বিডিআর বিদ্রোহ ও মিডিয়ার নৈতিকতা।

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: বুধ, ০৪/০৩/২০০৯ - ৪:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংবাদ পরিবেশন ও ভিডিও জার্নালিজমে গনমাধ্যম কর্মীদের যে বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে সাম্প্রতিক সময়ে বিডিআর বিদ্রোহের ইস্যুগুলো নিয়ে গনমাধ্যম কর্মীরা সেই ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে এই লেখায় কিছুটা বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি।

প্রথম দিনের কথা বলছি:

২৫ ফেব্র“য়ারী কিছু বিদ্রোহী বিডিআর মুখে লাল কাপড় বেঁধে টেলিভিশন ক্যামেরায় বক্তব্য দিয়েছেন। ডাল ভাত কর্মসূচী নিয়ে সেনা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে কয়েক জন বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ান তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

সাধারণ বিবেচনায় একটি বিষয় কিন্তু অনুমান করা যায়যে, বিডিআর ক্যাম্পের ভেরতে যদি ৩ হাজার সদস্য থেকে থাকে সেখানে তিনজনের বক্তব্য কিন্তু প্রমান করেনা এই মতামত পুরো বিডিআর বাহিনীর। একজন সংবাদ কর্মী কখনই একপেশে বক্তব্য প্রচার করতে পারেন না। তিনি যদি বিদ্রোহী বিডিআরের বক্তব্যের পর সেণা বাহিনীর ডাল ভাত কর্মসূচীর দায়িত্ব প্রাপ্ত সেণা কর্মকতাদের বক্তব্য বা প্রতিউত্তর না প্রচার করেন , তবে সেই রিপোর্টকে ব্যালেন্সড রিপোর্ট বলা যায় না। যদি এই বিষয়টি শুধু মাত্র হাতে গুনা কয়েক জনের ক্ষোভের কারণ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এ মুখোশধারীদের বক্তব্য সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্ত ছড়াতে পারে। এমনও তো হতে পারে বিডিআররের মুখোশ ধারী লোকটি বহিরাগত কিলার ! এ ক্ষেত্রে রিপোর্টার যেমন বিদ্রোহীদের বক্তব্য নেবেন এবং সাথে সাথে সেই বক্তব্যের সত্যতা নিরুপনের জন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই পক্ষটির সাথেও কথা বলবেন।
কিন্তু সব ক’টি টিভি চ্যানেল ঐ দিন সেনাবাহিনীর ডাল ভাত কর্মসূচীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্য না নিয়ে শুধুমাত্র বিদ্রোহীদের বক্তব্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে যা সাংবাদিকতার নিয়ম বর্হিভূত।

গনমাধ্যম কর্মীরা বলতে পারেন ব্রেকিং নিউজের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ একটু দূরহ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সবকটি টেলিভিশন চ্যানেলের স্পট লাইভ সংবাদ প্রচারের সামর্থ রয়েছে। গনমাধ্যমগুলো পিলখানা ও সেণা সদর দপ্তর হতে সরাসরি সংবাদ প্রচার করতে পারতো। তথবা টেলিফোনে মন্তব্য নেয়া যেতে পারতো , অতবা রিপোর্টার তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন এই বিষয়টি বলা যেতে পারতো তাদের সাথে যোগাযোগ করে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তাহলে দর্শক পরিস্কার থাকবেন প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিলো। এই ধাপগুলো অনুষরণ করা না হলে রিপোর্ট সাধারণের মনে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।

ফটোজার্নালিজম ও প্রাইভেসী :

ব্রিটেনে এই নিয়মটি অধীক কার্যকর । জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোন ভাবেই দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে এধরণের স্পর্শকাতর ছবি ব্যবহার করা যায়না। বিডিআর বিদ্রোহে বিভিন্ন গনমাধ্যমে নিহতদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে গলিত লাশ ও গুলি বিদ্ধ বিকৃত লাশের ছবি ছাপা হয়েছে যা ফটোজার্নালিজমের বাইরে।

এক্ষেত্রে এপি’র তোলা কয়েকটি ছবি দৃষ্টান্ত হতে পারে। ছবিতে কয়েক জন সেনা কর্মকতা নাকে টিস্যু দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। এই ছবিটির অর্থ তারা মৃত দেহ গুলো দেখে এমন আচরণ করছেন। পাঠক কিন্তু এই ছবি দেখেই বুঝবেন মৃত দেহ গুলো গলিত এবং সেখান থেকে দূর্গন্ধ এতটাই তীব্র যে নাকে টিস্যু দিতে হয়েছে, এক্ষেত্রে গলিত লাশের ছবি দেখানোর প্রয়োজন নেই।

বিডিআর বিদ্রোহের পর এপি'র ছবি

এএফপি’র তোলা আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে একটি সিড়ির প্রতিটি ধাপে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ .. পাঠক এই ছবি দেখে কিন্তু সহজেই অনুমান করে নেবেন এখানে এক নির্মম হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে অনেক গুলো গুলিবিদ্ধ বিকৃত লাশের ছবি না দেখালেও ঘটনার ভয়াবহতা বুঝানো সম্ভব।

এ এফ পির তোলা ছবি
শুধু যে বাংলাদেশের গনমাধ্যম এই ভুল করছে তা নয় , আল জাজিরা টেলিভিশন একটি সংবাদে এমন ভিডিও দেখা গেছে বিডিআর ডিজির স্ত্রী মিসেস শাকিলের লাশ সনাক্ত করে তাঁর এক বান্ধবী নিজের আবেগকে সংযত করতে দৌড়ে পালাতে চাইলে মিডিয়া তাকে ঘিরে ধরে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত প্রাইভেসী লঙ্ঘিত হয়েছে। ইচ্ছে করলে ব্যক্তিগত প্রাইভেসী লঙ্ঘের দায়ে উল্লিখিত ফটো সাংবাদিক ও ভিডিও গ্রাফার বা সংশিষ্ট মিডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে। কোন ব্যক্তি যদি তার ভিডিও চিত্র দেখাতে না চান কিংবা যদি তার অনুমতি ব্যতিত কেউ কোন পূর্ণ বয়স্ক লোকের ছবি তুলে কোন গমমাধ্যমে ছাপেন ব্রিটেনে অফিস অব কমিউনিকেশন্সের বা অফ কমের নিয়ম অনুয়ায়ী সেই ব্যক্তি ইচ্ছে করলে ঐ ফটো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারেন। এমন দৃশ্যও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে লোকজন বলছেন, ভাই প্লিজ বিরক্ত করবেন না আমাদের মানষিক অবস্থা ভালোনা কথা বলতে পারছিনা। তবুও রিপোর্টার তার মাইক্রোফোন ঠেলে ধরছেন মুখের সামনে। এটিও জার্নালিজমের নিয়মের বাইরে। সাংবাদিকের চেষ্টা থাকবে , এধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে বক্তব্য প্রদানকারী না চাইলে সংবাদকর্মী জোর করে কোন দৃশ্য দেখাতে পারবেন না।

আরো একটি বিষয় সরকারের ভাবতে হবে, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দেখা গেছে অপারেশন চলা কালে আর্মি ও বিডিআর যখন মুখোমুখি তখন হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় দায়িয়ে যুদ্ধ দেখছে !! কি আশ্চর্ষ !! সাধারণ মানুষের প্রবেশ কি সেই সময় উন্মুক্ত ছিলো ??

গন কবর কিংবা লাশ সনাক্ত করণের সময় সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয় কাদের কে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলো, সাংবাদিক ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ সেখানে ছবি তুলেছে , যা কখনই কাম্য ছিলোনা, তারা বিকৃত ছবি ও গলিত ছবি তুলে ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কে এমন ভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে যা একটা ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। এখানে আরেকা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, টুইন টাওয়ার ধ্বংস কিংবা লন্ডনে বোমা হামলার সময় কিন্তু নিদিষ্ট কিছু সাংবাদিককে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছিলো, কেউ কি দেখেছেন কোন গলিত লাশ ? লন্ডনে বোমা হামলার সময় আমি নিজে সেখানে স্পটে ছিলাম, আমরা ভিডিও ক্যামেরায় কোন বিকৃত লাশের ছবি তুলিনি, আর লাশ গুলো এমন জায়গায় রাখা হয়েছিলো সেখানে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ ছিলো। শুধু হাসপাতালে মৃতদের লাশ দেখানো হয়েছে আর এ্যম্বুলেন্সে কাপড়ে ঢাকা মৃতের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে এটা ঠিক যে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিষয়গুলো মনিটর করার জন্য কোন নিদিষ্ট বডি নেই । সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিবাদ বা অভিযোগ জানাতে পারেনা, যেমনট রয়েছে উন্নত দেশে। ব্রিটেনে এই বিভাগটি অত্যন্ত শক্তিশালী। অফিস অব কমিউনিকেশন্স সংক্ষেপে অফ কম ব্রিটেনে মিডিয়া কর্মীদের জন্য এক আতঙ্কের নাম। যেহেতু বাংলাদেশে মিডিয়ার সেন্সরশীপ বা নীতিমালার দেখভাল করার জন্য কোন নিরপেক্ষ বিভাগ নেই তাই সেক্ষেত্রে সম্পাদকদের ভূমিকা অনেক বেশী। যারা গনমাধ্যমে কাজ করছেন বিশেষ করে ফটো সাংবাদিক ও ভিডিও গ্রাফার ( সকলে নয় ) হয়তো এই নিয়মগুলো সম্পর্কে অবহিত নন। প্রয়েজনীয় প্রশিক্ষণের অভাবে এমনটা হয়েছে। এক্ষেত্রে ফটো গ্রাফার কিংবা ভিডিও গ্রাফার সেই বিকৃত ছবি তুললেও সেন্সর করার দায়িত্ব কিন্তু সম্পাদকের উপরে বর্তায়। তিনি এই বিষয়গুলোর আইনগত দিক, সামাজিক দিক ও নৈতিক বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে ভিডিও কিংবা ছবির অনুমোদন দেবেন। তবে বাংলাদেশে গনমাধ্যমের এই বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রের জন্য একটি নিরপেক্ষ বিভাগের প্রয়োজন রয়েছে যেখানে একজন সাধারণ মানুষ মিডিয়াতে কোন ভুল তথ্য পরিবেশীত হলে তার অভিযোগ তুলে ধরতে পারবেন। এক্ষেত্রে সরাসারি মামলায় না গিয়ে ঐ বিভাগ সংশিষ্ট মিডিয়ার কাছে কৈফিয়ত চাইবে এবং প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেবে।


মন্তব্য

জিজ্ঞাসু এর ছবি

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। সাংবাদিকতার নীতিমালা সঠিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না সেটা নিশ্চিত করতে সাংবাদিক, ক্যামেরাম্যান, এডিটর তথা সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হয়। যেসব মিডিয়ায় প্রশিক্ষিত জনবল কাজ করে সেগুলোতে বিষয়গুলো মানা হয়েছে। আমার জানামতে দেশে প্রতিটি তথ্যমাধ্যমের নিজস্ব (ইন-হাউজ) নীতিমালার আওতায় তথ্য সম্পাদিত হয়ে থাকে। বাঙলাদেশে এসব দিকগুলো সরকারিভাবে নিশ্চিত করতে কোন রাষ্ট্রীয় দিকনির্দেশনা নেই (তবে অন্যান্য প্রচলিত আইনের অধীনে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি প্রতিকার পেতে পারেন) কারণ তথ্যমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত নয়। তথ্যমন্ত্রীর কাজ হচ্ছে সরকারের গুণগান (বিশেষ করে বিটিভিতে, বেতারে) মিডিয়ায় ঠিকমত আসে কি না তা নিশ্চিত করা। সচিবদের কাজ মন্ত্রীদের চাটুকারিতা। এমপিদের কাজ কী? সংসদে হয় ফাইল ছোড়াছোড়ি, না হয় সংসদের বাইরে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অফ কমের আমাদের দেশীয় ভার্সন হওয়ার কথা ছিলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ তারা কেবল ময়ূরী-মুনমুনের নাচ আর কোথায় কার ধর্মীয় অনুভূতিতে ক্ষীণ সুড়সুড়ি লাগলো সেটা নিয়েই ব্যস্ত, অন্যসব কিছুর ক্ষেত্রে তারা অস্ট্রিচ এ্যালগোরিদম ব্যবহার করেন।

আর সম্পাদকদের কথা বলেন? আমার তো মনে হয় আমাদের দেশের একেকজন সম্পাদক প্রথমে ব্যবসায়ী তারপর একজন সম্পাদক। উল্টোটা না। যদি তাই না হবে তাহলে বিভিন্ন মাধ্যমে এধরণের ছবি, খবর আসার তো কথা না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সহমত

থার্ড আই এর ছবি

আমাদের দেশের তথ্য মন্ত্রনালয় হবে অফ কম !! হাসালেন !
আমি পৃথীবীর কোন সংবাদে দেখিনাই কোন দেশের নতুন তথ্য মন্ত্রী নিয়োগ লাভ করায় টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক ও বার্তা বিভাগের প্রধাণ তাঁর দপ্তরে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। প্রতি উত্তরে তথ্য মন্ত্রী আবার টিভি স্টেশন পরিদর্শণে আসেন ঐ খবর শিরোনাম দিয়ে দিন ভর দেখায়। আহা সংবাদের কতই না সংকট আমাদের দেশে!
তথ্য মন্ত্রী সাহেব সব গনমাধ্যম সম্পাদককে ডেকেছেন তার দপ্তরে , ডেকে চা-বিস্কুট না খাইয়ে ওনার উচীত ছিলো যে সকল গনমাধ্যম বিকৃত ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে তাদেরকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া দেয়া অথবা কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

নতুন তথ্য মন্ত্রী নিয়োগ লাভ করায় টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক ও বার্তা বিভাগের প্রধাণ তাঁর দপ্তরে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।

এটার কারন সবগুলো চ্যানেল ও পত্রিকা জানেন, ইনি নতুন হেডমাষ্টার, ইনাকে তুষ্ট না রাখলে খারাবি আছে। যদিও এই আশংকা সর্বাংশে সত্য নয়। তবু এরশাদের আমল থেকেই এই ধারার শুরু হয়েছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তাইলে তো আমার মনেহয় আমাদের দেশের সাংবাদিকদের 'সাংবাদিকতা'র অ-আ-ক-খ শেখানোর আগে তথ্যমন্ত্রনালয়ের কর্তাকে তথ্য মন্ত্রনালয় কী জিনিষ সেটাই শেখানো দরকার!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

থার্ড আই এর ছবি

সেই সাথে রাজনৈতিক বিবেচনায় গনমাধ্যমের লাইসেন্স বিতরণ বন্ধ করতে হবে।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শুধু গণমাধ্যম না, রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি অন্য যেকোনো ক্ষেত্রেই বন্ধ করতে হবে দেশটাকে ব্যর্থ রাস্ট্রের তকমা থেকে থেকে মুক্তি দিতে চাইলে। হল দখলের সাথে সাথে ভিসি'র চেয়ার দখলও বন্ধ হোক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমাদের দেশের তথ্য মন্ত্রনালয় হবে অফ কম !! হাসালেন !

অনেক কিছুতেই এখন হাসি পায় তানভীর ।
বেতনভোগী পাহারাদাররা রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারপ্রধানকে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করে, হুমকীধামকি দেয় । এই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ও আমরা গনতন্ত্র বলি ।
গনমাধ্যমের আর আলাদা দোষ কি? যার ক্ষমতা যেমন আছে, সে তেমন প্রয়োগ করবে । কোন জবাবদিহীতার কিছু নেই ।

সন্তানের হাত ধরে প্রানভয়ে দৌড়ানো একজন মায়ের পথ আটকে দাড়ায় মিডিয়াকর্মী তার অনুভূতি জানবে বলে ।
সেলুকাস এর পরদাদা ও এই দেশের আশ্চর্য্যের সীমা-পরিসীমা খুঁজে পাবেনা ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আমি একজনা এর ছবি

সহমত

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় থার্ড আই, কিছু মনে করবেন না, আমার ভুল না হয়ে থাকলে, আপনার আগের পোস্টে হিমু বানানের ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক করেছিলেন। দুঃখজনকভাবে এই পোস্টেও বানান দৃষ্টিকটু রকমভাবে বেশি। লেখা পোস্ট করার আগে আপনি একবার চেক করে নিলে এমন হত বলে মনে হয় না।

পোস্টের বিষয়ে বলি। একথা আপনি আমাদের অনেকের চেয়ে ভালো জানেন যে, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ছাড়া সাংবাদিকতা, সম্পাদনা, উপস্থাপনা (তা যে মাধ্যমেই হোক) করা সম্ভব নয়। আমাদের দেশে এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবার জন্য যে সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে যারা প্রশিক্ষণ দেন তাদের যোগ্যতা, কারিকুলাম, শিখণ পদ্ধতি এ'সব নিয়েই বড় বড় প্রশ্ন এবং সন্দেহ রয়ে গেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কে প্রশিক্ষিত আর কে প্রশিক্ষিত নয় এখানে এটি খুব একটা বিবেচনা করা হয় না। ফলে অশিক্ষিত সংবাদকর্মী আর অশিক্ষিত সম্পাদক মিলে যে ধরণের অশ্বডিম্ব দেবার কথা তাই দিচ্ছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক

অশিক্ষিত সংবাদকর্মী আর অশিক্ষিত সম্পাদক মিলে যে ধরণের অশ্বডিম্ব দেবার কথা তাই দিচ্ছে।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

প্রথম মাল্যবান এর ছবি

টিভি দেখার সুযোগ পাইনি তাই বলতে পারছি না। তবে পত্রিকাগুলোর মধ্যে ডেইলি স্টারের কাভারেজ বেশ সংযত বলে মনে হয়েছে।

বাংলাদেশে এসব ব্যাপার দেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান আছে। প্রেস কাউন্সিল। বলা ভালো, সরকারি। সাংবাদিকতার একটি কোড অব কনডাক্ট প্রণয়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্ভবতঃ, একজন প্রাক্তন বিচারপতি এটির চেয়ারম্যান হন। মনে করা হয় যে, সরকারের পছন্দের কাউকে একেবারে অবসরে না পাঠিয়ে আরো কিছুদিন বসে বসে বেতন নেয়ার সুবিধে করে দেয়ার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, এটি তার মধ্যে একটি। তবে নিজে থেকে কিছু করার মত ক্ষমতা আর লোকবল এটির নেই। যদি কেউ কোন সংবাদপত্র বা সাংবাদিকের কোন কাজে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করেন তাহলে প্রেস কাউন্সিলে কাছে আবেদন করতে পারেন।

কাউন্সিল বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনে সংবাদপত্রটিকে 'ভর্তসনা' (বানান? খন্ড-ত লিখতে পারিনা) করতে পারেন। ব্যাস্, এটুকুই।

আজকাল অবশ্য, এখানে আবেদন না করে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করে দিতেই পছন্দ করে লোকে। তাহলে প্রথমেই একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় আর তেমন হলে সম্পাদক, রিপোর্টারকে কিছুক্ষণ অন্ততঃ জেলের ভেতর থাকতে হয় জামিন না হওয়া পর্যন্ত। এতে করে বেশ আমোদ পান অভিযোগকারী। তাই, বৃহষ্পতিবার কাজের দিনের শেষে মামলা করা হয় যাতে জামিন পেতে পেতে দিন দু-এক পেরিয়ে যায়।

সাংবাদিকতা শেখানো হয় ঢাকা, রাজশাহী, আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, তবে এসব জায়গায় সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষক কজন আছেন দেখার বিষয়। প্রথম শ্রেণী পেলেই শিক্ষক হওয়া যায়। অথচ, এ ধরণের একটি পেশাদারী বিষয় শেখানোর জন্য পেশার অভিজ্ঞতা অতি আবশ্যক বলেই মনে করি।

আজকাল তো শুনি সাংবাদিকতার ডিগ্রি ছাড়া পত্রিকায় চাকরি পাওয়া যায় না। সবকটি পত্রিকা আর টিভিতে বেশ উঁচু পদগুলোতেইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছেলে-মেয়েরা। বিখ্যাত মুন্নী সাহাও সেখানকার।

বানান নিয়ে একটি মজার গল্প মনে পড়ে গেল। গল্পটি একজন অতি পেশাদার সাংবাদিকের মুখে শোনা। অসম্ভব ভদ্রলোকও বটে। তখন তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার নিউজ এডিটর। তো, বাসস আবার দলীয় লোকদের পোস্টিংয়ের জায়গা, আর রিপোর্ট লিখতেও হয় ইংরেজিতে। তেমনই একজন দলীয় সাংবাদিকের বানান নিয়ে তিনি অসম্ভব বিরক্ত। একদিন না পেরে বলেই ফেললেন, "অমুক, বানান-টানান নিয়ে যদি কোন সন্দেহ থাকে তাহলে ডিকশনারিটা দেখে নিতেও তো পার।"
"বানান নিয়ে আমার তো কখনো কোন সন্দেহ থাকেনা, অমুক ভাই," দলীয় সাংবাদিকের উত্তর।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের মিডিয়া ম্যাচিউর এখনো হয়নি, কিন্তু ভয় হলো এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাচ্ছে, পরবর্তী জেনারেশানের এসব না দেখলে আবার ভাল লাগবে না। সাপলাই আর ডিমান্ড এর ফরমুলা

Arman

সুমন [অতিথি] এর ছবি

মাঝে মাঝে আমি নিজে ও খুব খারাপ লাগে কিছু ছবি দেখে। যেমন আজ গাড়ি এক্সিডেন্টের একটা নিউজ ছিল এনটিভি তে লাশগুলোর কার কোন জায়গায় ছিড়ে গেছে তা বিস্তারিত ছবি ছিল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের কোন প্রতিষ্ঠানের নৈতিকতা আছে ? শুধু মিডিয়াকে দুষলে চলবে কেন ? একটা সিস্টেমের সকল সেক্টর যদি একযোগে কাজ না করে তাহলে দু'একটা দিয়ে ভাল কাজ করিয়েও লাভ নেই । আমাদের জাতীয় চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে র্সবত্র ।ওই ঘটনায় কে তার দায়িত্বটুকু ঠিকমত পালন করতে পেরেছে ? সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী - কেউনা ।গ্যালারীতে বসে খেলোয়াড়দের প্রচুর ভুল ধরা যায়, কিন্তু মাঠে নামলেই বুঝা যায় কখন কোন সিদ্ধান্ত কেন নিতে হয় ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।