আকাশঢাকা পাথুরে পর্বতগণঃ ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা

রিক্তা এর ছবি
লিখেছেন রিক্তা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০২/১১/২০১৪ - ৬:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্ব

উত্তর আমেরিকার গ্রীষ্মে লঅঅম্বা বিকালের পর ঝপ করে মাঝরাত হয়ে যায়। হোটেল রুমে ফিরতে ফিরতে ঝিঁঝিঁ ডাকা রাত নেমে এলো। জানালার ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার দেখে মন কেউ নেই কিছু নেই লাগতে লাগতেই ঘুমের রাজ্যে ডুব দিলাম। পরের দিন সকালেও যথারীতি জানালায় উঁকি দিয়ে হরিণ খোঁজা; ওয়াশরুম এর ভেতর থেকে ওগো শুনছো বলে হাঁক দিয়ে দরজা খোলানো; কটকটে লাল লিপস্টিপ দিয়ে সকালের নাস্তা খেতে নামা; স্ক্রাম্বলড এগ, টোস্ট, জ্যাম জেলি, ফ্রুটস, জ্যুস,হোম ফ্রাই, আর মন মাতানো সুগন্ধের রোস্টেড কফি দিয়ে ঠেসে নাস্তা করে তোড়জোড় করে ল্যাগেজ নামানো শুরু করলাম। ঝকঝকে সকালের রোদে ফিরে যাওয়ার বিষন্নতা আর স্বস্তির চনমনে গন্ধ।

ফেরার যাত্রা শুরু করলাম। জ্যাস্পার থেকে ক্যালগেরি পাঁচ ঘন্টার উপরে ড্রাইভ। পাঁচশো কিলোমিটারের পথে অগুনতি শ্বাসরুধদ্ধকর দেখার জায়গা। আসার পথে সময়ের কারণে তেমন কোথাও থামা হয় নি। ঠিক করলাম ফেরার পথে সাধ মিটিয়ে দেখে নেব। আপাতত ঠিক করে রাখা দেখার জায়গা দুটো। আথাবাস্কা আর সানওপ্টা প্রপাত। দুটোই যাত্রা পথের একদম প্রথমে পরবে। মন থেকে তাই বিদায় বিদায় দুঃখ দুর করে ফেরার যাত্রা শুরু করলাম।

আথাবাস্কা প্রপাত একটা জটিল জিনিস। অবশ্য আমার কাছে জটিল লাগার একটা কারণ হলো এই প্রথম একটা প্রপাতের পতনের জায়গার সরাসরি উপর থেকে দেখার সৌভাগ্য হলো। বড়ই বিপদজনক সুন্দর। অনেক অনেক পানি বিপুল শক্তি নিয়ে পাথুরে পথে আঘাত করে করে বিপদজনক গতিতে খাদের আড়াল হয়ে যাচ্ছে। তীব্র গতিতে ফেনা উঠে পানি এতো উজ্জ্বল সাদা যে সরাসরি তাকালে চোখ অন্ধকার হয়ে আসে। ধূসর ময়লা বাদামী পাথুরে মাটির পাশে এতসাদা কেমন একটা অপার্থিব পরিবেশ তৈরী করেছে। নিচে তাকালে রীতিমত ভয় করে। সানওপ্টা প্রপাতে এইসবে সাথে আবার বোনাস হচ্ছে লুকআউট পয়েন্ট থেকে নদী প্রপাতে পড়ার বেশ আগে থেকেই দেখা যায়। মোটের উপর ভয়ংকর সুন্দর।

আগেই ঠিক করা ছিলো পথে খুব সুন্দর জায়গাগুলোতে থামবো আর ব্যানফে একটা মেগা ব্রেক নিবো। ঘটনা হচ্ছে ব্যানফ-জ্যাস্পারের হাইওয়ে স্বর্গের পথের মত সুন্দর। সব সুন্দর জায়গায় সত্যি সত্যি থামলে এখনো ব্যানফেই থাকতাম। কাজেই পথের ধারে ব্যাতিক্রমদর্শনের লুকআঊট পয়েন্টগুলোতে যেখানে পার্কিং ফাঁকা সেইখানেই শুরু থামা হলো। মাত্র এইকয়দিনেই পথের ধারে আদিগন্ত ঢাকা পর্বতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। মজার ব্যপার হলো এই যে এতএত আকাশস্পর্শী পর্বত তাতে দমবন্ধের অনুভূতি হয় না, বরং যতদূর যাবো অগুনিত পর্বতেরা আমাদের সাথে যাবে এমন একটা অনুভূতি হতে থাকে। জ্যাস্পার থেকে ব্যানফে যাওয়ার বাঁকেবাঁকে আক্ষরিক অর্থেই অপর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়ানো। পাহাড়ী জলপ্রপাত, ঝর্না, হ্রদ, নদী, আর আকাশে দেয়ালতোলা পর্বতমালা। ফ্রেয়াট ভ্যালি নামের উপত্যকাও নামা হলো। সেখানে বহুদূর পর্যন্ত ছড়ানো পাথরঃ লাল, মেটে, সবুজ, পাথুরে নীল, ধূসর, চ্যাপ্টা, গোল, লম্বা, অপ্রতিসম কি নাই সেখানে। দেখেই মনে হয় “সে এক পাথর কেবলি আছে লাবণ্য ধরে”

ব্যানফে পৌঁছাতে পৌছাঁতে বিকাল তিনটা বেজে গেলো। কাজেই আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা মোরাইন লেকে আবার যাওয়ার আশা ছাড়তে হলো। খাওয়ার জায়গা নিয়ে বেশি ঝামেলা না করে ম্যাকডোনাল্ডে ঢুকে গেলাম। অনেক অনেক ভীড়। তবে বাঙ্গালীকে ভীড়ের ভয় দেখায় কি লাভ! ঠেলা ধাক্কা, মিস্টি হাসি, চিপা দিয়ে একটা বসার জায়গায় চারদিন পর হাল্কা ঝগড়ার সাথে খাওয়া সেরে গাড়ির কাছে দৌড় দিলাম। পার্কিং লটের ধারে অবলীলায় দাঁড়িয়ে এক পর্বত। আমার জন্য দৃশ্যটা এতো অস্বাভাবিক যে মনে হয় যেন হলোগ্রাফিক ইমেজ দেখছি। পরের গন্তব্য ক্যালগেরি শহর। এমনি অনেক দেরী হয়ে গেছে। আর ভদ্রলোক সারাদিন ড্রাইভ করে করে এতো ক্লান্ত যে শহরের ফেরার পথে আমরা খালি মুগ্ধ ক্লান্ত মনে দুইপাশ দেখতে দেখতে পথ চলতে লাগলাম।

এয়ারপোর্টে যাবার আগে রাতের খাবার সারলাম সচল স্বপ্নহারার বাড়িতে। স্বপ্নহারা ভাই এর মধ্যে একটা বড়ভাই বড়ভাই ব্যপার আছে। আর তাঁর স্বপ্নদায়িনী স্বপ্নকণ্যাদের মতই অদ্ভুত সুন্দর, কথাও বলেন একদম মিষ্টি গলায়।। তাঁদের পিচ্চি খুবই জোশঃ মায়ের মত মিষ্টি, বাপের মত দরাজ। আমি প্রায় ক্যারিওন ল্যগেজ মাপতে বসে গেছিলাম যদি পিচ্চি ফিট করে তো চুরি করবো (এর সাথে অবশ্য পিচ্চি যে দুনিয়ার অল্পকিছু মানুষের একজন যে আমার হেঁড়ে গলার গান শুনে ভয় না পেয়ে নাচতে শুরু করেছিলো তার কোন সম্পর্ক নাই) চার দিন পর আপুর হাতের রান্না বাঙ্গালীখানা খেতে কি যে মজা লাগলো! অল্প সময়েই তড়িতগতিতে জোশ একটা আড্ডা দিয়ে এয়ারপোর্টের পথ ধরলাম। শেষ হলো নন্দনকাননে হাঁটাহাঁটি।

পরিশিষ্ঠঃ জীবনসঙ্গী ভদ্রলোকের স্বভাবচরিত্র খানিকটা পাথুরে পর্বতদের মত। প্রেমময় কথা বার্তা তার পেটে বোমা মারলেও বের হবে না (ভ্যাগিস, আমি যেই বান্দর স্বভাবের, নির্ঘাত হেসে ফেলতাম)। ভদ্রলোক বউকে মোটামুটি পছন্দ করে করে তা আগেই সন্দেহ করতাম। এই ট্রিপে অক্লান্তভাবে ১৭০০ কিমি. ড্রাইভ করার পর সন্দেহ বাস্তবে রূপ নিলো। আমার সদ্য পাওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, রোলার কোস্টারের মত ড্রাইভ করা, আর প্রতি ৫ মিনিটে অন্যমনষ্ক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি হাবিজাবি কারণে ড্রাইভিং সিটে বসাও হয় নাই। চারদিনে চলন্তগাড়িতে কল্পনার অতীতঁ সৌন্দর্য দেখে বিস্ময়ে, গভীর খাদের কিনারা দিয়ে যাওয়ার সময় আতঙ্কে, কারণে অকারণে বহুবার চিল্লাচিল্লি করে ভদ্রলোককে ডাকাডাকি করেছি, ননস্টপ বকবক করেছি। সে নিষ্ঠার সাথে সেইসব শুনেছে (হেহে বেচারা সাধারণত না শোনার ভাব করে) সু বিধামত জবাব দিয়েছে, নিরাপদে ড্রাইভিঙ্গের জন্য বহু সৌন্দর্য্য মিররে দেখে অথবা বর্ননা শুনেই উপভোগ করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। পাশ মার্ক হয়েছে কিনা না জেনেই তাই এই লেখা সেই পাথুরে বালককে উৎ’সর্গ করলাম।

পুনশ্চঃ বকা হইতে বাঁচতে আমাদের সুপ্রাচীণ কালের প্রায় শূণ্য মেগা পিক্সেলের ক্যামেরার আর আমার মোবাইলে তোলা কিছু ছবি যোগ করলাম। অনেক ছবিই আমার বরের তোলা। ভদ্রলোকের জীবন যৌবন মান এর সাথে সাথে এখন ছবিতেও ভাগ বসাচ্ছি শয়তানী হাসি ঝাপ্সা, বাকা, আউট অফ ফোকাস অথবা লেন্সে আংগুলওয়ালা ছবিগুলো আমার। (সুক্ষ হাতের কাজে এইজীবনেও দক্ষতা আসবে না আমার মন খারাপ)

আথাবাস্কা প্রপাত

সানওপ্টা প্রপাত -১

সানওপ্ট প্রপাত-২

ফ্রেয়াট উপত্যকা

মাশ্রুম চূড়া

ডাইনে পর্বত

বামেও পর্বত

পর্বতের ঢেউ শেষ (নাকি শুরু) প্রায়

পাথুরে বালক, পাথুরে পর্বতঃ


মন্তব্য

Sohel Lehos এর ছবি

সানওপ্টা প্রপাত এবং মাশরুম চূড়া অসাধারণ লাগল। আজ প্রায় সাত বছর ধরে প্ল্যান করছি ব্যানফ ন্যাশনাল পার্কে যাব। কিন্তু সে শুধু প্ল্যানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। দেখি সামনের বছর চেষ্টা নেয়া যায় কিনা। আপনার 'পাথুরে পর্বতগণ' পুরা সিরিজটাই আমার পছন্দ। চলুক

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

রিক্তা এর ছবি

ঘুরে আসেন প্লিজ। এতো সুন্দর যে, ঘুরে আসলে কোনভাবেই ঠকবেন না।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

বেশ পাহাড় দেখা হল আপনাদের সাথে।

রিক্তা এর ছবি

বাস্তবের পাহাড় এরচেয়ে হাজারগুন সুন্দর। আমি এই সৌন্দর্য্য একটু হলেও স্মৃতিতে রাখার জন্যই লিখে রাখলাম আর কি।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

কানাডিয়ান রকি একটা অসাধারণ জায়গা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রিক্তা এর ছবি

আসলেই। প্রায়ই ভাবি চাকরি বাকরি খুঁজে ক্যালগেরি চলে যাব। কি আছে জীবনে। শূণ্যের নিচে ২০ এর পর টরন্টো ক্যালগেরি সবি সমান।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ছবি দেখিনা তো! মন খারাপ বর্ণনায় উত্তম জাঝা!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রিক্তা এর ছবি

ধন্যবাদ। ছবি কি দেখা যায় না?

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আপনার প্রতিটা লেখা পড়া হয়েছে। চরম আলস্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ায় মন্তব্য দেয়া হয়নি। আজকে দিয়ে যাই।

এই জায়গা যে কি পরিমাণ সুন্দর, তা নিজের চোখে না দেখলে কেউ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না। আপনি ভাল লিখেছেন। আমি সামারের একটা বিশাল সময় (মিনিমাম ৫টা উইকেন্ড) এই জায়গায় কাটাই, আর ডে-ভিজিট তো আছেই।
এখন আপনার লেখার সাথে আমিও দু"ফোটা দিয়ে যাই।

১। এটা টানেল মাউন্টেনের কাছাকাছি একটা মাউন্টেন। ব্যানফ-এ। অসাম জায়গা।

২। এটাও ব্যানফ-এ। বো-ভ্যালি'র একটা অংশ।

৩। হুডূস দেখছেন কি? খাড়া খাড়া এই সাদা পাথর গুলিকে হুডূস বলে। কেন বলে জানি না।

৪।এইটা পুরোটা বো-ভ্যালি। আরেকটু ওয়াইড লেন্সু থাকলে পুরোটা তুলে আনা যেত। এইটা সালফার মাউন্টেনের ছাদে দাঁড়িয়ে তোলা।

৫। এর পরের দুইটা এমারেল্ড লেইক। এইটা অবশ্য ইয়োহো-তে। জ্যাস্পার বা ব্যানফ থেকে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার দিকে যেতে পথে পড়ে। সিমপ্লি টাস্কি খাওয়ার মত জায়গা। আমি এইবার যেয়ে তিন দিন একটানা ক্যাম্পিং করে আসার সময় আবেগে কাইন্দালছিলাম। পোলাপান ত্যক্ত হয়ে আমারে রেখে আসতে চেয়েছিল।

৭। এইটা টাক্কাকাও ফলস (Takkakaw)। এইটার নিচে ক্যাম্পিং করছিলাম। ভাইরে, কিচ্ছু বলার নাই। আপ্নে তো দেখে গেছেন, যা বুঝার বুইঝা নেন। এই জায়গা জ্যাস্পার ব্যানফের চেয়ে দুই সুতা বেশি সোন্দর্য্য।

থাক, আজকে আর না দেই।

আবার আসার দাওয়াত থাকল। জানিয়ে আসবেন। অসাম অসাম জায়গায় নিয়ে যাবো। চাইলে ক্যাম্পিং ও করিয়ে দিব। রকি'স এ যেয়ে যদি ক্যাম্পে না থাকেন, তাহলে জীবনের সাড়ে পনর আনাই মাটি।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

রিক্তা এর ছবি

ভাই আমি হিংসায় মারা গেলে আপনার দোষ। চারদিনের মধ্যে যাযা দেখতে পারি নাই আপনি তার স্যাম্পল দিয়ে কাটা ঘায়ে একেবারে সোডিয়াম ক্লোরাইড দিলেন। আপনার শাস্তিঃ দুই পয়সায় কাজ হবে না, পুরা টাকাই দেওয়া লাগবে। আপনার পিলিজ লাগে একটা পুরা পোস্ট দেন। আমি সেই পোস্টের জায়গাগুলো সাম্নের বার দেখতে যাওয়ার আগে হিংসা চেপে রাখবো নে যান।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

মরুদ্যান এর ছবি

গুল্লি ছবি সব!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তিথীডোর এর ছবি

গৃহবাসী বাউল, আপনি মৈরা যান।
হিংসায় আর কিছু টাইপ করার শক্তি পাইতেসি না আসলে। রেগে টং শয়তানী হাসি রেগে টং
আই রিপিট, আপনি মৈরা যান।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রিক্তা এর ছবি

যাক আমার হয়ে বলে দিলেন। মি টু রিপিট "আপনি মৈরা যান"

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

তিথীডোর এর ছবি

আট্টু এডিট করে বলি, পৈশাচিক ভাবে মৈরা যান।
মানে যাকে বলে ট্র্যাজিক ডেথ। মানে এই আর কী.. শয়তানী হাসি

বিঃদ্রঃ: আমি লুক খ্রাপ।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

স্বপ্নহারা এর ছবি

বাউল, তোমার লগে বোঝাপড়া আছে। এর মধ্যে কবে আইলা? বহুদিন দেখা হয় না।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

রংতুলি এর ছবি

চলুক হাসি

রংতুলি এর ছবি

চলুক লেখা পড়ে মজা পেলাম (প্রথমটাও পড়েছি)। ছবিগুলো কি সুন্দর! দেখেই তো যেতে ইচ্ছে করছে...

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

খাইছে!

পুস্টান তাড়াতাড়ি। আরও ছবিটবি দেখি

মরুদ্যান এর ছবি

পাঁচ তারা দাগালুম।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

রিক্তা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

স্বপ্নহারা এর ছবি

তোমার জামাই পুলাডা চিরকালই খুব ভাল! আমার ফেভারিট!

আবার কবে দেখা হবে? উইন্টারে ঘুরে যাইও এক সময়, অন্যরকম ফিলিং। তবে টরন্টো আর ক্যালগেরির মাইনাস বিশ এক না, টরন্টোর মাইনাস বিশ ক্যালগেরির মাইনাস ৩৫ এর মত। সামনের বার একটু সময় নিয়ে এসো, পুঁচকা-পুঁচকির ব্যাপক জমবে।

লেখা পড়ে মনে হলো, স্কুলে ২০০ শব্দের লিমিট আছে, সূচনা ছিল গত পর্ব, এই পর্বে উপসংহার! মাঝের মাংস অনেক কম হইছে।।। ভাবছিলাম কয়েক পর্ব জুড়ে পড়বো। মন খারাপ

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

রিক্তা এর ছবি

এক বছর ধরে পাঁচ পর্বের লেখা দিলাম যে! এইখানে সবগুলোঃ http://www.sachalayatan.com/taxonomy/term/18692

পুঁচকা আরেকটু বড় হোক। সময় নিয়ে আসবো নে।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

স্বপ্নহারা এর ছবি

হায় হায়, আমি দেখি প্রস্তুতির পর বাকিগুলান পুরা মিস!! মন খারাপ স্যরি।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

রিক্তা এর ছবি

স্যরির কিছু নাই, এতো দেরী করে লিখছি যে নিজেই ভুলে গেছিলাম খাইছে

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।