![]()
এই সাইটে ধর্ম নিয়ে বেশ তর্ক-বিতর্ক হয়। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে যেমন এখানে অনেক পোস্ট লেখা হয় এগুলোর সপক্ষেও অনেকে দেন-দরবার করেন। অন্যদিকে সাধারণ ধর্মপ্রাণ ও ধার্মিক ব্যক্তিরাও অনেক সময় এসব বিতর্কে অংশ নিয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্লা ভারী করেন। কিন্তু আমাদের দেশে ইসলামের যে প্রধান ধারা আবহমান কাল থেকে চালু আছে সেই আহলে সুন্নাত আল জামায়াতে অনুসারী অর্থাৎ সুনি্নদের সাথে এসব ক্ষমতালোভী ধর্মব্যবসায়ীদের অনেক পার্থক্য রয়েছে তা অনেকেই খতিয়ে দেখেন না।
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকাতে আজ একটি লেখা ছাপা হয়েছে। একটি কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ লেখাটি লিখেছেন। লেখাটির শিরোনাম হচ্ছে "জামাত ও আহলে হাদিস একই গাছের দুটি ডাল"। এটি পড়ার পর মনে হলো এ সাইটে সাধারণ ধর্মপ্রাণ ব্লগার যারা আছেন, বা যারা ধর্মকে অনেক উদার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন, যেমন বদরুল, সাদিক, আস্তমেয়ে, তেলাপোকা; তাদের এই লেখাটি পড়া উচিত। কারণ তারা প্রায়শ:ই এই তফাৎটা ধরতে পারেন না। লেখাটির লিংক হলো: http://tinyurl.com/jfqmg।
সংক্ষিপ্ত লেখাটির যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমার দৃষ্টি কেড়েছে সেগুলো হলো:
1. শায়খ আব্দুর রহমানের ছেলে আবুতাহের তার 'মুসলিম কি চার মাজহাব অনুসরণ করতে বাধ্য?' বইয়ে মাজহাব অনুসারীদের হত্যা করতে হবে বলে ফতোয়া দিয়েছে।
2. আহলে হাদিসদের দৃষ্টিতে পীর-মুরিদি, তরিকত-তাসাওউফ, আওলিয়ায়ে কিরাম, কবর জিয়ারত, শবেবরাত, নবী-অলীদের অসিলা প্রদান ইত্যাদি শিরক, বিদয়াত ও হারাম।
3. জামাতে ইসলামে আহলে হাদিসের আদর্শে বিশ্বাসী। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদূদী মাজহাবের অনুসরণ করাকে কঠিন গোনাহের কাজ বলে ফতোয়া দিয়েছেন। মওদুদীর মতে তরিকত-তাসাওউফ, পীর-মুরিদি সব কিছুই শিরক, জাহেলিয়াত ও হিন্দু যোগিসন্ন্যাসীদের থেকে উৎপন্ন।
4. মওদূদী লিখিত রাসায়েল মাসায়েল (1ম খন্ড) ও উপমহাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলন গ্রন্থদুটিতে বলা হয়েছে প্রচলিত গণতন্ত্রের পার্লামেন্টের মেম্বার প্রার্থী হওয়া, নির্বাচনে ভোট দেওয়া হারাম।
5. ইসলামের ইতিহাসে বাতিল দল দ্্বারা মুসলমানদের যত ক্ষতি হয়েছে, ইহুদি-খ্রিস্টানদের দ্্বারা ততটা ক্ষতি হয়নি।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন