গোলাপের রঙে রঙিন যে জীবন

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: শনি, ২৮/০৭/২০১২ - ৫:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

la_vie_en_rose_movie_poster

প্যারিস কিংবা ফ্রান্সের যেকোন শহরের রেল স্টেশনগুলোতে সুর তুলতে থাকা কোন এ্যাকর্ডিয়ন বাদককে যদি আপনি তার প্রিয় গানগুলো বাজাতে বলেন, সহাস্যে যে কথাটি বলে এ্যাকর্ডিয়নের রীডে আঙুল চালাবে সে তা হল, ‘ছোট্ট চড়ুই এর গান দিয়েই তবে শুরু হোক?’ তারপর নিশ্চিত আপনার ট্রেণ আপনার চোখের সামনে দিয়ে চলে যাবে, আপনার কানে পৌঁছুবেনা তার হুইসেল কারণ ছোট্ট চড়ুই ততক্ষণে দখল করে ফেলেছে আপনার হৃদয়। তার শিষের শব্দ ছাপিয়ে আপনার কাছে এসে পৌঁছাবে না অন্য কোন সুর।

ফরাসীরা ছোট্ট চড়ুই পাখিকে আদর করে ডাকে পিয়াফ। তাদের হৃদয়েও বাস করে এক সুরেলা ছোট্ট চড়ুই। এদিথ পিয়াফ(Edith Piaf) যার নাম। ফরাসী ভাষার সংগীতকে আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় করে তোলা শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম বলে মানা হয় যাকে। যার কন্ঠে আছে এক অদ্ভুত শক্তি, ঘোরলাগানো আবেগ আর হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা বিষাদ। এদিথের গান যেন তার জীবনেরই প্রতিফলন। যে জীবনটা ছিল কুয়াশার মতন, রহস্যময়। শোনা যায় প্যারিসের ফুটপাথেই তার জন্ম। মা ছিল ক্যাফের গায়িকা আর বাবা রাস্তায় শারীরিক কসরত দেখিয়ে পয়সা রোজগার করত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তার পিতামাতা তাকে তার মায়ের মা’র কাছে ফেলে রেখে চলে যায়। যুদ্ধ শেষে তার বাবা ফিরে এলে তার ঠাঁই হয় ঠাকুমার কাছে যিনি আবার ঐসময় চালাতেন একটি বড়সড় পতিতালয়। এদিথের ছোটবেলার বেশ বড় একটা অংশ কাটে এইসব দেহপসারিনীদের সাথে। এরাই ছিল তার খেলার সাথী, এদের হৃদয়েই ছোট্ট এদিথ খুঁজে পেত তার মায়ের ভালবাসা। একবার চোখের এক অসুখে এদিথ প্রায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন এই সহৃদয়া নারীরাই চাঁদা তুলে তাকে পাঠিয়েছিল সাঁ তেরেস( সেইন্ট তেরেসা)-এর তীর্থযাত্রায় যার আশীর্বাদে অলৌকিকভাবে নাকি ফিরে এসেছিল এদিথের দৃষ্টি । এরপর থেকেই এদিথের জীবনের সাথে সাঁ তেরেসের নামটিও গাঁথা হয়ে যায়।

যুদ্ধফেরত বাবা যখন রাস্তায় কসরত দেখাত তখন ছোট্ট এদিথ মানুষের ছুঁড়ে দেয়া পয়সা কুড়োত। একদিন পিতার নির্দেশে পথচারীদের মনোরঞ্জনের জন্যই ভয়ার্ত এদিথকে গাইতে হয় ‘লা মার্সেইয়াজ’, ফরাসীদের জাতীয় সঙ্গীত। অতটুকু মেয়ের কন্ঠে এমন দরদভরা গান কেউ যেন কোনদিন শোনেনি। এদিথের হতবাক পিতা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেনা যখন দেখে রাস্তায় জমে গেছে মানুষ, আবেগে উদ্বেলিত হয়ে তারাও গাইছে সে গান আর ছুঁড়ে দিচ্ছে পয়সা। এদিথের গান গাওয়ার শুরু সেদিন থেকেই। একদিন মায়ের মত সেও নিজের পথে বেরিয়ে পড়ে। বেছে নেয় শিল্পীর জীবন। প্যারিসের রাস্তায় রাস্তায়, মঁমার্তে, পিগাইয়ে, শহরতলিতে এদিথ গান গেয়ে গেয়ে বেড়ায়; বেছে নেয় ভবঘুরের জীবন। ততদিনে জুটে গেছে সিমোন বের্তো নামের এক সঙ্গী। এই সিমোনের সাথে আমৃত্যু এদিথের টিকে থাকে প্রগাঢ় বন্ধুতা।

রাস্তায়, ক্যাফেতে, ক্যাবারেতে গেয়ে এদিথ যা কামাত তার সবটাই উড়িয়ে দিত সে মদের পেছনে। উদ্দাম, বেহিসেবী এক জীবন। এর মধ্যে লুই দ্যুপঁ নামের এক যুবকের সাথে প্রনয়েও জড়িয়ে পড় সে। তাদের ভালবাসার ফলস্বরূপ এদিথের কোলে আসে এক কন্যা সন্তান। মেয়ের নাম রাখে সে মার্সেল। কিন্তু বছর দুই যেতে না যেতেই মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে শিশুটি মারা যায়। এই শোক এদিথকে আচ্ছন্ন করে রাখে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত। শিল্পী হিসেবে এদিথের উত্থান নাটকীয়তায় ভরা। একদিন পিগাই এর রাস্তায় এদিথের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে নিজের বিখ্যাত নাইট-ক্লাব ‘ল্য জেমি’তে গান গাইতে নিয়ে আসেন লুই ল্যপ্লে নামের এক মধ্যবয়সী ধনকুবের। আনাড়ি এদিথকে হাতে ধরে ল্যপ্লে শেখাতে থাকেন মঞ্চে গান গাওয়ার কলাকৌশল। তার জন্য তৈরী করিয়ে আনেন কাল জামা যে পোশাক হয়ে দাঁড়িয়েছিল এদিথের ট্রেডমার্ক। এদিথ যখন গান গাইত তখন মাত্র চার ফুট আট ইঞ্চি উচ্চতার মেয়েটিকে ছোট্ট পরীর মত দেখাত। ল্যপ্লে তাই এদিথের সাথে জুড়ে দেন আরও একটি নাম ‘পিয়াফ’ কথ্য ফরাসীতে যার মানে হল চড়ুই। মঞ্চে এদিথের নতুন নাম হয়ে গেল ‘লা মোম পিয়াফ’(La mome Piaf) বা ছোট্ট চড়ুই পাখি। ‘ল্য জেমি’তে তখন আসত প্যারিসের গুণী-মানীরা, বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ফলে এদিথের নাম ছড়িয়ে পড়তে বেশীদিন লাগলনা। রাস্তায় গাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেল এদিথের, বের হয়ে গেল রেকর্ড ডিস্ক। প্যারিসবাসী আবিস্কার করল এক অপূর্ব যাদুময়ী সুরেলা কন্ঠের অধিকারিনীকে।

এ সুখ বেশীদিন স্থায়ী হলনা এদিথের। পিতৃতুল্য ল্যপ্লে একদিন হঠাৎ খুন হয়ে গেল। অভিযোগের আঙুল উঠে এল এদিথের দিকেই। যদিও শেষ পর্যন্ত সে অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হয় কিন্তু এদিথকে আবারও নেমে পড়তে হয় অনিশ্চিত রাস্তায়। আবারও সস্তা ক্যাফে, ক্যাবারেতে গান গেয়ে বেড়া্তে লাগল এদিথ। সাথে চিরসাথী সিমোন। একদিন হঠাৎ দেখা হল গীতিকার, পিয়ানোবাদক রেমঁ আসো’র সাথে। সহৃদয় রেমঁ আবার পাঁক থেকে তুলে আনলেন এদিথকে। শেখালেন কীকরে কথায় বসাতে হয় সুর। কীকরে উচ্চারণ করতে হয় শব্দ। কীকরে মঞ্চে সারি সারি দর্শকের সামনে নাড়াতে হয় সম্মোহনী দু’হাত। বলতে গেলে রেমঁই ছিল এদিথের প্রথম সঙ্গীতগুরু।

শিল্পী এদিথকে আর পথে নামতে হয়নি। সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ছোট্ট চড়ুইয়ের গান।

কিন্তু দুঃখে ভরা এদিথের জীবন। ফ্রান্সের বিশ্বচ্যাম্পিয়ান মুষ্ঠিযোদ্ধা মার্সেল সেদাঁর সাথে এদিথের গভীর প্রনয়গাঁথা ইতিহাস হয়ে আছে। নিউ ইয়র্কে এদিথের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার পথে প্লেন দূর্ঘটনায় করুণ মৃত্যু হয় মার্সেলের। এই শোক এদিথকে একদম পাগল করে তোলে। তার এলকোহলে আসক্তি আর মরফিন নেওয়ার মাত্রাও বেড়ে যায় এ দূর্ঘটনার পর থেকে। এদিথের শুভানুধ্যায়ীরা বার কয়েক তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করালেও তাতে কোন লাভ হয়নি। শরীরের উপর ক্রমাগত অত্যাচারের ফলে চল্লিশের ঘরে পৌঁছানো এদিথকে দেখাত অশীতিপর বৃদ্ধার মত। অবশেষে মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই লিভার ক্যান্সারে মৃত্যু হয় ফরাসী সঙ্গীতের গানের ছোট্ট চড়ুইয়ের। প্যারিসের বিখ্যাত সমাধিস্থল প্যের লা শেজ-এ তার কন্যা মার্সেলার সমাধির পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় এদিথকে। যদিও তাঁর বেপরোয়া জীবনাচরণের জন্য প্যারিসের রোমান আর্চবিশপ তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে পৌরহিত্য করতে রাজি হননি, প্যারিসের হাজার হাজার মানুষ শেষবারের মত তাদের গানের পাখিকে ভালবাসা আর শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিল প্যের লা শেজ-এ।

২০০৭ সালে নির্মিত পরিচালক অলিভিয়ে দাআঁ(Olivier Dahan) পরিচালিত অসাধারণ চলচ্চিত্র ‘লা ভি অঁ রোজ’(La Vie en Rose) এ মোটামুটি ঘুরে ফিরে এসেছে এদিথের জীবনের এই কাহিনীই। এদিথের নাম ভূমিকায় অনবদ্য, অসামান্য অভিনয় করেছেন মারিওঁ কোতিয়ার(Marion Cotillard)। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ জিতে নিয়েছেন তিনি অস্কার যা কিনা এই প্রথমবারের মতই ফরাসী ভাষায় অভিনয় এর জন্য কোন শিল্পীকে দেয়া হল। ফ্ল্যাশ-ব্যাক এর দূর্দান্ত প্রয়োগের মধ্য দিয়ে পরিচালক অলিভিয়ে এদিথের শৈশব থেকে মৃত্যু শয্যা পর্যন্ত পুরো জীবনটা তুলে আনেন পর্দায়। এই অসাধারণ চলচ্চিত্রটি আরও প্রশংসিত তার সঙ্গীতায়নের জন্য। গানের জন্য শিল্পী এদিথের ভালবাসা, যেকোন মূল্যে গান গাওয়ার জন্য তার আকুল আকুতি দর্শকদের আবেগে আপ্লুত করে দেয়। এদিথের দুঃখময় জীবনের কাহিনীকে উপজীব্য করে রচিত হলেও এই ছবি কিন্তু জীবনেরই গান গেয়েছে। যে জীবন শত দুঃখের মাঝেও সুন্দর। যে জীবন মানুষের কাছে বারে বারে আসেনা। যে জীবনে গত হয়ে যাওয়া ব্যর্থতাগুলোকে, কষ্টগুলোকে ভুলে গিয়ে প্রয়োজনে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হয় বাঁচার জন্যই। একটা দৃশ্যে আমেরিকার কোন এক রৌদ্রোজ্জ্বল সমুদ্র-সৈকতে সাগরের দিকে তাকিয়ে বসে উল বুনছে এদিথ। তাঁর একটা সাক্ষাৎকার নিতে আসে এক তরুনী মার্কিন সাংবাদিক। এদিথকে সে জিজ্ঞেস করে, ‘যদি আপনাকে একজন মহিলাকে কিছু উপদেশ দিতে বলা হয় আপনি তাকে কী বলবেন?’ এদিথ জবাবে বলে, ‘ভালবাসো।’ ‘যদি একজন তরুনীকে কিছু বলতে বলা হয় আপনাকে?’ এদিথ আবারও বলে, ‘ তাকেও আমি বলব, ভালবাসো।’ ‘ আর একটা শিশুকে যদি কিছু বলার থাকে আপনার তো কী বলবেন?’ ‘ঐ একই কথা, ভালবাসো,ভালবাসো।’

মিশেল ভোক্যের(Michel Vaucaire) এর লেখা চার্লস দ্যুমঁ(Charles Dumont) কর্তৃক সুরারোরপিত এদিথ পিয়াফের কালজয়ী গান Non, Je ne regrette rien( না, আমার কোন দুঃখ নেই)-টি দিয়ে শেষ হয় ছবিটি। গানটির একটা ব্যর্থ ভাবানুবাদের চেষ্টা করলাম এখানে।

Non, rien de rien
Non je ne regrette rien
Ni le bien qu’on m’a fait, ni le mal
Tout ça m’est bien égal.

Non, rien de rien, non je ne regrette rien
C’est payé, balayé, oublié
Je me fous du passé

Avec mes souvenirs, j’ai allumé le feu
Mes chagrins, mes plaisirs,
Je n'ai plus besoin d'eux
Balayé les amours avec leurs trémolos
Balayé pour toujours je repars á zéro

Non, rien de rien
Non je ne regrette rien
Car ma vie car mes joies
Aujourd’hui ça commence avec toi

না, কোন দুঃখ নেই আমার
কোন কিছুর জন্যই দুঃখ করিনা আমি আর
যে ভালবাসা আমি পেয়েছিলাম একদিন কিংবা দুঃখগুলো
আজ তারা আমার কাছে নিতান্তই মূল্যহীন।

না, আজ আর দুঃখ করিনা কিছুর জন্যই
কারণ অতীতের সাথে সব হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে ফেলেছি
তার সমস্ত দাগ ধুয়ে-মুছে ভুলেছি আমি
তাকে নিয়ে মিছে মাথা ঘামাতে যাইনা আজ আর।

স্মৃতিগুলো দিয়ে সব আমি জ্বালিয়েছি আগুন
প্রয়োজন নেই আর তাই গত হয়ে যাওয়া কষ্ট-সুখগুলো,
ভালবাসাগুলোকে মুছে ফেলেছি তাদের তীব্র সুরগুলোসহ
চিরকালের মত সব ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে এভাবে
শূণ্য থেকে আবার আমি করি সব শুরু।

না, আজ আর দুঃখ করিনা কিছুর জন্যই
কারণ তোমাকে নিয়েই শুরু হল আজ
আমার জীবন, আমার সুখের সঙ্গীতগুলো।


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

এই গান অনুভব করার//বুঝার মতো দক্ষতা নাই।

লুই আমর্স্ট্রং কাকার ভার্সনটা বড় ভালু লাগে।

সিনেমাটা দেখিনি। তবে ফরাসী নায়িকাটিকে বড় ভালু লাগে। অবশ্য ফরাসীদের বরাবরই বড় ভালু লাগে। তারা বড় সঙ্গমবান্ধব জাতি। দেঁতো হাসি

ক্রেসিডা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সুমাদ্রী এর ছবি

গানটার একটা ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করেছি দ্রোহীদা। অনুবাদটা ভাল হলে হয়ত গানটা অনুভব করতে পারতেন। লুই আমস্ট্রং এর ইংরেজী গানটাও দারুণ। এই সিনেমার পরিচালক ঠিক অতটা সঙ্গমবান্ধব নয় কিন্তু। খাইছে

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

খুব সুন্দর করে লিখেছেন সুমাদ্রীদা। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম চলুক

অনুবাদটা পাশাপাশি না দিয়ে সিরিয়ালি দিলে পড়তে সুবিধা হত মনে হচ্ছে।


_____________________
Give Her Freedom!

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য। অনুবাদটা আসলে পাশাপাশি দিয়েছি যারা ফরাসী গানটা শুনে লাইনগুলো পড়তে চান তাদের জন্য। পরের বার থেকে মনে রাখব।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি

উত্তম জাঝা! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দারুণ লিখেছেন, আপনি তার গান সরাসরি বুঝতে পারেন, মহা সৌভাগ্যবান মানুষ।

তার সমাধিতে গিয়েছিলাম, তখন ব্যপক ভিড় ছিল, সিনেমাটি দেখার ইচ্ছে খুব কিন্তু ইংরেজি সাব টাইটেলসহ পাওয়া যাচ্ছে না এইখানে।

সুমাদ্রী এর ছবি

অল্প কিছু বুঝতে পারি, অত ভাল না আমার ফরাসী। আমারও মিস হয়ে গেছে পিয়াফ এর সমাধি দেখা। সাবটাইটেল এর জন্য http://www.opensubtitles.org/en/search/imdbid-450188/sublanguageid-all এখানে ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন। আমেরিকা, ইংল্যান্ড অথবা অস্ট্রেলিয়ার পতাকাওয়ালা ফাইলটাই ইংরেজী সাবটাইটেল এর ফাইল।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
ভিডিওটা কই?

সুমাদ্রী এর ছবি

আসে নাই? ইয়ে, মানে...

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

একরাশ মুগ্ধতা!
লেখা আর অনুবাদ, দুটোর জন্যই। চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সুমাদ্রী এর ছবি

উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ শিমুল আপা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

বাণীব্রত এর ছবি

অনবদ্য লেখা, অসামান্য অনুবাদ। চলুক

আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম হাসি

সুমাদ্রী এর ছবি

থ্যাঙ্কস দোস্ত। ছবিটা আবারও দেখলাম সেদিন মুগ্ধতা নিয়ে। তারপরই গানটা অনুবাদের কথা মনে এল। ভাল থাকিস, সাবধানে থাকিস।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অমি_বন্যা এর ছবি

এককথায় অসাধারণ আর একইভাবে একটানে পড়ে ফেলার মত অনুবাদ। ছবিটি দেখেছি বেশ কিছুদিন আগে তবে ইংরেজি সাবটাইটেল সহ।
একজন মানুষের জীবনে এত নাটকীয়তা খুব কম মুভিতেই এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এদিথের কষ্টের শুরু সেই জন্মের পর থেকে , একটু বড় হলে পতিতালয়ে আশ্রয়, তারপর রাস্তায় রাস্তায় স্ট্রিট সিঙ্গার হিসেবে রোদ আর বৃষ্টি ভেজা কষ্টময় জীবন সবকিছু মিলিয়ে তার যৌবন কেটেছে মানুষের করুণা নিয়ে। এরপর কোন এক ধনকুবের তার রাস্তায় গান গাওয়া শুনে হয়ে যান বিমোহিত । মুলত তখন থেকেই তার জীবনের চিত্রপট পাল্টাতে শুরু করে। এরপর প্রেমিক বক্সারের দুর্ঘটনায় মৃত্যু তাকে অভিমানী করে তোলে । তাই বেছে নেয় নেশাময় এক ভয়াবহ জীবন । পরিশেষে করুন পরিণতি ।

মুভিটা মুগ্ধ করার মতই। আর আপনি আরও একবার মুগ্ধ করলেন চমৎকার অনুবাদ দিয়ে। অসাধারণ দাদা চালিয়ে যান । ফ্রেঞ্চের আরও সুন্দর মুভি এভাবে সুন্দর করে বর্ণনা করুন।

কয়েক লক্ষ তারকা লেখার জন্যে। উত্তম জাঝা!

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য। মঁ তংকপি নিয়ে লেখা ছাড়ুন ঝটপট।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অমি_বন্যা এর ছবি

এইটা আবার কি দাদা? মাথার উপর দিয়ে গেল যে অ্যাঁ

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

এখানেও আছে। তবে ডাউনলোডে ইউটরেন্ট লাগে।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেখাটা আশ্চর্য রকমের কবিত্বময়। আপনার লেখার আমি বেশ ভক্ত, সুমাদ্রী ভাই।

তবে অনুবাদটা এরকম লাইনে লাইনে পাশাপাশী না বসিয়ে প্যারা আকারে দিলে ভাল হত বোধহয়।

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ ফাহিম। লেখাটা আবার নতুন করে সাজালাম। আপনার ফটোব্লগ নেই কেন?

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

দারুণ লেখা... উত্তম জাঝা!
আর্মস্ট্রং দাদুরটা শুনেছিলাম- আবার শুনছি...

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ কাঠুরে। গল্প কই?

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

ইয়ে, মানে...
কী যে কন্...

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

চমৎকার লেগেছে

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ রিশাদ। আপনার নাম আমার এক স্যারের কথা মনে করিয়ে দেয়। ময়ূখ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

২০০৭ সালের মার্চে দেখেছি হলে গিয়ে। জার্মান অনুবাদে। সেই থেকে পিয়াফের ভক্ত।

এই গানটা কতবার যে শুনেছি ঠিক নাই ....

সুমাদ্রী এর ছবি

পিয়াফের কন্ঠের একটা বিশিষ্টতা আছে। এই গানটা আমরা ফরাসী ভাষার স্কুলে অনেক গাইতাম। পারাম...পারাম...পারাম... ধন্যবাদ সুমন'দা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। লিখতে থাকুন।।।।।

সুপম রায়
২৯/০৭/২০১২

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ সুপন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অনুভূতিটা ঠিক প্রকাশ করতে পারছিনা। খুবই ভাল লেগেছে।

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে কবির ভাই। সুস্থ থাকুন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ক্রেসিডা এর ছবি

মুভিটা দেখে নেই.. ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ এর মুভি ইংরেজি সাব লাগিয়ে দেখতে কেমন যেন আনইজি লাগে। মানে ফরেন মুভিগুলো এখনো সেভাবে দেখা শুরু করিনি.. তাই সা্ব সহ দেখলে একবার স্ক্রীনে তাকাই তো একবার লিখার দিকে.. খালি মনে হয় কিছু মিস করতেছি। কোর্ডিনেশনের অভাব.. রেগুলার দেখা শুরু করলে ঠিক হয়ে যাবে।

ধন্যবাদ মুভিটার জন্যে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনি যা বলেছেন তা যথার্থ, রাজীব। উপায় নেই সাবটাইটেল দেখে দেখে যতদূর সম্ভব উপভোগ করার চেষ্টা করুন। চলচ্চিত্র আধুনিক শিল্পকলার শ্রেষ্ঠ এবং শক্তিশালী একটা মাধ্যম। একই সাথে সঙ্গীত, অভিনয়, আলোকচিত্র, কাহিনীর একটা দারুণ সন্নিবেশ চলচ্চিত্র। সুতরাং ভাল একটা চলচ্চিত্র প্রয়োজনে কয়েকবার দেখা যায় রস আস্বাদনের জন্য। ধন্যবাদ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সিনেমাটা দেখার আগ্রহ হলো খুব

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

গানটার অনুবাদ চমৎকার হয়েছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।