দূরে গেলে

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: শনি, ০১/০৯/২০১২ - ৮:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দূরের পার্বত্য শহরে কিছুদিন কাটিয়ে এসে ঘরে ঢোকার পর মনে হল
মাঝে মাঝে দূরে থাকা ভাল, সবকিছু থেকে।

দূরে যাওয়ার মুহুর্তে মনে হয়েছিল এ নির্বাসন হবে অসহনীয়,
সেখানে বন্ধু নেই, কোন কথা নেই, পরিচিত ফুলের গন্ধ নেই,
ঘরের সামনে দিয়ে রাগ করে চলে যাওয়া চেনা বাসগুলো নেই,
আমি নির্জন কারাবাসের বন্দীর মত ছটফট করব।

অথচ ক'দিন পর টের পেয়ে যাই
দূরে না এলে বোধ হয় কখনও আমার
নিজের এত কাছে আসাই হতনা।

দূর থেকে ফিরে এসে ঘরে কিছুদিন পর মনে হল
আসলে আবার নিজ থেকে অনেক দূরে সরে পড়ছি আমি।

মাঝে মাঝে দূরে থাকা ভাল তাই,
দূরে গেলেই আসলে নৈকট্যের স্পর্শ পাওয়া যায়।


মন্তব্য

কল্যাণ এর ছবি

দূরে গেলেই আসলে নৈকট্যের স্পর্শ পাওয়া যায়

ঠিক ঠিক ঠিক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সুমাদ্রী এর ছবি

মাঝে মাঝে সেরকমই মনে হয়।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অনিকেত এর ছবি

দুর্দান্ত লাগল সুমাদ্রী!
উত্তম জাঝা!

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেত'দা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ধুসর জলছবি এর ছবি

মাঝে মাঝে দূরে থাকা ভাল তাই,
দূরে গেলেই আসলে নৈকট্যের স্পর্শ পাওয়া যায়।

মনের কথা। হাসি

সুমাদ্রী এর ছবি

হাসি

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার কিছু কবিতা আমার পছন্দের। এইটা বক্তব্য মনে হয়েছে। কবিতা মনে হয়নি। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কাছাকাছি একটা বক্তব্য রাক্সিলাম।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনার লেখাটা ভাল লাগল অনিন্দ্য ভাই।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সুমাদ্রী এর ছবি

কবিতাও একধরনের বক্তব্য বটে। সেটা কখনও প্রচণ্ড ব্যক্তিগতও হয়, কখনও অনির্বচনীয়। একটা লেখা কীকরে কবিতা হয়ে উঠে সেটা নিয়ে হাজারো তর্ক হয়ে গেছে, হচ্ছে, হবেও। এসবের আসলেই কোন সংজ্ঞা নেই। যদি বক্তব্যটুকুও পাঠককে আলোড়িত করে একটা লেখার, সেটা কোন পদের সেটা তখন আর খুব একটা মুখ্য হয়ে দাঁড়ায় না। কবিতা মনে না হোক, বক্তব্যই হোক, সেটা কেমন লেগেছে আপনার তা কিন্তু জানা হোল না। ভাল থাকবেন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ছন্দে পড়লে আরো ভালো লাগত হয়ত। খুব সহজেই একরকম অক্ষরবৃত্তে ফেলা যায়। অক্ষরবৃত্তের টোটকা হচ্ছে জোড়সংখ্যক অক্ষরঅলা শব্দের পরে জোড়সংখ্যক অক্ষরঅলা শব্দ বসাইতে হবে, বিজোড়ের পরে বিজোড়।

যেমন আপনি লিখছেন,
লাইন ১
দূরের (৩) পার্বত্য (৩) শহরে (৩) কিছুদিন(৪) কাটিয়ে(৩) এসে (২) ঘরে (২) ঢোকার (৩) পর (২) মনে (২) হল (২)
লাইন ২
মাঝে (২) মাঝে (২) দূরে (২) থাকা (২) ভাল(২), সবকিছু (৪) থেকে (২)।
প্রথম লাইনটা অক্ষরবৃত্তে পরে নাই, সেকেন্ডটা পড়ছে। এইটাও একটা স্টাইল।

আমি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম লাইনটারে অক্ষরবৃত্তে বাঁটিছাট দিলাম:
লাইন ১
দূরের (৩) পার্বত্য (৩) শহরে (৩) কয়েকদিন (৫) কাটানোর (৪) পর (২) ঘরে (২) ঢুকে (২) মনে (২) হল (২)
লাইন ২ আগেরটাই।
মাঝে (২) মাঝে (২) দূরে (২) থাকা (২) ভাল(২), সবকিছু (৪) থেকে (২)।

এখন দেখেন বাঁটিছাটের পরে কৈ জানি ঝুলে গেল। এইটাই সমিস্যা মন খারাপ


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

স্যাম এর ছবি

সচলে কমেন্ট এর লাইক অপশন আনা যায় না?

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনার কবিতাবোধ ভাল

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ। কবিতা ভালবাসি। মাঝে মাঝে কিছু কথা, ছোটখাটো চিত্রকল্প উঁকি দেয়, লেখার চেষ্টা করি, এই। তবে সত্যি বলতে অনেক কবিতাই বহুবার পড়ার পরও আগা-মাথা কিছু বুঝিনা। তখন মনে হয়, আমার কবিতা-বোধ ভালনা। ভাল থাকবেন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেনাদেনা

চারটে আখর দেব তোমায় লেবু পাতায় করে
তুমি শুধু স্বপ্ন দিও নীল মলাটে মুড়ে।
তুমি নিও অপেক্ষা সব চারুকলার মোড়ে
আমায় দিও একটু খুশি ফাগুন হাওয়ায় চড়ে।
নিও তুমি অষ্টপ্রহর আলাপ সেলফোনে
আমায় দিও একটা সেকেন্ড ঘড়ি দেখে গুনে।
নিও তুমি গোটা ক্যানভাস কৃষ্ণচূড়ার পায়ে
আমায় দিও একটা আঁচড় একটুকু রঙ ছুঁয়ে।
নিও তুমি সুনীল আকাশ পেজা তুলোয় ভরে
আমায় দিও জলছবিটা ছোট্ট পাতে ধরে।
তোমায় দেবো সুরগঙ্গা সপ্তর্ষিটিরে
আমায় দিও একটা তারা একটুখানি দূরে।

এটা ওপরেরটার চে ভাল কবিতা।। যদিও এটা কবিতার কিছুই হয়নি। হাহা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কোনটা কোনটার চেয়ে ভাল সেইটার মাপকাঠি কী?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

দূরে না এলে বোধ হয় কখনও আমার
নিজের এত কাছে আসাই হতনা।
দূর থেকে ফিরে এসে ঘরে কিছুদিন পর মনে হল
আসলে আবার নিজ থেকে অনেক দূরে সরে পড়ছি আমি।

আমি কবিতা বোদ্ধা/ ভক্ত কোনোটাই না, কিন্তু আপনার লেখা কবিতাগুলোয় আলোড়িত হই।

-এক জোনাকি

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

নিরেট গদ্য দিয়ে পদ্য বানানোর চেষ্টা।।।হাহা

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ভাল লাগলো। ভাল থাকুন।

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকুন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

দীপ্ত এর ছবি

কবিতা কি করে হয় তা জানি না, তাই কবিতা কেমন হয়েছে তা বলতে পারবনা। কিন্তু বক্তব্যে আলোড়িত হলাম।

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ দীপ্ত।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

মর্ম এর ছবি

মাঝে মাঝে আসলেই দূরে সরে যেতে ইচ্ছে করে খুব!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।