জরুরী: সচলায়তন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে কেবল-পাঠ্য আকারে সংরক্ষিত হতে যাচ্ছে

সন্দেশ এর ছবি
লিখেছেন সন্দেশ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৫/২০২৪ - ১১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনের প্রিয় সদস্য ও অতিথিবৃন্দ,
শুভ নববর্ষ।

গত কয়েক বছরে সচলায়তনে লেখা আর মন্তব্যের স্রোত ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে এসেছে। সচলায়তনের কারিগরি ব্যয় কম নয়, আর এই ব্যয় কয়েকজন সদস্য গত সতেরো বছর ধরে বহন করে চলছেন। সদস্য-অতিথিদের অনুৎসাহ বিবেচনায় নিয়ে আমরা সচলায়তনকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে নিশ্চল রাখতে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আবারও যদি সময়-সুযোগ-সাধ্যের মেলবন্ধন ঘটে, সচলায়তন পুনরায় সক্রিয় হবে।

এ যাবৎ সচলায়তনে প্রকাশিত লেখা আর মন্তব্য কেবল-পাঠ্য (Read-only) আকারে সংরক্ষিত থাকবে।

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।


মন্তব্য

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অবশেষে সচলায়তনও ইতিহাস হয়ে গেল! এটা কী অনিবার্য ছিল? বদলে যাওয়া সময়ে সচলে যে স্থবিরতা এসেছিল তার দায়ভার আমাদের সবারই। কিন্তু সচলায়তনের সমৃদ্ধ সময়ে যা কিছু দিয়েছিল সেটা অতুলনীয়।।

আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না সচলায়তন বন্ধ হয়ে যাক । সচলায়তনে লেখালেখি করেই আমার লেখক জীবনের সূচনা। দীর্ঘ সতের বছরের স্মৃতি জড়িত এই প্ল্যাটফর্মের সাথে। আমি ভার্চুয়াল জগত থেকে যে কজন খাটি মানুষের দেখা পেয়েছি তাদের প্রায় সবাই সচলাতনের। সচলের প্রতি আমার ঋণের কোন সীমা পরিসীমা নেই। তাই আমার অন্যদিকের পৃথিবী খুব ব্যস্ত হয়ে পড়লেও, যখনই সুযোগ পেয়েছি সচলায়তনে এসে লিখে গিয়েছি। সচলের স্থবির সময়েও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইচ্ছে থাকলে বছরে দু চারটা লেখা তেমন কঠিন কিছু না।

সচলায়তন যদি আবার নতুন করে চালু নাও হয়, তবু বাংলাদেশে লেখালেখির জগতে এই ব্যতিক্রমী প্ল্যাটফর্মটা অনন্য হয়ে থাকবে। আমি সচলায়তনের সদস্য ছিলাম এটা একটা আনন্দময় স্মৃতি।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

খারাপ লাগার মতো একটা সংবাদ। কিন্তু বলার কিছু নাই

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

২০০৭ সাল থেকে সচলে ধুমাইয়া ব্লগিং করছি । সেসময় ২৪/৭ একটিভ থাকতাম । রেগুলার ব্লগ লিখতাম । মিথস্ক্রিয়ায় সামিল হতাম । আজিজে, কঞ্চিপা, বইমেলা, ধানমন্ডি, উত্তরা ইত্যাদি নানা জায়গায় সচালাড্ডায় সামিল হতাম । কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি দিনগুলো সেই । একদিন সবকিছু হারিয়ে যায় । একদিন সবকিছু গল্প হয়ে যায় ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সুরঞ্জনা এর ছবি

মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে
পার হয়ে আসিলাম
আজি নবপ্রভাতের শিখরচূড়ায়,
রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায়
আমার পুরানো নাম।
ফিরিবার পথ নাহি;
দূর হতে যদি দেখ চাহি
পারিবে না চিনিতে আমায়।

হে বন্ধু, বিদায়।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

বুক ভাঙা এক সংবাদ! কিছু বলার নেই। যারা এই বিশাল পর্বত কাঁধে নিয়ে ১৭ বছর বয়ে চলেছেন তাদের সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো। তবে এই বন্ধ ঘোষণারও একটা সমাপনী আয়োজন হওয়া উচিত। দিন তারিখ সময় ঘোঘণা করে। লেখার সীমানা তুলে দেয়া উচিত। সচলায়তনে নিজের ব্লগ-জীবনের স্মৃতি তুলে ধরে শেষ লেখাটি পোস্ট করা যেতে পারে। একজন লেখক একটি লেখাই পোস্ট করতে পারবেন - এমন হতে পারে কিনা বিবেচনা করে দেখবেন।

এক লহমা এর ছবি

এইখানে লেখালেখি করে এক গুচ্ছ অজানা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল। তাদের আয়নায় আমি নিজেকে দেখেছি, চিনেছি। তাদের কারো সাথেই আমার মুখোমুখি পরিচয় হয়নি। তারা আমার অতি চেনা প্রিয়জন।

প্রিয় লেখকদের লেখা দেখতে না পাওয়া অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল অনেক কাল। তবু এসে এসে ঘুরে যেতাম। কিছু যদি নতুন আসে! এখন থেকে শুধু স্মৃতির মুখোমুখি হতে আসব। সেও কম না। আমি ত এই প্রতিষ্ঠানের কোন কাজে লাগিনা, নিয়েই চলি।

তবু আশা রাখি, ফেরারী ফৌজের সেনানীরা ফিরবে একদিন। আবার কলরবে ভরে উঠবে প্রিয় সচলায়তন।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ভালো থাকেন, থেকো, থাকিস সবাই।
এ এক অন্য জীবন ছিলো আমাদের! মনে পড়বে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্পর্শ এর ছবি

এর মানে কি যত দিন বর্তমান সার্ভার সাবস্ক্রিপশন আছে, ততদিন সীমিত আকারে অনলাইন থাকবে, এবং পরে এক সময় ভ্যানিস হয়ে যাবে?
কম খরচার, কম ক্যাপাসিটির সার্ভারে/সিস্টেমে স্থানান্তরিত করা যায় না?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।