কম্প্যাক্ট ক্যামেরায় মনকাড়া ছবি তোলা : কম্পোজিশন

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৬/২০০৯ - ৬:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কারসাজির ক্যামেরাবাজি-৭

DSC_0215

ফটোগ্রাফ শেষ পর্যন্ত একটা ফ্রেমের মধ্যে সাজানো দৃশ্য। ছবি আঁকা আর ছবি তোলার সৃজনশীলতার মধ্যে এখানেই বিরাট মিল। একটা খালি ফ্রেমের মধ্যে কোথায় কোন বিষয়বস্তুটিকে রেখে আপনি দৃষ্টিনন্দন করে তুলবেন সেটাই আপনার নিজস্ব সৃষ্টিশীলতা।

এই জায়গাতে এসে অনেক দামী লেন্স আর বাহারি ক্যামেরার কাঁধে কাঁধ ঘেষে দাঁড়াতে পারে সাধারণ একটি কম্প্যাক্ট ক্যামেরা। কারণ দৃষ্টি কাড়ে এমন আলাদা ছবি মানে তিনটি বিষয়:

ক. ভালো বিষয়বস্তু,
খ. ভালো আলোছায়ার ব্যবহার, এবং
গ. ভালো কম্পোজিশন।

সৃজনশীলতা যদিও ব্যাখ্যার অতীত একটা বিষয় তবু চিত্রকর বা ক্যামেরাবাজরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কীভাবে ফ্রেমে তাদের বিষয়বস্তুকে সাজান সেসব গোপন রেসিপি কৌতুহলীরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বের করেছে। অনেকে এগুলোকে কম্পোজিশনের রুল বা নিয়ম বলে মানেন। তবে শিল্পের ক্ষেত্রে এরকম জবরদস্তি শুধুমাত্র পাঠশালার শিক্ষকরাই করতে পারেন। আমরা এগুলোকে দেখবো বিখ্যাত শিল্পী বা ক্যামেরাবাজদের কারসাজির তরিকা হিসেবে। আরেকটা কথা, কোনো একটা নির্দিষ্ট ছবিতে একের বেশি নিয়ম প্রয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে আবার এমনও হতে পারে ছবিটি ভালো লাগছে কোনো একটা বহুল ব্যবহৃত নিয়মকে ভেঙেছে বলে।

. ১. আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু (সেন্টার অব ইন্টারেস্ট): ছবির মূল ফোকাস একটা নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু হওয়া দরকার। ছবি তোলার আগেই ভাবতে হবে ছবির কেন্দ্রবিন্দুটা কী?

. ২. সহজিয়া: ছবির কম্পোজিশন ভিড়মুক্ত রাখতে হবে। ছবির ফ্রেমে যত কম জিনিস থাকবে ততই বেশি মনোযোগ পাবে ছবিটি।
সিম্পলিসিটি : জিম (কাজটা খুব কঠিন। ভিড়বাট্টার দেশে এমন সুযোগ কই? ক্যামেরাটা নীচে নামিয়ে আকাশটা একটু বেশি ধরলে অনেক খাটো জিনিস বাদ পড়ে যাবে। ফটো প্রসেসিং-এ গিয়ে বেয়াদব জঞ্জালগুলো মুছে দিতে পারেন।খুব একটা ভালো ছবি নয় তবু এক বরফপড়া দিনে আমি তুলেছিলাম দুটো মুখোমুখি চেয়ার। আরেকবার বরফ পড়লে একই ছবি শক্তিশালী ক্যামেরা দিয়ে তুলে দেখা যাবে কেমন দাঁড়ায়।)
Simply chairs

. ৩. মাঝমাঠ থেকে সরিয়ে: ছবির মূল বিষয়বস্তু ফ্রেমের একদম মাঝে থাকবে না। ম্যানগ্রোভ: জিমম্যানগ্রোভ: জিম রুল অব থার্ডস কড়াকড়ি অনুসরণ করাটাই ভালো (খেয়াল রাখতে হবে নবীনরা স্বাভাবিকভাবে বিষয়বস্তু মাঝে রেখেই ক্যামেরা ক্লিক করে। সুতরাং অন্য কোনোভাবে ভালো ফ্রেমিং করা গেলে মধ্যমাঠে বল না রাখাই সুবিধার)। (সাধারণ একটা ছবি দেই উদাহরণ হিসেবে। একটু জলের দিকে নেমে গিয়ে দম্পতিটিকে আমি মোটামুটি রুলস অব থার্ডের আওতায় ফেলে দিয়েছি।) Wooden bridge

. ৪. দিগন্ত রেখা: দিগন্ত রেখা বা অন্য কোনো শক্তিশালী আনুভূমিক বা উলম্ব রেখা ছবির মাঝে রাখা যাবে না। খেয়াল করতে হবে রেখাগুলো কোনো একদিকে যেন বেঁকে না থাকে।

To touch the sky above

(উপরের ছবিটাতে পানির রেখা বা পাহাড়ের রেখা ছবির মাঝ বরাবর নেই। কিন্তু গির্জাটা একদম মাঝে। অন্য কোনোভাবে কম্পোজিশন করতে পারিনি। তবে ছবিটা আমার খারাপ লাগে না) (পিকাসা বা পিকনিকের মত ফ্রি ফটো ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারগুলোতেও রেখাগুলো সোজা করার সুবিধা থাকে। পানির উলম্ব রেখার এই ছবিটা জেনেভা লেকে তোলা। পানির ধারাটাকে আরেকটু বামে বা ডানে রাখলে হয়তো আরো ব্যাকরণসম্মত হতো। কিন্তু তখনতো আমি এই লেখাটা পড়ি নাই। তাছাড়া এখন ক্যামেরার এলসিডি-তে গ্রিড দেখা যায়। সে অনুযায়ী কম্পোজিশানটা ঠিকঠাক করা সম্ভব।)
Water Column Geneva

.
. ৫. রেখার টান: ছবিতে যদি লিডিং লাইন বা নির্দেশক রেখা থাকে তবে খেয়াল রাখতে রেখাগুলো যেন দৃষ্টিকে ফ্রেমের ভেতরে নিয়ে যায়, ফ্রেমের বাইরে নয়। ছবি: গেইল জর্ক তারচে’ বড় কথা রেখাগুলো যেন চোখকে নিয়ে যায় ছবির মূল বিষয়বস্তুর দিকে। (তবে নির্দেশক রেখা আর নির্দেশনার তীর নিয়ে আমার তোলা একটা ছবি সম্ভবত: এখানে উদাহরণ হিসেবে দেয়া যায়।
Path to the castle
.
. ৬. ফ্রেমের কাছের বিষয়বস্তু: যেকোনো দৃশ্যের ফ্রেমিং করার সময় একদম ফোরগ্রাউন্ডে বা সামনে কিছু জিনিস রাখুন। এটা রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ছবিতে গভীরতা ও মাত্রা/ডাইমেশন যোগ করে। (দূরে লেকব্লেডের ওপারে দুর্গের যে ছবিটা আমি তুলেছি তার সামনে এইপারে দুজন বয়স্ক পর্যটককে ধরেছি। এতে দুর্গটা কত ওপরে তা যেমন বুঝতে সুবিধা হচ্ছে তেমনি ছবিতে গভীরতাও আসছে।)
Bled-1
পরের ছবিটায় সামনে কিছুই নাই তবু উড়ন্ত গাংচিলগুলো গভীরতা বুঝতে সাহায্য করছে। এটা যুক্তরাজ্যের ডেভন এলাকার।
Tintagel
.
. ৭. দৃষ্টিকোণ বদলান: কোনো একটা বিষয়কে দেখার স্বাভাবিক যে দৃষ্টিকোণ তা বদলে ভিন্ন কোণ থেকে ছবিটা তুলুন। ক্যামেরাটাকে উপর থেকে বা নীচ থেকে তাক করুন (ফুলগাছকে আমরা উপর থেকে দেখে অভ্যস্ত। সেই একই গাছ যদি ভূমির উচ্চতা থেকে উল্টা করে দেখা যায় তবে পাওয়া যাবে নতুন দৃষ্টিকোণ। ছবিটা মনে গেঁথে যাবে দর্শকের। সাদা কসমস: তানাকাওয়া এই ছবিটা দেখুন - আমি নিশ্চিত অনেকদিন মনে থাকবে আপনাদের।অথবা বিষয়বস্তুর উচ্চতা অনুযায়ী অনেকসময় ক্যামেরাবাজকে স্বাভাবিক উচ্চতা বদলাতে হয়। যেমন পানরত মালকিনের চেয়ারের নীচে বসে থাকা এই কুকুরটির জন্য আমাকেও ঝুঁকতে হয়েছিল। তবে কুকুরের একবারে আইলেভেলে নেমে ক্যামেরা দাগাতে পারলে আরো ভালো হতো।)
I am watching you

. ৮. ফ্রেমিং: ছবির বিষয়বস্তুর কাছে গিয়ে ডিটেইলস্ ধরার আশায় ফ্রেম করুন অথবা জুম ইন করে ফ্রেমটাকে আঁটোসাঁটো করুন। ফ্রেমের মধ্যে পরিবেশের অন্যরকম ফ্রেম যোগ করে ছবির ফ্রেমিং-এ ভিন্ন মাত্রাও আনা যায়। (ফ্রেমের ভেতরে ফ্রেম এটাও একটা ছবির বিষয়বস্তু হতে পারে। এই ছবিটা স্লোভেনিয়ার ন্যাশনাল গ্যালারিতে তোলা। ভিন্ন একটা মাত্রার মজা আছে ছবিটাতে্)

National Gallery Framing-1

(ছবির স্বাভাবিক ফ্রেমটাকে যদি কোনোভাবে ছোট করে এর আকৃতি বদলে দেয়া যায় তখনও অন্য একরকমের মজা আসে।দুর্গের জানালার ভেতর দিয়ে তোলা এই ছবিটাতে কিছুটা সেরকম সৌন্দর্য আছে।)
Viewing

.
. ৯. সিল্যুট: বিষয়বস্তুর পেছনে আলো রেখে মূল বিষয়ের শুধু আউটলাইন দেখানো। (সমুদ্রসৈকতে সূর্যাস্তের সময় এরকম ছবি তুলতে আমরা সবসময় দেখি। তবে নতুন নতুন পরিস্থিতিতে এর ব্যবহার নতুন মাত্রা আনতে পারে।এই ছবিতে টিনটাজেল দুর্গে যাওয়ার ঝুলন্ত সেতুর একটা সিল্যুট তোলার চেষ্টা করেছি আমি)
Hanging bridge

.
. ১০. সাম্যতা: ছবিতে একধরণের সাম্যতা ও সুষমতা সৃষ্টি করা। হতে পারে তা মূল বিষয়বস্তুর প্রতিফলন সৃষ্টি করে, অথবা ছবির মাঝ বরাবর একটা কল্পিত রেখার দুই পাশে একইরকম বিষয়বস্তু রেখে একরকম সুষম প্রতিফলিত দৃশ্য তৈরি করে।
Flowing mirror

কম্পোজিশনের এসব উপায়গুলো ব্যবহার করে দৃষ্টিনন্দন ছবি তোলার জন্য দামী বা ইয়াব্বড় লেন্সসহ ক্যামেরা দরকার নাই। যেকোনো কম্প্যাক্ট ক্যামেরায় ছবি তোলার সময় এসব নিয়ম প্রয়োগ করা যায়। তাতে হয়তো দামী লেন্সের শার্পনেস্, ডেপথ্ অব ফিল্ডের কারসাজি, ম্যাক্রো বা টেলিলেন্সের কারিগরী দক্ষতা পাওয়া যাবে না কিন্তু ভালোলাগার ছবি তোলার মত যথেষ্ট মশলা আছে এসব নিয়মে। যা চর্চা করলে আমরা কম্প্যাক্ট ক্যামেরায়ও মনকাড়া ছবি তুলতে পারবো।

(বি:দ্র: উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত আমার ছবিগুলো ৩.২ মেগাপিক্সেলের কম্প্যাক্ট ক্যামেরায় তোলা।খুব ভালো ছবি হয়তো সেগুলো হয়নি কিন্তু এই পর্যায়ের দক্ষতা অর্জনের পর এসএলআর কেনার একটা ঝুঁকি নেয়াই যায়, কি বলেন!)

এতদূর পড়তে পড়তে যারা ভুলে গেছেন ঠিক কী কী নিয়মের কথা আমরা আলোচনা করছিলাম তাদের জন্য একটা ভিডিও থাকলো নীচে।

[b]ঘর গোছগাছ

সবাই নিশ্চয়ই ছবি তুলছেন মেমরি কার্ড ভরে। আমার মত আপনাদেরও হয়তো হার্ডড্রাইভ ভরে গেছে ছবিতে। এখন বেছে বেছে ছবি জমা দেন ফ্লিকারে। অন্যের ছবির কম্পোজিশন, ফোকাস, এ্যাংগেল নিয়ে আলোচনা করুন। সৃষ্টিশীলতা ও কারিগরী উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে শুরু করুন নিজের ও অন্যের ছবিকে। শুভ ক্যামেরাবাজি।


ফ্লিকারে ক্যামেরাবাজির গ্রুপ:

ফেইসবুকে ক্যামেরাবাজির গ্রুপ:


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

(যে ছবিগুলোতে ক্যামেরাবাজের নাম দেয়া হয়নি সেগুলো আমার তোলা)।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হিমু এর ছবি

বস, চাইলে [center] আর [/center] ট্যাগ ব্যবহার করে ছবিগুলিকে মাঝে বসাতে পারেন। সব বাম অ্যালাইনমেন্টে দেখতে কেমন যেন লাগছে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ভালো পরামর্শ দিছেন হিমু। ফ্লিকারের জিনিস বসানোর সময় এ্যালাইনমেন্ট ঠিক করা যায় না।
তবে পুরা পোস্টটা দেখে হতাশ হইলাম। কোথাকার জিনিস কোথায় গিয়া জুড়ছে। সচলায়তনে ফরম্যাটিং জিনিসটা শিক্ষা হইলো না।
ওয়ার্ডে ফরম্যাটিং করে যদি হুবহু পেস্ট করে দেয়া যেত।
আমার বিশেষভাবে পছন্দ আর ইচ্ছা যদি অভিজিৎ-এর মত ফরম্যাটিং করতে পারতাম। কিন্তু তা আর হইলো না।
একটা সহজ উপায় বাইর করেন না। এইখানে কম্পিউটারে কত কামেল লোক। ফরম্যাটিং-টা সহজ করে দিলে এরকম পোস্টগুলো দৃষ্টিনন্দন করে দেয়া যেত।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

চলুক
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

মুজিব মেহদী এর ছবি

কিচ্ছু না-জেনে এতদিন শুধু শাটারই টিপে গেছি।
যেজন্য এটুকু জেনেই কেমন শিক্ষিত-শিক্ষিত লাগছে!

কত অজানা রে!
..................................................................................
সত্যকথন-স্বভাব
যুদ্ধঘোষণার মতো একটা ব্যাপার প্রায় কথাসভ্যতায়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

নেন একটা মোমবাতি জালাইলাম।দূর হোক অন্ধকার।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌এখানে একটা কথা মনে পড়ছে। উচু জায়গা থেকে কোন এঙ্গেলে ছবি তুললে ছবিতে উচ্চতার তারতম্যটা বোঝা যাবে। আমি বারো তলার ছাদের উপর থেকে ছবি তুলেও দেখেছি যে সমতল মনে হয়। উচ্চতার ব্যাপারটা বোঝা যায় না। সমস্যা আমার হাতের টিপের কিনা বুঝতে চাই।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

রেফারেন্স পয়েন্ট রাখেন ফোরগ্রাউন্ডে। তাহলে তুলনা করে বুঝা যাবে।
লেকের ওপারে দুর্গের ছবিটা দেখুন। কত উপরে দুর্গ তা বুঝা যাচ্ছে কিছুটা সামনে বেঞ্চে বসে থাকা দম্পতির জন্য।
উপর থেকে তুললে আপনি যদি সেরকম একটা রেফারেন্স পয়েন্ট রাখেন তবে উচ্চতা বুঝা যাবে। মানে দুই মাত্রায় যতটুকু বুঝা সম্ভব।ছবি অনেক বড় হলে আরো ভালো বুঝা যাবে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নীড় সন্ধানী এর ছবি

নীচ থেকে উপরে ছবিতে ব্যাপারটা বোঝানো সম্ভব। কিন্তু উপর থেকে তোলা ছবিতে কঠিন হয়ে দাড়ায়। উপর থেকে তোলা ছবির ক্ষেত্রেও কি বিপরীত কাজটাই করতে হবে?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

নীড়সন্ধানী আপনি একটা ছবি দেন তাহলে বুঝা যাবে কেন আপনার ছবি ফ্ল্যাট দেখাচ্ছে বা উপর থেকে তোলা বুঝা যাচ্ছে না।
তবে একদম ৯০ ডিগ্রি সোজা করে তুললে ফ্ল্যাট লাগার কথা। পারস্পেকটিভ বুঝা না গেলে তো সমতল মনে হতেই পারে। আগে ছবি আপলোড করুন।

আমার তোলা ছবি দিলাম। উপর থেকে। দেখুন কেন বুঝা যাচ্ছে যে এটা উপর থেকে:

Parliament from the London Eye

অথবা এই ছবিটা দেখে কি বুঝা যাচ্ছে যে আমরা উপর থেকে নীচের দিকে তাকাচ্ছি:

From Top: Stairs of the Castle
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

দ্রোহী এর ছবি

আপনার সবাই ভালো করে ছবি তোলা শিখুন আর আমি পোজ দেয়া শিখি। তারপর আমি খাড়ামু আর আপনারা আমার ছবি তুলবেন।

দেঁতো হাসি

বিগ সি, আলোক উৎসের উপস্থিতি নিয়ে একটা পর্ব ছাড়েন। মানে বলতে চাইছি আলোক উৎসকে বিভিন্ন জায়গায় রেখে [সামনে, পেছনে, কোনাকুনি] কিভাবে পছন্দমত ইফেক্ট তৈরি করা যাবে তা নিয়ে লিখুন। ওটা জানার খুব ইচ্ছা।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

খালি আমাকে পর্বের অনুরোধ করলে চলবে?
পোস্টপ্রসেসিং বা ইমেজ প্রসেসিং-এর ওপর আপনি একটা লেখা দেন। অন্তত: ফ্লিকার বা পিকনিক ব্যবহারের নিয়মকানুন বাতলে।
একটু জনসেবা করেন।
কত ফাঁকি দেবেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

দারুন !
-----------------------

--------------------------------------------------------

আরিফুর রহমান এর ছবি

আপনে বস মানুষ...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আমি কিন্তু জানি যে আপনি অনেক ভালো ছবি তোলেন। যুৎসই ক্যামেরাও আপনার আছে।
আপনার ভালো ছবি তোলার কলা-কৌশল সম্পর্কে দুয়েকটা লেখা দেন। জ্ঞান যত বিতরণ করবেন তত বাড়বে, ভয় নাই।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই সিরিজের এটাই সেরা লেখা। সবচেয়ে প্রয়োজনীয়ও। অ্যাপারচার, শাটার স্পিড, ইত্যাদি শেখা জরুরী হলেও অনেকের কাছেই অতটা প্রয়োজনীয় না। স্রেফ একটু চিন্তা করে সাজিয়ে-গুছিয়ে নিলে একটা সামান্য ক্যামেরা দিয়েই অনন্য সব ছবি তোলা যায়। কম্পোজিশনের এই বোধটুকু সবার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছবিগুলোর গড় মান অনেক বেড়ে যাবে।

এক্ষেত্রে রণ দা'র ছবিগুলোর উদাহরন দেবো আমি। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়েই কী অপূর্ব সব ছবি তোলেন রণ দা! প্রতিটা ছবি যেন কথা বলে। কম্পোজিশন এবং সাবজেক্ট বিচারে ছবিগুলো খুবই সুন্দর। রণ দা'কে কেউ অধমের বার্তা পৌঁছে দিয়েন। তাঁর ছবিগুলো এই পোস্টে উদাহরণ হিসেবে চাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এনকিদু ব্যাটার কাছে আমার কার্ড রিডার, সেই অসহায়ত্বের কালে আমি ছবি আপ্লোড করতে পারতেছি না। মিজাজ খ্রাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

তাড়াতাড়ি আপলোডান। সেইসাথে ছবি তোলার বর্ণনা দিয়েন যাতে অন্যরা শিখতারে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।