রাধার কান্না বুকে নিয়েই গেয়ে ওঠে বাঙালি [হ্যালো থিওরি টেস্টিং ১, ২, ৩.....: ৪]

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ০৮/১১/২০০৬ - ৬:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই ধারাবাহিকের শানেনজুল বুঝতে হলে আগের সংশিস্নষ্ট পোস্ট পড়তে হবে। যারা পড়েছেন, তারাও ঝালাই করে নিন। রসাস্বাদনে সুবিধা হবে। যারা আগে পড়েননি তাদের জন্য তো অবশ্য কর্তব্য নীচেরএই লিংকে ঢুঁ মারা

**************
ফরাসীতে ভিক্ষুকেরা ছবি এঁকেই ভিৰা করে। বাঙালি ভিক্ষুকের অস্ত্র হলো গান। মহানগর টাইপের সিটি টু সিটি ট্রেন হওয়ার আগে প্রতি স্টেশনে থামা ট্রেনে গান গাইতে গাইতেই হাত বাড়াতো ভিক্ষুক বা দুস্থ শিল্পীরা 'একটা পয়সা দে না, ও বাবু ..ও বাবু..'। গানটা মোটেই বাংলা নয়। বাঙালি গীতিকাররা ওতো নীচে নামেননি। এমন কি আমজাদ হোসেন যখন ঠিক এরকম একটি রেলে ভিক্ষার দৃশ্যের জন্য গান লিখে সুর দিলেন তাতে শব্দ বসালেন এরকম, 'হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ, এ জীবন জ্বইলা পুইড়া শেষ তো হইলো না'।

বাঙালি গীতিকাররা এতটাই মহান। তাদের গান দৈনন্দিন বাসত্দবতাকে ছাড়িয়ে সার্বজনীনতাকেই ধরতে চায়। অনত্দত: গোলাপী এখন ট্রেনের ভিৰাবৃত্তির দৃশ্যে আমরা এরকম শুনিনি যে গোলাপী গাচ্ছে, 'আমি অন্ধ লুলা, কানা, আমায় দুইটা পয়সা দে না'। তাহলে বাঙালির গানের মূল প্রেরণা কী? এইখানেই আমার হাইপোথিসিস ইন। সেটি হচ্ছে; সিংহভাগ বাংলা গানের অনুপ্রেরণা হচ্ছে যমুনা তীরের দৃশ্য। কোন দৃশ্য? দাঁড়ান মনে করিয়ে দিচ্ছি। সন্ধ্যার আলো-ছায়ায় যমুনার কালো জল আরো কৃষ্ণবর্ণ হয়েছে। কিন্তু সেখানে কৃষ্ণের কোনো ছায়াও নেই। বিরহিনী রাধার কষ্টে পাখ-পাখালি, গাছ-গাছালির চোখ থেকেও অশ্রম্ন ঝরছে। নীরবে কাঁদছে প্রকৃতি, বর্ষার আকাশ। আর ভালবাসায়, কৃষ্ণের মঙ্গলাকাঙ্খায় যমুনার জলে প্রদীপ ভাসাচ্ছে রাধা ("আমার পূজার দীপ ভালবাসা হয়ে গেল...")। কৃষ্ণ আর ফিরবে না, সে এখন অযোধ্যার রাজা হয়েছে- এ কথা রাধাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে দূরে দাঁড়িয়ে চোখের জল মুছছে সুবল। কিন্তু কৃষ্ণের প্রেমে বাঁধা পড়েছে যে রাধা সে আর কি এসব শানত্দনার কথায় বিভ্রানত্দ হয়। তার মনের গহীনে কৃষ্ণ যে দিন-রাত বাঁশি বাজায়। তার হৃদয়ের বেদিতে কৃষ্ণ তো ঈশ্বর। সেই কৃষ্ণ রাধাকে অপেৰা করতে বলেছে, বলেছে সে আসবে। কৃষ্ণের আশ্বাস কি মিথ্যে হতে পারে? নিশ্চয়ই সে আসবে ফিরে যমুনার তীরে। আবার বাজাবে বাঁশি। আবার টানবে তাকে বুকের বন্ধনে। বলুক কুলটা লোকে, সখীরা করুক মানা, মিথ্যে হোক সুবলের শানত্দনা। রাধার কৃষ্ণ রাধার কাছেই ফিরে আসবে। রাজকার্যের চেয়ে প্রেমের লীলায়ই তাকে মানায় বেশি। সিংহাসনের চেয়ে বৃন্দাবনেই সে মনোহর। রাধাকে ফেলে সে রাজধানীতে থাকতে পারে না। রাধার কৃষ্ণ আছে রাধার বুকে। মথুরায় যে কৃষ্ণ থাকে সে রাধার কেউ নয়।

এই যে দৃশ্য এই ঘুরে ফিরে আসে বাংলা গানে। বেশির ভাগ বাংলা গানে। আমি বলছি, বেশিরভাগ বাংলা গান আসলে এই একটি ভাবেরই নানারূপ। একটি গানেরই নব রূপায়ণ। মূলকথা তাদের একই:

"ভ্রমর কইও গিয়া, শ্রীকৃষ্ণ বিচ্ছেদের অনলে..অঙ্গ যায় জ্বলিয়ারে ভ্রমর কইও গিয়া...
কইও, কইও, কইওরে ভ্রমর, কৃষ্ণরে বুঝাইয়া
মুই রাধা মইরা যামুরে... কৃষ্ণহারা হইয়া রে ভ্রমর..কইও গিয়া...."

এই দৃশ্যের রাধার যে মনের আকুতি তাই ফিরে ফিরে এসেছে বাংলা গানে। বাঙালি চিরকাল রাধা হয়েই গেয়ে ওঠেছে। কি পুরম্নষ কি নারী শিল্পী। সকলেই রাধা। দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি আঁতকে উঠেছেন অনেকেই। এ কেমন কথা? অনেকেই বলবেন, হ্যা রাধা, যমুনা তীর, বাঁশি, কৃষ্ণ/কানাই/কালিয়া নিয়ে বেশ কিছু গান বাংলা গান আছে, তাই বলে সিংহভাগ বাংলা গানই এই নিয়ে...এই বিরহী রাধার কান্না নিয়ে... এ মানা যায় না। মানা না মানার দায়-দায়িত্ব আপনাদের, আমি আমার তত্ত্বের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছি।

ঐ যে বাঁশি আর কৃষ্ণ নিয়ে গান আছে বলে মানলেন তার সংখ্যা গুনুন। কত পুরনো সেসব গান যাচাই করম্নন। । একটু উদাহরণ চটকে দেখি (কথাগুলো পড়ার সময় একটু সুরেই গলাটা কাঁপান):

1. প্রাণসখীরে ওই শোন কদম্বতলায় বংশী বাজায় কে...আমার মাথার বেণি বদল দেব তারে আইনা দে..
2. বাঁশি বুঝি সেই সুরে আর ডাকবে না..
3. বনমালী তুমি পরজনমে হইও রাধা..
4. অভাগিনীর বন্ধু তুমি, সময় বুঝো না...অসময়ে বাঁশের বাঁশি আর বাজাইও না..
5. এমনি বরষা ছিল সেদিন, শিয়রে প্রদীপ ছিল মলিন, তব হাতে ছিল অলস বীণ, মনে কি পড়ে প্রিয়..
6. ধরি ধরি সন্ধান করি/ নাগাল পাইলে তারে ছাইড়া দিতাম না/ কৃষ্ণর প্রেমে এত যে জ্বালা সখি আগে তো জানিতাম না
7. বাঁশি শুনে আর কাজ নাই/ সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি/ সে যে দিন দুপুরে চুরি করে...
8. আমার যমুনার জল দেখতে কালো, স্নান করিতে লাগে ভালো..যৌবন ভাসিয়া গেল জলে...

বাঁশি, নদী, যমুনা, কৃষ্ণ/কানাই নিয়ে যেসব গান সেগুলো একেবারে সরাসরি উদাহরণ। কিন্তু শেফালী ঘোষ যখন কর্ণফুলির তীরে বসে গান তখনও আসলে তা রাধার কান্নারই প্রতিধ্বনি:
"ওরে কর্ণফুলিরে...সাৰী রাখিলাম তোরে...অভাগিনীর দু:খের কথা কইও বন্ধুরে...ওরে...।
কিংবা
"পদ্মার ঢেউরে...মোর শূন্য হৃদয়-পদ্ম নিয়ে যা ...যা রে..."। কে গায়? বাইরে ফেরদৌসি রহমান, কিন্তু অনত্দরে? - রাধা।
"কে যাস রে, ভাটি গাঙ্গ দিয়া...আমার ভাইধনরে কইস নাইওর নিত আইয়া... কে যাস ...কে যাস"। শচীন কর্তার গলায় কার আকুতি? রাধার!

নদী নাই, বাঁশি নাই, ননদিনির কথা নাই সেসব গানেও পাবেন রাধার প্রতীৰার সুর:
"জ্বালাইয়া চান্দেরও বাতি, জেগে রবো সারারাতি গো... আমি কবো কথা শিশিরের সনে রে বন্ধুয়া...নিশীথে যাইও ফুলবনে..."।
পুরম্নষ কণ্ঠেই শুনেছেন এ গান তাই না। কিংবা আইয়ুব বাচ্চুর গলায় যখন রবীন্দ্রনাথের চরণগুলো নতুন ব্যঞ্জনায় ধরা পড়ে:
"আমি বারমাস তোমায় ভালবাসি, তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু আসিও.."। এও রাধার মনের কথা। অথবা সারেং ফারম্নকের ঠোঁটে আব্দুল জব্বার যখন গেয়ে ওঠেন
"ওরে নীল দরিয়া...আমায় দে রে দে ছাড়িয়া....বন্দী হইয়া ...কান্দে রইয়া রইয়া"
তখন ঝাঁকড়া চুল আর ফারম্নকের মাংসপেশী ভেদ করেও ভেসে ওঠে রাধার বিরহী মুখ।

বলতে পারেন সব উদাহরণইতো পুরনো গানের। নতুন গানতো লেখা হচ্ছে কত। ব্যান্ডের গান, পশ্চিমা ঢংয়ে সফট রক, এসিড রক গান, সেসব গানেও কি রাধা কান্দে। আমার উত্তর জ্বী কান্দে। রাধাই তো কাঁদবে। আর কে আছে কাঁদার? উদাহরণ আপনাদের হাতেই বেশি আছে। আমি একটু ধরিয়ে দেই। পথিক নবীর মায়ামাখা গানটা:
"আমার একটা নদী ছিল জানলো না তো কেউ, এইখানে এক নদী ছিল জানলো না তো কেউ, নদীর তীর ছিল না, কূল ছিল না, ছিল শুধু ঢেউ"।
কিংবা হাবিবের,
"ভালবাসবো, বাসবো রে বন্ধু, তোমায় যতনে"।
হাসানের "এত কষ্ট কেন ভালবাসায়?"।
দলছুটের
"তুমি আমার বায়ান্ন তাস, শেষ দানেও আছি, তোমার জন্য ধরেছি আমি সর্বস্ব বাজি"। এই সর্বস্ব বাজির প্রেম রাধার। কৃষ্ণের জন্য। (মনে রাখবেন উল্টোটা না। কারণ রাধার হচ্ছে প্রেম। কৃষ্ণ তো লীলা করে। রাধার হয়ে হাসনের প্রশ্ন, "কানাই তুমি খেইড় খেলাও কেনে?"।

********

পাঠক নিশ্চয় মুদ্রার ওপর পিঠ দেখতে চাচ্ছেন। প্রশ্ন করতে পারেন, ভালবাসার গান হলেই তা রাধার গান হবে কেন? ভালবাসার সব গানই এরকমই তো হওয়ার কথা পৃথিবীর সব ভাষায়। এর সাথে রাধাকে জড়ানোর যুক্তি কোথায়? ইংরেজি কবি শেলির এই চরণ কত লিখলাম আমরা পরীৰার খাতায়; তিনি বলেছেন, "আমাদের মনের গভীর বেদনার কথা আছে যেসব গানে সেসবই আমাদের প্রিয় গান"। সুতরাং গানে তো ভালবাসার হাহাকার থাকবেই। তা বলে সেগুলো রাধার হাহাকার হবে কেন? কথা দিচ্ছি এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে লেখাটা শেষ করবো না। তার আগে আরো কিছু বিখ্যাত গানে লুকিয়ে থাকা রাধার সাথে আপনারদের পরিচয় করিয়ে দেই।

নৃত্যরতা অঞ্জু ঘোষের ঠোঁটে রম্ননা লায়লার গান,
"এই বৃষ্টিভেজা রাতে চলে যেওনা..."।
শাবানার ঠোঁটে সাবিনা ইয়াসমিন,
"আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত গন্ধ বিলিয়ে যাই"।
মিতালী মুখার্জির কণ্ঠে,
"এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই, মানুষ নামের মানুষ আছে দুনিয়া বোঝাই, এই মানুষের ভিড়ে আমার সেই মানুষ নাই"।
শাহনাজ রহমতুলস্নাহ,
"যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, যে ছিল হৃদয়ের আঙিনায়, সে হারালো কোথায় কোন দূর অজানায়, সেই চেনামুখ কতদিন দেখিনি"।
আসলে কে গায়? রাধা। হালের সামিনা চৌধুরী,
"একবার যদি কেউ ভালবাসতো, আমার নয়ন দুটি জলে ভাসতো, আর ভালবাসতো'...।

ভাবছেন যে নারী কণ্ঠের গান তো রাধাকণ্ঠের মনে হবে। না লাইলি কণ্ঠেরও হতে পারতো (মনে করম্নন, "লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া, মজনুগো আঁখি খোলো") বা শিরি কণ্ঠের। তা হয়নি। সব প্রেমিকার শীর্ষে চলে এসেছে রাধা। যদি প্রশ্ন করেন, পুরম্নষ কণ্ঠের গানের উদাহরণ কম কেন? তবে স্মরণ করিয়ে দিতে পারি। নজরম্নলের কথায় সোহরাব হোসেন,
"তুমি যে গিয়াছো বকুল বিছানো পথে, নিয়ে গেছো হিয়া, কি নামে ডাকিয়া..."।
"শাওন রাতে যদি, স্মরণে আসে মোরে, বাহিরে ঝড় বহে, নয়নে বারি ঝরে"- দৃশ্যকল্পে ও কথা-কান্নায় নি:সন্দেহে রাধার গান।
পিন্টু ভট্টাচার্যের কান্না কান্না কণ্ঠের গানগুলোর কথা ভাবুন।
অথবা জগন্ময়ের
"তুমি আজ কতদূরে...স্মৃতির আড়ালে চলে গেছ তবু..রয়েছে হৃদয় জুড়ে...তুমি আজ কতদূরে"।
অথবা সতীনাথ,
"মরমীয়া তুমি চলে গেলে, দরদীয়া মোর কোথা পাবো, কারে আমি এ ব্যথা জানাবো"।

সুবীর নন্দীকে আমরা গাইতে শুনি,
"হাজার মনের কাছে প্রশ্ন করে একটি কথাই শুধু জেনেছি আমি...পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই..." তখন রাধার কথাই গান হয়ে ওঠে।
কিংবা এন্ড্রু কিশোর ভরাট কণ্ঠে গেয়ে ওঠেন রাধারই গান,
"ভালবেসে গেলাম শুধু... ভালবাসা পেলাম না, আশায় আশায় দিন যে গেল...আশা পূরণ হলো না"। এই আশা অপূর্ণের হতাশা রাধার।
কিংবা
"এই কি গো শেষ দান, বিরহ দিয়ে গেলে, মোর আরো কথা ছিল বাকী আরো গান"।
নায়ক-গায়ক জাফর ইকবালের কথা ভুলি কি করে,
"হয় যদি বদনাম হোক আরো, আমি তো এখন আর নই কারো"- কলংকিনী রাধার কথাই মনে করিয়ে দেয়।
কিংবা হাসন রাজা যখন সেলিম চৌধুরীরর কণ্ঠে গেয়ে উঠেন,
"আহারে সোনালী বন্ধু শুনিয়ে যাও মোর কথা রে হাসন রাজার হৃদকমলে তোমার চানমুখ গাঁথা" তখন রাধার বুকে হারিয়ে যাওয়া কৃষ্ণের ছবিই স্পষ্ট হয়ে উঠে।
বাংলা গানের প্রচলিত ধারা থেকে দলছুট হয়েও সঞ্জীব চৌধুরী বাঁশি বিরহী রাধার বহুলব্যবহৃত চিত্রকল্পে গেয়ে উঠেন,
"কোথাও বাঁশি বাজছিল হাওয়ারা খুব ভাসছিল, আমার ছিল বন্ধ কপাট অন্ধ চোখে রাত ছিল"।

উদাহরণ বাড়াই না। সত্যিকার বাঁশি চোখে দেখেনি এমন প্রজন্মও বাঁশির গান গেয়ে যাচ্ছে। কৃষ্ণের কাল গেছে কবে। রক নাচন নাচতে নাচতে তিশমাও বাঁশিওয়ালা নিয়ে গান গায়। হাল আমলের শাহআলমের লেখায় সেই যমুনা তীরের রাধা না হোক, আরিচা ঘাটের মমতাজের গান:
ফাইট্টা যায়..বন্ধু যখন বউ লইয়া আমার সামনে দিয়া...হাইটা যায়...ফাইট্টা যায়..বুকটা আমার ফাইট্টা যায়...

প্রশ্ন করতে পারেন, গানতো ভালবাসার হবেই আর বিরহের গানই তো আমাদের মনে ধরে। তাই বলে, সব গান রাধার কান্না হবে কেন? অন্যকিছু হওয়ার তো সুযোগ নেই। ছিল, সুযোগ ছিল। বাঙালি নারীরা রাধা হয়ে গান গাইতে থাকুক, শিরি বা লাইলি না হোক, আমার আপত্তি নাই। বাঙালি পুরম্নষরা কেন রাধা হতে গেলো। ভালো তো শুধু রাধাই বাসেনি, কৃষ্ণও বেসেছিলো। বাঙালি পুরম্নষ কৃষ্ণ হয়ে গাইলো না কেন? গায় না কেন? তার কণ্ঠে রাধার নিবেদন কেঁদে ওঠে কেন, কৃষ্ণের দিগ্বিজয়ের সুর ফোটে না কেন। কেন সে নারীর মত ব্রীড়াবনত হয়ে গায়,
"জানি তোমার প্রেমের যোগ্য আমিতো নই, পাছে ভালবেসে ফেলো তাই দূরে দূরে রই"। কেনো সে গাইতে পারে না,
"আমি চিরতরে দূরে সরে যাবো, তবু আমারে দেব না ভুলিতে" কিংবা "পৃথিবী আমারে চায়, রেখোনা বেঁধে আমায়...খুলে দাও প্রিয়া, খুলে দাও বাহুডোর"।

এ পর্যনত্দ আমিই বলস্নাম। এবার আপনার প্রিয় গানের কলিটা নীচে লিখুন। দেখি সে রাধার না কৃষ্ণের। আর হাইপোথিসিসটি প্রমাণিত হয় কি না।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।