বোটে করে ব্রাউনসি আইল্যান্ড

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: রবি, ০৪/০৬/২০০৬ - ৭:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পুলের বন্দরটার খুব ঠিক উল্টোদিকে ইংলিশ চ্যানেলের এক দ্বীপ হচ্ছে ব্রাউনসি আইল্যান্ড। নতুন জায়গা শুধু দেখার নয় কিছুটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য আমরা হলুদ রংয়ের এক বোটে চড়লাম। উদ্দেশ্য বন্দরের সামনের দ্বীপটার চারপাশ ঘুরে আসা। বোট যে চোখে পড়ার মত ক্যাটক্যাটে হলুদ তা না। ওদের টিকেট কাটার ঘরটাও হলুদ। তবে অন্যগুলোর চেয়ে আলাদা হওয়ায় সহজেই চোখে পড়ে। এরকম বোটকে আমাদের দেশে লঞ্চ বলে। তো লঞ্চে চড়ে বসলাম টিকেট কেটে। নীচের তলাটা ক্যাফের মত। সার ধরে টেবিল আর টেবিলগুলোর দুপাশে চেয়ার রাখা। একটা কাউন্টার আছে যেখানে নানা রকম খাবার আর পানীয় বিক্রি করে। এখানে বসে দুপাশের সার দেয়া জানালাগুলো দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখা যায়। তবে আরো ভালো করে দেখতে হলে যেতে হবে খোলা দোতলায়।

দোতলায় ক্লাশরুমের মতে করে বেঞ্চ পাতা। অবশ্য হাতাওয়ালা বেঞ্চ। তিন সারির বেঞ্চে লোকজন বেশ ফুরফুরে মেজাজে বসে আছে। তান্নু আরেকদফা ভদকা ধরিয়ে দিলো আমাদের সবার হাতে। সাগরের হাওয়ায় নাকি জম্পেশ হবে খেতে। সারেং মানে আমাদের তথাকথিত বোটের ক্যাপ্টেন মাইকে ধারাবিবরণী দিয়ে যাচ্ছে চারপাশের। বামে দেখা যাচ্ছে স্যান্ডব্যাংক নামের দামী জায়গা আর অতিদামী বাড়িগুলো। লন্ডনের মেফেয়ারের পর বৃটেনের সবচে দামী জায়গা এটি। সরম্ন এক চিলতে মাটি লম্বা পথের মত হয়ে ঢুকে গেছে ইংলিশ চ্যানেলে। তাতে প্রচুর পাউন্ড দিয়ে জমি কিনে বিলাসী সব বাড়ি বানিয়েছে ইউকে'র ধনকুবেররা। প্রচন্ড রোদ উঠেছে আজ। পানি আর আকাশ দুটোরই রং খুলেছে। 45 মিনিটের এই ভ্রমণে বোটটি একবার থামে ব্রাউনসি দ্বীপে, দূর্গটির কাছাকাছি। আমাদের হাতে সময় ছিল না তাই আমরা নামলাম না। অনেকে পিকনিক করতে নেমে গেলো। নীল পানি আর ভাসতে থাকা বোটের দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্গটাকে খুবই অন্যরকম লাগছিলো। রোদ, বাতাস আর ভদকা থেকে পাওয়া অনুভূতি নিয়ে আমরা তখন নিজেদের মতই মাতোয়ারা। ক্যাপ্টেনের ধারাভাষ্যে মন নেই। ওর তথ্যগুলো মনে রাখার চেয়ে প্রকৃতির সুষমা দেখেই মন ভরালাম।

আর আপনাদের জন্য রইলো কিছু ছবি এই যে...


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।