হ্যারি পটার,তোমাকে

s-s এর ছবি
লিখেছেন s-s (তারিখ: সোম, ০৭/০১/২০০৮ - ১০:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই যে ছেলে!
কি ভীষণ গভীর নীল চোখ তোমার আর দুষ্টু মিষ্টি হাসি
মোটেও আমি হুজুগে মাতিনি পৃথিবীজোড়া জাদুই দুনিয়ার জন্য
আমি পাগল হয়ে আছি তোমার জন্য।
রেশমের মত নরম চুল তোমার কৈশোরের রোদেলা ত্বক
কেন - কেন আমি দেব অন্য কাউকে ছুঁতে?
হিংসে হয়না বুঝি আমার- ইস্!
ডেথ ইটাররা কেন নিয়ে যাবে তোমাকে
তোমার ওষ্ঠপুটে শুষে নেবে সমস্ত জীবন??
ওই দ্যাখো পিটার মুসিমেচি হাসছে
আমার টেবিলের উল্টোদিকে বসে
বলছে:আমি একটা জলজ্যান্ত পেডোফাইল!

নিন্দুকে যা বলে বলুক
পিটার বলুক,ডোনা বলুক,রুথ ওয়েবস্টার বলুক
এমনকি সকালে যে টী লেডী এসে আমাদের অফিস কিচেন কেতাদুরস্ত করে ও-ও বলুক।
ওরা কেউ কি তোমাকে ছুঁতে পারে?
ওদের ধারণক্ষমতা ঈশ্বর দেননি এতোটা
ওরা কেউ কি তোমার জন্য কাতর হয়
ছটফট করে তোমায় মরে যেতে দেখলে?
যখন নীলের গভীরে সাঁতরে
সবুজ শ্যাওলা ঢাকা জলের ডুবুরী তুমি
শ্বাসবায়ুতে মিশিয়ে দাও প্রাণের আশ্বাস
যখন তোমার কচি ডাবশাঁস এর মতো গালে
কুটুস করে কামড় দিলো একটা কালো ভোমরা
কিম্বা তোমার কবজিতে আলতো করে বসলো
হলদে রঙা একটা প্রজাপতি
তুমুল ঘন মেঘের মধ্যে মল্লযুদ্ধ পক্ষীরাজের পিঠে
পটার,তুমি ছিলে দেবশিশু আরাধ্য আমার
গত পাঁচ বছরে
তোমার সাথে আমিও কি বাড়িনি শরীরে?

তোমার প্রথম চুম্বন আশ্লেষ
কচি সবুজ গাছ থেকে জাদুর কাঠিতে লতায় পাতায় যখন ফুল ফোটালো
জিভের স্পর্শের জন্য ভীষণ কাতর আমি
নিজেও কি জুঁইফুল হয়ে ফুটে উঠিনি?

শিশু থেকে দুরন্ত কৈশোরে হগওয়ার্টসের সিঁড়ি থেকে সিঁড়ি ভাঙে -
এক দালান থেকে অন্য দালান জোড়ে
ছবির ভেতর দিয়ে সরু গলি
আর সেখানেই হাঁটতে হাঁটতে আমি তোমায় খুঁজি যে!

নিরন্তর খুঁজে চলার বিরামে
শরীর দিশেহারা হয় পটার
তোমার শৈশবের তীব্র দৃষ্টি তছনছ করে দেওয়া ভরা কটাল আলোয়
হরিণী দ্যুতিমাখা আবছায়া আলখাল্লার সিল্যুট
আমাকে কাঁদিয়ে পটার তুমি পুরুষ হয়ে ওঠো,উঠছো।

দেখতে পাচ্ছি
ক্রমশঃ নরম পেলব ত্বক চোয়াড়ে রুক্ষ চোয়াল হয়ে উঠছে
কচি ঘাসের মত রোম উরুসন্ধি আর ঠোঁটের চারপাশ ঘের দিচ্ছে
কৈশোরের নিষ্পাপ চুমু
যৌবনের প্রাবল্যে নুয়ে যাচ্ছে,ভেঙে যাচ্ছে গুটিয়ে
জাদুর কম্বল বা গয়নার বাক্স কিছুতেই আটকাচ্ছে না
উপচে পড়া উদ্ধত যৌবন

পটার,আমি কৈশোর চাই,চাই শৈশবের ঝকঝকে সোনারঙা বিকেলগুলোয়
টিউলিপ ফুলের আড়মোড়া ভাঙা অথবা টী পটের নলের ধোঁয়ার দুষ্টুমিভরা হাসি
আমি তোমার উড়ন্ত গাড়ির সঙ্গী হতে চাই
মেঘের ভেতর দুরন্ত ছুটে যাওয়া জাদুই ট্রেন হতে চাই
স্তনবৃন্তের ভার চাই না পটার,ঋতুমতী কৈশোরের কষ্ট চাই না বালক!

আজ থেকে বিশ বা পঁচিশ বছর পর
তোমার মধ্যবয়স্ক খাঁজকাটা কপালের কুঞ্চন আর
গোবেচারা মধ্যবিত্তের ম্যাজিক চাই না পটার
এই মুহূর্তটার জন্য বাঁচতে চাই ভীষণ ভাবে
প্রেতিনী যোগিনী কূট কৌশল হিংসা আর ক্রমশঃ বড় হয়ে ওঠা
নিতে পারছিনা আমি সোনা,লক্ষী ছেলে তুমি কি বোঝো?
নীরব অভিমানী ফ্রকের হাতার খুঁটে চোখ মোছা অবোধ বালিকা
ডায়াগন আ্যলীতে স্কুলের বই খাতার সাথে স্বপ্নও কিনতে যায়
কাম ও প্রেমে ঘৃণায় রিরংসায় মৃত্যুতে সংঘাতে
জীবনের ডাস্টবিনে আছড়ে ফেলোনা তাকে
দয়া করো,তাকাও,দ্যাখো,বোঝো!!!

তোমায় জাপটে ধরে কিশোরী হারম্যাইনির মুগ্ধতায়
আমি সাঁই সাঁই চালিয়ে দেবো জাদুর কাঠি
আর কুইডিচের সোনার বলগুলো টুপটাপ হাতে ঝরে পড়বে আমার
হ্যারি পটার,কখনও যেন তোমায় ছুঁতে গিয়ে
কেবল শরীরই না ছুঁয়ে ফেলি
হাত ধরতে গিয়ে কেবল আঙুলতক ই না পৌঁছয় মগজ
মুগ্ধতা চাই অপার আমার প্রিয় বালক,
যৌনতা চাই নিষ্পাপ।।

জাদুর দুনিয়ায় হয় কি না হোক, তোমাকে চাই
আমার অনন্ত ছটফটানিতে
আমার বার বার ফিরে যাওয়া রুদ্ধদ্বার শৈশবের কাছে
মাতা মেরীর কোলঘেঁষা শিশুযীশুর মসৃণ জলতরঙ্গে
আর আধফালি করে কাটা চাঁদের হলদে আলোয়।
অদ্ভুত এক দারুণ দুনিয়া চোখের সামনে
হাউই বাজির ফুলঝুরিতে চোখ ধাঁধিয়ে আমাকে
পটার বালক,তুমি দয়া করো
পেছনের অন্ধকারে টেনোনা
আমাকে বড় করে তুলোনা
কিশোরীর ইম্যাকুলেট কনসেপশনে রাখো
আমার ওষ্ঠপুটে জীবনের প্রথম আলতো চুম্বন স্পর্শ দাও
কামড়ে দিও না,দলে পিষে থেঁতলে কদর্যতা দিওনা।।

ছোট থাকতে চাই পটার,তোমার জন্য,শিশুর অবোধ আকুলতা নিয়ে
সারাজীবনের ঔৎসুক্য সারাজীবনের উত্তুঙ্গ উন্মাদনা নিয়ে
চোখের তারায় তোমার আসার খবরে
আলো ঝলমল স্বপ্ন চাই প্রিয় দেবশিশু
সারাজীবন এই সারল্য এই বিমুগ্ধ চোখ চাই
অপার সারল্য চাই বালক,বড় হতে চাইনা।
তোমার আবেশে যতদিন বুঁদ ততদিন
তত ঘন্টা তত মিনিট তত সেকেন্ড
মনের রঙ চাই পটার
রামধনু চাই পটার
কেবল,

বড় হতে চাই না সোনা,বড় হতে চাই না।।

ss জানুয়ারী ০৮,২০০৮ ভোর ৩টা ৩৪মি:


মন্তব্য

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
s-s এর ছবি

ন্যাংটো ড্যানিয়েল রাডক্লিফ মানে নিপোশাক হ্যারি পটার নয়।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

ওয়েল, কিন্তু কবিতাটার বর্ণনা পড়ে তো মনে হচ্ছে পটার নয়, ড্যানিয়েলকে নিয়েই লেখা! মানে বোঝাতে চাইছি, চরিত্রটা নয়, তাতে রূপদানকারীর উদ্দেশ্যেই এই অর্ঘ্য।

-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

s-s এর ছবি

ওয়েল,মনে হওয়াটা আটকানোর আমি কেউ নই তবে হ্যারি পটার আদ্যোপান্ত পড়া থাকলে মন অন্যরকম হওয়াটাই সঙ্গত ছিলো। আমার আছে,আমার মন,স হজাতভাবেই অন্যরকম। তার সাথে রূপদানকারীর রূপের বিরোধ নেই,তবে কবিতাটা মোটেও তার প্রতি অর্ঘ্য নয়,far from.

শেখ জলিল এর ছবি

অপার সারল্য চাই বালক,বড় হতে চাইনা।
....মনের কথা। তবুও বড়ো হতে হয়...

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

স্নিগ্ধা এর ছবি

হ্যারি পটার,কখনও যেন তোমায় ছুঁতে গিয়ে
কেবল শরীরই না ছুঁয়ে ফেলি
হাত ধরতে গিয়ে কেবল আঙুলতক ই না পৌঁছয় মগজ
মুগ্ধতা চাই অপার আমার প্রিয় বালক,
যৌনতা চাই নিষ্পাপ।।

চোখের তারায় তোমার আসার খবরে
আলো ঝলমল স্বপ্ন চাই প্রিয় দেবশিশু
সারাজীবন এই সারল্য এই বিমুগ্ধ চোখ চাই
অপার সারল্য চাই বালক,বড় হতে চাইনা।

তাও কি হয় ? সত্যিই যদি হতো!!!

জি.এম.তানিম এর ছবি

হুমম।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

s-s এর ছবি

সুবিনয় মুস্তফী লিখেছেন:
বটে!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

বটেই।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ইদানীং লেখাগুলো কোথায় হারিয়ে গেল?

...........................
Every Picture Tells a Story

s-s এর ছবি

সেটা আমিও ভাবছি, কী করা যায় বলুন তো?

মুস্তাফিজ এর ছবি

আরেকটা হ্যারি তো আর পাবোনা, এককাজ করেন, য়ামার তোলা ছবির সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে লিখে ফেলুন। হাসি

...........................
Every Picture Tells a Story

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আহা পটার! না চাইলেও বড় হতে হয় যে! মন খারাপ

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সাবিহ ওমর এর ছবি

এটা কি জিনির লেখা কবিতা? যা ডিটেল দিসেন।

তবে ঐ সিজোফ্রেনিকটারে আমি খুব একটা ভাল পাইতাম না শেষের দিকে। বরং স্নেপকে সেরাম ভাল পাইতাম। জো শেষ পর্যন্ত স্নেপের মান রাখায় ভাল লাগসে। আর ডেথলি হ্যালোস পড়ার পর পুরা এক সপ্তাহ মন খারাপ হয়ে ছিল, শেষ হয়ে গেল বলে...বড় হতে চাই না মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।