২০০১ সালের ০১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল ধর্মান্ধ-বাংলাস্তানী ‘বিএনপি-জামাত’ জোট সরকার।
[justify]ছোটবেলায় প্রাইমারী স্কুলে পড়তে আমার দুইজন বন্ধু ছিল। একজনের নাম দীপক আর আরেকজনের নাম ছিল রত্না। ওরা ”হিন্দু” ছিল তখন জানতাম, কিন্তু ”হিন্দু” মানে আসলে যে কি তখন বুঝতাম না। কিভাবে জানতাম ওরা যে হিন্দু সেটা আজ আর মনে নেই, হয়ত কারো কাছ থেকে শুনে থাকব, কিন্তু তখন হিন্দু শব্দটা ছিল অনেকটা নামের মতই, কোন বিশেষ অর্থবহ কিছু ছিলনা। আমার বাসায় কখনও শেখানো হয়নি আসলে হিন্দু মানে কি অথবা আমার নিজের ধর্মের মানে কি!
[justify]একদিন সকালে উঠে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো।
অবাক হতেও ভুলে গেলাম যখন দেখলাম এক যুবকের সামান্য একটা ফেসবুক পোস্টে ট্যাগড হওয়া নিয়ে রামুতে তুলকালাম হতে দেখলাম। আগুন লাগানো ঘরগুলোর ছবি দেখেও ঠিক বিশ্বাস হতে চাচ্ছিলো না। খুব মনে হচ্ছিলো কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। এরকমতো হতেই পারে না। মানুষ এরকম বেকুবের মতো কাজ করে কিকরে? নিশ্চয়ই এটা ঝামেলা লাগানোর জন্য ছড়ানো খবর। পরে বুঝলাম বেকুব আসলে আমিই। দুপুর হতে হতে ফেসবুক, বিডিনিউজ২৪ এ ছেয়ে গেলো ছবিতে। পোড়ানো ঘরবাড়ির টিনের চালের ছবি, জ্বলজ্বলে গনগনে আগুনের ছবি, আয়েশে শুয়ে থাকা গৌতম বুদ্ধের শান্তি ভঙ্গের ছবি! আমার দাগী চোখ মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছিলো, পোড়া ঝলসানো লাশ হয়ে থাকা মানুষ, নির্জীব, অসহায়, দুই হাত তুলে আকাশের দিকে চেয়ে থাকা মানুষ! পেলাম না। কোনও মানুষের ছবি চোখে পড়লাম না। খুব আস্তে করে শব্দ নাকরে চেপে রাখা শ্বাস ছাড়লাম তখন। এখনও আশা আছে, ধর্মের নামে আমরা নরমাংস খেতে শুরু করিনি তাহলে এখনও, হালাল ভাবে জবাই করে ঘর পোড়ার আগুনে গ্রিল্ড নরমাংস এখনও তাহলে পাতে উঠেনি আমাদের!
[justify]গত বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই শিবিরকর্মী নিহত হয়। শিবির অধ্যুষিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম সংঘাত নতুন কিছু নয়, আগেও হয়েছে। এমনকি প্রাণহানির ঘটনার নজিরও খুঁজে পাওয়া যাবে। বরাবরের মত সংঘর্ষে লিপ্ত দুই দলই নিহতদের নিজেদের কর্মী দাবি করে এবং অনুমিতভাবেই একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিবৃতি দেয়। ঘটনার পরপরই অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ