ক্যামব্রিজে দু' ঘন্টা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৯/০৭/২০০৬ - ৮:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


লন্ডন থেকে ঘন্টা দেড়েক দূরের শহর ক্যামব্রিজ। যাবো যাবো করে এতদিন যাওয়া হয়নি। বাসায় আড্ডার ছাল-বাকল তুলে ফেলার পর মনে হলো আজকে একটা নতুন জায়গায় ঘুরে আসা যায়। রওয়ানা দিলাম ক্যামব্রিজ। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের কারণেই শহরটি বিখ্যাত । পুরনো কলেজ ভবনগুলো ছাড়া দেখার তেমন কিছু নেই। ভেবেছিলাম নেমেই সিটি টু্যরের বাসে ঘন্টাখানেক ঘুরলেই সিলেবাস কাভার হয়ে যাবে। কিন্তু কোথাও একটা দুর্ঘটনা হওয়ায় টু্যর বাস পাওয়া গেলো। সুতরাং রেলওয়ে স্টেশন থেকেই চড়ে বসলাম সাত নম্বর বাসে। মিনিট দশেক পর দেখি শহর পার হয়ে এসেছি। সুতরাং নেমে আবার উল্টাদিকে হাঁটা দিলাম। শুরুতেই পেলাম বিরাট এক সবুজ মাঠ কাম পার্ক। নাম জেসাস গ্রিন। মাঠটির বুক চিরে নির্জন বিভিন্ন রাস্তা (ছবি দেখুন)। তারই একটা ধরে পৌঁছালাম সিটি সেন্টারে। অতি পুরনো একটা গোলাকার গির্জা (ছবি দেখুন)। ক্যামব্রিজের দর্শনীয় ভবনগুলোর অন্যতম। কাছেই অবশ্য সেন্ট জনস্ কলেজের আধুনিক স্থাপত্যের গির্জাও রয়েছে।

দু' ঘন্টা সময়ে শহরটির সবকিছু দেখা সম্ভব নয়, যতই ছোট হোক না কেন। তারপরও একটা বৈশিষ্ট্য স্টেশন থেকে বেরিয়েই চোখে পড়ে। সাইকেলের শহর ক্যামব্রিজ। ছাত্র-শিক্ষকেরা সাইকেল চালাচ্ছে রাসত্দা জুড়ে। শহর ভর্তি সাইকেলের পার্কিং। রাস্তায় রাস্তায় টাঙ্গানো বিভিন্ন নোটিশবোর্ডে সাইকেলআলাদেরকে নানা হুশিয়ারি (ছবি দেখুন)। ক্যামব্রিজে আরেকটা জিনিস হয় তা হলো পানটিং। ছোট্ট নদীটিতে নৌকা চালানো। ছাত্ররা হাতে একটা বোর্ড নিয়ে কাস্টমার ধরতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বোর্ডটাকে বলা যায় লিফলেট বোর্ড- পানটিং-এর নানা ছবি। চার-পাঁচজন আমাদেরকেও এর মাহাত্ম্য বুঝিয়ে পটাতে চাইলো। সময় কম এই অজুহাতে খালের মধ্যে বৈঠা ঠেলাঠেলিতে গেলাম না। ব্রিজের উপর থেকে দেখলাম নীচে একটি নাকবোঁচা পরিবার হিমশিম খাচ্ছে (ছবি দেখুন)।

নিস্তরঙ্গ জীবনের ছোট্ট শহর ক্যামব্রিজ। পড়ালেখা আর গবেষণা করার জন্য আদর্শ শহর নিশ্চয়ই। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কি একারণেই ধ্যানী-মুনি টাইপের হয়?


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।