ক্লিশে দৃশ্য, ক্লিশেতর অনুভূতি, ক্লিশেতম লেখা

সবজান্তা এর ছবি
লিখেছেন সবজান্তা (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৯/২০০৮ - ১২:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০০


দাঁড়িয়ে ছিলাম কোন একজনের অপেক্ষায়, বনানীতে। বনানীতে চমৎকার একটি রেস্তোরা আছে, শালিমার। মূলত বড়লোকদের রেস্তোরা, তবে টিউশনির বেতন পেলে আমরাও সেখানে যাই মাঝে মধ্যে। সেদিন অবশ্য ছিলো প্রথম রোজা, বিকাল ৪টার সময় তাই ইফতার ছাড়া অন্য কিছু পাওয়ার কোন সম্ভাবনা ছিলো না। যার প্রতীক্ষায় দাঁড়ানো, সে একটু আগেই ফোনে জানিয়েছিলো শালিমারের সামনে থাকার জন্য। তাই ডানে বামে বেশি না নড়ে, দাঁড়িয়েছিলাম ওখানেই

০১


একটা ছোট্ট ছেলে, বয়স কত হবে ? পাঁচ কি ছয়, অনেক ক্ষণ ধরেই আমার সামনে ঘুরঘুর করছিলো। ফোনে ব্যস্ত থাকার কারণে, এতক্ষণ ওর দিকে তাকানোর সময় হয় নি ; এবার ফোন রাখতেই ওর দিকে নজর পড়লো।

নাহ, ও আসলে আমার সামনে ঘুরঘুর করছে না। ও ঘুরছে শালিমারের সামনে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা লোভনীয় সব ইফতার সামগ্রীর সামনে। ভালো মত চোখের দিকে তাকালেই বোঝা যায় বেচারা ভীষণ ক্ষুধার্ত। বার বার এসে ঘুরে যাচ্ছে থরে থরে সাজিয়ে রাখা চোখ ধাধানো সব খাওয়ার সামনে। কিছুই বলছে না, কারো কাছে খাওয়াও চাইছে না, শুধুই মৃদু মৃদু হাসছে। খালি গা, হাফ প্যান্ট পড়া, সারা গায়ে ধুলি মাখা ছেলেটার চোখের মধ্যে কিছু একটা ছিলো - অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও চোখ ফেরাতে পারলাম না।

নাহ ছেলেটা আমার কাছে টাকা চায় নি - সে শুধু অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো খাওয়াগুলির দিকে, সে দৃষ্টিতে ছিলো না কোন লোভ, ছিলো ভয়াবহ ক্ষুধা। কিন্তু আশ্চর্য ঠোটে এক চিলতে হাসি সারাক্ষণ। এরই মধ্যে সে জায়গায় ভীড় জমে গিয়েছে, শহরের অনেক গাড়িওয়ালা লোকই গাড়ি থামিয়ে ইফতার কিনে নিয়ে যাচ্ছে - এদেরই একজন কশে ধমক দিলো, - "যা সর এখান থেকে" । কি আশ্চর্য! ধমক খেয়ে হাসিমুখেই সরে গেল সেই ছোট্ট ছেলেটা।

আমি কোন মহাপুরুষ না, সাধারণ চামড়া-মাংসের মানুষ। তবু কেন জানি মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল। ঠিক করলাম, যত দামই হোক এর এক বাক্স ইফতারি এই বাচ্চাটাকে কিনে দিয়ে যাবো। কিন্তু ওই যে বললাম, আমি সাধারণ চামড়া-মাংসের মানুষ - তখনোই একটা জরুরী ফোন এল, আমি কথা বলতে বলতে সামনে এগিয়ে গেলাম, পিছে পড়ে রইলো নাম না জানা, হাস্যোজ্জ্বল, ক্ষুধার্ত কোন এক শিশু।

ওর কথা আমার আবার মনে পড়লো প্রায় ৩০ মিনিট পর, যখন আমি বাসের সীটে বসা। ওর হাসি, ক্ষুধা কিংবা ওর গায়ের ধুলা-বালি সব কিছু থেকেই তখন আমি অনেক দূরে।

০২


অনেক চিন্তা করেই লেখার শিরোনাম এটা ঠিক করেছি।

এরকম কাহিনী আমরা কমপক্ষে ১০০টা বইপত্রে পড়েছি, কমপক্ষে ১০০০টা নিজের চোখে দেখেছি। এই কাহিনীর কোন বিশেষত্ব নেই - একই চর্বিত চর্বন।

শিল্প-সাহিত্যের সমালোচনায় গুনীজনেরা একটা শব্দ ব্যবহার করেন,"ক্লিশে (Cliché)".অনেক ভেবেচিন্তে আমিও এই শব্দটাই বেছে নিলাম। মানুষের অনুভূতি সুরসুরি দেওয়ার জন্য এসব কাহিনী বড্ড পুরানো। কে জানে হয়তো এ দৃশ্যকেই পুঁজি করেই কোন হিট কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমা হতে পারে।

০৩


সারাক্ষণ সচেতন ভাবেই শিল্পমনস্ক হতে চাই, সবকিছুতেই শিল্প খুঁজি, খোঁজ করি জীবন-যন্ত্রনার মত কঠিন শব্দের। জানতেও পারি না, জীবন যন্ত্রনা এসে দেখা দিয়ে যায় অর্ধনগ্ন ধুলিমাখা এই শিশুর রূপে, অকপট সত্যি যেন হঠাৎ করেই খুব ব্রাত্য করে দেয় মেকি শিল্পের সন্ধানকে।

অগোচরে হয়তো হঠাৎই চোখের কোণে এক বিন্দু জল চলে আসে ......


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমারও হলো ক্লিশে এক প্রতিক্রিয়া - খারাপ লাগলো ঠিকই, কিন্তু একটু পরেই পছন্দের কোন গান শুনে মন ভালো করে ফেলবো, তারপর নানান কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বো, তারপর ভুলে যাবো!

সবজান্তা এর ছবি

মানুষ নামক প্রজাতির জন্য সেটাই বোধহয় স্বাভাবিক ব্যাপার, তাই না ?


অলমিতি বিস্তারেণ

রণদীপম বসু এর ছবি

যদি ঘটনাটা সত্যি হয়ে থাকে, তবে ধরে নিচ্ছি হঠাৎ করে উদয় হওয়া অনুভবটাতে অতি আবেগের কারণে প্রয়োজনীয় উপলব্ধি দানা বেঁধে ওঠার কোন শর্তে ঘাটতি ছিলো। নইলে এতোবড়ো একটা মানবিক বোধ জরুরি কোন টেলিফোনে মনে মনে করা প্রতিজ্ঞাটাকে তাৎক্ষণিক ভুলিয়ে দিয়ে নিজের চোখে জল আনাতো না, আর আমাদেরকেও কষ্ট দিতো না।
যদিও এমন হাজারো নমূনা আমাদের চারপাশে কিলবিল করছে, এবং এক বাক্স ইফতারি কিনে দেয়া কোন সমাধান নয়, তবু আপনার মধ্যে দিয়ে আমরাও হয়তো একটা ভালো কাজ করার বেয়ারিং তৃপ্তি পেয়ে যেতে পারতাম।

তবে এরকম অনিচ্ছাকৃত অতৃপ্তির অনুশোচনাও মানুষের মধ্যে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর অনুষঙ্গ হয়ে ওঠতে পারে।

আপনার শ্রেয়বোধকে সম্মান জানাচ্ছি আমি। অভিনন্দন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সবজান্তা এর ছবি

ব্যাপারটা ঠিক সমাধান কিংবা ভালো কাজ করার অনুভূতি না।

আমি জানি এক বাক্স ইফতারি কোন সমাধান না, কিংবা আমি মহত্ব অর্জনের জন্য কিছু করছি। এ জিনিশ ভাষায় প্রকাশ করা বেশ মুশকিল।

আমার শুধু মনে হচ্ছিলো, এ শিশুটার ক্ষুধা মেটানো আমার উচিত, ভীষণভাবেই উচিত। কিন্তু সেই মূহুর্তেই একটা অত্যন্ত জরুরী ফোনকল এসে পড়ায় সব উলটে পালটে গেল। কথা বলতে বলতে কখন যে বাসে উঠে গেলাম, একদমই মনে পড়লো না।


অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম ......... মানবিক অনুভুতি গুলো এখন হারিয়ে যায় নি । আপনার লেখাই তার প্রমান। শালিমার আর তার সামনের ঔ বালক দেখিয়ে দেয় আমাদের সমাজের বৈসাদৃশ্য গুলো । আর আপনার শেষ দিকের কথা...... জীবন যন্ত্রনা এসে দেখা দিয়ে যায় অর্ধনগ্ন ধুলিমাখা এই শিশুর রূপে, অকপট সত্যি যেন হঠাৎ করেই খুব ব্রাত্য করে দেয় মেকি শিল্পের সন্ধানকে............ খুবই সত্য । আশা করি কোন অলৌকিক উপায়ে ঐ গাড়ীওয়ালাদের মানবিক অনুভুতি টা আবার ফিরে আসবে, ধমক না দিয়ে বরং একটা প্যাকেট কিনে দিবে । যদিও সপ্ন কিন্তু দেখতে দোষ কি?
নিবিড়

টিকটিকির ল্যাজ [অতিথি] এর ছবি

আমার একবার ঠিক এরকম হয়েছিল।

সাধারণত ফকিরদের ভিক্ষা দেই না। রাস্তায় ফুল বিক্রি করে, চকলেট বেঁচে, রুমাল বেঁচে - এদের থেকেও কিছু কিনি না। যেদিনের কথা সেদিন বসে ছিলাম একটা হাইফাই ফার্স্টফুডের দোকানে। সামনে ছিলেন এক কলিগ। খাবারের অর্ডার দিয়ে বসে আছি, হঠাৎ উনি ডাক দিয়ে দেখালেন। দোকানের গ্লাস ডোরের ঠিক বাইরে দাঁড়িয়ে একদম পিচ্চি একটা ছেলে। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাজিয়ে রাখা খাবার গুলোর দিকে। চেহারাটা যেন কেমন করে ছিলো। খারাপ লাগলো খুব। আমরা আমাদের খাওয়া শেষ করে বের হবো। এমন সময় একগাড়ি এসে থামলো দোকানের সামনে। এক মাঝবয়সী মহিলা নামলেন। পিচ্চিটা এতক্ষণ কিছুই করেনি, হঠাৎ মহিলার দিকে দুর্বল ভঙ্গিতে একটা হাত বাড়িয়ে দিলো। মহিলা না দেখার ভান করে দোকানে ঢুকে গেলেন। পিচ্চিটা হাত গুটিয়ে নিল আবার। ঠিক সেসময়েই আমরা বের হলাম। পিচ্চিটা আমাদের দিকে আর হাতও বাড়ালোনা। বুক পকেট থেকে একটা দশ টাকার নোট বের করে দিলাম। আশা করেনি, তাই অবাক হলো খুব। আমরা রিকশায় উঠে গেলাম। আর ফিরে তাকানো হয়নি।

রেজওয়ান এর ছবি

লেখাটা ছুঁয়ে গেল।

একই ঘটনা আমার, আমদের দ্বারা প্রতিনিয়ত হচ্ছে, অপরাধবোধও পিছু নিচ্ছে। আমরাও কোন সময় গাড়ীওয়ালা, কোন সময় নীরব দর্শক।

আমার মনে হয় আমাদের দরকার এসব থেকে ঘুরে দাড়াবার মত উদাহরণ খোঁজা, নিজেকে পরিবর্তনে সামিল করা। যেমন এই উদাহরণটিই দেখুন। ভদ্রমহিলা বিদেশী তবে আমরাও কি তার মত কিছু করতে পারি না আমাদের দেশের জন্যে?

"আশা করি কোন অলৌকিক উপায়ে ঐ গাড়ীওয়ালাদের মানবিক অনুভুতি টা আবার ফিরে আসবে, ধমক না দিয়ে বরং একটা প্যাকেট কিনে দিবে"

আমিও স্বপ্ন দেখি একদিন সব পাল্টাবে।

বাংলাদেশের অন্য সেই নারীদের কথা শুনছেন কি? তাদের ব্লগ পড়ছেন কি?

তানভীর এর ছবি

আচ্ছা, ক্লিশের ভালো বাংলা কি? একঘেঁয়ে? চিন্তিত

শিরোনামটা তাহলে হয়তো এমন হতে পারে-
একঘেঁয়ে দৃশ্য, একঘেঁয়েতর অনুভূতি, একঘেঁয়েতম লেখা

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

আলমগীর এর ছবি

আচ্ছা, ক্লিশের ভালো বাংলা কি? একঘেঁয়ে? চিন্তিত

আটপৌঢ়ে খারাপ না। (বানান ঠিক লিখলাম তো!)

সবজান্তা:
আরো ধরুন বছর ২৫ বা পঞ্চাশ পরে, যখন আমাদের প্রোটিনের খুব অভাব হবে, তখন আমরা বাজার থেকে মুরগী না কিনে রাস্তা থেকে ....। কী ভয়াবহ না!

সবজান্তা এর ছবি

শুনতে যত ভয়াবহই লাগুক, বাস্তবতা এমন হতেই পারে, বিশেষত তৃতীয় বিশ্বে।

সচলায়তনে কিন্তু এরকম একটা বিষয় নিয়েই চমৎকার একটা গল্প কে যেন লিখেছিলেন। এই মূহুর্তে নামটা মনে আসছে না।


অলমিতি বিস্তারেণ

সবজান্তা এর ছবি

আমার অবশ্য ক্লিশে শব্দটাই ভালো মনে হয় ...


অলমিতি বিস্তারেণ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍সবজান্তা, আপনার অনুভূতিটি আমার, বোধ করি, আরও অনেকেরও, খুব পরিচিত। তবে সংযমের নামে প্রাচুর্য-বিলাসী যারা, তাদের ধমকের চেয়ে আমাদের একটা কিছু, যতো তুচ্ছই তা হোক, করতে চাইবার ক্লিশে-অনুভূতিও শ্রেয়।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সবজান্তা এর ছবি

হয়তো শ্রেয়। কিন্তু তাতে ওদের কি আসে যায় বলুন ?

সেই লোক ওকে ধমক দিয়েছে, আমি দেইনি। এতটুকুই...... কিন্তু আমরা কেউই ওকে একটু খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেই নি।


অলমিতি বিস্তারেণ

রাফি এর ছবি

কিছু কিছু অনুভূতি কখনো ক্লীশে হয় না; তোমারটাও হয় নি।
লেখাটা ছুঁয়ে গেল...

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সবজান্তা এর ছবি

পালটা ধন্যবাদ। তবে আমার অনুভূতিতে আর কি হবে বলো ? ছেলেটা হয়তো না খেয়েই ছিলো ......


অলমিতি বিস্তারেণ

কীর্তিনাশা এর ছবি

এধরনের লেখা পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সবুজ বাঘ এর ছবি

এ সুমস্ত ব্যক্তিগত সমিস্যা তুই ব্যাকের নগে শিয়ার করছত ক্যা? তুই আসলেই একটা শক্তিশালী ভুদাই

সবজান্তা এর ছবি

যা দিনকাল পড়ছে বাঘাদা, ভুদাই হওনটাই সুজা নাই আর আগের লাহান ......

পচুর গিয়ানজাম...


অলমিতি বিস্তারেণ

সবুজ বাঘ এর ছবি

নারে তরে বকা দিউয়ার পর থিক্যাই খালি খারাপ নাগতাছে। কারমডা কি?

সবজান্তা এর ছবি

কারম, আপ্নে আমারে খউপ ভালোবাসেন !


অলমিতি বিস্তারেণ

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

শেয়ার করেছেন ভালো হইছে
ক্লিশে জিনিসকে ক্লিশে ভেবে শেয়ার না করাটাও ক্লিশে ব্যাপার হয়ে যায় -- অতএব "ক্লিশে" আর "শেয়ার"এর মাঝে কোন কোরিলেশন নাই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সবজান্তা এর ছবি

অর্থাৎ তাদের ক্রস কোরিলেশন ফ্যাক্টর শূন্য, তাই না ? চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হুমমম .... ঘুইরা ফিরা যোগে বিয়েগে তো তেমনই হবার কথা চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

রায়হান আবীর এর ছবি

chuye gelo lekhata.... (avro nai)

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

সবজান্তা এর ছবি

রাফি, রায়হান আবীর আর রেজওয়ান ভাই এর মন্তব্যের পর বলতেই হচ্ছে, অত্যন্ত ছোঁয়াচে লেখা লিখেছি দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

কমরেড আমরা হগলেই অভিশপ্ত, কিন্তু তোরে দেখি ক্লিশে এহনো ছাড়লো না, কেম্নে কি ?
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

এইসব শব্দ কি আর ধরার জন্য ছাড়ে !!


অলমিতি বিস্তারেণ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হয়, এমন হয় ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

মাঝে মাঝে এরকম হয়।
এরকম পরিস্থিতিতে কিছু একটা করবো করবো করেও যখন করা হয়ে ওঠে না ছোটখাটো কোন কারণে, সুযোগটা চলে গেলে মন শুধুই বিষন্ন হয়, কেমন যেন একটা অপরাধবোধ তৈরী হয়।
কেমন যেন...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তানবীরা এর ছবি

কিন্তু আশ্চর্য ঠোটে এক চিলতে হাসি সারাক্ষণ। এরই মধ্যে সে জায়গায় ভীড় জমে গিয়েছে, শহরের অনেক গাড়িওয়ালা লোকই গাড়ি থামিয়ে ইফতার কিনে নিয়ে যাচ্ছে - এদেরই একজন কশে ধমক দিলো, - "যা সর এখান থেকে" । কি আশ্চর্য! ধমক খেয়ে হাসিমুখেই সরে গেল সেই ছোট্ট ছেলেটা।

এই জিনিসটা আমিও সব সময় সব্বাইকে বলি, কিছুই পায় নি হয়তো জীবনে, তারপরও কেমন মিষ্টি মিষ্টি হেসে যায় এরা সারাবেলা। আমরা ওদের তুলনায় এতো কিছু পাওয়ার পরও, সামান্য কিছু না পেলেই কতো ভেঙ্গে পড়ি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পরিবর্তনশীল এর ছবি

রাত বাড়ছে।
হাজার বছরের পুরনো সেই রাত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা এতই চমৎকার যে কোন 'ক্লিশে' মন্তব্য করতে চাই না!
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।