ডী এক্ ক্নাইপে ৫

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ১১/১১/২০০৯ - ২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(এই সিরিজের শেষ পর্বটা আইছিল ২০০৭ এর ৩০ আগস্ট। দুই বছর পরে কোন সিরিজের পুনর্জন্ম পরবর্তী পাঠকদের বিভ্রান্ত না করার কোন কারণ নাই। কিন্তু আমার সিস্টেমটাই এইরক হইয়া খাড়াইছে। এরকম না হওয়াই ভালো। কিন্তু যা ভালো তা আমার হইতেছে না। হওয়ানো দরকার। মাঝে মাঝে খুব উদ্যোগটুদ্যোগ নেই। তারপর বুকডন দিতে গেলে দেখি পাখনায় ব্যাথা। ভেজিটেরিয়ান হইয়া যামু নাকি ভাবতাছি ........

পাঠকের মাইর না খাইতে আগের পর্বগুলার লিঙ্কু দেওয়া হৈল ....

ডী এক ক্নাইপে ১

ডী এক্ ক্নাইপে ২

ডী এক ক্নাইপে ৩

ডী এক ক্নাইপে ৪

)

২০০৬-০৭ এর নভেম্বর-মার্চে শীত পড়ে নাই। অন্তত মধ্য-উত্তর জার্মানীতে না। শীতের দিনে শীত না পড়া শীতের দেশে ভয়াবহ দু:সংবাদ। গ্রীষ্ম শেষ হতে হতে গুছিয়ে আনা সব প্ল্যানপ্রোগ্রাম ভেস্তে যায়। কাজ করতেও আলাদা করে ক্লান্তি বাড়ে।

নভেম্বরের শেষদিকে তেমন এক রবিবার অসহ্য লাগছিল। বেরিয়ে পড়লাম বেলা বারোটা নাগাদ। গায়ে মোটে একটা টি-শার্ট। ঠিক এক বছর পেছনে গেলেই ঐসময় ঠক্ঠক্ কাঁপতে হতো ভোম্বা জ্যাকেট চড়িয়ে। যাই হোক। তাপমাত্রা কমপক্ষে কুড়ি, পথে ধুন্ধুমার ধূলো। হাঁটতে হাঁটতে ফুলদার পাড়ে। স্রোত নেই। পানি স্বচ্ছ। একটা দুটো পোনা মাছ দেখা যায়। কখনো দুয়েকটা কচ্ছপ।

ওপারে গুটিকয় সোমত্থ বালিকা। সেদিকেই তাকাই। তাঁরা কি যেন একটা ঘিরে খিলখিল করছে। একটু পরে হালকা গোলাপী স্কার্টের বালিকা কি যেন কোলে করে চুমাচাট্টি দিয়ে নদীতে পা ডোবালো। খিয়াল করে দেখি বালিকার সিনায় এক পিস ঘোঁৎঘোঁৎ।

মেজাজ আরো খারাপ হলো। কুড়ি এমনিতে ভালো, যদি ঝকঝকে রোদ থাকে। কিন্তু সেদিন রোদও নেই, বাতাসও নেই, ভেজাও না শুকনোও না ধরণের কুৎসিৎ অনুত্তেজক আবহ। ঢাল বেয়ে উঠে এলাম পার্ক থেকে। অটোমাট দেখে মনে হলো খাই একটু বিড়ি। মানিব্যাগে খুচরা নেই। মেশিনে কয়েন ছাড়া নেয় না। উল্টো হেঁটে এলাম শহরের দিকে। পেট্রোল পাম্পের সামনে এসে তামাকের আগ্রহ চলে গেলো। সামনে এগিয়ে রাস্তা পেরোনোর সিগনালে হাত দিলাম। উল্টো দিকে সেই ক্নাইপে। প্রায় বছর খানেক যাওয়া হয় নি। দরজা হাট করে খোলা।

উঁকি দিয়ে দেখি বারে কেউ নেই। ডানদিকের ঢাল পেরিয়ে ম্যুলার আর ক্নাপ বিলিয়ার্ড খেলছে। আমাকে দেখেই হৈ হৈ করে উঠলো।

: দু ফাউলে যাক্! ( ব্যাটা অলস বস্তা!)

: ভী গেটস্ অয়েশ? ( তুমাগো খবর কী?)

বলে হাসি মুখে বারে গিয়ে বসলাম। পুরো পাবে সব মিলিয়ে চারজন। আমরা তিনজন বাদে আর একজন লিজি। পুরো নাম লিজেলটে শ্নাইডার। কেউ ডাকে লিজি কেউ ডাকে লটে। এ আবার কবে থেকে এখানে কাজ করে? একটু অবাকই হলাম। শুরুতে আমরা যখন ব্যাকুল হয়ে কামলা খুঁজছিলাম এই ছেমড়ি তখন খানিক উন্নাসিক আচরণ করেছিল। যাই হোক, ভাগ্যের ফেরে রুটি রুজিতে যখন নেমেছে তখন পুরনো কথা ভোলাই ভালো। এখন আর মুখে সেই উদ্ধত ভাব নেই। কেলার থেকে বের হয়ে পুরো ক্নাইপে তে একবার
ইনহি লোগোনে লে লিয়া দোপাট্টা মেরা ধরনের নজর দিয়ে বারের দিকে এগোলো।

বারে এসে মনোযোগ দিয়ে গ্লাস ধুতে ধুতে প্রায় মিনিট পাঁচেক পর প্লাস্টিক হাসি দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, খবর কী?

: আছি আর কী। মরি নাই তা তো দেখতেই পাচ্ছো।

: তোমার বন্ধুদের খবর কী? আলেক্স, স্টেফান, ইয়ানি, গুনার, বিলি, লেনা, দেসি, আলেকজান্দ্রা, রাগাদ, হাও মিং, কন্সটানটাইন.....

: বোধ হয় ভালোই আছে।

কিছুক্ষণ চুপচাপ। লিজি চুপচাপ বার ঝাড়া মোছা করে। আমি চুপচাপ বিলিয়ার্ড খেলা দেখি।

একজনের কথা ও জিজ্ঞাসা করেনি। আসলে ঠিক একজন না দুজনের কথা। আমাদের পুরনো বন্ধুমহলের তালিকা থেকে মরিৎস আর মিরিয়াম বাদ গেছে।

: কী খাবা?

: হুইস্কি।

: নাই। শেষ হইয়া গেছে। ভদকা আছে দিবো?

: দাও।

এই দোকানে মুড়িমিছরি একদর। ভদকা-হুইস্কি-রাম-ব্র্যান্ডি একদর। হুইস্কি জিম বীম বা জ্যাক ডানিয়েলস্, ভদকা মস্কোভোস্কায়া, ব্যাকার্ডি রাম আর ওসবার্ন ব্র্যান্ডি সবই নিরানব্বই ইউরো সেন্ট।

বাইরে পড়ন্ত বিকাল। রোদের খাবলাটা টেবিলের মাঝ থেকে আস্তে আস্তে ক্যাশ পার হয়ে জানালার পাশের বাকির লিস্টির উপর চলে গেল। বার আস্তে আস্তে বুড়োদের দখলে চলে যেতে থাকলো। লিজিকে অনেক দিন পর পেয়ে শুধু আবোল তাবোল আলাপ চালাচ্ছিলাম। মাঝে মধ্যে বুড়োদের ফোড়ন কাটাও চলছিল।

লিজি চুপ করে বসে ছিল বারের ওপাশে টুলের উপর। ডান পাশের জানালা দিয়ে এক ফালি রোদের রেখা উপুড় করে রাখা বোতলগুলি পেরিয়ে লিজির সোনালী চুল স্পর্শ করেছে। জার্মান লোকসঙ্গীত বাজছে ....ঈশ ফ্রয়ে মীষ ভেন ঈষ ডিশ যেয়ে (I feel happy when I see u..)। ভদকা এমনিতেই আমি তাড়াতাড়ি খাই। তারউপর এই বিরক্তিকর আবহাওয়া আরো তাড়া দেয়। নিরবতা ভাঙি।

- এই দোকানে কবে আসছো?
- হুঁ...এইতো মাস চার হৈলো।
- থিসিস শুরু করছো?
- আরে না...এখনো না...করবো দেখি ক্রিসমাসের পরে...প্রোজেক্ট রিপোর্টটা জমা দিয়া নেই...
- সেই রিপোর্ট এখনো জমা দেও নাই?
- না....
আমি আর কিছু বলি না। আমি প্রোজেক্ট করছি তখন ক্যাম্পাসের ভিতরে। কামলা দিয়ে আর বেশী কিছু পোষাচ্ছিল না। লিজিদের একটা গ্রুপ প্রফেসার শ্রোয়েডারের সাথে ব্রাসেলসে গিয়েছিল। মরিৎস, মিরিয়াম, স্টেফান, নাওমীরাও ছিল ঐ গ্রুপে। লিজি আর মরিৎস তখন পারলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৬ ঘন্টা জাবড়াজাবড়ি করে থাকে। ব্রাসেলস থেকে ফিরে আসবার পরে মরিৎসকে দেখতাম মিরিয়ামের সাথে। লিজিকে বহুদিন দেখিনি।

নাহ্ মজা লাগছে না। লোকে বারে মদ খেতে আসে মেজাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। এখানে অবশ্য ইতিবাচক আর নেতিবাচক নিয়ে দার্শনিক বচসা আছে।

- হালো! মাখ এস আন ! (hallo! turn it on!) এক বুড়ো দু নম্বর বিলিয়ার্ড টেবিল চাপড়ে লিজিকে ডাকলো। লিজি বিলিয়ার্ড টেবিলের নিচের কাউন্টারটা অন করে দিলো। সেখানে ৫০ সেন্ট ভরে শুরু হলো বুড়ো মাতালদের বিলিয়ার্ড খেলা। ক্নাপ প্রথম ঠেলায় বল পাঠালো বাম দিকের গর্তের কাছাকাছি; হাইটমান পরের ঠেলায় নিজের দলের বল গর্তে ফেলতে না পারলেও ক্নাপের টার্গেট প্রায় তিন বিঘৎ সরিয়ে দিলো.... নাহ্ খেলা দেখতেও ভালো লাগছে না। আবার বাড়ি যেতেও মন চাইছে না। বাইরের ব্যাজার দিন আর লিজির গোমড়া মুখ আর কুড়ি ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে বরফ ছাড়া ভদকা...সব মিলে একটা ভারতীয় পেঁয়াজ আর তুর্কী মরিচে রান্না খিচুড়ি দিয়ে হালাল বীয়ার খাওয়া পরিস্থিতি।

- একটা ডাবল পেগ দাও।
- তোমার কী হইছে? এই ভুল আবহাওয়ায় মাল টানতেছো ক্যান?
- ভালো লাগতেছে না কিছু। রাইত পোহাইলেই আবার সোমবার। সকাল দশটায় সেমিনার। তিনটা থিকা কামলা।
- এইটা নতুন কইরা খারাপ লাগার কী হৈল?
- প্রতিবারের খারাপ লাগাই একেকটা নতুন ঘটনা....
এইবার লিজির মুখটা কিছুটা বাঁকা হয় দুপ্রান্তে। ধরে নেওয়া যায় ছেমড়ি আমার কথায় কিঞ্চিৎ মজা পেয়েছে।
- ঠিকাছে। এইবার আমিও খাই একটা।
আমার খানিক অপ্রস্তুত মুখ দেখে বলে,
- আরে এইটা তোমার পয়সা দেওয়া লাগবো না। এইটা আমার পকেট থিকাই যাইবো। (বারে মদ বিক্রির চাকরি করা কোন মেয়ে বারের নিয়মমতো সাধারণত অন ডিউটি শুধু তখনই মাল টানতে পারে যখন সেটা কোন ক্রেতা স্পন্সর করে।)
- কিন্তু তুমি তো ডিউটিতে আছো।
- আর আধা ঘন্টা। এরপর ক্নাপ নিজেই বসবে বারে।
- ঠিকাছে। তাহলে আউফ ইক্স!

একটানে ডাবল পেগ চলে গেলো ভেতরে। মাথায় এতক্ষণে খানিক ভোঁ সাড়া দিলো।

- আরেক্টা দেই...বলে চোখ টেপে লিজি...আমি খাওয়ামু অসুবিধা নাই...

এইভাবে কর্তা-ক্রিয়া-কর্ম চলল আরো কয়েক চক্কর। কয় চক্কর মনে নাই। তবে এক লিটারের মস্কোভোস্কায়ার বোতলটা খালি হয়েছিল এইটা মনে আছে। ইতিমধ্যে লিজির ডিউটি শেষ। ক্নাপ বারের ঐপাশে বসে গোঁফে তা দিতে দিতে আমাদের কারবার গভীর মনোযোগে লক্ষ্য করছিল। বারে বারে ঘুরে গিয়ে পেগ নামানোর খাটনি বাঁচাতে যখন বোতলটা আমাদের হাতে দিয়ে দিল তখন সব মিলিয়ে পাঁচছয় পেগের মতো অবশিষ্ট আছে।

পুরো বোতল শেষ হবার আগে না পরে মনে নাই, লিজি খিলখিল করে হেসে আমার উপর লুটিয়ে পড়লো। ধরে সোজা করে বসিয়ে দিতে টের পেলাম মালে ধরেছে ভালো মতো। দুজনকেই।
- কী হৈছে? মাতালের মতো হাসো ক্যান?
- কারণ আমি মাতাল..খিক খিক খিক
- খাইছে?
- মানে?
- বুঝবানা ...মাতৃভাষায় বলছি....
কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে আবার ফিক করে হেসে ফেলে লিজি।
- ব্রাসেলসে কী হৈছিলো জানো?
- কেমনে জানুম? আমি তো যাই নাই...
- হৈছিল কি...তার একদিন পরে আমাদের ফিরা আসার কথা। আমি আর লেনা গেছি টুকটাক কিনতে। মরিৎস কয় আমি একটু ঘুমাই পেট খারাপ ইত্যাদি।
- তারপর?
- তারপর শপিং করার সময় দেখি আমার কাছে টাকা বেশী আর নাই। তখন ওরে ফোন দেই মার্কেটে আসার জন্য, রিং হয় কিন্তু ছ্যাড়া ফোন আর ধরে না। মেজাজ খারাপ কইরা ইন্টারনাটে যেইখানে আমাদের থাকার ব্যবস্থা ছিল, সেই খানে আইসা দেখি আমাদের ঘর থিকা চেঁচামেচি শুনা যায়...ছন্দোবদ্ধ কোলাহল...
- খাইছে..
- হাতের জিনিসপত্র আছাড় মাইরা নক করলাম। খুলে না....মিরিয়ামের আওয়াজ আসে...শাইস এগাল ...শাইস এগাল...মাখ ভাইটার...(যে নক করে তার গুষ্টি কিলাই....পরের বল...পরের বল...!)...পাক্কা ছয় মিনিট ধাক্কা মারার পরে মরিৎস ব্যাজার হইয়া দরজা খুলে...শালার পো আমার একটা স্কার্ট পড়া আর মিরিয়াম সোফার উপর অলিম্পিয়া ভঙ্গীতে শুইয়া আছে। মাগী আমারে কয় .....আহ্ দু...এস ইস্ট আবার নিষ্ট যো শ্লিম....ডাস ভার রাইন নাখবারশাফ্টলীষ...(আরে তুমি! এইটা খারাপ কিছু না, প্রতিবেশীর কর্তব্য কর্তেছিলাম...)....

লিজি আবার হাসতে শুরু করে। খুনে হাসি। আমিও হাসি। কেন হাসছি ঠিক বুঝতে পারি না।

- তারপর কী করলা? মরিৎসের স্কার্ট খুইলা দিলা?
- না। পকেট থিকা ক্যামেরা বাইর কইরা মরিৎসের একটা ছবি তুললাম।
- স্কার্ট পড়া অবস্খায়?
- হ্যা। তারপর দ্রুত ঐ ঘর থিকা আমার জিনিসপত্র নিয়া লেনার ঘরে আইসা পড়ছি। তারপর .....তারপর আর কী? আবার কাসেলে ফিরলাম....
- কিছু হয় নাই আর?
- কার মরিৎসের?
- না ওরটা জানি। তোমার?
- আমার আর কী? বাসা বদলাইয়া গেলাম ফিডলারস্ট্রাসে.... ...একটা সেমিস্টার পুরা এদিক ওদিক কইরা নষ্ট করলাম..
- এখন কি তুমি একা?
- হুঁ...কী জানি বুঝি না...
-


মন্তব্য

দুর্দান্ত এর ছবি

একে তো
হুইস্কি জিম বীম বা জ্যাক ডানিয়েলস্, ভদকা মস্কোভোস্কায়া, ব্যাকার্ডি রাম আর ওসবার্ন ব্র্যান্ডি সবই নিরানব্বই ইউরো সেন্ট

তার উপর

আরেক্টা দেই...বলে চোখ টেপে লিজি...আমি খাওয়ামু অসুবিধা নাই...

ধুর্শালা! কাসেলেই যামুগা।

--

সব মিলে একটা ভারতীয় পেঁয়াজ আর তুর্কী মরিচে রান্না খিচুড়ি দিয়ে হালাল বীয়ার খাওয়া পরিস্থিতি।

বেমজার এর চাইতে ভাল উদাহরন আর কি?

---
এস ইস্ট আবার নিষ্ট যো শ্লিম....ডাস ভার রাইন নাখবারশাফ্টলীষ

চলুক মেয়ে ভাল, উচ্চবংশ!

সবুজ বাঘ এর ছবি

খাউ খাউ যত পাউ গুড় মুড়ি আর মজা। অত্যন্ত অস্বুভাবিক মজা অনেকদিন পর পাইলাম.........হিহিহিহিহিহি

স্নিগ্ধা এর ছবি

আরে! এই পর্ব আসলো বলে জানলাম যে আগে আরও ৪ পর্ব ছিলো! সবগুলো পড়ে ফেললাম, ভালো লাগলো। তবে কিনা, আপনারও মনে হয় খুব 'অনলস' বলে দুর্নাম নেই - তাই, ৬ এর আশা আর করবো কি করবো না সেটা নিয়ে ...... দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

দুর্দান্ত লাগলো, পড়ে একেবারে থ্রিলড হলাম। কাষ্ঠবাঙাল ও জার্মান ভাষা যে এমন চমৎকার মিশ খায় কে জানতো! আর লেখার স্টাইল তো একেবারে দিলখোশ, বিষণ্ণতাও এমন সুন্দর হয় দেখে বিস্মিত হলাম।

যাই, কাজ ফাঁকি দিয়ে আগের পর্বগুলো পড়ি গিয়ে।

মূলত পাঠক এর ছবি

পড়লাম আগেরগুলো, অদ্ভুত রকমের ভালো লাগলো। আপনি মাঝে মাঝে এই সিরিজটা লেখেন না কেন? এদ্দিন পরে যখন শুরু করলেন তো এবার থামাবেন না। মাসে একটা করে হলেও হয়। হাসি

হাসিব এর ছবি

পুরা লাইফটাই শাইসেগালে রূপ নিতাছে ।

ফাহিম এর ছবি

দাদা ভালো ফাকিবাজ আছেন... বার্ষিক পরীক্ষার মতো বছরে একটা কইরা পর্ব নামান... আম কোয়ানিগপ্লাৎসটাও বন্ধ কইরা রাকসেন... ঠিক না...

=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

রাতুল [অতিথি] এর ছবি

সুমন ভাই,
আগে বাংলা লেখা শিখান...তারপর মন্তব্য করুম!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।