ওজন ঠিক রাখার ক্ষেত্রে সাধারণ সমস্যাগুলো

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ১২/০৪/২০০৬ - ৭:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


"আমি আগে অনেক ডায়েট করেছি এবং অনেক ওজন কমিয়েছি। কিন্তু পরে আবার তা বেড়ে যায়। এটা খুব হতাশাজনক, এবং আমি বুঝিনা কেন এরকম হয়!!!" আপনাদের অনেকেই এই সমস্যায় পড়েছেন। এটা এজন্য হয় যে এই ডায়েটটা ছিলো খুব কম সময় এবং কম ক্যালরির খাবার খাওয়ার কারণে। এতে খাবারের অভ্যাস বদলানোর ওপর জোর দেয়া হয়নি। আসলে, অনেক "ডায়েট"-এর ক্ষেত্রে এটাই সমস্যা। এসব ডায়েটে খাবার এবং খাওয়ার পদ্ধতি সবকিছু সাংঘাতিকভাবে বদলে ফেলা হয় যা দীর্ঘদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। যেহেতু আপনার শরীরে জানে না কখন আবার বেশি করে খাবার পাওয়া যাবে, সেহেতু কম খাবারের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য বিপাক (খাবার পরিপাক ও হজম করার পদ্ধতি) প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। তারপর, যখন আবার বেশি খাবার খাওয়া শুরু হয়, বা ওজন কমে যাওয়ার পর আপনি খাওয়া-দাওয়ার পুরনো অভ্যাসে ফিরে যান তখন আবার আগের ওজন ফিরে আসে। কখনও কখনও যেটুকু ওজন কমেছিল তার চেয়ে বেশি ওজন বেড়ে যায়। শরীর স্বাভাবিক নিয়মে, সাধারণত চর্বি হিসেবে খাবারের সঞ্চয় আবার বাড়ায়। এসব চর্বি হচ্ছে জমা করে রাখা শক্তি। যখন আবার ক্যালরিতে টান পড়বে তখন এগুলো ব্যবহার করা হবে। এতে ওজন একবার বাড়ে একবার কমে। আগেই বলা হয়েছে ওজনের এরকম বাড়াকমাটা মোটেও ভালো নয় এবং শরীরের জন্য খারাপ।

বঞ্চিত হওয়ার ভাব থেকে এই অনুভূতি আরো জটিল হতে পারে। কারণ আপনাকে অনেক প্রিয় খাবার বাদ দিতে হচ্ছে। সেজন্য যখন আপনি আপনার কাঙ্খিত ওজনে পেঁৗছে যান, তখন আপনি আবার এসব খাবার মুক্তভাবে খাওয়া শুরু করেন এবং হয়তো বেশি পরিমাণেই খান।

স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখার চাবিকাঠি হচ্ছে শরীরের জন্য ভালো, খেতে মজা, এবং আপনার জীবনযাত্রার সাথে খাপ খায় এমন খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলা। এই চ্যাপ্টারের প্রথমদিকে এসব বিষয়ে অনেক পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নীচে আরো কিছু দেয়া হলো:

1. আপনার শরীরের জন্য ভালো এমন ওজনের একটা ছোট রেঞ্জ আপনার লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করুন। ওজন সাধারণত: একটু বাড়ে কমে। সুতরাং একটা রেঞ্জ ঠিক করলে আপনি কিছু্টা ফ্লেঙ্িিবলিটির সুবিধা পাবেন।
2. আপনার ব্যায়ামের মাত্রার (লেভেল) দিকে খেয়াল রাখুন। একবার কিছু ওজন কমে গেলে সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচবার ব্যায়াম করুন যাতে ওজনটা বজায় রাখতে আপনার সুবিধা হয়। যদি সম্ভব হয়, তবে ধীরে ধীরে আপনার ব্যায়ামের লেভেল বাড়ান।
3. আপনার খাবারের অংশের (পরশন) দিকে চোখ রাখুন এবং খেয়াল রাখবেন যে, আপনাকে কম চর্বিযুক্ত খাবার ও প্রচুর ফল ও শাক-সব্জি খেতে হবে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।