নক্ষত্রের বিদায়

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: শুক্র, ০৫/০৯/২০০৮ - ৩:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এফ আর খানের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে ডাইনামিক এবং ভিশনারি প্রকৌশলীর কথা চিন্তা করলে আমার কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের কথাই মনে পড়ে। যদিও তুলনাটা মনে হয় ঠিক হল না। একজন শিকাগোতে ‘সিয়ার্স টাওয়ার’, ‘জন হেনকক সেন্টার’ ইত্যাদি অনন্য স্থাপনা সৃষ্টির মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। অন্যজন দেশের মধ্যে থেকেই বাংলাদেশকে পাল্টে দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।

কি করেছেন এই কামরুল ইসলাম সিদ্দিক? এক সময় বাংলাদেশ সরকারের ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি)’ মন্ত্রণালয় ছিল সবচেয়ে অথর্ব একটি মন্ত্রণালয়। কামরুল ইসলাম সিদ্দিক এর অধীনেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ’ বা এলজিইডি (Local Government Engineering Department)। কামরুল ইসলাম সিদ্দিক যখন এলজিআরডির একটি বিভাগ হিসেবে এলজিইডি শুরু করেছিলেন, সেটা নিয়ে তখন অনেকেই হাসাহাসি করেছিলেন- ‘বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, তার আবার প্রকৌশল বিভাগ!’ কিন্তু তিনি জানতেন বাংলাদেশ তথা গ্রাম বাংলার অর্থনীতির উন্নয়ন করতে হলে এর অবকাঠামোর উন্নয়নই সবার আগে করতে হবে। আজ এলজিইডি বাংলাদেশ সরকারের সবচাইতে সফল একটি বিভাগ। যদিও দুর্নীতির ডালপালা এ বিভাগটিকেও রেহাই দেয় নি কিন্তু আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের গ্রাম, উপজেলা, পৌরসভা ইত্যাদির রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট অবকাঠামোগত যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে- তা সব এই এলজিইডির হাত দিয়েই হয়েছে।

আমি ব্যাচেলর শেষ করে যখন এলজিইডিতে জয়েন করি, কামরুল ইসলাম সিদ্দিক তার অনেক আগেই এর প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু তিনি না থাকলেও সবাই জানে এটা তাঁরই প্রতিষ্ঠান। এলজিইডির সব প্রকৌশলীদের কাছে তিনি রোল মডেল। এলজিইডিতে যে শুধু অবকাঠামোগত বিভিন্ন প্রজেক্টই করা হয় তা নয়, বায়ু শক্তি, জল বিদ্যুত প্রকল্প থেকে শুরু করে বস্তি উন্নয়ন, দারিদ্র দূরীকরণ ইত্যাদি নানারকম প্রজেক্টও এখানে আছে। সিনিয়রদের কাছে শুনেছি কামরুল ইসলাম সিদ্দিক অফিসে এসেই আগে সব পত্রিকা পড়তেন। সেখান থেকে ইন্টারেস্টিং বিষয়গুলো তিনি দাগ দিয়ে রাখতেন। তারপর তাঁর সেক্রেটারীর কাজ ছিল সেগুলো থেকে প্রপোজাল তৈরী করে তাঁকে দেয়া। সেখান থেকে বাছাই করে তিনি প্রজেক্ট তৈরী করতেন। এলজিইডির অসংখ্য প্রজেক্ট নাকি এভাবে প্রথমে শুন্য থেকেই শুরু হয়েছিল।

বিদেশে চলে আসার আগে খুব অল্প সময় এলজিইডিতে ছিলাম। কিন্তু এই অল্প সময়েই কাজের খাতিরে চষে বেড়াতে হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ জনপদ। কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাও, নীলফামারি, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ইত্যাদি যেখানেই গিয়েছি সেখানেই এলজিইডির বিভিন্ন প্রজেক্টের শিলালিপিতে দেখেছি খোদিত আছে কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের নাম। একটা মানুষ কতটা ডাইনামিক হলে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নিতে পারেন!

কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের অন্য যে পরিচয়টা জেনে আপ্লুত হয়েছি তা হল- তিনি একজন নগর পরিকল্পনাবিদ। ইন্সটিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি)-এর প্রেসিডেন্ট বা এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে সবাই মূলত তাঁকে প্রকৌশলী হিসবে জানলেও, বুয়েট এবং ইংল্যান্ডের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি নগর পরিকল্পনায় মাস্টার্স করেছেন। এই তথ্য জানতে পারি যখন আমরা বুয়েটে প্রথমবার ‘নগর পরিকল্পনা সপ্তাহ’ আয়োজন করছিলাম। পূর্ত বিভাগের সচিব হিসেবে তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। আমলারা সাধারণত পদাধিকারবলে এ ধরণের অনুষ্ঠানে আসে, আবার চলে যায়। কিন্তু তিনি যে ব্যতিক্রম তার প্রমাণ আমরা পেয়েছিলাম যখন অনুষ্ঠানের প্রদর্শনী থেকে আমাদের দু’টি গ্রুপকে তিনি মন্ত্রনালয়ে প্রজেক্ট উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন অবাক হলেও পরে বুঝেছিলাম যিনি পত্রিকার খবর থেকেই প্রজেক্ট তৈরী করেন তার জন্য এমন আচরণই তো স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, পূর্ত বিভাগের সচিব থাকাকালীন তিনি আমাদের বিভাগের সব ছাত্রকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে ‘বিশ্ব বসতি দিবসে’র রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছিলেন। একদিন সকালে ডিপার্টমেন্টে গিয়ে দেখি আমার নামে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণপত্র। শুনলাম পূর্ত বিভাগ থেকে আমাদের সবার নাম সংগ্রহ করে সবার নামে আলাদা আলাদা কার্ড পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে যাবার অভিজ্ঞতা আমার সেই প্রথম এবং শেষ। এমন অভিজ্ঞতা হয়ত কখনো আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের হবে না। কারণ, বাংলাদেশের আর কোন সচিব তাঁর মত করে ভাবতে পারে কি না, আমার জানা নেই।

কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। তিনি ছিলেন এলজিইডির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম প্রধান প্রকৌশলী, ছিলেন পিডিবির চেয়ারম্যান, পূর্ত বিভাগের সচিব এবং ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক। দেশসেবার জন্য তিনি পেয়েছেন কবি জসিমুদ্দীন স্বর্ণপদক, আইইবি স্বর্ণপদক, শের-ই-বাংলা স্বর্ণপদক, ইঞ্জিনিয়ার্স গোল্ড মেডাল, জাইকা ফেলো ইত্যাদি। ১৯৯৯ সালে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তাকে ‘পারসন অফ দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করে।

অবসরের পরও কামরুল ইসলাম সিদ্দিক যুক্ত ছিলেন ‘বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশীপ’ নামক বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার একটি প্রকল্পে। গত ১লা সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে তিনি ব্রেন স্ট্রোকে মারা যান। আমি এটা বলতে চাই না তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশের খুব অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। এক জীবনে তিনি বাংলাদেশকে অনেক কিছুই দিয়ে গেছেন। তেষট্টি বছর পর্যন্ত নিরলসভাবে তিনি দেশের জন্য যা করেছেন, অনেকের পক্ষে হয়ত কয়েক জন্ম ধরেও তার কিছুই করা সম্ভব না। কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের মত মানুষেরাই হোক আমাদের অনুপ্রেরণা।

এলজিইডির শোক বাণী


মন্তব্য

জাহিদ হোসেন এর ছবি

যেহেতু অনেক আগে বিদেশে এসেছি, তাই কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের নাম শুনিনি কোনদিন। গত বছরে এখানকার এক বাংগালীর বাসায় দেখা হয়েছিল তাঁর সাথে। আমার কাছে একটা কথাই তাঁকে দেখে মনে হয়েছিল, যে এই মানুষটি কাজ করতে জানেন, কাজ করাতে জানেন। তাঁর স্মৃতিশক্তিও সাংঘাতিক। সেই কোন আমলে তিনি আমাদের শহরে চাকরী করতেন। আলাপে সেই প্রসংগ উঠতে তিনি আমার বাবাকে চিনে ফেললেন,তার কাছ থেকে সেই সময়ের বেশ কিছু মজার কাহিনীও শুনেছিলাম।
টিভিতে খবরটি দেখে বড় খারাপ লেগেছে। প্রার্থনা করি যেন তিনি শান্তিতে থাকুন।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রাফি এর ছবি

উনার জন্য শ্রদ্ধা।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অমি এর ছবি

বাংলাদেশকে বদলাতে একজন কামরুল ইসলাম সিদ্দিক নয় অনেক কামরুল ইসলাম সিদ্দিক দরকার, তার কাছ থেকে আসুন সবাই অনুপ্রেরনা নেই............

শেখ জলিল এর ছবি

এলজিইডির প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের সাথে কয়েকটি মিটিংয়ে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো। উনার মতো ডাইনামিক লোক আমি কমই দেখেছি। নিঃসন্দেহে তাঁর মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
...তাঁর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

কনফুসিয়াস এর ছবি

শ্রদ্ধা জানাই।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শামীম এর ছবি

শ্রদ্ধা জানাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রণদীপম বসু এর ছবি

সত্যি বলতে কি, কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের এতো সব পরিচয় আগে জানা ছিলো না, হয়তো বিষয় সংশ্লিষ্টতা না থাকার কারণে। হয়তো এভাবেই অনেক ক্ষণজন্মা ব্যক্তিরা, যাঁদেরকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি, প্রয়োজনীয় প্রজেকশনের অভাবে আমাদের বিশদ জানার বাইরে থেকে যান।কখনো কখনো অচেনাই থেকে যান।
আপনার পোস্ট থেকে তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনাকে। আর প্রয়াত কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের জন্য রইল শ্রদ্ধা।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তানবীরা এর ছবি

শ্রদ্ধা জানাই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

হিমু এর ছবি

এলজিইডির যত প্রকৌশলীর সাথে আলাপ হয়েছে, তাঁদের প্রায় সবাই সিদ্দিক সাহেবের সুখ্যাতি করেছেন। তাঁর গুণ তাঁর উত্তরসূরীদের মধ্যে সঞ্চারিত হোক। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তার প্রতি শ্রদ্ধা...
আপনার জন্য কৃতজ্ঞতা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অপ্রিয় এর ছবি

তাঁর মৃত্যুতে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই....

কিন্তু একটি দুটি অপ্রিয় কথা না বললেই নয়:

কথা না পালন করলে তিনি নাকি তাঁর অফিস রুমে প্রকৌশলীদের সারীবেঁধে নিল-ডাউন করে রাখতেন।

তার সময় তার অফিস কম্পাউন্ডে যদি কোন ছেলে মেয়েকে একত্রে কথা বলতে দেখা যেত তাহলে নাকি কঠোর শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা ছিল।

গত সরকারের আমলে মহাখালী ফ্লাইওভারের ভূমিকম্পনিরোধক যন্ত্রাংশ নিয়ে এক সভায় তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রি বেহুদা নজমুল টিভি ক্যমেরার সামনে তাকে খিস্তি করে ধমক দিয়ে বসিয়ে দেন। আমার মনে হয়েছিল এ ঘটনার পর যেকোন আত্মসন্মান সম্পন্ন মানুষ সে কাজ ছেড়ে দেবে। কিন্তু এ দেশে সচিব পর্যায়ে যেতে গেলে যে গুণটি সবচেয়ে বেশী দরকার "শক্তের ভক্ত নরমের যম", সেটিও তার ছিল ভালই।

আর একটি কথা, এফ আর খান প্রকৌশলী ছিলেন এবং তার কাজ ছিল উদ্ভাবনমূলক প্রকৌশল অপর দিকে কামরুল ইসলাম সিদ্দিকি প্রকৌশলী হলেও তিনি প্রধানতঃ ছিলেন একজন এডমিন্সট্রেটর।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

তানভীর এর ছবি

মানুষ হিসেবে আমাদের সবারই কম-বেশি ক্ষুদ্রতা আছে। তাঁর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্টে এসব ছোট ছোট বিষয় উল্লেখ করতে চাই নি। তিনি অধস্তনদের নিল-ডাউন করিয়ে রাখতেন কিনা জানি না, তবে কথা না শুনলে বা বেশি ছুটি-ছাটা চাইলে তিনি রাগারাগি করতেন শুনেছি। বাঙালী তো এমনি কাজ করতে চায় না, এটা হয়ত তার কাজ আদায়ের একটা পদ্ধতি ছিল। আর ছেলে মেয়ে কথা বললে শাস্তির ব্যবস্থা ছিল- এটা কখনোই শুনি নি। আমাদের পরিবারে দুই প্রজন্মের চার জন (নারী-পুরুষসহ) এলজিইডির সাথে যুক্ত ছিল এবং এখনো আছে। আগের প্রজন্মের যারা কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের সাথে সরাসরি কাজ করেছেন তাদের কখনো এ ধরণের কথা বলতে শুনি নি। আর বেহুদা নাজমুল হুদাহুদি চিল্লাচিল্লি করলে তার কথায় কান দিয়ে চলে যেতে হবে- এটা তো একটা আজব কথা বললেন!

আর প্রকৌশল বিদ্যায় অবদান বা প্রতিভার বিবেচনায় এফ আর খানের সাথে তুলনা করি নি (যদি করতাম তাহলে হয়ত ফজলে হুসেনের নাম বলতাম- যিনি পৃথিবীর একমাত্র প্রকৌশলী হিসবে ফ্লুইড ডাইনামিক্সের সবকয়টি সর্বোচ্চ পদক পেয়েছেন); 'ডাইনামিক এবং ভিশনারি' হিসেবে এবং দেশের প্রতি অবদানের প্রেক্ষিতে করতে চেয়েছি যদিও বলেছি তুলনাটা ঠিক যায় না। এফ আর খান ভিশনারি ছিলেন বলেই উঁচু বিল্ডিং বা স্কাইস্ক্রেপার নির্মাণ পদ্ধতিকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে গিয়ে সিয়ার্স টাওয়ার বানানোর চিন্তা করেছিলেন আর ডাইনামিক ছিলেন বলেই একটার পর একটা বিশাল কাজ করে গিয়েছেন। কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মূলত প্রকৌশলী হিসেবেই বাংলাদেশের এডমিনিস্ট্রেশনে ভিশনারি ভূমিকা রেখেছেন। তিনি যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন- এলজিইডি, পিডিবি, পূর্ত বিভাগ, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট বোর্ড সবই মূলত প্রকৌশলীদের প্রতিষ্ঠান।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শ্রদ্ধা জানালাম। এরকম মানুষের আসলেই বড়ই অভাব এখন আমাদের!
আপনার লেখায় কামরুল ইসলাম সিদ্দিক-কে জানলাম ভালোভাবে। আপনাকে ধন্যবাদ।
_______________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

মূর্তালা রামাত এর ছবি

তাঁকে শ্রদ্ধা।

মূর্তালা রামাত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।