একটা শক্তিশালী বাঘের গল্ফ- শেষাংশ

সবুজ বাঘ এর ছবি
লিখেছেন সবুজ বাঘ (তারিখ: সোম, ১৬/০৭/২০০৭ - ৯:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিন্তু কেমনে কী? এই ভাবিয়া বাঘের মাথা ঘুলা ধইরা গেলগা। সরাসরি ছরকারের দাঁত নাগিবার গেলে নিজেরই দাঁত নাগিয়া চেরতরে চোক বদ্দ অউয়ার চাছ আছে নাইমটি নাইম পারসেম সামথিম। তাই এমুন কুনো গিয়ানজাম করন যাইবো না, যা দিয়া নিজের উলের পুতা ফাটানের ববোস্তা হয় এট ফাস্ট। অন্য সিস্টিমে আইগাই নাগবো -ভাইবা বাঘ বিড়ির পুটকি মারা শ্যাষ কইরা আবার বাইত্তে ফিরা যাউয়াই মনস্থ নিল।
বাইত্তে আইয়া দেকলো বউ ঘরে হুইয়া রইছে দরোজা বুঞ্জিয়া। আপঝাপ করার কুনো ইচ্ছাই আর ছিল না বাঘের। ফলে চুপচাপ ডয়িন রুমে আইয়া রিমুটের লাল পুটকিতে টিপ দিয়া টিবির যৌবন চালু করল। বড় বড় দুদালা আর ছুটো ভুতুমালা আধ ন্যান্টা নইটা নটিরা খচা ড্যান্সে টিবি গরম কইরা ফালাইলো খাড়ার উফরে। বাঘের পক্কু পর্যন্ত গরম সহ্য না করবার পাইরা দুই মুছাড় দিয়া ঘুম থিক্যা উইঠা পড়ল। উইঠাই কান্দন শুরু করল, আমার খিদা নাগছে। ভাত খিলাউ। ছারীরিক ভাত।
বাঘ খুবই বিরক্ত হইল। বিরক্ত হইয়া পক্কুর মাতায় ঠাশ কইরা এট্টা থাফড় মারল আর কইল ..এহ!আমি নিজেই না খাউয়া। আর কন থিক্যা আমার ধুনুবালা আইছে খাইবার নিগা!
পক্কু এতে মোটেউ ডর খাইল না। বরং রাগে দুঃখে ক্ষোভে এক আইঙ্গুইলা পক্কু ফুইলা কলাগাছ হইয়া গেলগা। তারফর কইল, তুই খাসসাই তাই আমার কি বাল হালানি গেছে। আমারে খিলান নাগবোই। নাইলে আমি বাঁচুম না।
এই হুমকাটে কাম হইল। বাঘ খুবই বিচলিত বুধ করল। যদিউ তার কুনো খাইছ-ই আছিল না, বউয়ের মান ভাঙ্গাইয়া ধুন ভাঙ্গবার। কিন্তু পরিস্থিতিই তারে আইগাইয়া নিয়া গেল বউয়ের রুমে। ঘরে যাইয়া জুরে জুরে কইল, খিদা নাগছে খামু। কী খামু তা আর কইল না। কিন্তু বউ জবহীন। উল্টা পাশ হইয়া যেইভাবে শুইয়া আছিল,সেইভাবেই শুইয়া রইল। নট নড়নচড়ন। তারফরো বাঘ আরো বারকয়েক চিল্লাইলো। কিন্তু কুনো কাম হইল না। রাগে দুঃখে ক্ষুভে বাঘের হাত কামড়াইবার ইচ্ছা হইল,পক্কুর মাতায় আতুর দিয়া টন্নশ কইরা এট্টা বাড়ি দিউয়ার ইচ্ছা হইল। কিন্তু তারফরো ধৈর্যর বাধ ভাইঙ্গা যাইবার দিল না, এত খাড়াইতেই।
কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়া বাঘ ভাবল, কী করা যায় এই নিয়া। পশ কইরা মাতায় বুদ্দি খেলল। গম্ভীর গম্ভীর গলায় যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়া বাঘ শুরু করল, কইল, বউ তুই কান্দিস না। নতুন এট্টা দর্শম খেচছি। এই ধর্শম পিথিমীতে চালু হইলে কেউর আর দুৎকু থাকপো না। আমাগো তো নাই-ই। যা খাইবার চাম তাই পাম। বাঘনি তবু জবহীন।
কিন্তু বাঘ নো থামাথামি। বাঘ এট্টু পস দিয়া কইল, এই দর্শমের মূল মন্ত্র হইতাছে, যার বাইত্তে পাক অবো তার বাইত্তেই খাউয়া চলব।
এইবার কাম হইল। বাঘনি ফ্যাকাড় দিয়া উল্টা ঘুইরা কইল, যাউ মাইষ্যের বাইত্তে খাইবার, বাড়ি দিয়া দাঁত ব্যাকটি ভাইঙ্গা হালাইবো।
এইবার বাঘ হেউজ খুশি নিয়া ঈষৎ রাগের পাট নিয়া কইল, কইলেই অইল? পক্কু দিয়া ঘাই দিয়া মাইষ্যের পুটকি ফাটিয়া হালাম না? এই বলে বাঘ বিছনায় শুইয়া থাকা বাঘনির উঁচা এবং নরোম দাবনায় সত্যি সত্যি একটা ঘাই দিয়া বইল পক্কু দিয়া, উদাহরণস্বরূপ।
বাঘনি এই অভদ্রতা সহ্য করল না, আতাভুতা কিল চড় লাত্তি চালাইল বাঘাভিমুখী। বাঘ কয়ডা ফিরাইল, কয়ডা ইচ্ছা কইরাই ফিরাইল না। ইয়ার মইদ্যে এট্টা মাইর সত্যি সত্যিই জুরে নাগছিল, হেইডারে পুঁজি কইরা বাঘ ভ্যাবাইয়া উঠল। উরে বাবারে মাইরা ফালাইলো গো, মাইরা ফালাইলো...আমার পাউ গেল আমার পা গেল..। অভিনয়ের মইদ্যে চাতুর্য থাকায় অথবা বাঘনিই বেশি বেশি হইতাছে কি-না ভাবিয়া বাঘের পায়ে হাত দিল দারুণ উৎকণ্ঠায়,দেহি দেহি কী অইছে পায়ে?
বাঘ মিচকি মিচকি হাসে। বাঘনি পাউ দেকপার যাইয়া, চিকার দিয়া উঠে, আল্রারে আল্লা..আঙ্গুল না পরাই পইড়া গেছে গা। এতখানি ক্যামনে কইরা কাটল? আমি তো কিছু করি নাই। এই কইয়া উরে আমার আল্লারে আল্লারে কইরা বাঘনির নিজের ছিঁড়া উড়না ছিঁড়া পাউ বানবার উপক্রম দেইখা বাঘ ধমকিয়া উঠল, ধেইছ কী করো কী করো..কিচ্চু অই নাই, এমনেই সাইরা যাইবনি কইয়া শুইয়া থাহে যেভাবে শুইয়া ছিল। আর মিচকি মিচকি হাইসা কয়, তারচে ভালো এট্টু খেলা দ্যাউ।
বাঘনি এই শুইনা রাগে ফাইটা পড়ে, দেখছ চাইয়া কী অইছে পাউডা?
এইবার বাঘের নিজেরো এট্টু সন্দ হয়। বাঘনির গলার আর্জ বিবেচনা কইরা। আর তহনই বাঘ ভুদাই হইয়া যায় নিজের পাউ দেইখা। আর এঞ্চি হানি গেলেই না বুইড়া আঙ্গুল ছাড়া এট্টা বাঘে পরিণত হইতো হইতো তাকে? তাইতো কই, পায়ের মইদ্যে বিড়বিড় করে কী, বাঘ ভাবে। কিন্তু কাটলো কুন সুম? উষ্টা খাউয়ার সুময়? না, পাতিলে নাত্তি দেউয়ার সুময়। বাঘ বহু ঘাটাঘাটি কইরা নিশ্চিত হয়, পাতিলে নাত্তি দেয়ার সুময়ই।
এই দিকে বাঘনি পাউ বান্দা সাইরা ফালাইছে পরাই। এইসব দেকতে দেকতে বাঘ বাঘনির পিঠে হাত রাহে। এট্টু ডলা দেয় হাতের তাইলা দিয়া। তারপর ঘ্যাচ কইরা হরিণ ধরার মতোই বাঘনিরে ধইরা গিরিবায় কইষ্যা চুমা খায়। বাঘনি যতই কয়, ছাড়ো ছাড়ো। বাঘ ততই কইষ্যা বান্দে বাঘনিরে নিজের বুকের মইদ্যে। এবং লিপ্ত হয় নানান আনন্দদায়ক কারসাজিতে।
আনন্দদায়ক খেলাধুলার পর বাঘ ক্ষিধা, তিষ্ণা ক্লান্তিতে চোখ বুজে আর ফরফর কইরা নাক ডাইকা ঘুমিয়া যায় মিনিট দুয়েকের মইদ্যেই। এইদিকে, বাঘনি উইঠ্যা পয় পরিষ্কার হইয়া, ড্রিরামে যে কয়ডা চাইল আছিল, ভালো কইরা ধুইয়া তা চড়িয়া দেয় চুলার উফর। অন্যদিকে, বাঘ স্বপ্ন দেহা শুরু করে সে এক অজানা ফুলবনে শুইয়া রইছে, একদল হরিণী তারে প্ররোচিত করতাছে তাগো জুরে কইরা কামুড় দিতে। বাঘ যতই কয়, না আমি আর কেউরে কামড়ামু না, আমার বউ রাগ করব। হরিণেরা ততই কয়, না, দ্যাউ এট্টা কামুড়। আমরা কেউ তুমার বউরে কুন্তা কমু না। কইয়া, সাদা সাদা কালা কালা লাল লাল নীল নীল বেগুনি বড় বড় দুদ বাইর কইরা দেয়। বাঘ এই দেইকা উত্তেজিত বুধ করে খুব। কামুড় দেউয়ার আগে তাই ভালো কইরা জিবলা দিয়া এট্টা চাটন মারে। হরিণ হঠাশ রাগাম্বিত হইয়া শিং দিয়া গুতা মারে বাঘরে। বাঘের সহসা ঘুম ভাইঙ্গা যায়, বাঘনির টানাটানিতে। বাঘ চোখ ডলতে ডলতে উঠে। কয়, কী অইছে?
বাঘনি কয়, ভাত পরাই হইয়া গ্যাছে গা। তুমি এট্টু হাত মুক ধুইয়া আহো।
বাঘ অনিচ্ছা সত্ত্বেউ উইঠা বহে আর ভাতরুমের দিকে আইগিয়া যায়। জলের কল ছাড়ে, আর তহনই বাঘের মাথায় ফিরা আহে নতুন দর্শম, যার বাইত্তে পাক অবো, তার বাইত্তেই খাউয়া চলব। তাইতো! সত্যিই তো। এইডা তো এট্টা ভালো দর্শম হইবার পারে! এইডা দিয়া তো খালি আমাগো ছরকার না, দুনিয়ার ব্যাবাগ সরকারেই পুটকন মারা যাইতে পারে। একদল বাঘ হাঁইটা হাঁইটা সারা দুনিয়া প্রদক্ষিণ নিব, আর যার বাইত্তে পাক অইব তার বাইত্তেই খাইবার বইব।
কিন্ত গৃহস্বামী যুদি খাইবার দিবার না চায়?
পথমে ভালো কইরা বুজামু। এইডা এট্টা ভালো দর্শম। এইটা চালু করলে দুনিয়াতে আর কুনো গণ্ডগোল থাকপো না। কুনো গিয়ানজাম উয়ানজাম তো নাই-ই।
তারফরো যুদিল শালায় না শুনে? তাইলে?
তাইলে..? তাইলে শালারে বাইন্দা রাইখ্যা আমরাই ভাত রান্দা চড়িয়া দিম।
তা নয় বুজলাম, কিন্তু এমুন সুময় আইলো যহন সবাই এই নতুম দর্শমের অনুসারী হইয়া গেল,তহন?
তহন আবার কি? তহন তো খুবই ভালা হইব। সবাই মিলাঝিলাই ঘুইরা বেড়াম। এর বউ ঐতি খেলাইবো, তার বউ আমি খেলামু। দারুণ সুন্দর এক অরাজকতার রাজ্য চালু হইব। খালি খেলা আর খেলা। খেলতে খেলতে চোখেমুকে খালি আনন্দদায়ক অন্ধকার দেহুম।
তা নয় বুজলাম,কিন্তু খাউয়ার ববোস্তা কী হইব?
খাউয়ার ববোস্তার কী অইবো মানে? আগে যে সিস্টিম আছিল তাই চালু থাকবো। ঘুইরা ঘুইরা খাউয়া চলব।
কিন্তু তহন তো কেউ পাক করবো না। খালি খাইব।
তাইতো! এইডা তো খিয়াল দেই নাই। তাইলে?
আমিউ তো তাই কইতাছি। তাইলে?
হুহু দাঁড়া দাঁড়া। পাইছি। ধর, অর্ধেক লুকরে এই দর্শমের অনুসারী বানামু। আর অর্ধেক একজিসটিন যে দর্শম চলতাছে তাগোই অনুসারী থাকপো। তাইলেই সমেস্যার সমাধান হইব। উরা পাক করব। আমরা খামু।
কামডা কি ভালো অইব?
ভালো অইব না মানে! তুই কী কইবার চাস?
মানে ব্যাফারডা অন্যায় হইয়া যাইতাছে না? হ্যাগো উফরে জুলুম হইয়া যাইবো না?
এইন্যা তুই কী চুদাশ। চুদমার পুত্ররা আমাগো উফুর দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর যুগের পর যুগ হাজার বছর ধইরা অন্যায় চুদিয়া আইতাছে আর আমরা এইটুকু করলে অন্যায় হইব? চুদানির পুলারা চাইর আজার পাঁচ ট্যাহার ইলশা মাছ ফিরিজে পচাইব আর আমরা চাইশ্য ট্যাহার ইলশা মাছ চুদপার পারুম বছরে দুইবার-এইডা অন্যায় না?
তাতো ঠিকই তাতো ঠিকই। তাইলে ক্যামনে কী।
ক্যামনে কী মানে?
না, মানে ক্যামনে কইরা আইগিয়ার চাইতাছো-এইডা নিয়া?
সুমান চাটুজ্যে নামে জম্রন শহরে আমার এট্টা ফেরেন্ড থাহে। হ্যা আবার দর্শমের ট্যাকনিক্যাল বিষয়াদি খুউব ভালা বুজে। তে হ্যার কাছেই মূলমন্ত্রডারে পাঠামু এট ফাস্ট। তারফর এইদিকে কিছু ভুদাই বাঘ যুগাড় করন নাগব, যারা নিজের যৌবন অগ্রাহ্য কইরা নতুন এই চিরপ্রশান্তির দর্শম দাঁড় করিবার নিগ্যা হত্যে দিয়া পড়ব।
কী অইল তুমি কি আইজক্যা আর বাইরইবা না নাকি? বাঘনি চিল্লাচিল্লি আরম করে। বাঘ আইতাছি আইতাছি কইয়া তাড়াতাড়ি দর্শম ভাবনা বাদ দিয়া, মুকের অর্ধেক আর দু'হাতের ছয় আঙ্গুল আর পায়ের পাতার উয়ান থার্ড পানি ভিজিয়াই ভাতরুম থিক্যা বাইরইয়া আহে। তারফর বউয়ের নগে আগের আক্রমণ থিক্যা বাইচা যাউয়া কচু হাগ আর নতি ভাজির মতো ধুনফুনমার্কা তরকারি দিয়াই খাইতে বহে। তয় বাঘের চোখটা উজ্জ্বল হয়, নতুন এট্টা ডিমভাজা দেইখা।


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

শেষ কেমনে? তার্পর কি?
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হিমু এর ছবি

যেই বিড়ালের পাদুকায় বাঘ চুম্বন দিয়ে গল্ফ শুরু করেছিলো, সেটার গল্ফ এর পর শোনা যেতে পারে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ঝরাপাতা এর ছবি

শেষ হইয়াও হইলো না শেষ। আরো চাই।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

সবুজ বাঘ এর ছবি

তারফর আবর কী? শ্যাষ। শক্তিশালী বাঘের গল্ফ এইহানেই শ্যাষ।

সবুজ বাঘ এর ছবি

আয়শা আইছিল।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হুম
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

আয়েশা আখতার এর ছবি

এরপর আর শোনার কিছু নাই। তবে যা বুঝলাম,বাঘকে অনেক সতর্ক হতে হবে।

সবুজ বাঘ এর ছবি

কেনরে সিস্টার তেরিজা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।