পেছনে দেখি ব্র্যাকেট - তাতে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া লেখা। খুশিই হলাম মনে মনে। বাংলা আন্তর্জাতিক ভাষা হয়েছে।

কিন্তু ইংরেজি ভাষায় পেছনে যখন ব্র্যাকেটে দেখলাম (ইন্ডিয়া) তখন মনটা হু হু করে কেঁদে উঠলো। ইংরেজ আর ইংরেজির জন্য কি বাঙালি বা বাংলা কিছুই করে নাই? ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে প্রথম গদির স্বাদটা পর্যন্ত আমরা দিলাম। অথচ ইংরেজির পেছনে ব্র্যাকেটে বাংলাদেশের নাম নাই।

এই দু:খে কোনো বাঙালির সাথে আমি ইংরেজিতে কথাই কই না। এতো ইংরেজির চর্চা – বাচ্চা বিয়াইতে না বিয়াইতে বাড়িতে এবিসিডি-র বই। অথচ ইংরেজি ভাষায় আমাদের অবদান এত কম যে একটা ব্র্যাকেট পর্যন্ত আমাদেরকে কেউ দিতে রাজি হয় না। এটা মানা যায় না।

৪.
মাইক্রোসফটের স্বীকৃতি না পাই, অভিধানে অবহেলিত থাকি - তবু মনে কিছুটা শান্তির স্পর্শ পাই যখন সরোয়ার ফারুকির মত কীর্তিমানদের কীর্তিগুলার দিকে তাকাই। এগুলার খবর এখনো বিল গেটস্ পায় নাই। পাইলে আমাদেরকে এতো অবহেলা করতো না। ফারুকির ছবিগুলার নামতো আগেই বলেছি। শুনলে মনে হয় শব্দগুলা আসলে বাংলা – ইংরেজরাই লুট করে নিয়া গেছিলো। ফারুকি উদ্ধার করলেন। ।

সামনে এমন একদিন আসবে যখন এইসব সিনেমা-নাটকের নাম দিয়া আমরা ইংরেজি ভাষায় আমাদের অবদানকে প্রমাণ করতে পারবো। প্রয়োজনে জাতিসংঘ যেতে হলে যাবো তবু ইংরেজির পেছনে একটা ব্র্যাকেট আমরা ছিনিয়েই আনবো।

কিন্তু কীভাবে প্রমাণ করা যাবে যে ইংরেজি শব্দকে আমরা নতুন করে মাহাত্ম্য দিয়েছি? কীভাবে প্রমাণ করা যাবে যে শব্দের এই প্রয়োগ শুধু বাংলাদেশেই হয় ‘মাই ওনার’। কীভাবে দাবী করা যাবে যে এটা একান্ত বাংলাদেশের ইংরেজি। কীভাবে মূলামুলি করা যাবে যে এইসব যুক্তিতে ইংরেজি ভাষার পেছনে আমরা একটা নিজস্ব ব্র্যাকেট পাইতেই পারি।

যখন নয়া জমানার নাটক-সিনেমার নামের দিকে তাকাই। যখন এফএম রেডিওতে দীর্ঘ ইংরেজি লাইনের মধ্যে দুয়েকটা বাংলা শব্দ শুনি তখন মনে হয় কাজটা খুব একটা কঠিন হবে না। চ্যালেঞ্জ করতে হবে সরাসরি ও সোজা। বুক বরাবর।

এই যে ফারুকির দ্বিতীয় ছবি ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’- এই শব্দবন্ধ কি বাংলাদেশ ছাড়া আর কেউ ব্যবহার করতে পারে, না কি করেছে? গুগল আছে বিং আছে... সার্চ মারেন।... নাই। সুতরাং এটা একটা ইংরেজি ব্র্যাকেটে () বাংলাদেশ - শব্দ।

আবার দেখেন - আম্রিকা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ইংরেজিতে কোটি কোটি নাটক, নভেল, সিনেমা বানাইছে, তারা কি কেউ কখনও ‘থার্ড পার্সন সিংগুলার নাম্বার’ নামে কোনো সৃষ্টিকর্ম তৈরি করেছে? দেন সার্চ। ... করে নাই। কীভাবে করবে – তারা তো আর বাংলা ভাষায় লিখিত ইংরেজি ভাষার গ্রামার বই পাঠ করে নাই। সুতরাং বাংলার লক্ষ-কোটি পাঠশালার ছাত্রের সূত্র মুখস্থের উছিলায় এই শব্দ আমাদের। একেবারে নিজস্ব বাংলাদেশি শব্দ। ‘আমাদের দাবী..আমাদের দাবী....’

: কিন্তু এসব তো কেমন যেন পিতলা আলাপের যুক্তি। প্রায়োগিক দিক দিয়ে যদি কোনো অভিনবত্বের বিষয় না থাকে তবে তো আর ব্র্যাকেটের কৃতিত্ব দেয়া যায় না? ইংরেজি শব্দ যদি সরাসরি বাংলায় ব্যবহার করা হয় তবে তো তা ইংরেজি শব্দই। এজন্য আলাদা একটা ব্র্যাকেট ব্যবহার করার সুবিধা দেয়া যায় না।

- দেখেন চোখে আঙুল দিয়া দেখানোর কাজটা বাঙালি কখনই নির্লজ্জের মত করে না। এই জাতি কখনই স্থূল কায়-কায়বারে নাই। এদের কাজ সূক্ষ্ম। সুতরাং ইংরেজি ভাষাতে বাঙালির যে অবদান তাও সূক্ষ্ম, কিন্তু মৌলিক। সে আপনি কৃতিত্ব দেন আর নাই দেন।

৫.
ধরেন ফারুকির প্রথম ছবির নাম ‘ব্যাচেলার’। শুনতে মনে হয় ইংরেজি শব্দ। কিন্তু আসলে কি তাই। সার্চ দেন। আপনাদের তো ইন্টারনেট আছে। এই নামে কোনো ইংরেজি নাটক-সিনেমা আছে? না নাই। কেন নাই?

এই খানেই ভাষার সূক্ষ্ম কারুকাজ। এইখানেই ইংরেজি ভাষায় বাঙালির অবদান।
ইংরেজিতে ব্যাচেলার নামে কোনো নাটক-সিনেমা-নভেল থাকলে তার সামনে একটা আর্টিকেল পাওয়া যাবে। দি। আর দি না থাকলে এ। কিন্তু ফারুকির ব্যাচেলারে কোনো আর্টিকেলের তামশা আছে? নাই। ... এইজন্যই এইটা হচ্ছে অবদান।

শুধু ফারুকিই যে অবদান দিচ্ছেন তা না। হাল আমলে আরো অনেকে এরকম আর্টিকেল ছাড়া অবদান দিয়ে এসব ইংরেজি শব্দে বাঙালির অধিকার পোক্ত করতেছেন। এরকম অনেক নাটক সিনেমার নামের তালিকা দেয়া যায় : আর্টিস্ট, পেইন্টার, টিচার – কত কি? ভবিষ্যতে আরো হবে।

অবদান যে শুধু সৃষ্টিকর্মের নামে সীমাবদ্ধ তা না। ভেতরে সংলাপেও ইংরেজির নবতর ব্যবহার আছে – উচ্চারণে ভিন্নতা তো আছেই – ব্যবহারেও আছে অভিনবত্ব। মোট কথা, নিজেদের মত একটা ইংরেজি ভাষা তৈরিতে আমরা ভারতীয়দের চাইতে পিছিয়ে নেই। আমাদের সাফল্য আর কৃতিত্ব শুধু স্বীকৃতির পাওয়ার অপেক্ষায়।

কিন্তু আমাদের বাড়া ভাতে ছাই দেয়ার তো লোকের অভাব নাই। তাই জেমস্ ক্যামেরনের নতুন ছবির নাম দেখা মাত্রই মনে হলো ব্র্যাকেট বরাদ্দের দাবীটা স্পষ্টভাবে জানায়া রাখি। পরে হয়তো ভারতের অন্য কোনো ভাষার লোকজন কৃতিত্বটা হাপিশ করে দেবে।

: ক্যামেরন কী সমস্যা করলো?

- জেমস্ ক্যামেরনের নতুন ছবির নাম জানেন? ‘অবতার’। শব্দটা ধার করে ইংরেজি। সংস্কৃত নিয়া টান না দিলে এটা আমরা বাংলা শব্দই বলতে পারি।

তাহলে কী দাঁড়ালো?
বাংলা চলচ্চিত্র যখন ইংরেজি শব্দ নিয়ে খেলছে তখন হলিউড ধার নিচ্ছে বাংলা শব্দ।
আসতেই হবে... আমরা যে কাজ শুরু করেছি... ওদের না এসে উপায় নাই।
দুই নাম্বারে, শব্দটা ভালো করে খেয়াল করেন। নামের সামনে কোনো আর্টিকেল আছে কিনা দেখেন – এ, এন, কিংবা দি? ছবির পোস্টার ভালো করে খেয়াল করেন। ইটালিক করে, ছোট করে, রিভার্স করে নামের মধ্যে কোনো আর্টিকেল কি লটকায়া দিছে। ...নাই। তার মানে?

মানে হচ্ছে জেম্স ক্যামেরন পর্যন্ত আমাদের দেখানো রাস্তায় হাঁটা শুরু করছে। হয় জন স্বীকার করে নিয়েছে এটা একটা বিদেশি শব্দ – এর সাথে আর্টিকেল না ঝুলানোটাই চলতি কায়দা। নতুবা জন মেনে নিয়েছে যে এইটা ইংরেজি ভাষায় এখন আর্টিকেল বাদ দিয়ে এরকম নাম টাম দেয়াও একটা ধারা (ব্র্যাকেটে পড়েন বাংলাদেশের চালু করা স্টাইল)।

সুতরাং ইংরেজি ভাষায় আমাদের যে অবদান তার পরোক্ষ একটা প্রভাব হলিউডে পর্যন্ত পড়েছে। এখন মনে করেন যদি অবতার ছবিটা অস্কার পেয়ে যায় এক ডজন। তাহলে কী হবে? ইংরেজি সিনেমার নাম থেকে আর্টিকেল-ই উধাও হয়ে যাবে। অস্কারের আশায় সবাই ইংরেজি আর্টিকেলকে ভাসান দিয়ে দেবে।

এই যে অবদানটা হবে। সেটা কার অবদান?
আমাদের অবদান। এই দরিদ্র দেশে যারা নিজের খেয়ে এখনও ভাষার সেবা করে যাচ্ছেন তাদের অবদান।
পরিস্থিতি যেভাবে আগাচ্ছে তাতে মনে হয় একটা ব্র্যাকেট থেকে আমাদের বেশিদিন আর বঞ্চিত রাখা যাবে না।

(পরিশিষ্ট: এইখানে ব্র্যাকেটে একটা কথা বলতেই হয়। হলিউড থেকে টরেন্টো কতদূর জানি না। তবে কোনো কারণে যদি সচল রিটনের পরামর্শ কোনো ইংরেজ চেয়ে বসে তবে মুশকিল। রিটন ভাই তখন ছড়া কেটে জবাব দেবে, ‘বলছি শোনো ব্র্যাকেটে/দুইটা টুপি হয় একটা ব্রা কেটে’। আর তাতে কিন্তু মহা গন্ডগোল লেগে যাবে। টুপির সংখ্যা বেড়ে যাওয়া মানে জঙ্গিবাদের উত্থান। সুতরাং রিটনভাইয়ের ছড়া শুনলে কিন্তু ব্র্যাকেটের আশা ধোঁয়াশা হয়ে হারিয়ে যাবে। ওই কে আছিস, রিটন ভাইয়ের ব্রডব্যান্ড আর ফোনের কানেকশনটা এক মাসের জন্য সাইবার মেরিন (এটা একটা কোড) করে দে।)


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

গুলাইলে কেমন লাগে?
মাথাটা একটা বালটির মধ্যে আটকায়া দেখেন আরাম মিলে কিনা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনারে একলক্ষ সেলাম... ব্রাকেটে: আমার দাঁত বন্ধ হইতেছেনা...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি
সাইফ তাহসিন এর ছবি

শো.ম.চৌদাদা অনেকদিন পর আপনার লেখার দেখা পেলাম, তবে জব্বর হয়েছে লেখাটা, ওয়েল্কাম্ব্যাক বস, ক্যামেরাবাজী নিয়ে লেখবেন না?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ক্যামেরার সাথেই দেখা হচ্ছে না অনেকদিন। তবে আশা করছি জীবনটা একটা শৃঙ্খলায় চলে আসবে সপ্তা দুয়েকের মধ্যে। তখন ব্যক্তিগত ক্যামেরাবাজির কথা লিখবো। তা যদি কারো কাজে আসে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

স্বপ্নহারা এর ছবি

খাইছে!!...তব্দা খায়া গেলাম...প্রণাম জানায়ে গেলাম!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

শামীম এর ছবি

দেশি ইংরেজির দর্কার কী? আমরা কি ওদের ইংরেজি কম পারি যে নিজেদের জন্য আলাদা করে বানাতে হবে!

উফ্ ... সিংহপুরের সিংলিশ শুনে আমার বউ কয় এইটা কী বললো .... আমি বলি .... ব্যাপার্না আমি বুঝতাছি ...

জাপানের জাংলিশ শুনে জাংলিশ কইতেও পারতাম ... ...

তবে ভারতীয়দের মান্ডে/খান্ডে বা তেমাটর (=টম্যাটো), কিংবা ... ইটস্ আ নাইস ডে ইয়ার ..... মার্কা ইংলিশ থাইকা দুরে থাকাই ভালো বস্। --- এটার নাম হওয়া উচিত ইন্ডলিশ
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হিমু এর ছবি

সিঙ্গাপুরের ইংলিশের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, সেটা আসলে ক্রিওলাইজেশন। পাপুয়া নিউগিনিতে যে ভাষাটি লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেটিও এরকম ক্রিওল, অর্থাৎ সেখানে ইংরেজি থেকে নেয়া শব্দ বা শব্দের ছায়া আছে, কিন্তু ব্যবহার সম্পূর্ণ অন্যরকম।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মণিকা রশিদ এর ছবি

চিন্তিত
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অতিথি লেখক এর ছবি

কি বলব বুঝতে পারতেছিনা।

স্পার্টাকাস

দ্রোহী এর ছবি

ওডিন এর ছবি

ওরেব্বাস! গুরু গুরু পুরা আগুন। দমকল কোথায়??
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হাহাহা! মজার লেখা! ফাটাফাটি একটা পর্যবেক্ষণ!

তবে আমি বাংরেজির দাবী থেকে দূরেই থাকব। সারাজীবন ধরে ভারতীয়দের ইংরেজিকে নিয়ে হাসি তামাশা করে এখন নিজের জন্য সেরকম একটা ইংরেজির কোন শখ আমার হচ্ছে না হাসি

হলিউডে প্রচুর দেখি ইন্ডিয়ানদের কটু ইংরেজীর উপস্থাপন। সেটা কতটা ভাতীয়-ইংরেজি কে প্রমোট করে আর কতটা তামাশা করে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

তবে, মোদ্দাকথা হচ্ছে, এই মিশ্রন ভাষার জন্য অবধারিত একটা বিষয় - ভাষার বিকাশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে থাকা একটা ব্যাপার। এটা নিয়ন্ত্রন করা যায় কি না সে বিষয়ে ঘোর সন্দেহ আছে। সুতরাং একদিন ভাইয়া, আপনার স্বপ্ন সত্যি হয়েও যেতে পারে!!

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

বাংলা হলো বিশ্বের প্রথম চার-পাঁচটা ভাষার একটা, অথচ যে কোন সফটওয়্যারের প্রথম ১৫টা ভাষার তালিকাতেও বাংলা থাকে না। কারন কী? আমরা না-কী সফটওয়্যার ব্যবহার করি না!

অথচ হিন্দী ঠিকই থাকে! দেখেন না ভারতীয়দের ছবি-বাজার ধরার জন্য এখন সব হলিউিড ছবিতে একটা-দুইটা ভারতীয় আয়া-বুয়া টাইপের পার্শ্বচরিত্র রাখে।

আসলে আমাদের ক্রয় বাড়াতে হবে... বেশি করে সিনেমা দেখতে হবে হাসি

---------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সুমন সুপান্থ এর ছবি

অ-সাধারণ শোহেইল ভাই । এমন করে কে কবে করিয়াছে চপেটাঘাত ?

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

রাফি এর ছবি

দারুণ পর্যবেক্ষণ। আপনি লেখার আগপর্যন্ত ফারুকী সাহেবের সিনেমার নামকরণে এই সাদৃশ্যটা খেয়ালই করিনি।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গুল্লি গুল্লি গুল্লি

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি কি James Francis Cameron-এর নতুন ছবি Avatar-এর কথা বলছেন নাকি আমি ভুল বুঝলাম।

স্বপ্নদ্রোহ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

না আপনি ভুল বুঝেননি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আমাদেরও তো বিখ্যাত একটা জেমস্ আছে। তারপরও জেমস্ কীভাবে জন হইলো বুঝলাম না।
ঠিক করে দিয়েছি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হুদাই কি এই লোকের নাম বিগসি হইছে ?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এইরকম প্রশংসা করলে তো আর লেখা যায় না....
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দূর্দান্ত... আপনে আসলেই বস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বাক্য কি শেষ হয়েছে?...
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সুমন চৌধুরী এর ছবি

স্বল্প উপস্থিতির কারণে মাইনাস।
পোস্টে দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

কোথায় উপস্থিতি, কিসের উপস্থিতি?
নন-ইকোনমিক কাজ-কর্মে শ্রম দেয়ার সময় আর কই?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অবাঞ্ছিত এর ছবি

পুরাই গুল্লি !!

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

শিক্ষানবিস এর ছবি

তুখোড়। ফারুকীর পরবর্তী সিনেমার নাম কি হতে পারে ভাবছি।
অবশ্য আপনি লোক ভাল না, অচিরেই থার্ড পারসন দেখতে চাচ্ছিলাম, দেখার সময় আপনার লেখাটা খোঁচা দিতে থাকবে... দেঁতো হাসি

নাশতারান এর ছবি

গুল্লি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ভ্রম এর ছবি

হাহা যা তা অবস্থা! অনেক মজার লেখা।
কোথায় যেন পড়েছিলাম ফারুকীর পরের ছবির নাম "আই হেইট মাই মাদার"?... কি আর বলবো...

মুস্তাফিজ এর ছবি

অক্সফোর্ড ডিকশনারীতে হিংলিশ বলে একটা শব্দ কিন্তু স্থান করে নিয়েছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

দ্রোহী এর ছবি

আমি আমেরিকায় যে কজন ভারতীয় ছাত্রের সাথে মিশেছি তারা হাস্যকর ইংরেজি উচ্চারণে কথা বললেও লেখার ক্ষেত্রে তারা তুখোড়!

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় ভারতীয় ছাত্ররা সবচেয়ে চমৎকার ইংরেজি লিখে। আমাদের বাঙালীদের অবস্থা কেরাছির ত্যাল! আমি নিজেও ব্যতিক্রম নই কিছু!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার সহপাঠীদের মধ্যে সব থেকে ভাল ইংরেজি বলে ইংরেজ/আমেরিকানরা আর তারপরে জার্মানরা।

এখানে একটা টেকনিক্যাল সমস্যা হচ্ছে ইংরেজীকে একটা ভাষা হিসাবে দেখা আর স্ট্যাটাস সিম্বল হিসাবে দেখা।



অজ্ঞাতবাস

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

রসিকতা করেই লিখছিলাম...
বাঙালি ভাষা হিসেবে ইংরেজির বিকাশে কী কী অবদান রেখেছে এবং ভবিষ্যতে কী অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে কিছুটা মশ্করা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পাঠকরা যেরকম সিরিয়াস তাতে আর পরের পর্ব লেখার ভরসা পাচ্ছি না। তখন সবাই আমাকে ফাজিল বলে গাল দেবে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সুমন চৌধুরী এর ছবি

লেখেন লেখেন।

পাঠক গালি দিলে দিবো।

ফাজিল তো গালি হিসাবে খারাপ কিছু না। বেশ আমোদের দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

সাফি এর ছবি

না না পরের পর্বগুলোর থেকে আমাদের বঞ্চিত করেন না মন খারাপ

...অসমাপ্ত [অতিথি] এর ছবি

গুরু গুরু

গুল্লি ...পুরা গুল্লি লেখা। হাসি

খোঁজ-দ্যা সার্চ দিয়ে পেলাম অবশেষে। দেঁতো হাসি

কল্যাণ এর ছবি

ফাটাফাটি তবে এখনো কিছু জন থেকে গেছে ইয়ে, মানে...

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।