চুমাচুমি খেলা-২ দুশ্চরিত্র পিশাচ

সবুজ বাঘ এর ছবি
লিখেছেন সবুজ বাঘ (তারিখ: সোম, ১৮/০৬/২০০৭ - ৪:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টুটুল আর কাজীর চুমাচুমি দেইখা আমার মাতা টন্নশ কইরা উঠল। চোখ বদ্দ অইয়া গেল অঠোমেটিক্যালি। কিন্তু চোখ বদ্দ হইলে কী হইবো, প্যান্টের তলে পক্কু টনটনিয়া উঠল। বার দুয়েক মুচাড় দিয়া উইঠা কানে কানে কইলো আমারে খাোয়ান নাগবো।
দেহ দেহি কী করি? বিরাট ভ্যারাচ্যাগার মইদ্যে পড়লাম। মাথার মইদ্যে নানান রঙা জাইরামি পাক পাড়া ধরলো। বুঝলাম পক্কুই তাগো উলিয়া দিছে। কিন্তু কিছু করার নাই। ক্যাপ্টেন্সির যাতাকলে পইড়া এ্যাদ্দিন ধইরা যা প্রায় ভুইলা গেছিলাম, তাই চাগাড় দিয়া উঠল। চোখ খুললাম। দেহি টুটুল স্যারের অমনোযোগিতার খেসারত নিল আরেট্টা পটাশ কইরা চুমা খাইয়া। আমার চোখে সরাসরি ধরা খাউয়ায় এট্টা চোখ টিফি মারল। চোখ টিফিতে আমি শান্ত হইতে পারলাম না। ফশ কইরা মুখ দিয়া বাইরিয়া গেল, আমারেউ দিয়ান নাগবো...
পরের লাইন অবশ্য চোকের মইদ্যে লেকলাম, নাইলে কইয়া দিমু...টুটুল তার কিছুই পড়ল না। কইল, খা। অসুবিদা কী খা।
কাজীর দিকে তাকাইলাম। দেহি কতা কয় না। কারণ কাজীরেই মূলত চুমা খাউন নাগবো। কাজীর গুলাবপাপড়ি ঠোঁট হরিণচোখা চোখ ভাবলেশহীন। সুযোগের অসৎ ববোহার কইরা ফালাইলাম। ঘ্যাচ কইরা ক্যাচা দিয়া খান দুয়েক চুমা খাইয়া ফালাইলাম। ষাড়ের অজান্তিতে। কাজী খালি কইল, এহ ছ্যাব ভড়াইশ না, ছ্যাব ভরাইশ না।
ইয়ার ছয় দিনের মাতাতেই লাস্ট বেঞ্চারগো ডগ ফাদারে পরিণত হইলাম। দৈনিকি এরে মারি তারে ধরি। চুমাচুমি কিন্তু চলছেই। এদিকে,আনসারীরা আমারে পাইয়া হেবি খুশি। নিত্য নতুন ফাঁন পাতি ভদ্র পুলাহানগো গুতিবার নিগা, যারা ভেচকি চুদাইছ্যাল। ইয়ার মইদ্যে কিছু আদাকাচা পুলাহান আছিলো যাগো মাইরা পাকিয়া ফালাইলাম। পাকার পর আমাগো ছাড়া কিছু বুজে না। উহারই এট্টা আছিল মুজাহিদুল ইসলাম শিপলু। কফালের নীচেই যার দুইডা টব্বা টব্বা চোখ। কিন্তু চোকের উফরে কুনো ভুরু নাই। তাই োর নাম দিলাম ভুরু ছাড়া শিপলু। ইংরাজিতে উইদাউট ভুরু।
ফাইলাল পরীক্ষা দিলাম। রুল নং ৩ থিক্যা ১৩ তে গেল। বাড়ির ভাত মাইরা বাইরে যাইয়া খালি গিয়ানজাম করি। ইয়ারই মইদ্যে কিলাশের ভদ্র পুলাহানগো ভাই ডাকা শিকিয়্যা ফালাইছি। তারপরো দৈনিকি কারো না কারো কফালে মাইর জুটেই। কারণ ছাড়া অবশ্য মারি না। তয় নিত্য নতুন কারণ বানানডা এট্টা কাজে পরিণত হইল আমার। যে কাজটা অত্যন্ত উঃসাহ উদ্দীপনার মদ্য দিয়্যাই করতাম। যাই হোক, এইভাবে আমাদের হিউজ সুখে দিন চলতাছিল। কিন্তু একদিন সেই সুকের বাড়া ভাতে এট্টুহানি ছাই ভরাইয়া দিল ভুরু ছাড়া শিপলু োরফে উইদাউট ভুরু। বলে রাখা ভালো যে ক্লাসে পুলাপানে আমারে শাপলু নামে চিনতো।
একদিন আমাগো কিলাশে এসিসট্যান্ট হেডমাস্টার নুরুল আমিন স্যার আইল। নিয়মমতো আমরা উইঠা খাড়াইলাম। স্যারে বহার পর আমরাউ বইলাম। কিন্তু একটা ছেলে বইল না। পালপাড়ার সঞ্জয়। বাট্টু কইরা আলাভুলা গালফুলা পুলাডা। ব্যাফারডা ষাড়েউ খিয়াল দিল। ষাড়ে কইল, ক্যারে..তুই মুনে হয় কিছু কবি?
সঞ্জয় ক, হ।
কিন্তু কী কইব হেইডা আর কয় না। কিছু কউয়ার স্বাভাবিক সুময় পার হোয়ার পর ষাড়ে কইল, কীরে কতা কসসা ক্যা? ক, নইলে কইলাম বাড়ি গছুম।
তাউ কতা কয় না সঞ্জয়। এইবার ষাড় সত্যি সত্যিই ক্ষ্যাপা দিল। এই যাছে গুলা বেতটা নিয়া আয়। কতা কয় না ক্যা, পাজি।
গুলা বেতের কতা হুইনা টনপ নড়ল সঞ্জয়ের। হঠাশ োর মুক দিয়া বাইরিয়া গেল, ষাড়... শিপলু আমারে চুমা খাইছে।
পুরা ক্লাস থান্ডাট। পাচ মিনিট ষাড় কুনো কতা কইয়া হারলো না। তব্দা ধইরা থাকল। তারপর এট্টা বাগের গর্জন দিল,োই শিবলু ক্যারা?
কেউই দেহি খাড়ায় না। তাইলে কি শিপলু নাই। খাইছে আমারে। গুয়ামারা দশা। আমি ভয়ে বাছি না। যুদি ি কার ডা া কার হইয়া যায়? এইডা মুনে হউয়ার সাথে শিপলুর উপর হিউজ রাগ উঠল। শালায় আমাগো না জানিয়া কুরামের বাইরে চুমা খাইল ক্যা?
এইসব ভাবতাছি আর আর ষাড় গজরিয়া যাইতাছে। কীরে শিপলু ক্যারা? তরা কেউ শিপলুরে চিনস না? কিন্তু কেউই কুনো কতা কয় না। এইবার ষাড় নিল কতা বাইকরণের মুক্ষম পদ্ধতি, কইল-বেগটিরে হুছালা(ইংরাজি হোলসেল থেকে অর্থাঃ পাইকারি।) বাড়ি গছুম কইলাম। এইবার কাজ হইল। পিছনের দিক থিক্যা চ্যাগমাগিয়া শিপলু উইঠা খাড়াইলো। দুর্ভাগ্যক্রমে োই দিন আমি আবার ফাস বেঞ্চে বইছিলাম।
যাই হোক, শিপলু উইঠা স্লো মুসুমে ষাড়ের কাছাকাছি হইল। এই আর যাইবা কই? দুশ্চরিত্র পিশাচ..ডায়লগটা দিয়াই শুরু করল মাইর। চাইর পাচটা বেতের বাড়ি পড়ার পরই দেকলাম, শিপলু মাটিতে গইড় পারতাছে আর ষাড়ের পাউ ধরার চেষ্টা করতাছে আর মুখ দিয়া কইতাছে ষাড় আর করুম না ষাড়..আর করুম না ষাড়..
পক্ষান্তরে ষাড় সুমানে বাইড়াইতাছে। আর কইতাছে আমার স্কুলে এইরহম দুশ্চরিত্র পিশাচ? দুশ্চরিত্র পিশাচ। তরে আমি স্কুলেই রাহুম না। ফোর্স টিসি দিমু। মারতে মারতে শিপলুরে আদমরা বানাইয়া ফালাইলো ষাড়ে। হঠাশ ষাড়ের খিয়াল হইল, মইরা তো যাইব গা। তহন এট্টু থাইমা শিপলুরে মাটি থিক্যা তুলল। তারপর আমাগো উদ্দেশে কইল, কীরে তরা কী কস?োরে ফোর্স টিসি দিমু। পুরা ক্লাস চিল্লিয়া উঠল, না না না...
যাই হোক,এইভাবে পুরা ক্লাস গুতিয়া ষাড় ক্লাস পরিত্যাগ করল। ষাড় যাউয়ার সাতে সাতে আসলাম বেগ(নিহারী আসলাম,নিকিরি মানে মাছ ব্যবসায়ী, যার মাইর খাউয়ার সর্বাধিক রেকর্ড আছে) কইয়া উঠল, ষাসাট্টিডা বাড়ি দিছে স্যারে।

পুনশ্চ: এর দিনকয়েক বাদে শিপলু ষাড়ের বাসায় পিরাইভেট পড়বার গেল। আর তার দিন কয়েক বাদে একদিন ষাড় কিলাশে আইসা কইল, ছেলেটারে যতডা খারাপ ভাবছিলাম ততডা না।

চলবো? আরো?


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

চলবো মানে? উড়া দিয়া দৌড়াইবো....
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সবুজ বাঘ এর ছবি

ক্যা? আমার লেকার আত পাউ জ্বালাইছে না বড়?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

জ্বালাইয়া জ্বলতাছে..
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

নজমুল আলবাব এর ছবি

দৌড়... হাসি

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

উড়া দিবো, উড়া।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সবুজ বাঘ এর ছবি

তাই না? তাইলে কেমনে অবো? শ্যাষে যুদি ঠ্যাং ভাইঙ্গা যায়?

সবুজ বাঘ এর ছবি

তয় মুতাহার বসের চেহারা দেইখা বসরে কিন্তু চুমি কিলাবের মেম্বর মুনে হয়।

সৌরভ এর ছবি

নাউজুবিল্লাহ !
পুলায় পুলায় চুম্মাচুমি....!!

------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বেবাকে অযু কইরা আহেন, বাদঅযু তওবা পড়ামু আমি।
লন গামছার অই মাথাডা ধরেন বেগানা নারীরা।
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>

নজমুল আলবাব এর ছবি

ওই ধুসর এই কচুয়া শের হালায় কেঠা? এরে ধইরাতো মনে হয় লাগাইতে হইব...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এইডা হেই পাবলিক আলবাব ভাই, যার একবার কুলখানি করছিলাম। পরে হালায় কব্বর থিকা উত্থিত হইয়া বেকগুলিরে খাড়া লৌড়ানি দিছিলো।
জিলাপী খাইছিলো বেকেই, মাগার মাঝে থাইকা গ্যাড়াকলে পড়ছিলো বেচারা চুর ভাই হাসি
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>

নজমুল আলবাব এর ছবি

তাইনি ! আমি হালায়তো মনে করতে পারতাছিনা। আরেকটু খোলাসা কইর পাল্লে... @ ধুসর

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হাহাহাহা শাপলু আবার চিপায়...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হযবরল এর ছবি

শাপলু ওরফে মুস্তাফিজ তুমার ইশটাইলে ইট্টা লিম্মু ভাবতাছি। কপিরাইট নাইতু আবার ?

সবুজ বাঘ এর ছবি

মাগনা নিবি ক্যা? একদিন আহই দুইজনে মিলা নদ নদী খাই। বিলডা ভর্দতার মাইরে চুইদা আমিই দিবার চামু, কিন্তু তুই আমার চাইয়া আরেক কাঠি বাড়া হইয়া ভর্দতার নানীরে চুইদা নদ নদী খাউয়ার বিলডা তুইই দিয়া দিবি। আমি জানি চাইলেউ তরে ফিরিয়া হারুম না।
তাইলেই শুধু তরে আমার ইশটাইল দিম।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইটার ৩য় পর্ব নাই?
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

অপালা এর ছবি

হা হা হা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

এহ ছ্যাব ভড়াইশ না, ছ্যাব ভরাইশ না।

কঠিন মানসিক শান্তি পাইলাম ... কঠিন কঠিন কঠিন


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

জবর হইছে।
চলুক, অন্তত ষাসাট্টিডা পর্ব।

অনন্ত আত্মা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।