উড়াল-৪

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ১৫/০৪/২০০৬ - ৮:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সিকোয়েন্স ঃ 8

স্থানঃ লন্ডন আই'র সামনে
সময়ঃ দিন (বিকাল)

কাট্
তারা নতুন একটি জায়গায় যায়।
ছবি তোলার জন্য রাশেদ ও সাজনা একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
তারা একজন লোক খুঁজছে ছবি তুলে দেয়ার জন্য।

সাজনাঃ আমি ভাবতেও পারছি না তুমি এখানে।
রাশেদঃ মনে হচ্ছে তোমাকে কঠিন বিপদে ফেলে দিয়েছি। (মুচকি হাসছে)
সাজনাঃ বিপদে? কিসের বিপদে? (সাজনা বুঝতে পারে না) ও! ফাজলামি হচ্ছে? দাঁড়াও এখানে তোমার একটা ছবি তুলে দিই।
রাশেদঃ তোমাকে ছাড়া একা একা আমি ছবি তুলছি না।
সাজনাঃ ঠিক আছে, একটা ভিকটিম খুঁজে বের করি।

(রাশেদ সাজনার কান্ড কারখানা দেখতে থাকে।
সাজনা গিয়ে একজন লোককে ছবি তুলতে রাজি করায়।
লোকটি এসে তাদের দুজনের একসাথে ছবি তুলে।)

(ব্যাকগ্রাউন্ডে গান/মিউজিক)

রাশেদঃ তোমার ভিকটিম হিসেবে মনে হয় ঐ লোকটা ভালো হবে।

(সাজনা লোকটির দিকে ছুটে যায়।
লোকটি ছবি তুলে দেয়।)

সিকোয়েন্স ঃ 9
স্থানঃ সুন্দর একটা জায়গা
সময়ঃ দিন (বিকাল)

সাজনা ও রাশেদ এসে বসে একটি চমৎকার একটি জায়গায়।
সাজনাকে পোষাক খুব উজ্জ্বল থাকলেও তার মুখে বেদনার ছায়া।

সাজনা কান্নার ভঙিতে মাথা নীচু করে। শুধু ওর আংটি পরা হাত সে তুলে ধরে রাখে শুন্যে।
দাঁড়িয়ে থাকা রাশেদের সামনে আংটি পরা সাজনার হাত।
সে মূর্তির মত স্থির হয়ে গেছে।
শুধু অস্ফূট একটা শব্দ শোনা যায় তার মুখ থেকেঃ

রাশেদঃ এই তোমার আমাকে লন্ডন ঘুরে দেখানো?
সাজনাঃ লন্ডন তো তুমি দেখে ফেলেছো? তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
রাশেদঃ কথা তো আমারও আছে, কিন্তু এজন্য মুখ গোমড়া করে রাখার কোন দরকার নেই।
সাজনাঃ আমার কথা তোমাকে চিন্তা করতে হবে না।
রাশেদঃ ঠিক আছে আমার কথাই বলি। আমি ঠিক করেছি তোমার সাথে কথা বলেই আমি তোমাদের বাসায় যাবো।
সাজনাঃ অসম্ভব তুমি এটা করতে পারো না।
রাশেদঃ অবশ্যই পারি। আমি একজনকে ভালবাসি আর তাকে দাবী করার জন্য তার মা-বাবার সামনে যেতে পারবো না। কি বলছো?
সাজনাঃ রাশেদ আমার সমস্ত মান সম্মান তুমি নষ্ট করে দেবে।
রাশেদঃ না, তা আমি করবো না। আমি বলবো, সাজনা আপনাদের কথার বাইরে যেতে চায় না. যাবেও না। কিন্তু আমি জানি সে কখনও আমার কথা আপনাদের বলবে না। তাই আমি এসেছি। এখন আপনারা সিদ্ধান্ত নেন।
সাজনাঃ কি সিদ্ধান্ত নেবে তারা। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটা নিয়ে ফেলেছে?
রাশেদঃ এটা তোমার নিজস্ব ধারণা। আমি জিজ্ঞেস করে দেখি যে বাংলাদেশে থাকে এমন কোন ছেলের সাথে বিয়ে দিতে তাদের আপত্তি আছে কি না?
সাজনাঃ (আদর্্র গলায়) বললাম তো সে কথা জিজ্ঞেস করার আর দরকার নেই।
রাশেদঃ একবার সাজনা প্লিজ একবার। একবার আমাকে জিজ্ঞেস করতে দাও।
সাজনাঃ বললাম তো সে কথা জিজ্ঞেস করার দরকার শেষ হয়ে গেছে।

রাশেদঃ কবে, সাজনা কবে?


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।