ব্লন্ড নারী শূন্য পৃথিবী: অপেক্ষা করুন ২০০ বছর

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ০১/০৩/২০০৬ - ৮:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


কৃষ্ণকেশি নারীর রূপমুগ্ধ পুরুষের অভাব বিশেষত: এশিয়ায় নেই। আর কে না জানে ঈর্ষাকাতরেরাই ছড়িয়েছে ব্লন্ড মেয়েদের বোকামির সব গল্প। তবে আপনি যে পক্ষেই থাকুক না কেন ব্লন্ড মেয়েদের আয়ুষ্কাল আর বেশি নয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষক পিটার ফ্রস্ট জানিয়েছেন মানুষের চোখ আর চুলের রংয়ের এত বিচিত্রতার মূলে বিবর্তনের প্রভাব। উত্তর আর পূর্ব ইউরোপে এ ক্ষেত্রে যে এত বৈচিত্র দেখা যায় তা ঘটেছে খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে।
তো কী করে হলো কালোকেশি মেয়ে থেকে স্বর্ণকেশি মেয়ের জন্ম। পিটার ফ্রস্ট জানাচ্ছেন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার একটি কৌশল হিসেবে 10 হাজার বছর আগে ব্লন্ড জিনের উদ্ভব। উত্তর ইউরোপে শেষ বরফ যুগের পর শিকারই ছিল পুরুষদের প্রধান কাজ। কিন্তু শিকারে গিয়ে মৃতু্য ঘটতো বিপুল সংখ্যার পুরুষের। এতে নারীর সংখ্যা বেড়ে যায় এবং সঙ্গী পাবার জন্য তাদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। কৃষ্ণকালো চুলের নারীর পৃথিবীতে তখন নারীরা ব্লন্ড হতে শুরু করে পুরুষদের আকর্ষিত করার জন্য।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে স্বর্ণকেশিরা সঙ্গী পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সফলতা পেয়েছে এবং জন্ম দিয়েছে বিপুল সংখ্যক সন্তানের। ফলে জিন-পুলে তাদের বৈশিষ্ট্য এখন খুবই সাধারণ একটি বিষয়।

কিন্তুকৃষ্ণকেশিরা আবার শীর্ষদখলের লড়াইয়ে এগিয়ে আসছে। জার্মানির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে যেখানে ব্লন্ড জিনের জন্ম হয়েছিলো সেই ফিনল্যান্ডে তা শূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আগামী 200 বছরের ভেতরেই।
তখন কৃষ্ণকেশি নারীর প্রেমিক পুরুষদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে আশা করি।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।