আমিও দেখিয়াছি পর্বতমালা (উৎসর্গ: দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালার লেখক হিমু)

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ০৬/০৫/২০০৬ - ৮:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই সাইটে অসম্ভব সুন্দর দু'টি ভ্রমণকাহিনী লিখেছিলেন হিমু। অতি দীর্ঘ বলে সমালোচনার শিকারও হয়েছেন। আমি তাই পর্বে পর্বে ভাগ করে দিচ্ছি। ছবি দেননি বলেও হিমুকে তার কাছের বন্ধুরা তিরষ্কার করছিলেন। আমি তাই ছবি দেয়ার ব্যাপারে একেবারেই কঞ্জুসতা দেখাচ্ছি না। বরং আমার লেখাগুলোতে ছবিই প্রধান। পর্বত দেখতে যাওয়া আমার এই প্রথম নয়। বাংলাদেশের পাহাড় পর্বত ঘেরা অঞ্চলগুলোতেই কেটেছে ছোটবেলা। হিমু যে পাহাড়গুলো চড়েছেন তা না চড়লেও কাছ থেকে দেখেছি। ঘটা করে পাহাড় দেখতে গিয়েছিলাম কাঠমান্ডু। নাগরকোটে সূর্যোদয় দেখার স্মৃতি এখনও তাজা। বরফ ঢাকা হিমালয়ের শৃঙ্গগুলোতে উদীয়মান সূর্যের আলো পড়ে যে অপূর্ব প্রতিফলন ঘটে তা দেখতেই সেখানে ভোররাতে ঠান্ডার মধ্যে জড়ো হয় পর্যটকরা। সে এক অপূর্ব দৃশ্য। এক ঘন্টা ধরে উপভোগ করা যায় সূর্যের আলোকছটার সাথে পাহাড়ের আলো ঝলমল হয়ে ওঠার বিভিন্ন পর্যায়গুলো।

স্লোভেনিয়াতে এসে কাছ থেকে দেখা হলো আল্পস পর্বতমালার অংশবিশেষ। অতোটা বরফ ছিল না। তবু বেশ কাছ থেকে দেখা বলে অন্যরকমও লাগছিলো। লেক ব্লেডের অনু-দ্বীপ থেকে ফিরে গনডোলার মাঝি যখন নামিয়ে দিলো তীরে তখন ছুটলাম পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে তাকা ক্যাসেলের দিকে। পথে পড়লো একটি চার্চ। তারপর প্রায় 45 মিনিট ধরে ঘুরপথে হেঁটে হেঁটে ক্যাসেল। ক্যাসেলের সামনে যেতেই দূরের পাহাড়টি আরো কাছের হয়ে গেলো। উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় হয়তো বা। পাহাড়ের দিকে তাকিয়েই বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে দিলাম। আর তাকাতে গিয়েই মনে পড়লো হিমুর লেখাটির কথা, 'দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা'। তাই এই ছবিগুলো ও লেখাটি হিমুর জন্য উৎসর্গিত। কবিতাটির কথা মনে আছে তো আপনাদের, দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া...

(ছবি দেখুন: ক্যাসেলের সামনে থেকে পাহাড় দেখা। পাহাড়ে উঠার পথে চার্চ। পাহাড়ে উঠার দীর্ঘ বুনো পথ। উঠার পথের পাশে বেঞ্চ। নীচে লেক বেস্নড। )


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।