স্লোভেনিয়ার ছবি: ২

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: রবি, ৩০/০৪/২০০৬ - ৯:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবিয়ানা। দেশের সবচে' বড় ও জনবহুল শহর এটি। আর সব কর্মকান্ডেরও শহরও লুবিয়ানা। এ কারণে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক রাজধানী সবই এই লুবিয়ানা। তবে শিল্প-কল-কারখানার নগরী নয় লুবিয়ানা। লুবিয়ানা শব্দের অর্থ হচ্ছে 'প্রিয়তম'। আর নামের মতই রোমান্টিক, ভালবাসবার মত মনোরম একটি সি্নগ্ধ নগরী রাজধানী লুবিয়ানা । ছোটই বলা চলে শহরটিকে। একদিন নয়, ঘন্টা কয়েকের মধ্যে চষে ফেলা সম্ভব নগরটিকে। কিন্তু তাতে পথের মোড়ে মোড়ে ছড়ানো ছিটানো এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অবহেলাই করা হবে। যাদুঘরগুলো হচ্ছে লুবিয়ানার প্রাণ। ন্যাশনাল গ্যালারি বা মিউজিয়াম অব আর্টে রাখা আছে স্লোভেনিয়ান চিত্রকলা। অন্যদিকে সিটি মিউজিয়ামে রাখা আছে নানা প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন যাতে ধরা পড়েছে নগরটির ঐতিহ্য ও ইতিহাস।

সব মিউজিয়াম ঘুরে দেখার মত সময় নেই। তাই দুটি মিউজিয়াম বেছে নিলাম। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন দেখতে হানা দিলাম সিটি মিউজিয়ামে। রোমান বসতির সময়কার একটি প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষের ওপর স্থাপন করা হয়েছে নগর যাদুঘর। মাটি খুঁড়ে বের করা সেসময়কার নানা নিদর্শনগুলো সাজানোর কাজ চলছে এখনও। খৃষ্টের জন্মেরও শত বছর আগের নিদর্শন। লুবিয়ানা তখন একটি জলাভূমি। সেই জলাভূমিতে রোমানরা প্রতিষ্ঠা করেছে 'এমনা' নামের একটি শহর, যার অধিবাসী ছিল হাজার পাঁচেক মানুষ। 'এমনা' নগরীর দেয়ালের ধ্বংসাবশেষ (ছবি দেখুন) সহ নানা নিদর্শন রাখা হয়েছে যাদুঘরটিতে। সাজানো শেষ হয়নি যাদুঘরটি। তবু ঘুরে ফিরে অনেক তথ্যের সাথে পরিচিত হলাম। দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল শহরটি। ছয়টি দরজা ছিল শহরে ঢোকার। একটি দরজার ইয়া বড় একটি চাবি পাওয়া গেছে মাটি খুঁড়ে। সেটি রাখা আছে যাদুঘরে। পরবর্তীতে লুবিয়ানা শাসন করেছে ফ্রেঞ্চ, জার্মান, অস্ট্রিয়ান, ইটালিয়ানরা। সেসব সময়ের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন দিয়ে ধরে রাখা হয়েছে অতীত ইতিহাসকে খুব সুন্দর করে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।