রাজকীয় অ্যালবাট্রসদের (Southern Royal Albatross, Diomedea epomophora) ছানা লালন-পালনরত অবস্থায় দেখলে পাখিদের প্রজন্মের ব্যাপারটি স্পষ্ট বোঝা যায়, অর্থাৎ ছানা-তরুণ-বুড়ো পাখিটির বয়সের পার্থক্য খুব সহজেই চোখে পড়ে। সাধারণত ক্ষুদে পাখিদের ক্ষেত্রে ছানারা মা-বাবার চেয়ে ১-২ বছরের ছোট হতে পারে কিন্তু অ্যালবাট্রসদের মত দীর্ঘজীবী পাখিদের ক্ষেত্রে প্রজন্মের ব্যাপারটি স্পষ্ট।
নিশাচর পেঁচারা তাদের বড় বড় চোখ, প্রায় ২৭০ ডিগ্রী ঘাড় ঘোরাবার অকল্পনীয় ক্ষমতা এবং অদ্ভুতাকৃতির মুখের জন্য হাজার হাজার বছর ধরে নানা দেশের লোককথায় চিরস্থায়ী আসন করে নিলেও প্রচলিত বিশ্বাসের মত তাদের অন্ধকারে দেখবার ক্ষমতা কিন্তু মোটেই মানুষের চেয়ে বেশী নয়।
১৯৮৯ সালের গ্রীষ্মে জ্যাক ড্যামবাখার নামের এক জীবতত্ত্ববীদ পাপুয়া নিউ গিনিতে বার্ড অফ প্যারাডাইস নিয়ে কাজ করছিলেন, গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির পাখি ধরে পায়ে রিং লাগানো এবং সেই সাথে জালে আটকা পড়া অন্যান্য প্রজাতির পাখিদের পুনরায় বলে ছেড়ে দেওয়া, যাদের মধ্যে প্রায়ই থাকত সেই বনের স্থানীয় বাসিন্দা গায়ক পাখি হুডেড পিটোহুই ( Hooded Pitohui, Pitohui dichrous)
বিশ্বের ক্ষুদ্রতম পাখি হামিংবার্ড পরিবারের এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন শতাধিক সদস্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রত্যেকেই পাখির ভুবনে বর্ণিল সব রেকর্ডের অধিকারী। তারা যেমন সবচেয়ে দ্রুত ডানা সঞ্চালন করতে পারে, তেমনি ভাবে পৃথিবীর একমাত্র পাখি হিসেবে পেছন দিকেও উড়তে পারে!
এক নাম না জানা প্রবাল দ্বীপের নির্জনতা ছেড়ে এক দল শ্যুটি পানচিল ( Sooty Tern, Sterna fuscata) দূর গন্তব্যে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাত্রা শুরু পরপরই মা-বাবা পাখি উড়ালরত অবস্থায়ই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাছ, স্কুইড ইত্যাদি খাদ্য সংগ্রহ করে তাদের ছানাদের খাওয়াতে থাকে। কিন্তু কবে তারা আবার ডাঙায় ফিরে আসবে, কেউই জানে না !