ও ময়ূর, পাখা মেলে দাও (পর্ব-৫)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৮/০২/২০১৫ - ৩:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আস্থা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ঠিক বুঝতে পারছি এখন ও কনফেশন পর্ব শুরু করবে। নিশ্চয়ই কোনো অঘটন ঘটিয়েছে। আস্থার চিবুক এখন বুকের সাথে প্রায় লেগে যাচ্ছে। উত্তর পাবার জন্য এখন প্রশ্ন করা আবশ্যক জেনেও আমি খানিকক্ষণ স্বীকারোক্তির অপেক্ষায় থাকি। তাই আস্থাও নিরুত্তর দাঁড়িয়ে থাকে।
- কি করেছো? বেশি খারাপ কিছু?
আস্থা দু’পাশে মাথা ঝাঁকায়।
-বেশি খারাপ না হলে বলে ফেলো, দেরি করছো কেন?
-আমি নানুমণির কাছে ভাত খাচ্ছিলাম আর তোমার একটা বই দেখছিলাম। বইটার উপর ডালের বাটি উল্টে গেছে।

নিচু স্বরে কথা বলতে বলতে আস্থা পেনাল কোড মেলে ধরে। বইটার দিকে তাকিয়ে বুঝি অপকর্ম ঢাকবার জন্য পানি দিয়ে ঘষামাজা করে বইটির আরো বারোটা বাজিয়েছে। আমি যথাসম্ভব গম্ভীর গলায় বলি,
-এখন জরিমানা দাও।
আস্থা অবাক চোখের পাঁপড়ি মেলে আমার দিকে তাকায়। পরক্ষণেই ও কোনো একটা দুষ্টুমি হচ্ছে তা ধরে ফেলে।
-কি জরিমানা?
দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকারী আসামীর প্রতি রায় ঘোষণার মতো বলি,
-পঞ্চাশ পয়সা জরিমানা অনাদায়ে পঞ্চাশটি মিঠেগুড়া পাপ্পি।
আস্থা খলবলিয়ে হেসে ওঠে।
-এ্যা মা! কি পচা জরিমানা! পঞ্চাশ পয়সা পাবো কোথায়?
-উহু জানি না। পেতে হবে। এটাই আইন।
-এ আইন কে বানালো?
-আমাদের কলোনির শহীদ ভাই।
গল্পের আভাস পেয়ে আস্থা আমার কোলে উঠে বসে।

-আমাদের কলোনিতে শহীদ ভাই সব ছেলেমেয়েকে নিয়ে তরুণ ক্লাবঘর ও লাইব্রেরি বানিয়েছিল। সেই লাইব্রেরি থেকে আমরা বই নিয়ে পড়তাম। ঠাকুমার ঝুলি, কাকাবাবু সিরিজ, সুকুমার রায়ের ছড়া, হুমায়ূণ আহমেদ, সবার বই। লাইব্রেরি থেকে বই আনবার নিয়ম-কানুনে খুব কড়াকড়ি ছিল। এই ধরো, বইয়ের কোণা ছিঁড়লে এক টাকা, মলাট ভাঙলে দুই টাকা আর ঝোল লেগে গেল তিন টাকা।
আস্থা গলায় খুব উৎসাহ নিয়ে বলে,
-মা, আমার তো তাহলে তিন টাকা জরিমানা হয়েছে!
-উহু তোমার অংকে ভুল হচ্ছে। আরো বেশি জরিমানা হয়েছে কিন্তু!

আস্থার সাথে খাণিকক্ষণ খুনসুটি চলে আমার। আস্থা আমার সামনে স্মৃতির এক আজব দুয়ার খুলে দেয়। ও আমার হাসি হয়ে হাসে, আমার সুর হয়ে বাজে। ওর ছোট্ট মুখটি যেনো মেঘের আড়ালে জেগে ওঠা কোনো দেবদূতের মুখের মতো মনে হয়। যেখানে জলরঙের বাহারি প্রলেপ। ধীরে ধীরে আস্থা আমার চারপাশের খোলস ভেঙে ফেলে। এখন আমি অন্য মানুষ। পরম আনন্দে আমরা দুইজন শৈশবের আলোক রাজ্যে বেড়াতে থাকি। মেয়ের সাথে গল্প করতে আমার খুব ভাল লাগে। আমার ছোটবেলার বই পড়ার গল্প, হাসনাহেনার গল্প, নানাবাড়ির পুকুরে ছিপ ফেলবার গল্প শুনে আস্থা খুব মজা পায়। নানুর প্রতি তার অভিযোগের শেষ নেই। নানু নাকি ঘুরে ফিরে একই গল্প শোনায়, সওদাগর আর ঘুমন্ত রাজপুরীর গল্প।
আস্থা দু’চোখ বড় বড় করে আমার গল্প শোনে।

-আমাদের বাড়িতে একটা টিয়াপাখি ছিল। তোমার ত্বকী মামার পোষা টিয়া। মামাকে দেখলেই টিয়াটা বলে উঠতো, ও দাদাভাই ওঠ, ওঠ...ও দাদাভাই ওঠ, ওঠ।
-তোমাকে টিয়া পাখিটা কি বলে ডাকতো মা?
-দুষ্টু টিয়া খালি মামাকেই ডাকতো। আমি, বড় আপা যতই চালভাজা আর লাল মরিচ দিতাম তবু দুষ্টুটা খালি দাদাভাই, দাদাভাই ডাকতো।
আস্থা হেসে লুটোপুটি খায়। আমাদের হাসি তুমুল বৃষ্টির মতো প্রবল হয়ে ওঠে। এবার আস্থা আবদার জুড়ে দেয়। জিপাত্তো আর নাক লম্বা পিনোকিওর রঙিন বই চাই তার। আজকাল সে বানান করে রঙিন ছবির গল্পের বই পড়তে শিখেছে। গত বার্থডেতে বাবার কাছ থেকে পাওয়া বইগুলো পড়া শেষ। এখন নতুন বই চাই তার। অনেকদিন পর আস্থার বায়না আমাকে অস্থির করে।

মা বেশ কয়েকবার খেতে ডেকেছে। আমার শাশুড়ি শাকিলা খাতুন এসেছেন দুই দিন হলো। শাশুড়ি আম্মা হাসানদের গ্রামের বাড়িতে থাকেন। আমার শ্বশুরবাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর। আমার শ্বশুর আমার বিয়ের আগেই মারা গিয়েছেন। আম্মা ঢাকায় এসে স্বস্তিবোধ করেন না। তাই বাড়িতে বড় ছেলের সংসারে থাকেন। মাঝে মাঝে আমাদের এখানে আসেন। শরীর ভাল ছিল না বলে আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে আম্মা হাসপাতালে আসতে পারেননি। আবার মার গলা শোনা যাচ্ছে। সবাই একসাথে খেতে বসতে হবে। আমি আস্থাকে কোল থেকে নামিয়ে দেই, খেতে যাইরে মা, তুমি টিভি দেখো।

হাসান স্টডি রুমে। আজ একটু তাড়াতাড়িই বাসায় ফিরেছে। আমি ডাইনিং রুমে ঢুকবার আগে স্টাডি রুমে উঁকি মারি। স্টাডি রুমে আমার আর হাসানের দুটি আলাদা টেবিল। একটা কম্পিউটার টেবিলও আছে। আমার টেবিলটা এখন আস্থাই ব্যবহার করে। ঘরের দক্ষিণ কোণে একটা ডিভান আছে। সেখানে আস্থার সংসার আর রাজ্যের খেলনার জিনিস। মেয়েটা স্কুলে যাবার পর থেকে নিজের জিনিসপত্র বেশ গুছিয়ে রাখে। আমি হাসানের পিছনে দাঁড়াই। ও ডেস্কটপে কাজ করছে। হাসান চমকে গিয়ে কোনো একটা ফাইল মিনিমাইজ করে। অন্যসময় বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করে ওকে আমি ব্যতিব্যস্ত করে তুলতাম। আজকাল এসব ভাল লাগে না। হাসান খানিকটা বিব্রত গলায় আস্থার মতো স্বীকারোক্তি দেয়,
-এই একটা লিগ্যাল পেপার তৈরি করছিলাম। সিঙ্গারের বেশ ভাল একটা কাজ এসেছে।
-খেতে আসো। মা ডাকছে। আম্মার তো ডায়াবেটিকস, সময় মতো খাওয়া লাগে।

হাসানকে আমি আমার নিঃশ্বাসের মতো চিনি। ভার্সিটি লাইফের শেষ এক বছর আর সংসারজীবনের আটবছর, কোনো প্রেমিক বা স্বামীকে চিনবার জন্য নয় বছর যথেষ্ট সময়। আমাকে দেখলে আজকাল হাসান প্রায়ই এমন জরুরি ফাইল মিনিমাইজ করে। অথচ একসময় লিগ্যাল পেপার তৈরিতে আমার পরামর্শ চাইত। শরীরের দূরত্বের সাথে সাথে আরো কিছু কি মিনিমাইজ করছে হাসান? হোক। চেনা ফুলের চেনা সুরভির মতো কোনো অহেতুক তর্কে না যেয়ে আমি খেতে চলে যাই।

ডাইনিং টেবিলে মা আর আম্মা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আস্থার নানুমণি মা আর দাদীমণি আম্মা। তাদের সাথে সম্পর্কের মতো সম্বোধনে ভিন্নতা আছে আমার আর আস্থার। আম্মা কিঞ্চিত বিরক্ত গলায় বলে,
-রাতে কি এতো দেরি কইরাই খাও নাকি? দেরি কইরা খাওন তো ঠিক না।
হাসান আম্মাকে আশ্বস্ত করে,
-রোজ দেরি হয় না আম্মা। আজই হলো।
আমি আম্মার প্লেটে ভাত তুলে দেই। আম্মার হঠাৎ প্রশ্নে আমার হাত থেকে ভাতের চামচ পড়ে যায়।
-বাচ্চাটারে কি কোনোভাবে বাঁচানো যাইতো না?

হাসান সীমাহীন অস্বস্তি নিয়ে আমার দিকে তাকায়। হাসানকে নিরব দেখে মা ধৈর্যহীন গলায় উত্তর দেয়,
-চেষ্টাতো কম করা হয় নাই বেয়াইন। সুরভিতো একমাস টানটান শুইয়া ছিল। ব্লাড যাওয়াতো কমলো না। ফুল নাকি পেসাবের নালীতে শিকড়ের মতো চাইপা বইসা গেছিল। তারপর তো একদিন ব্লাড ভাঙা শুরু করলো। অপারেশনের পরেও তো নল লাগায় রাখছে চৌদ্দ দিন।
-বাদ দেন না আম্মা। এসব আলোচনার কি দরকার।
মা বেশ ব্যঙ্গের স্বরে বলে,
-বাদ দিমু ক্যান বাবা, বেয়াইন শুনতে চান!
আম্মা এবার বেশ অসহিষ্ণু গলায় বলে,
-তোরা বাচ্চাটার জানাজা করাইলি না। হাসপাতালের ময়লার ভিতর ফালায় দিয়া আসলি?
-আম্মা আপনি চুপ করেন।
হাসান কণ্ঠে কাতরতা আর উদ্বেগের মিশ্রণ।

-ক্যা চুপ করবো ক্যা। আসবার পর থেইকা তোমাগো তো পাই না। রাইতে খাওয়ার টেবিলেই যা একটু কথা কওয়া যায়। আমারে না জানাইয়াই তো কাজটা করছো। তোমার বাবা তো বাঁইচা নাই। মুরুব্বি বলতে তো আমিই। আমার নাতির ব্যাপারে তো আমি জানতে চামুই। ধর্মের বিধিনিষেধ মানলা না। নাতিটারে তো জানাজা কইরা কবর দেয়া যাইতো।
আম্মার গলায় ঝাঁঝ। বিরক্তি নিয়ে হাসান বলে,
-আম্মা বলেছি তো ডাক্তারি ভাষায় বাইশ সপ্তাহের বাচ্চা একটা ননভায়েবল বেবি। ডাক্তার সাহেব ধর্ম জানা মানুষ। নীতিবানও। তারা নিয়মমত যা করার করেছে। তাছাড়া ছয়/সাত মাস পর এসব বলে সুরভিকে কেন কষ্ট দেন? ওর মানসিক, শারিরীক অবস্থাতো আপনার অজানা না।
সম্পর্ক ভুলে যেয়ে আমার মা বিরক্ত গলায় বলে ওঠে,
-তাইলে বেয়াইন হাসপাতালে আপনার থাকন লাগছিল।
মায়ের মুখের অভিব্যক্তি আম্মার চোখ এড়ায় না।
-তা আপনিও তো মুরুব্বি, আপনি কি করছিলেন বেয়াইন?

আম্মার কথা শুনে আমি হকচকিয়ে উঠি। আমার মনে পড়ে ডাক্তার যখন আমাকে বেড রেস্ট দিয়েছিলেন তখন একদিন আম্মা ফোনে বলছিলেন, তুমি এক বাচ্চার মা হইয়াও বড় বেশি অস্থির হও সুরভি। আমাগো এত্ত পোলাপান হইছে মাইনষে টের পায় নাই। এহন পেট কাইট্টা বাচ্চা বাইর করে কিছুই তো টের পাও না, তাও তোমাগো ন্যাকামি কমে না! আমি ফোনে আম্মার শ্লেষ মেশানো গলা শুনে ক্ষেপে উঠেছিলাম। সেদিন আমার উপর অপর্ণা ভর করে বলে উঠেছিল, আপনি এইসব কি বলেন? আপনার কোনো বাচ্চা হওয়ার আগে কি আপনি দিনে রাতে পঞ্চাশবার কইরা মুততে গেছেন? আর প্রতিবার কি মুতের সাথে এক দলা কইরা রক্ত আসছে? সেদিনের পর আম্মা আমাকে আর ফোন করেননি।

আম্মা উত্তরের জন্য অনেক আগ্রহ নিয়ে ছেলে আর বেয়াইনের দিকে তাকিয়ে আছেন। হাসান এবার রাগী রাগী গলায় বলে,
-আপনারা থামবেন? না আমি চলে যাবো?
আমি নিজেকে সামলে নিয়েছি। কারো দিকে না তাকিয়ে আমি প্রতিক্রিয়াহীন মুখে ভাতের লোকমা তুলতে থাকি। আমি আম্মার সাইকোলজি বুঝবার চেষ্টা করি। আম্মা বাসায় এসেও আমাকে এই প্রশ্নটা করেছেন। অন্য অনেকের মতো আম্মাও আমাকে বিষয়টা ভুলতে দিতে চান না। আম্মা অনুতাপহীন গলায় বলে ওঠেন,
-ঠিক আছে। এতো ক্ষেপনের কি হইলো। অত ইংলিশ বুইঝা আমার কাম নাই। তুমি হওয়ার আগে আমার একটা বাচ্চা নষ্ট হইছিল। তোমার আব্বা না বুইঝা মাটি চাপা দিছিল। পরে এক হুজুরের সাথে পরামর্শ কইরা আবার সেই বাচ্চার লাশ তুইলা জানাজা করছে।

হাসান বোকার মতো আমার দিকে তাকায়। আমার সহ্য ক্ষমতা এখন শূন্যের কোঠায় চলে যায়। আমি দৌড়ে বেসিনের কাছে চলে যাই। রাতের খাবার যতটুকু খেয়েছি তার চেয়ে বেশি উগড়ে দেই। ছুটে এসে মা আমাকে জড়িয়ে ধরে। মা বেসিনের কল ছেড়ে মাথায় পানি দিতে থাকে। আমি কোনো আশ্রয়স্থল খুঁজে না পেয়ে মায়ের বুকে মুখ গুঁজি। মায়ের শাড়িতে তেল-মসলার গন্ধ। আমি কাঁদতে কাঁদতে সেই গন্ধ নাকে মুখে ঘঁষে নেই। মা ছোট আস্থার মতো আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আর আমাকে অবাক করে দিয়ে নিজেও জোরে কাঁদতে থাকে।

ধীরে ধীরে আমার বুকের ভেতরটা ফাঁকা লাগতে শুরু করে। না, না, ফাঁকা না। আমার বুকের ভেতরটা শূন্য লাগে। তারপর আমার শরীর ভাসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বুকের ভেতর থেকে অদ্ভুত ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হয়ে আমাকে ক্রমশ ফাঁকা বা শূন্য করে তোলে। ফাঁকা বা শূন্য শব্দ দুইটি কি সমার্থক কিনা জানি না। আমার ঠোঁটে-চোখে এখন কোনো শব্দের আঁকিবুঁকি নেই, তাই আর তার অর্থ খুঁজি না আমি। তবু নানা অর্থবোধক শব্দের যন্ত্রণায় আমার মাথার ভেতর কেমন করতে থাকে। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
(চলছে)


মন্তব্য

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হ্যাঁ, ঝরঝরে আর নির্মোহ!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা রোমেল ভাই।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব কষ্ট লাগে সিরিজের যে কোনো পর্ব পড়ার সময় আবার একটা চমৎকার সাহিত্যকর্ম পড়ার পরম অনুভূতিও কাজ করে একইসাথে। আবারও চলুক

দেবদ্যুতি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ ওকৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

জিনিসটা কি? বোমার মতো লাগে!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

এক লহমা এর ছবি

দক্ষ হাতের বুনন চলছে, পড়ে যাচ্ছি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

সাথে আছেন জেনে কৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

শিশিরকণা এর ছবি

পড়ছি। এ পর্ব খব দ্রুত শেষ হয়ে গেল মনে হলো। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আসুক।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

তিথীডোর এর ছবি

এই পর্বটা চমৎকার লাগলো! চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ প্রিয় তিথীডোর।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মুক্তমন এর ছবি

বরাবরের মতই - ভাল লাগল৷ এই কাহিনী সামনের বছর বইমেলার কোন বই হতে পারে কি? যদি হয়,তবে একজন ক্রেতা আপনি এখনি পেয়ে গেলেন |

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কি জানি, আগে লিখি। লিখে শেষ করি। শুনে ভাল লাগলো।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

এমন সকালে এই গল্প পড়ে মনটাকে ঝরঝরে করা খুব কঠিন তারপরও অন্যরকম অনুভূতি...!

-----------------
রাধাকান্ত

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কৃতজ্ঞতা রইল।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

আস্থা আর সুরভীর গল্পকথন ভালো লাগলো! মা আর মেয়ের মিষ্টি খুনসুটি।
শাকিলা খাতুনের কথা গুলো খুব নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেয়। এমন অনেকেই আছে। আমাদের মানুষদের ভেতরে একটা নিষ্ঠুরতার অংশ কোনো একজায়গায় ঘাপটি মেরে থাকে। অন্যদের আঘাত করেই শান্তি নিজের অশান্তি ঢাকতে।
এই পর্যন্ত পড়া পর্বগুলোর এটা সেরকম একটা পার্ট। খুব স্পর্শকাতর!

ভালো থাকো। লেখালেখি জারি থাকুক তোমার।

অপর্ণা মিতু

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

হুম। ভালো থেকো। এর পরের পর্বটা একটু অন্যরকম লিখেছি। তোমাকে আজই পড়তে দিবো। জানোই তো এরপর কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে তোমাকে। হেহেহে

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

আয়নামতি এর ছবি

এক লহমা'দি'র কথা হালাল করে আমিও বলছি,

দক্ষ হাতের বুনন চলছে, পড়ে যাচ্ছি।

চলুক চলুক

"মায়ের গলার বিরক্তি আর ব্যঙ্গ আম্মার চোখ এড়ায় না।" এই লাইনটা নিয়ে আরেককটু ভাবা যায়?
মায়ের মুখের অভিব্যক্তি হলে লাইনটা ঠিক ছিল যেন, কথার ঝাঁজ তো দেখা যায় না বুঝে নিতে হয়...
ভুলভাল বলে থাকলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন প্লিজ!

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

মনোযোগের জন্য কৃতজ্ঞতা। অবশ্যই ভাল হবে। এতটুকু সাজেশনে আমার লেখাটাই তো সমৃদ্ধ হবে। আমি এখনই পরিবর্তন করে নিচ্ছি। সামনের দিনগুলোতেই এমন পরামর্শ বা ভুল ধরিয়ে দেবার জোর আবদার রইল। ভাল থাকুন আয়নামতি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আপনার সিরিজটা পড়লে খালি মন খারাপ হয় কেন? মন খারাপ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কি জানি, মন খারাপ থাকলেই লিখি তো।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

এবং একই কথা পুনরায়, যা বলে এলাম চতুর্থ পর্বে!

অত্যন্ত সাবলীল। হৃদয়স্পর্শী।

অনিঃশেষ শুভকামনা।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আপনার জন্যও অনিঃশেষ শুভকামনা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভীষণ ঝরঝরে লেখা।

চলছে চলুক সাথে আছি
লেখায় হব মনের কাছাকাছি

মহান অতন্দ্র ।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

গগন শিরীষ  এর ছবি

ভাল লাগছে গল্প,কিন্তু শেষ হবে কবে? আমি পরিনতি জানার জন্য মুখিয়ে আছি তো!

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আর দুই পর্ব আছে, তবেই শেষ। মাস খানেক অপেক্ষা করুন। কৃতজ্ঞতা রইল।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষ হওয়ার কি দরকার!চলতে থাকুক।
-----------
রাধাকান্ত

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

শেষ তো হবেই। নতুন একটা লেখা শুরু করেছি যে।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মজিবুর রহমান  এর ছবি

"বিষণ্ণ সুন্দর'
চলুক।

মজিবুর রহমান

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

হুম, চলছে

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

রংতুলি এর ছবি

সুন্দর ও গতিশীল!

আগেই পড়েছি, অনুভূতিটা আজ জানিয়ে গেলাম।

আর হ্যাঁ, 'শেষ হওয়ার কি দরকার, চলতে থাকুক!' - মন্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত। হাসি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কৃতজ্ঞতা। পরের পর্ব দুটি আপনার অপেক্ষায় থাকবে।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।