হারানো সময়ের কথা

সবজান্তা এর ছবি
লিখেছেন সবজান্তা (তারিখ: বুধ, ০৬/০৮/২০০৮ - ২:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০০

আহমেদুর রশীদ ভাই এর আজিজ মার্কেটের ভূত ভবিষ্যত নিয়ে লেখাটা পড়েছিলাম অনেক আগেই। কি কারনে যেন মন্তব্য করা হয় নি। আজ মন্তব্য করতে যেয়ে দেখি, অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, অনেক অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত কথাই চলে আসছে। তাই আলাদা করে পোস্ট দিলাম একটা।

০১

আজিজ সুপার মার্কেটে প্রথম পা রেখেছিলাম প্রায় ছয় কি সাত বছর আগে, সুহৃদ অগ্রজ অম্বরদা'র হাত ধরে। তখন আমি সদ্য কলেজে ওঠা ছাত্র - বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা তখনো নষ্ট হয়নি। এখনো খেয়াল আছে খুব অবাক হয়ে দেখছিলাম, কত্তো বই এর দোকান ! আমার তখন মাথা খারাপ হওয়ার হওয়ার দশা। কোন বই ছেড়ে কোন বই ধরি - পাগলের মত এক দোকান ছেড়ে আরেকটায় ঢুকছি, বই হাতে নিয়ে দেখছি। নতুন বই এর মাতাল করা গন্ধে আমার হাত ধুয়ে যাচ্ছে। সেদিন যখন বাসায় আসি, হাতে তখন সদ্যকেনা কিছু বই আর মাথার মধ্যে একরাশ ভালো লাগার আবেশ।

০২

দিন যে কীভাবে কেটে গেল সেটা একদমই টের পেলাম না। কীভাবে যেন কলেজ পাশ করে, ভার্সিটিতেও ভর্তি হয়ে গেলাম। আস্তে আস্তে একাই আসতে শুরু করলাম আজিজ মার্কেটে। প্রথম প্রথম ভীষন সমস্যা হত। এমনিতেই মার্কেট ভীষণ অন্ধকার, তার উপর গলি ঘুপচি ভরা। রোজই হারিয়ে যেতাম। যে দোকান খুঁজছি সেটা পেতে মোটামুটি ঘাম বের হয়ে যেত। ধীরে ধীরে আমিও চিনে ফেললাম পুরো মার্কেট। তখন বই নাড়তে মন চাইলেই আজিজে চলে আসতাম ( অবশ্য বাসা কাছে হওয়াতে কিছুটা সুবিধা ছিলো আমার )। সেই সাথে কলেজে থাকতেই যোগ হয়েছিল নিত্য উপহার। তখনো ঢাকা শহর নিত্য উপহার রোগে আক্রান্ত হয়নি। সে সময় যখন “নব আনন্দে জাগো” কিংবা “জর্জ হ্যারিসনের বাংলাদেশ” পড়ে বের হতাম, বন্ধুরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতো। আজিজে ঘোরার ক্ষেত্রে একটা কমন ম্যাপ হয়ে গিয়েছিলো আমার। ঢুকতাম একুশের সামনের গেট দিয়ে। একুশেতে ঢুঁ মেরে যেতাম তক্ষশিলাতে, তারপর জনান্তিক, প্যাপিরাস, পাঠক সমাবেশ ইত্যাদি। আমার ধারণা একুশের লোকজন আমাকে চিনে ফেলেছিল। রোজই যেয়ে মাঝের শেলফে রাখা শিশির ভট্টাচার্যের আঁকা কার্টুনের বইটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতাম। তারপর ওপার বাংলার কিছু বই নাড়তাম। এরপর আস্তে আস্তে সব দোকানেই ঢুঁ মারতাম। পকেটে টাকা থাকলে একটা দুটা বই কিনতাম, তারপর বাইরে বের হয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে বাসার দিকে রওনা দিতাম।

০৩

একুশের ক্ষেত্রে আমি একটা সমস্যাতে প্রায়ই পড়তাম। ওদের কাছে বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য ওপার বাংলার বই পেতাম, কিন্তু বেশ জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায়। একবার মনে হত কিনে ফেলি, আবার মনে হত টাকা দিয়ে ছেঁড়া, ধুলো পড়া বই কেন কিনবো ? খুব সম্ভবত এই কারণেই আজ অবধি একুশে থেকে কেনা আমার বই এর সংখ্যা হাতে গোনা। সে তুলনায় অনেক বেশি বই কিনেছি প্যাপিরাস থেকে। এর পর পরই জনান্তিক থেকে আর তক্ষশিলা থেকে। বিশেষত তক্ষশিলা দোকানটা আমার কাছে অদ্ভুত ভালো লাগে - একটা ছোট ঘর পুরোটাই বই এ ঠাসা আর মাঝে একজন প্রৌঢ়া ভদ্রমহিলা কম্পিউটারের সামনে বসে আছেন। প্রমথনাথ বিশীর বইগুলি সবই কিনেছিলাম তক্ষশিলা থেকে। এখনো পর্যন্ত আমি পুরানো দিনের কোন বাংলা বই খুঁজতে হলে সবার আগে তক্ষশিলাতেই ঢুঁ মারি। অবশ্য নতুন বই কেনার জন্য জনান্তিকই আমার বেশ প্রিয়। সাম্প্রতিক কালে জনান্তিক থেকে প্রচুর বই কিনেছি যার অধিকাংশই রাহুল সাংকৃত্যায়ণের। এ ছাড়াও সেদিন ইংরেজী থার্ড রাইখ বইটা দেখলাম জনান্তিকে, কিন্তু দাম শুনে আবার তাকে তুলে রাখলাম। প্যাপিরাসে অনেক বই পাই - ব্যাপারটা এমন না, তবে বাংলাদেশী লেখকদের বই বিশেষত যেগুলির কাটতি একটু বেশি - তার সবই পাই প্যাপিরাসে দোকান দুটিতে। একদম মার্কেটে ঢোকার মুখে, রাস্তার উপরে একটা দোকান আছে ( নামটা এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না ) যেটায় প্রচুর অনুবাদ পাই। যখন অনুবাদ পড়ার ঝোঁক চরমে উঠে তখন গাঁটের পয়সা খরচ করে এই মাথা-মুন্ডু অনুবাদই কিনে নিয়ে যাই। হালে অবশ্য তিনতলায় নিত্য উপহারের দোকানে গেলে, ফাঁকে একটু শুদ্ধস্বরেও উঁকি দিয়ে আসি - কোন সচল আছেন কিনা আড্ডা মারার জন্য !

০৪

খুব অদ্ভুত ব্যাপার হল, মাঝে মাঝে মন হয় সব কিছু খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়, আবার মাঝে মাঝে ভাবি আদৌ কি কিছু পরিবর্তন হয় ?
যে ছেলে একসময় কৈশোরের সহজ বিস্ময়ে একুশেতে ঢুকে শিশিরের বই নেড়ে চেড়ে দেখতো, সে কি এখন আর ঢোকে না ? সে এখনো ঢোকে। এখনো সে ঢুকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে অমিতাভ ঘোষের “দ্য গ্লাস প্যালেস” বই এর প্রচ্ছদের দিকে। এখনো সেই ছেলে একুশের সামনের গেট দিয়েই ঢুকে। ধীরে ধীরে প্রতিটা বই এর দোকানেই ঘুরে ঘুরে বই দেখে সে। যদি পকেটে টিউশনির টাকা থাকে তাহলে হয়ত কিছু বইও কেনে। আজকাল অবশ্য তাকে বই কিনে প্রশ্রয় দেওয়ার মত আরেকজন লোকও জুটে গিয়েছে।
মাঝে মাঝে মনে হয় সময় আটকে গেছে ওই দোকানগুলিতে - সেই কিশোরের পায়ে পায়ে সময়ও এ দোকান থেকে সে দোকান ঘুরছে - কিন্তু বের হবার পথ পাচ্ছেনা, কিংবা হয়তো সে বের হতেই চাচ্ছে না।

০৫

আজিজে আমার তেমন কোন আড্ডার স্মৃতি নেই। আমার চেয়ে অনেক বেশি বলার মত কথা এই সচলায়তনেই ভুরি ভুরি মানুষের আছে। তাঁদের স্মৃতির কাছে আমার এই স্মৃতিচারণ নিতান্ত নগণ্য। তবু বুকের কোথায় যেন বাজে যখন রশীদ ভাইয়ের লেখাতে পড়ি আজিজ মার্কেট থেকে আস্তে আস্তে বই এর দোকান উঠে যাবে। নিজের মতো করে অদ্ভুত নিঃসংগ কিছু সময় কাটিয়েছি এই মার্কেটেই, এর বই এর দোকানগুলিতে, এর অন্ধকার করিডোরে। সবকিছু শেষ হওয়ার আগে তাই, সেই সময়টা হাতছানি দিয়ে যায়। কে যেন বলে ওঠে, থাকুক না আরো অনেকদিন যেমনটা আছে, যেমনটা ছিলো স্বপ্নপূরণের এই জায়গাটা।


মন্তব্য

তানবীরা এর ছবি

পুজিবাদ জানেনতো। ফিটেষ্টরাই সারভাইভ করবে বাকীরা স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আলমগীর এর ছবি

উপায় নেই গোলাম হোসেন।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমারও একই ধারণা। আজিজ একসময় পুরোটাই বুটিকের দখলের চলে যাবে। আমার পরিচিত অনেকজনকেই দেখেছি, তারা আজিজ বলতে বইয়ের চেয়ে বুটিকের মার্কেটই মনে করে। এবং তারা সেখানে যাই শুধুমাত্র টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি কিনতে। আমাদের ক্লাসের আরেকটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। একদিন মইন স্যার পড়াতে গিয়ে আলী আকবর খানের পরার্থতার অর্থনীতি বইটার রেফারেন্স দিলেন। অনেকেই তখন বইটার ব্যাপারে উৎসাহ দেখালে স্যার বললেন, তোমরা আজিজ মার্কেটে বইটা পাবে। তখন এক মেয়ে বলে উঠে, স্যার ওখানে কী বই পাওয়া যায়? ওখানে তো জানি টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি এইসব পাওয়া যায়। মেয়েটা কথায়, স্যারের পাশাপাশি আমরা অনেকেই অবশ্য তব্দা খেয়েছিলাম।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আপনার অভিজ্ঞতাগুলো ভালোই লাগলো।

মূর্তালা রামাত

খেকশিয়াল এর ছবি

ঢাকায় যে জায়গাগুলিতে গেলে আমি খুশি হয়ে যাই, ফুর্তি ফুর্তি একটা ভাব আসে, আজিজ মার্কেট হল তাদের অন্যতম ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

একসময় প্রচুর যেতাম... প্রচুর আড্ডা হতো... উত্তরাবাসী হবার পর থেকে খুব একটা যাই না।
সেদিন এক অভিনেতা বন্ধু জোর করে ধরে নিয়ে গেলো... নাটকের শুটিং... দেখলাম একই সাথে দুটো নাটকের ইউনিট শুটিং করছে... বললাম তোরা এক কাজ কর... এটাকে শুটিং ফ্লোর বানিয়ে ফেল... চলবে ভালো।
শুদ্ধস্বরে যাই... টুটুল ভাইয়ের সাথে চা পুরি খেয়ে আসি। পূর্ণমুঠি বাধাইয়ের কাজ চলছে দেখি... ভালো লাগে... অনেক অনেক আলাপ হয়... পাহাড়ের... বইয়ের... ছোট কাগজের... নতুন লেখার...
সেখান থেকে গেলাম নন্দনে... পারভেজ হোসেন খাবারের দোকান দিছে... জিজ্ঞাসা করলাম কেমন চলে? বলে চলে না... এখনতরি এক পয়সাও উঠাইতে পারি নাই এখান থেকে। আমি বললাম আপনের তো তাইলে বাজে দশা... প্রকাশনীর ব্যবসাও লস... হোটেল ব্যবসাও... এক কাম করেন জামা কাপড়ের দোকান দেন... আজীজে এখন এইটাই চলবো।
কথাটা ফান করে বললেও ঘটনা কি তাই না? গেলাম একুশেতে... হঠাত পরিচিত ডাক... সুরভি বলে ভাইয়া তুমি এখানে? আমি তো তিনতলায় দোকান দিছি... কিসের? বুটিকের... প্রজাপতি... চলো চলো... গেলাম সেখানে... জানালো এখন একটা দোকান... কিন্তু অচিরেই পাশের দোকান নিয়ে নেবে।
আজীজে গেলে আমি ভয়ে থাকি... কারন অনেক বুটিক হাউজের মালিকই আমার বিশেষ পরিচিত... তাদের খপ্পড়ে পড়তে চাই না... তবু খোজ পেলেই অভিযোগ... আপনে আজীজে আসেন একদিনও আমার দোকানে আসেন না...
আমি মনে মনে বলি আমি তো আজীজে জামাকাপড় কিনতে যাইতে চাই না।
সবকিছু শেষ হলে পরে বন্ধ হয় আজীজ... ফুটপাথে লেপ্টে বসি আমরা... আমি, ফারুক ওয়াসিফ, গৌতম, দেবাশীষ কুণ্ডু... কখন যে রাত চলে যায় দূরে... খেয়াল থাকে না...
মনে হয়... ভয় নয়... সাহস হয় হয়... এই যে আড্ডা... এই যে নতুন নতুন চিন্তার লেনাদেনা... এই যে প্রাণের পরিচয়... এ কি ঢেকে দেবে কাপড়? সে কাপড় কত্ত বড়? ______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

আজিজের পোশাকের প্রতি ভালবাসা আমারও আছে---এই প্রথম স্মার্ট ছেলেমেয়েরা বুকে বাংলা কবিতা বা কবিগুরুর ছবি, বাণী নিয়ে ঘোরে---কিন্তু মাঝে মাঝেই হুমায়ূন আহমেদের পাঠক তৈরির কথা মনে হয় তখন ঘাবড়ে যাই------তবে কি---?
আমার পুরো ছাত্রীজীবনে আজিজকে সরু চোখে দেখতে দেখতে গিয়েছি------শুনতাম গাজার আড্ডা, নারী ব্যবসা সহ ইত্যাদি ইত্যাদি----তাঁকাতেও ভয় পেতাম।
আমার লেখক বন্ধু লীলেন আমার ভয় দেখে হাজির করালো লেখকদের এক নিয়মিত আড্ডায় শুদ্ধস্বরের ছোট্টঘর পাশের করিডোরটায়-------প্রেমে পড়লাম আজিজের। সেই প্রেম আমার আজও রইল। আজিজের আড্ডার কাঙাল আমি।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

সবজান্তা এর ছবি

আজিজ মানেই লম্বা চুল, লম্বা দাঁড়ি, নোংরা সারা শরীর - আজিজ মানেই গাঁজার আড্ডা - আজিজ মানেই রসালো কোন কাজের আখড়া - এসবই কিন্তু আজিজকে নিয়ে বাইরের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত সত্য কিছু।

আমি আজিজে এত ঘন ঘন যাই দেখে অনেকেই তীর্যক মন্তব্য করেন,অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন - আসল উদ্দেশ্যটা কি !

কোনও দিনও কাউকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি - কারণ আমি জানি এ অনুভূতি কাউকে বোঝানো যায় না।


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

টেইক টু, গাঁজাখোর সবজান্তা ... অ্যাকশন !!

সবজান্তা বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে , এমন সময় বাবার হুঙ্কার !
"দাঁড়াও ! কোথায় যাচ্ছ তুমি ?"
"তুমি ভালমতই জানো বাবা আমি এ সময় কোথায় যাই .." না তাকিয়ে গম্ভীর স্বরে বলল সবজান্তা ।
"গাঁজা খেতে যাচ্ছিস ??! আজিজে ?? গাঁজা খাস ?? গাঁজাখোর তুই ??" ঘেন্নায় মুখ কুঁচকে বলল বাবা ।
"হ্যাঁ হ্যাঁ আমি গাঁজা খাই !!! আজিজেই খাই !! কেন ? কোন অসুবিধা ?" প্রতিউত্তরে সবজান্তার হুঙ্কার ! একটু থেমে কুটিল হেসে বলল
"আজিজের গাঁজা ছাড়া আমার চলেই-ই-ই না !"

কাট !!

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

সবই তো বুঝলাম কিন্তু শেষে কাট বইলা আপনি কি কাটার জন্য অনুরোধ জানাইলেন চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

এই না হইলে কমরেড ! চোখ টিপি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

কমরেড, যাই কন, অমিতাভ ঘোষের গ্লাস প্যালেস বইটা কেনা লাগে এখন। প্রচ্ছদ দেইখা পুরা বেচেইন হয়া গেলাম !


অলমিতি বিস্তারেণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আড্ডার সবগুলো জায়গা আস্তে আস্তে অফিস হয়ে যাচেছ
আর আড্ডারুদের মুখগুলোও কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে শুয়োর কিংবা কলিগের মতো....

সবজান্তা এর ছবি

শুয়োর কিংবা কলিগ কেন ? শুয়োর কি কলিগ হইতে পারে না ? চিন্তিত


অলমিতি বিস্তারেণ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ভাবছি,আজিজ থেকে প্রস্থানের সময় কি ঘনিয়ে এলো...?এফডিসিতে ঢুকেছিলাম গাড়ি নিয়ে,বের হয়েছি চপ্পল পায়ে।সেই চপ্পল পায়ে এসে ঢুকলাম আজিজে।পায়ে এখন ফোস্কার আওয়াজ পাওয়া যায়।

---------------------------------------------------------
ভাটির মানুষ আমি বুঝিনা উজানের গতি...

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আজিজ সুপার মার্কেটে একটা ভার্চুয়াল ভ্রমণ হয়ে গেল। বাস্তবের স্বাদ পরাবাস্তবে মেটানো মন খারাপ

ধন্যবাদ অতি অবশ্য প্রাপ্য আপনার।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সবজান্তা এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।


অলমিতি বিস্তারেণ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।