প্রথম খসড়া থেকে চূড়ান্ত রূপঃ গবেষণার একাকীত্ব-৫

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ০৮/০৭/২০০৬ - ৩:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ক্লিক করলেই বাঁধভাঙার আওয়াজ। থিসিসের খসড়া ঘষা-মাজার বিরক্তিকর কাজ কি আর ভালো লাগে। নানা অজুহাতে ফেলে রাখি। মাঝে একবার ববের সাথে দেখা হয়েছিল। দু'জন এক্সটার্নালের নাম বললো ও। আগে যাদের ঠিক করেছিলাম তাদের পাওয়া যাবে না। বাসায় এসে তাই গুগলে সার্চ দিয়ে এই দুজনের গবেষণাগুলো দেখে নিলাম। এটা খুব জরুরি। পরীক্ষকদের কাজ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে নানা সমস্যা হতে পারে। একজন বাংলাদেশে আর্সেনিক বিষয়ে কাজ করেছে। আরেকজন জীবনেও ওমুখো হয়নি। যাক বাঁচা গেলো, বেশি প্যাঁচে ফেলবে না।

সামারের বন্ধ চলছে। বব আর গি্লন উধাও। গি্লনকে পরীক্ষার এন্ট্রি ফর্ম সাইন করে পাঠিয়েছিলাম। পাত্তা নেই। আগামী সপ্তাহে মেইল করে তাড়া দিতে হবে। এতদিন দেইনি কারণ আমার খসড়া সংশোধনই শেষ হয়নি। আজ মোটামুটি শেষ অংশে এসে পৌঁছেছি।

থিসিসের (বিশেষ করে সমাজবিদ্যার) ক্ষেত্রে প্রথম চ্যাপ্টারটা পরে আবার লিখতে হয়। কারণ ফার্স্ট ইয়ারে লেখা গবেষণার লক্ষ ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী গবেষণার ফলাফল পাওয়া যায় না। সুতরাং শেষে এসে যে ফলাফল পাওয়া গেল তার আলোকে উদ্দেশ্য ও লক্ষকে সাজাতে হয়। যাতে বিষয়টা পড়ে মনে না হয়, চট্টগ্রামে যেতে চেয়েছিলো অথচ গেলো কক্সবাজার। এটি অনৈতিক কিছু না। কারণ চট্টগ্রাম আসার পর কারো যদি মনে হয় এর চেয়ে কক্সবাজারই বেশি আকর্ষণীয় তখন সে ফিরে গিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উপরেই ফিচার লিখতে পারে। বিষয়টা অনেকটা সেরকমই।

সুতরাং আজ 7, 8, ও 9 নাম্বার চ্যাপ্টার পড়ে পড়ে আমার প্রাপ্ত ফলাফলগুলোর একটা তালিকা বানালাম। এখন এগুলোর আলোকে 1ম চ্যাপ্টারের লক্ষ ও উদ্দেশ্য নতুন করে লিখতে হবে।

শনি আর রোববারেই আশা করি নামিয়ে ফেলবো। ব্লগ লেখার ভূত যদি ঘাড়ে চেপে না বসে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।