তরবারির ছায়া ও মাসুদা ভাট্টি সংক্রান্ত বিতর্ক

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ০৪/০৩/২০০৬ - ৮:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই ব্লগে এত জোরদার বিতর্ক আগে কখনো দেখিনি। বিতর্ক হয়তো লেখক ও পাঠকে হয়েছে কিন্তুলেখক অনুপস্থিত অন্যান্যরা কোঁচা মেরে লড়াই চালাচ্ছেন এমন দেখা যায়নি, অন্তত: আমি দেখিনি। একটু বিস্তারিত বলি। মাসুদা ভাট্টি, যার লেখা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোয় প্রায়ই ছাপা হয় যেমন আজকের জনকণ্ঠে শায়খ আব্দুর রহমানের উপর একটি লেখা ছাপা হয়েছে, তিনি তার একটি উপন্যাসের দুটি পর্ব এখানে পেস্ট করে দিয়েছেন। ওয়ার্ড ডকুমেন্টে টাইপ করা লেখা এখানে পেস্ট করে দিয়েছেন বলে ক্ষ ও কিছু কিছু বর্ণ ভুলভাল এসেছে। তাই খুব বিনা বাধায় তার লেখা পড়া যাচ্ছে না। তবু অনেকেই লেখাটি পড়েছেন এবং যথারীতি তা নিয়ে লিপ্ত হয়েছেন তুমুল বিতর্কে। তার লেখার বিষয়বস্তু এ পর্যন্ত পড়ে যা মনে হলো তা একটি মাদ্রাসা ছাত্র কে নিয়ে। কাহিনীর গতি-প্রকৃতিতে মনে হচ্ছে সে ছাত্রকে বেহেশতের লোভ দেখিয়ে আত্মঘাতী হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। তো মাসুদা সেই দরিদ্র মাদ্রা সা ছাত্রের এই রূপান্তরকে হয়তো এখানে তুলে ধরেছেন, বা তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন।
মাদ্রাসা ছাত্রদের এই আত্মঘাতি হওয়ার সমস্যাটি এখন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একটি রাজনৈতিক সমস্যা। কেউ একে ধ্বনাত্মক বিষয় হিসেবে দেখেন না। মাসুদা ভাট্টি তো দেখার প্রশ্নই উঠে না। তো এই ঋণাত্মক বিষয়টির আবহ ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে তিনি বেহেশত, হুরপরী, শহীদ হওয়ার লোভ ইত্যাদির কদর্য রূপটি তুলে ধরেছেন। তাতে তিনি হয়তোবা সফলতা পেয়েছেন। কারণ এই কদর্য বিষয়টিকে অনেকে উপন্যাসিকের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
লেখাটিতে আহত হয়েই নিশ্চয়ই 'ওয়ালি' যিনি জামায়াত-মনস্ক বলেই এই ব্লগে পরিচিত তিনি একটি তার ভাষায় উপন্যাসের খসড়া ফেঁেদছেন। তাতে তিনি ভুট্টা, কলা ইত্যাকার ফল ব্যবহার করে লেখকের যৌনতা-সংক্রান্ত বর্ণনার জবাব দিতে চেষ্টা করেছেন। ওয়ালির সেই ভুট্টা বিষয়ক লেখায় দেখা গেলো দিনের বেশিরভাগ সময় তুমুল বিতর্ক হচ্ছে। সব যে খুব এ্যাকাডেমিক আলোচনা হচ্ছে তা বলা যাবে না। অনেক সময়ই সেসব আলোচনা শ্লীলতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এক সময় দেখা গেল রাসেল একা লড়াই করছেন ওয়ালিসহ গোটা কয়েকজনের সাথে। সেসব মন্তব্যগুলো আগ্রহউদ্দীপক। পড়ে দেখতে পারেন।
তবে মাসুদা ভাট্টি যখন তার দ্্বিতীয় কিস্তি জমা দিলেন তখন খুব একটা পাঠক উপস্থিত ছিলেন না। সুতরাং খুব বেশি আলোচনা এ নিয়ে হয়নি। আমার মনে হয় কালকের সকালের ইনিংসে এ নিয়ে আবার তুলাধুনা শুরুহবে।
তা এই যে বিতর্ক, দুই প্রান্তের দুই পক্ষের মধ্যে, মন্দ কি? বিতর্কইতো আমরা চাই। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ না হয়ে যদি এসব বিতর্কে আরেকটু শুদ্ধতা বজায় রাখা হয় তবে তা হয়ে উঠবে আরো আনন্দের, হয়ে উঠবে হৃদয়ের খোরাক।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।