Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

পাথুরে পর্বত

আকাশঢাকা পাথুরে পর্বতগণঃ ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা

রিক্তা এর ছবি
লিখেছেন রিক্তা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০২/১১/২০১৪ - ৬:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উত্তর আমেরিকার গ্রীষ্মে লঅঅম্বা বিকালের পর ঝপ করে মাঝরাত হয়ে যায়। হোটেল রুমে ফিরতে ফিরতে ঝিঁঝিঁ ডাকা রাত নেমে এলো। জানালার ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার দেখে মন কেউ নেই কিছু নেই লাগতে লাগতেই ঘুমের রাজ্যে ডুব দিলাম। পরের দিন সকালেও যথারীতি জানালায় উঁকি দিয়ে হরিণ খোঁজা; ওয়াশরুম এর ভেতর থেকে ওগো শুনছো বলে হাঁক দিয়ে দরজা খোলানো; কটকটে লাল লিপস্টিপ দিয়ে সকালের নাস্তা খেতে নামা; স্ক্রাম্বলড এগ, টোস্ট, জ্যাম জেলি, ফ্রুটস, জ্যুস,হোম ফ্রাই, আর মন মাতানো সুগন্ধের রোস্টেড কফি দিয়ে ঠেসে নাস্তা করে তোড়জোড় করে ল্যাগেজ নামানো শুরু করলাম। ঝকঝকে সকালের রোদে ফিরে যাওয়ার বিষন্নতা আর স্বস্তির চনমনে গন্ধ।


আকাশঢাকা পাথুরে পর্বতগণ: সপ্ত হ্রদ ও একটি পর্বত (প্রায়) জয়

রিক্তা এর ছবি
লিখেছেন রিক্তা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২২/০৮/২০১৪ - ২:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতিমধ্যে জ্যাস্পারের কাছাকছি এসে টোলগেট পার হওয়ার পরেই জিপিএস সম্বিত ফিরে পেয়েছে। তার দেখানো পথে আমাদের জ্যাস্পারের আস্তানা টেকারা লজে যখন পৌঁছালাম তখন রাত প্রায় দশটা। রিসিপশনের মেয়েটা তার জিনিস পত্র গোছাচ্ছে। আমাদের দেখেই খুবই স্বস্তি প্রকাশ করলো। ঘরের চাবি নিলাম এবং জিজ্ঞেস করতে ভুললাম না যে আসেপাশে ডিনারের ব্যবস্থা কি। ভদ্রমহিলা বেশ কিছু রেস্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন ধরিয়ে দিয়ে বললেন আর্লে যাও, ওইটা এখনো খোলা আছে। ক্যারিওন ল্যাগেজ নামাতে গিয়ে বুঝলাম ক্ষুধা তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে হাত পায়ের সমন্বয় পুরাই জোম্বি ধাঁচের হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে ব্যাগে রুমে রেখে রেস্টুরেন্টের দিকে রওয়া দিলাম। আধা কিলোমিটার রাস্তা যেতে পাক্কা পঁচিশ মিনিট লাগলো! এইবার অবশ্য জিপিএস কোন তেড়িবেড়ি করে নাই, মস্তিস্কের রেসস্পন্স টাইমের কারণে ঘটনা ঘটেছে। জিপিএস বলে ডাইনে যাও। আমরা দুইজন দুইজনের মুখের দিকে তাকাই। এরপর হাতের দিকে তাকাই। কোন হাত দিয়ে ভাত খাই মনে করতে করতে ডাইনের মোড় পার হয়ে যায়।


আকাশঢাকা পাথুরে পর্বতগণ: বৃষ্টির দিন, সূর্যের দিন

রিক্তা এর ছবি
লিখেছেন রিক্তা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ৩০/০৪/২০১৪ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাত গভীর হতে হতে পর্বতেরা অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। শুধু মাঝে মাঝে ট্রেন যাওয়ার ঝিকঝিক শব্দ। শেষ রাতে ঘন্টা দুয়েক মটকা মেরে পরে থাকার পরেও ঘুম আর আসলোই না! তাই ভোর পাঁচটার সময় থেকে আজকের ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করলাম। হোটেলের ওয়াশরুমে মিনিস্য মিনি কিছু সাবান তেল শ্যাম্পুর বোতল রাখা। অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ তাতে। কাঁচা হলুদের সাথে লেবুর রস মিশালে যেমন হয় তেমন। গায়ে লেখা ভারবেনা। ফিরে এসে ভারবেনা গন্ধী প্রসাধণী অনেক খুঁজেও পাই নাই। সব কিছু আবার ব্যাগে ঢুকিয়ে ক্যারিওন ল্যাগেজ নিয়ে গেলাম কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট করতে। গিয়ে দেখি বাঙ্গালী একা না, সবাই মাগনা পেলে আলকাতরা খায়।


আকাশঢাকা পাথুরে পর্বতগণ: ত্রিভগ্নী পর্বত ও অন্যান্য

রিক্তা এর ছবি
লিখেছেন রিক্তা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৪/১০/২০১৩ - ৫:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা মেগাসিটিতে থাকি আরেকটাতে অর্ধেক জীবন কাটায়ে আসছি, উঁচু বিল্ডিং মনুমেন্ট দেখছি। ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তিরিশ তলা উঁচু বিল্ডিং দেখেছি, টরন্টোর স্কাই ক্র্যাপার, এমন কি এক সময়ের মানুষের তৈরী উঁচুতম দালান সিএন টাওয়ারও দেখা হয়েছে, হচ্ছে। সেইসব উঁচু বিল্ডিং সব জুড়ে দিলেও এই পর্বতের সমান হবে না। এরকম কিছু আমি বাস্তবে কেন, স্বপ্নেও দেখি নাই। অনুভূতির কোথাও লুকিয়ে থাকলেও থাকতে পারে। দৈর্ঘ্যে প্রস্থে উচ্চতা, গভীরতায়, অপ্রতিসমতায় কোনভাবেই কিছুর সাথে তুলনা আমি এই পর্বতের তুলনা করতে পারছিলাম না। ফেরার পথে অবশ্য এই পর্বতকেই রীতিমত টিলার মত লাগছিল!!!


আকাশঢাকা পাথুরে পর্বতগণঃ প্রস্তুতি পর্ব

রিক্তা এর ছবি
লিখেছেন রিক্তা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৬/০৭/২০১৩ - ৬:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভ্রমণকাহিনী আর কাহিনীলেখক দুইটাই আমি খুবই অপছন্দ করি। কারণ আর কিছুই নাঃ আদি অকৃত্রিম ঈর্ষা। এইযে তারেক অণুর জন্য শতকরা ৯৯ ভাগ পাঠক হীনমন্যতায় ভুগি সেইটা কি কোন ভালো জিনিস? ভ্রমণের ব্লগগুলো আমি চটজলদি চোখ বুলাই, ছবি দেখে মনে মনে ভাবি আমিও যাবো। বেশিরভাগ সময় আমি হিংসায় পড়ে শেষ করতে পারি না। তাহলে আমি কেন ভ্রমণকাহিনী লিখছি? আবার কেন, প্রতিশোধের আশায়। জীবনে বহু সময় সচলায়তনে পার করেছি, করতেছি। সেইসব সময়ের দাম আছে না? এই লেখা পড়ার জন্য মডুদের সময় নষ্ট হবে। লেখা ছাপানোর যোগ্য হলে কথাই নেই! শিরোনাম পড়তে গড়ে তিরিশ সেকেন্ড লাগলেও হাজার লক্ষ পাঠকের সময়ের হিসাব করেই কেমন জানি দাঁতগুলো আপনিই বিকশিত হয়ে যাচ্ছে।