অমর্ত্য সেন - 'আত্মজীবনী' থেকে

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: বুধ, ২৩/০১/২০০৮ - ৪:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto"আমার জন্ম হয়েছিল এক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে - মনে হয় যে আমি আমার সারা জীবনটাই কোন না কোন ক্যাম্পাসে কাটিয়ে দিয়েছি। আমার পরিবারের আদি নিবাস ছিল ঢাকায়, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজধানী শহর। পুরনো ঢাকার ওয়ারী এলাকায় আমার পিতৃপুরুষদের বাড়ি ছিল - রমনায় অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সেটা বেশী দূরে নয়। আমার বাবা আশুতোষ সেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের অধ্যাপক ছিলেন।

তবে আমি জন্মগ্রহণ করি শান্তিনিকেতনে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক স্থাপিত বিশ্বভারতী'র ক্যাম্পাসে। সে সময়ে বিশ্বভারতী স্কুল ও কলেজ দুটিই ছিল। সেখানে আমার নানা ক্ষিতি মোহন সেন সংস্কৃত ভাষার শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রাচীন ও মধ্যযুগের ভারতীয় সংস্কৃতি বিষয়েও ক্লাস নিতেন। আমার মা অমিতা সেন বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা করেছিলেন - পরে আমি যেমনটা করি।

শান্তিনিকেতন থেকে পাশ করে আমি কোলকাতা চলে যাই, প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে বিলেত - কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে। কোলকাতা ও কেম্ব্রিজ, এই দুই শহরেই আমি অধ্যাপনা করেছি। এ ছাড়া দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স (LSE), অক্সফোর্ড এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছি। ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে ম্যাসাচুসেট্‌স ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT), স্ট্যানফোর্ড, বার্কলি এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছি। অধ্যাপনা ও গবেষনার বাইরে তেমন কোন সিরিয়াস চাকরি আমি কখনো করিনি।

বড় হয়ে কোন বিষয়ে পড়াশোনা করবো, এই সিদ্ধান্ত আমি ছোটকালে অনেকবার অদল-বদল করেছিলাম। তিন বছর বয়স থেকে সতের বছর বয়সের মধ্যে আমি যথাক্রমে সংস্কৃত, গণিত এবং পদার্থবিদ্যা, এই বিষয়গুলোর প্রতি ঝুঁকি। তবে শেষমেষ আমি অর্থনীতির উদ্ভট আকর্ষণটাকেই বেছে নিই।

কিন্তু আমি যে বড় হয়ে শিক্ষক বা গবেষক হবো - তা যে বিষয়েই হোক না কেন - এই সংকল্পে আমার কখনো ভাটা পড়েনি। যখন 'একাডেমিক' শব্দটার কথা ভাবি, তখন আমি শব্দার্থ হিসেবে ভাবি 'sound' - পোক্ত, যুক্তিযুক্ত, নির্ভরযোগ্য। অভিধানে যে সেকেলে শব্দার্থগুলো দেওয়া আছে - "unpractical," "theoretical," বা "conjectural" - প্রয়োগের অযোগ্য, তাত্ত্বিক, অনুমান নির্ভর - এই অর্থগুলো আমার কাছে প্রতীয়মান হয় না।"

(অসম্পূর্ণ - মূল ইংরেজী রচনা এখানে)

*

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অনেকেই নোবেল কমিটির কাছে আত্মজীবনীমূলক রচনা লিখে পাঠান। কেউ লম্বা লেখা দেন, কেউ অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতি শাস্ত্রে নোবেল জয় করেন বাঙ্গালী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, উন্নয়ন অর্থনীতিতে (development economics) তার অদ্বিতীয় অবদানের জন্যে। অমর্ত্য "আত্মজীবনী" শিরোনামে একটি রচনা জমা দেন, যেটি নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত আছে, অন্যান্য বিজয়ীদের লেখাগুলোর সাথে। এই রচনাটা কয়েক বছর আগে পড়েছিলাম, বেশ ভালো লেগেছিলো। অমর্ত্য তার শৈশব, শিক্ষা, জীবনদর্শন - এ সব নিয়ে বেশ বিস্তারিতভাবেই লিখেছেন। তার প্রথম অংশটুকু অনুবাদ করলাম। সময় ও সুযোগ বুঝে বাকি রচনা থেকে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং অংশগুলা অনুবাদ করার ইচ্ছা আছে। অমর্ত্য বাবুর কাছে আন্তর্জালিক-ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি! সু.মু.


মন্তব্য

বিপ্লব রহমান এর ছবি

বেশ আগ্রহসহ পড়লাম। অনুবাদ আরও চলুক। হাসি


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আপনার পোস্ট থেকে পাওয়া লিংকটা সেভ করে রেখেছিলাম পরে পড়বো বলে। অনুবাদ দেখে ভাবলাম, যাক বাংলায় পড়ার আরামটা পাওয়া যাবে। চমৎকার এগোচ্ছিলো। হঠাৎ থেমে গেলো। কাজটা কি ভালো হলো? মন খারাপ

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সেটাই, কাজটা কি ভালো হলো?
একটু একটু না, পুরোটাই গলধ:করণ করতে চাই।

বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অতিথি লেখক এর ছবি

অফটপিকঃ

ফুটসি গোঁত্তা খেল, আবার ওঠার চেষ্টায় আছে, বাকিদেরও টালমাল, কিছু বক্তব্য আশা করছিলাম। রোজ হাঁ সচল খুলে দেখি গৎবাঁধা গফ কবিতা। আপ্নে কই।

ben bernanke দুম কইরা রেট কমাইল। কামটা কইরা লাভ ক্ষতি কি হইল বুঝলাম না। কদ্দুর বুঝাইয়েন

আকবর
লন্ডন

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

কালকে তো রেট কমাইয়া বিরাট স্টান্টবাজি করলো বেন। পাবলিক ঠিক বুঝতে পারে নাই কেস কি। মার্কেট আজকে কিছু কিছু উঠছে, কিছু কিছু নামছে। ইউরোপের বক্তব্যও আসছে আজকে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড আর ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক সোজা বইলা দিছে, আমেরিকা ভূল পলিসিতে আছে। দেখি কালকে একটা আপডেট দেওয়ার চেষ্টা করবো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

অতিথি লেখক এর ছবি

বদ্দা,
মাইন্ড না খাইলে কই, এক্টটা জিনিষ এট্টু এমতে এমতে লাগে, এক ঈহুদীর বেটা ২০ বছর লাঠি ঘুরাইল ফেড থুক্কু দুনিয়ার ইকনমির ওপর, হের পরেও খুইজা পাইতা আবার আরেক সমগোত্রীয়রে ঢুকাইল। পইসার হিসাবের লাইগা আর কাউরে ভরসা পায়না নাকি?

নিজে থাকি স্ট্যামফোর্ড হিলের খান্দাত, তাই এট্টু ট্যারা চোউখে দেহি তেনাদের।

ফ্রান্সের হেই বেটার সাত বিলিওন চুরির খবর ফাঁসরে ক্যান জানি শাক দিয়া মাছ ঢাকার গপ্পের লাহান লাগে। কদ্দুর বুঝাইয়া দিয়েন। অহনো আপনার আপডেইটের লাইগা লগইন কইরা ফিরত গেলাম। কাইট রানার কয়দিন পরে দেখলেও ক্ষতি নাইক্কা।

অতিথি লেখক এর ছবি

নাম কইতে ভুইলা গেসলাম

আকবর
লন্ডন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।