পান্না-সবুজ পানির হ্রদ 'লেক ব্লেড'-৪ (উৎসর্গ: বদরুল আহমেদ)

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: রবি, ০৭/০৫/২০০৬ - ১০:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ব্লেড ক্যাসেল
লেক ব্লেডের ঠিক উপরে খাড়া পাহাড়ে ঝুলে আছে যে দুর্গটি এটিই ব্লেড ক্যাসেল। লেক থেকে 100 মিটার উপরে এই দুর্গ। মধ্যযুগের রাজারাজড়ার দুর্গ বলতে যেরকম দুর্গম আর দুর্ভেদ্য প্রাসাদ আমরা মনে মনে কল্পনা করি ব্লেড ক্যাসেল সেরকমই। দুর্গের মাঝে আছে উঁচু টাওয়ার আর উন্মুক্ত প্রাঙ্গন যেখান থেকে নীচে লেকটির দিকে তাকালে অসামান্য সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যে বুকের সব খানা-খন্দ-নদী-লেক ভরে যায়। যদি একাদশ শতাব্দীতে তৈরি হয়েছিলো দুর্গটি তবে এখন আমরা যা দেখতে পাই তার বেশিরভাগ জিনিসই 16শ শতাব্দীর।

দুর্গে উঠার রাস্তা খুব সুচিহ্নিত নয়। অনুমান করে করে এগিয়ে দেখি চার্চের কাছে বিরাট এক রাস্তা। এটি গাড়ি উঠার জন্য। সুতরাং অনেক ঘুর পথ হবে নিশ্চয়ই। চার্চের কাছাকাছি যেতে পেলাম গ্রাড (স্লোভিন ভাষায় দুর্গ) লেখা ছোট্ট সাইনবোর্ড। কিন্তু একটু পরেই চার্চের কাছাকাছি গিয়ে অনেক রাস্তার ভিড়ে গিয়ে আবার পথ হারিয়ে ফেললাম। পথ হারিয়ে অনেকেই ঘুরছে। জিজ্ঞেস করে করে হঠাৎ পাহাড়ে উঠার পথ পেয়ে গেলাম। খাড়া পায়ে হাঁটা পথ। তবে যেখানে নীচে গভীর খাঁদে পরে যাওয়ার ভয় আছে সেখানে রেলিং দেয়া আছে। বেশ পুরনো রেলিং। সেটি ধরতেও ভয় লাগে। ঘুরে ফিরে প্রায় আধঘন্টা পরে উঠে আসলাম দুর্গের সামনে। তখন দেখলাম অন্যদিক থেকেও মানুষ উঠছে। মনে হলো গোটা তিনেক রাস্তা আছে হেঁটে দুর্গে আসার। আর গাড়ি চড়ে আসার পাকা রাস্তা আছে একটি।

দুর্গে একটি যাদুঘর আছে। সেখানে তাম্রযুগ থেকে শুরু করে লেক ব্লেডে মানুষের বসতির ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। অনেক যুদ্ধাস্ত্রও রাখা আছে। তবে যাদুঘর আমাকে ততটা টানে না। দুর্গের সামনে দাঁড়িয়ে অনতিদূরের পর্বতমালার যে দৃশ্য তা অপূর্ব সুন্দর। হিমুকে উৎসর্গিত 'আমিও দেখিয়াছি পর্বতমালায়' সে ছবিগুলো দিয়েছি। এই পোস্টে দেখুন ক্যাসেল ও লেকের ছবি।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।