টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কি? ৯

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ২০/০৬/২০০৮ - ৩:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তারপর মোটামুটি মিনিট ত্রিশেক পরে একটা অসমাপ্ত বাজার। সেই বাজারের কোন এক দোকানে বসে চা খাওয়া গেল। তারপর ধীরেসুস্থে নড়েচড়ে রওনা দিলাম গেস্টহাউসের দিকে। গেস্ট হাউসের বারান্দায় উঠে দেখি কেউ নেই আশে পাশে। পাটাতন থেকে নেমে বেশ খানিকটা গেলে তারপর একটা ছোট অফিস মতোন। আমাদের তিনজনকেই তখন ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় প্রকৃতি ডাকছে। আমরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে উশখুশ করছিলাম, কিভাবে গেস্ট হাউসে রাত্রিবাসের কথাটা পাড়া যায়। জয়ের ভাষ্যমতে এটা যেহেতু মুরং অধ্যুষিত এলাকা, মার্মা রাজার রেফারেন্সে নানান ঝামেলা হতে পারে। সুতরাং সাদামাঠাভাবে এসে পড়েছি রাত্রিবাস করতে চাই জাতীয় অনুরোধই শেষতক স্থির হলো। এদিকে সেলিম ভাই প্রকৃতির উদাত্ত আহবান অস্বীকার করতে না পেরে সোজা চলে গেলেন অফিসের দিকে। সেখানে উর্দিপড়া একজন, তাঁর সাথে হুজুর গোছের টুপি পড়া আরো এক ভদ্রলোক। হুজুর জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কি ঢাকা থিকা আসছেন? জবাবে আমরা নানাভাবে বোঝালাম বেড়াতে এসে রাত হয়ে গেছে, কোথাও না কোথাও রাতে থাকতে হবে ইত্যাদি। কর্তৃপক্ষ প্রবল আপত্তি তুলে বললেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তালা খোলার অনুমতি নেই। তাছাড়া এখানে অনেক সমস্যা। পানি নেই, বিদ্যুত নেই। আমরা বললাম আমাদের বিদ্যুতের দরকার নেই, শৌচকার্যে অপরিহার্য পরিমাণের বাইরে পানিরও দরকার নেই। বহুমুখী আলোচনার একপর্যায়ে ভদ্রলোক ঘর খুলে দিলেন। বিছানায় একখানা শতচ্ছিন্ন জাজিম। রীতিমতো নারকেলী আঁশের বিস্তৃত দ্বীপপুঞ্জ। আরেক পাশে একখানা তুলনামূলক কম বিধ্বস্ত সোফা। নিচের দোকান থেকে ডজনখানেক মোমবাতি কেনা হয়েছিল। সেই আলোর প্রথম ছটায় আবিস্কার করলাম বাথরূমে পানির সঞ্চয় সাকুল্যে আধা বালতির কিছু কম। সেলিম ভাই অফিস কক্ষের পার্শ্ববর্তী লোকায়ত টাট্টি ঘরে নির্বাণ লাভ করলেও বাকি দুজন তখনো নিয়মিত আহবান নিরবে সয়ে চলেছি। সেদিন কপাল ভালো ছিল। বালতিতে আজলা খানেক বাকি থাকতেই মোক্ষলাভ হলো।

এর মধ্যে সেই হুজুর ভদ্রলোকের নানান প্রশ্ন। প্রথম জিজ্ঞাস্য হচ্ছে নাম। ডাকনাম বলে জয় হালকা ঝাড়ি খেল। কারণ তাতে ধর্মীয় স্টিকার নেই। অত:পর তিনি পাহাড়িদের বিষয়ে আমাদের সাবধান করে দিলেন। পাহাড়িরা তাঁর দৃষ্টিতে অতিশয় বিপজ্জনক। পাহাড়িরা জামা কাপড় কম পড়ে এবং মদ খায়। শুধু পাহাড়িরা না, চিম্বুকের চুড়ার নিচে বাঙ্গালীদের গুটিকয়ঘর বাদে পুরো পাহাড় আর পাহাড়ি জঙ্গলই বিপজ্জনক। সেখানে তাঁর মতে, বাঘ-ভালুক-হাতি ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের "দেও" আছে, যারা দুপেয়েদের নানারকম অপার্থিব ক্ষতি করে থাকেন।

ভদ্রলোক চলে গেলে আমরা পানিয়ের সুলুক সন্ধানে মন দিলাম। কিন্তু অন্ধকার নেমে আসায় ঠিক কোথায় গেলে আব-এ-মৌজ পাওয়া যাবে বোঝা যাচ্ছিল না। গেস্ট হাউসের ঠিক পেছনের ঢালেই আবার অনেকটা এলাকা জুড়ে পুলিশ ছাউনি। বিপরীতে মানে বারান্দা থেকে নিচের দিকে অনেকখানি নেমে পরবর্তী গ্রাম। আমি আর সেলিম ভাই অন্ধকারে পাহাড়ি পথ চলায় অনভিজ্ঞ বলে গেস্ট হাউসে থেকে গেলাম। বারান্দায় বসে প্রায় ঘন্টা তিন আকাশ পাতাল গপ্পো করতে করতে জয় একসময় ফিরলো। খালি হাতে। পেটে না। সামনের গ্রামে গেলাসখানিক জুটেছিল। নিয়ে আসবার মতো পরিমাণ ছিল না। যাই হোক। সোফা থেকে গদী তুলে সেই নারকেল দ্বীপের উপর লম্বমান হওয়া গেল। সারাদিন পথ হেঁটেছি ভাদ্রমাসের গরমে। কিন্তু চিম্বুকের চুড়ায় রাত যত বাড়ছিল কুয়াশা তত গাঢ় হচ্ছিল। সেই সাথে পর্বতের রহস্য বিশাল গ্রাসে গিলে ফেলছিল গোটাতিন অকর্মণ্য স্বপ্নখোর তরুণকে।

চোখে রোদ পড়তে ঘুম ছুটলো। সেলিম ভাই বারান্দায় রেলিঙের উপর বোর্ড নিয়ে বসে গেছে। জয় ভোররাত থেকে আবারো হাওয়া। ঘরের পেছন দিকের জানালা দিয়ে কয়েক ঝাঁক পুলিশের দলবদ্ধ দাঁত মাজা দেখা গেলো। বারান্দায় এসে দেখি দিগন্ত জোড়া পাহাড়। বহুদূরে কেওকারাডঙের আভাস। চিম্বুক পাহাড়কে মাঝে ফেলে দুদিকে চলে গেছে দুটো পাহাড়ি পথ। একটা রূমার দিকে আরেকটা থানছির দিকে। মন খারাপ ছিল। রসদ শেষের দিকে তাছাড়া গেস্ট হাউসও ছাড়তে হবে দুপুরের মধ্যে। কোন এক উর্ধ্বতন কত্তা নাকি বিকেলের মধ্যেই আসবেন। অর্থাৎ বান্দরবান ফিরতে হবে আজই। পাহাড়ে মন মতো আর ঘোরা হবে না। তারপরো অন্তত চোখের সাধ মিটিয়ে চারদিক দেখে নিলাম এই আর কি।

জয় ফিরতে ফিরতে বেলা বারোটা। ব্যাগ কাঁধে তুলে অতৃপ্তির শ্বাস ফেলে চিম্বুক থেকে নেমে এলাম। সামনের হোটেলে বসে অভ্যস্ত ভাততরকারিতে মধ্যাহ্ন ভোজন হলো। হোটেলের উল্টোদিকে একটা মুরং দোকান। সেখানে কয়েক রকম মশক সাজানো ছিল। তালের কিংবা কুমড়ার ছাঁচে বানানো। জয় দাম জিজ্ঞাসা করতে দোকানি জিভটিভ কেটে দিয়ে দিলেন। সেই মশকটা ঢাকায় ফেলে এসেছি। আধুনিক শোপিসের ভিড়ে কখনো বেমানান লাগলেও আমি জোর করে সেটা সব সময় সামনে রাখতাম। সেখানে পাহাড়ের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বলতে ভুলে গেছি, আগের দিন মুরংদের গ্রাম থেকে জল চাইতে ওরা ঐরকম আরেকটা মশক ভরে দিয়েছিল। সেটা আগেই জয়ের দখলে।

আবার যাত্রা। এবার ঢাল বেয়ে নামা। মনে হচ্ছিল সব কিছু নতুন। কাল কিছুই দেখিনি। দুচোখে পাহাড় গিলতে গিলতে ভাবছিলাম এবার হলো না। আবার কখনো আসবো। নিশ্চয়ই আসবো।

পথে প্ল্যান হচ্ছিল ভবিষ্যতের। একটা কোন দুর্ধর্ষ কিছু করতে হবে পাহাড় নিয়ে। বয়োজেষ্ঠ দুজন আমার উপর ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি করে টাকা জমানোর দায় চাপালেন। উদ্দেশ্য একটা জিপ আর একটা জবরদস্ত মুভিক্যামেরা কিনতে হবে। সেলিম ভাইয়ের স্কেচ আর জয়ের স্ক্রিপ্ট মিলিয়ে একটা ফাটাফাটি কিছু করতে হবে। তারপর চলে গেলো একদশকের মতো। আমরা বুড়ো হচ্ছি আর সরে যাচ্ছি। সরে যাচ্ছে পাহাড়গুলিও। সরিসৃপ পড়ে আছি বিমর্ষ সমতলে।

(চলবে?)


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভালোই হাটাহাটি করছিলেন
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হা সময়! হা অদৃষ্ট!



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমরা বুড়ো হচ্ছি আর সরে যাচ্ছি। সরে যাচ্ছে পাহাড়গুলিও। সরিসৃপ পড়ে আছি বিমর্ষ সমতলে।

****
পাহাড় আস্বাদনে সঙ্গে কোন কোন মশলা নিলা, সেটা কইলা না ভাতিজা!

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

রোসো কাকা রোসো...রসুন বুনিয়াছি...এখনো বান্দরবান-কক্সবাজার রাঙামাটি পর্ব বাকি...



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

শুকুর আলহামদুলিল্লা দেঁতো হাসি

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমরা বুড়ো হচ্ছি আর সরে যাচ্ছি। সরে যাচ্ছে পাহাড়গুলিও। সরিসৃপ পড়ে আছি বিমর্ষ সমতলে।

'থুতনির দাড়িতে পাক ধরে গেলে স্বপ্ন দেখার আর থাকে না সময়
যাপিত জীবনের তিনটি দশক ফেলে সংশোধিত স্বপ্ন দেখে ত্রিশোর্ধ্ব মানুষ'

০২
চলুক

আমাদের সরে যাওয়ার কাহিনী শুনে হয়তো কেউ এগিয়ে যাবে বয়স আর সাহস নিয়ে

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তাতো যাবেই।
তবে উৎকণ্ঠা হয় পাহাড় আর পাহাড় থাকছে না, সমুদ্রও আর সমুদ্র থাকছে না .......
পালাতে পালাতে কতদূর?
ওদিকেও সেই পীচের রাস্তা
অজগর গ্রাসে খুঁজছে-
বনের সবুজ গাঢ় মগ্নতা
লাঙলে কুড়ুলে ভ্রষ্টা



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক... পথ চলা থামে না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

থামলে তো এতদিনে চল্লিশা খাইয়া ঢেঁকুর তুলতেন দেঁতো হাসি



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ... কিন্তু কার চল্লিশা?
আমি চল্লিশা খাইতে পছন্দ করি না... এই মূহুর্তে জরিনা খাইতেছি... (আপনের মতো দেঁতো হাসি)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কত নম্বর শট চলে? দেঁতো হাসি



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

শয়তানী হাসি

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তা তো গনি না বস... দুই বছরের ক্লান্তি ঝরানোর দায়িত্ব নিছিলাম। দুইদিন কোথাও যাই নাই... কিছুই করি নাই... শুধুই ডুবাডুবি খেলা। ঘুম পাইলে ঘুম... তার্পরে আবার... এইভাবে।
দুই দিনের অধিবেশন সমাপ্ত। এখন কাজে যাইতেছি। একটা নাটক বানাইছি... এডিট করি গিয়া।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

করেন।
তবে গত দুইদিনের নাটকটাও সচলে আপলোড করতারেন....দেঁতো হাসি



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার বেশিরভাগ রাতই গত দুইদিনের মতো।
এখনও চলতাছে বস... এই মূহুর্তেও...
আর গত প্রায় দশ বছর ধইরাই আমার এইটা নিয়ম যে বছরে অন্তত দুইবার আমি ইচ্ছামত গিলুম... দুইদিন তিনদিন পাঁচদিন পর্যন্ত গেছে। আগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিরিশিরি চইলা যাইতাম এই ছুটিতে চোখ টিপি এখন ঢাকাতেই চলে।
এইসব বেশরিয়তি কথা সচলে লেখতে একটু ডরাই... কে কোনভাবে নেয়? তার্চে আমারটা আমারই থাকুক... ইয়া হাবিবি।
তবে ঢাকাস্থ সচলদের একদিন বাড়িতে ডাকায়া জরিনার মাজেজা উপলব্ধি কর্বার ইচ্ছা পোষন করি... তারা যদি সময় দেয়...

আপনে বিদেশী খান...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শেখ জলিল এর ছবি

আমরা বুড়ো হচ্ছি আর সরে যাচ্ছি। সরে যাচ্ছে পাহাড়গুলিও। সরিসৃপ পড়ে আছি বিমর্ষ সমতলে।
..দীর্ঘশ্বাস।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কালকে ভাবছিলাম পুরো সচলায়তন নিয়ে একবার পাহাড়ের দিকে বেরিয়ে পড়লে কেমন হয়....



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

রণদীপম বসু এর ছবি

আমরা বুড়ো হচ্ছি আর সরে যাচ্ছি। সরে যাচ্ছে পাহাড়গুলিও। সরিসৃপ পড়ে আছি বিমর্ষ সমতলে।

অজর অক্ষরগুলোই ধরে রাখুক সেই সব সুমন্ত সময়কে। লেখাটা আকর্ষণীয়। ভালো লাগছে। অভিনন্দন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সুমন চৌধুরী এর ছবি
সুমন চৌধুরী এর ছবি
সুমন চৌধুরী এর ছবি

বাত ইয়ে নেহি, বার মে কিতনা দারু হ্যায়। বাত ইয়ে হ্যায়, তু কিতনা পি সাকতা হ্যায়...



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

ধুসর গোধূলি এর ছবি
জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আর কত পর্ব সামনে আছে? বাক্সে তোলার আগে জানতে পারলে ভালো হইতো। ভ্রমন কাহিনী বইল্যা কথা!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আপনাকে মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসলে এই সিরিজটার কোন আগামাথা নেই। একধরণের স্মৃতি খাউজানি বলতে পারেন। চলমান ভ্রমণ কাহিনিটা দুই পর্ব আগে শুরু করার সময় ভেবেছিলাম এক পর্বেই খতম হবে। তারপর দেখি মাথা থেকে স্মৃতি মার মার করে বেরিয়ে আসছে। এখন সামনে আর কতো পর্ব আছে সেটা নির্ভর করে কতটা স্মৃতি চিপাচুপা থেকে সময় মতো ফুচকি মারবে তার উপর।

আমার লেখাজোখায় কোন প্ল্যানট্ল্যান থাকেনা। মানে পারি না আর কি মন খারাপ



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

" আমরা বুড়ো হচ্ছি আর সরে যাচ্ছি। সরে যাচ্ছে পাহাড়গুলিও। "
কেন যে আমরা বুড়ো হই...
আর কেন যে সরে যায় মন ভরিয়ে দেয়া পাহাড়গুলিও...

.........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দ্রোহী এর ছবি

৯ পড়লাম। স্মৃতির খাউজানি ভাল লাগতেছে....


কি মাঝি? ডরাইলা?

সবুজ বাঘ এর ছবি

নাটকের ছেলে,
এইসুমস্ত কী নাটুইক্যা কতাবার্তা খেলছ?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হ এইটা হটাশ সোমাজিক ছবি হৈয়া গেছে...দশে ম্যানেজ করছি



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।