![]()
এভাবে শায়েখের আত্মসমর্পণে অবাক হয়েছেন অনেকেই। এমন কি তার স্ত্রীও। দেশের অনেক পত্র-পত্রিকা এটাকে নাটকীয় ঘটনা বলছে তবে অনেকে অভিযোগ তুলছেন যে এটা সাজানো নাটক। বেশ কিছু বিষয় আছে যার একটির সাথে আরেকটির সাযুজ্য নেই। 'কাফেরদের হাতে ধরা দেবেন না বলেছিলেন'। অথচ ধরা দিলেন শায়েখ। অনেকে বলছেন সিলেটে এভাবে বাড়ি ভাড়া করে শায়েখ থাকতেন আর তা সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী জানতো না তা কি করে হয়?
আত্মসমর্পণ করার পর সূর্যদীঘল বাড়িতে ঢুকে সেরকম মারাত্মক কোনো বিেেস্ফারক পাওয়া যায়নি। শেষ মুহুর্তে শায়েখ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন। তাও বলতে দেয়া হয়নি। র্যাব কতর্ৃপক্ষের সাথে তিনি অনেক কঠোর ব্যবহার করেছেন কিন্তু তার সাথে যথেষ্ট নমনীয় ব্যবহার করেছে তারা। আবার এখন স্ত্রী পুত্র পরিবারের সানি্নধ্যে তাকে রাখা হয়েছে র্যাব কার্যালয়ে। বিষয়গুলোর মধ্যে সন্দেহের নানা বীজ রয়েছে। তাই হয়তো অনেক লোক পুরো বিষয়টির ওপর সন্দেহের একটি ছাপ মেরে দিয়েছে। কিন্তু সবচে অবাক হয়েছেন এই গ্রেফতারে সম্ভবত: শায়েখের স্ত্রী। তার স্ত্রী বলেছেন যে, কই তিনি তো শহীদ হলেন না। আত্মসমর্পণ না করে তো তার শহীদ হওয়ার কথা ছিল।
হীরক লস্কর একটি লেখায় প্রশ্ন করেছিলেন কতটা অন্ধ বিশ্বাসী হলে আত্মঘাতি হওয়া যায়। আমার প্রশ্নআত্মঘাতিদের নেতা কি করে আত্মসমর্পণ করেন?
বড়ই বিচিত্র এই সমীকরণ।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন