এক্স ক্রোমোজোম

দময়ন্তী এর ছবি
লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: শনি, ০৯/০৮/২০০৮ - ১০:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিঞ্জেওয়াড়ি ফেজ - ৩ : রাত ৯.৩০
-----------------------------------
অফিস থেকেই দেখা যাচ্ছিল বাইরেটা কিরকম মিশমিশে অন্ধকার হয়ে গেছে ৷ তার সাথে নাগাড়ে চিপচিপে বৃষ্টি ৷ এই এসইজেডটায় এখনও বিশেষ কোম্পানি আসে নি ৷ চতুর্দিকে কনস্ট্রাকশানের কাজের ঠ্যালায় সমস্ত রাস্তায় রাবড়ির মত পুরু কাদাবালির স্তর ৷ আজকে তো এসপিএম বলেছে গাড়ীতে নিয়ে নামিয়ে দেবে, তাতেই এই ১০টা অবধি থেকে যাওয়া ৷ নাহলে এই ১০টার বাসে চাঁদনি চক গেলে আর টমটম পাওয়া যায় না ৷ সাড়ে নটার পরই টমটম বন্ধ হয়ে যায় ৷

হিঞ্জেওয়াড়ি ফেজ - ৩ : রাত ৯.৪৫
------------------------------------
এসপিএম এসে বললেন অসম্ভব শ্রান্ত, তাই আর গাড়ী চালাতে পারবেন না ৷ বাসে করে যাবেন ৷ এইবারে ঐ নিকষকালো আকাশটা এক্কেবারে দমাস করে মাথায় ভেঙ্গে পড়ল ৷ কি সব্বনাশ!! বলে কিরে লোকটা! আমি যে এইসময় কিচ্ছু পাব না ৷ আর অফিসবাস তো চাঁদনী চক থেকে একেবারে অন্যদিকে ঘুরে যাবে !
ব্যাটা টাকলা আবার হি হি করে হাসছে!

চাঁদনী চক : রাত ১০.৪৫
----------------------------
উফ্ এই জায়গাটা কিরকম বিভ্রান্তিকর! ৩ টে হাইওয়ে এদিক ওদিক থেকে এসে এ ওর হাত একটু ছুঁয়ে দিয়েই আবার ছুট দিয়েছে যার যার গন্তব্যে ৷ এই ১৬ চাকার ট্রাকগুলো কেমন দানবের মত ধেয়ে আসে ----- আমি যেন কোনটায় যাব? ওহ্ ঐ কোণাটা পেরোতে হবে ---- একটা ভোঁ দৌড় দেওয়া যাক ---

বাবা আজ দেখি একটাও লোক নেই ৷ ইশ সেদিন্ এরকম রাতে অন্য প্রোজেক্টের দুটো ছানা ছিল ৷ ওরাই কোত্থেকে যেন আসা একটা বেঁটেমত বাস থামিয়ে লিফট নিল ৷ আজ তো দেখি সব শুনশান ৷

চাঁদনী চক : রাত ১০.৫০
----------------------------
এ: মোটে ৫ মিনিট হল ---- অথচ মনে হচ্ছে কতক্ষ অ ণ দাঁড়িয়ে আছি ৷ কিরে বাবা বাসগুলোও দাঁড়ায় না যে ------- টমটম তো নেইই নেই --- অটোরিকশরা এত রাতে ভোঁসভোঁস করে ঘুমোয় ------ গাড়ীগুলোকে হাত দেখাতে সাহস হচ্ছে না ----- তাহলে আমি বাড়ী যাব কিকরে?? হেঁটে চলে যাব? আড়াই কিমি মত হবে --- ওরে বাবা, এত রাতে অতটা হাঁটা ! এমনিতেই সারাদিন কম্পুস্ক্রীনে তাকিয়ে থেকে থেকে চোখ জ্বালা করছে ---- হাইওয়ে ধরে হাঁটা ---- আর এই অত ট্রাক ---- কে না জানে রাতের ট্রাকড্রাইভাররা বেসামাল হয় ----- এঁকেবেঁকে এসে ধাক্কা দিলে কোথায় ছিটকে পড়ে থাকবো কেউ জানতেও পারবে না ------- অবশ্য গলায় পাট্টা দিয়ে অফিসের আইডি ঝোলানো আছে ---- আইডেন্টিফিকেশান হয়ত হবে ------- কিন্তু টাকলাটা কিরকম বদমাইশ ------ তবে, এখন প্রোজেক্টের যা হাল, তাতে মাঝেমাঝেই এরকম রাত হবে --------- রোজ রোজ কি আর আগে বাড়ী আসা যায়---- আর কি ছ্যাঁচড়া কোম্পানিরে বাবা ----- ১ দিন আগে থেকে না বললে যত রাতই হোক গাড়ী দেবে না??!! ইশ নিজের গাড়ী থাকলে এসব ভাবতে হত না ----- এবারে ড্রাইভিং শিখতেই হবে -------

চাঁদনী চক : রাত ১১.০০
----------------------------
-তাহলে কি গাড়ীগুলোকেই হাত দেখাব? কিন্তু ঠিক সাহস হচ্ছে না -------"সাহস? সাহস হচ্ছে না? প্রাণে ভয়ডর আছে নাকি? ' তাই তো দেখছি ৷ ভয়ই তো লাগছে ৷ গতবছর ঠিক এরকম সময়ই তো উইপ্রো'র সেই মেয়েটার কেসটা হল ৷ কিন্তু সে তো বাচ্চা মেয়ে আমি তো প্রায় বুড়ি ৷ আর এই শহরটাও তো খুব "নিরাপদ শহর' ৷ কিন্তু উইপ্রো'র মেয়েটা ? আর তাছাড়া --------- তাছাড়া -------- ছুঁড়ি, বুড়ি যাই হোই এক্স ক্রোমোজোমের উত্তরাধিকারী তো বটে ৷ ইশ বেরোনর আগে ড্রয়ার থেকে জ্যাকেটটা বের করে পরে নিলেই হত ৷ এক্স-ক্রোমোজোমের চিহ্নগুলি আর ততটা প্রকট হত না তবে ৷ হাত দেখালে গাড়ী নাহয় থামল ---- কিন্তু তারপর যদি কাঙ্খিত রাস্তায় না যায়্ ------ যদি গন্তব্যে না থামে --------- আত্মবিশ্বাস আস্তে আস্তে গলে যেতে থাকে সিঙ্কে রাখা বরফের টুকরোর মত৷

সমস্ত রক্তকণিকায়, প্রতিটি কোষে অনুভুত হতে থাকে এক্স ক্রোমোজোমের অনিশ্চয়তা , ভীতি, নিরাপত্তার অভাববোধ ----------------

চাঁদনী চক : রাত ১১.০৫
----------------------------
ধুত্তেরি এরকম একটা জাঁদরেল ম্যাঞ্জার হয়ে এমন নেকু নেকু ভাবনা ---- ছ্যা ছ্যা ছ্যা ------ হ্যাঁ আজকে তো হল না, কালকেই রিস্ক রেজিস্টারটা শেষ করে ফেলে এসপিএমকে পাঠিয়ে দেব ৷ আইডিইউ হেডকেও কপি মার্ক করে দেব ৷ যা: প্যাঁচাত্ করে বাঁ পা টা কাদায় দেবে গেল ৷ এহেহেহেহে --- অ্যা ম্যাগো এখন কতক্ষণ এই রসমালাইয়ের মত কাদা পায়ে লেপটে থাকবে --- বা: ৪ জন লোক আসছে ৷ এরা কারা? সর্বাঙ্গ চাদর বা জ্যাকেটে ঢাকা --- এত্ত রাতে হাইওয়ের ওপরে এরা কে? কেন? কোত্থেকে? এসেই সমস্ত গাড়ীকে হাত দেখাচ্ছে ওরা ৷ কেউ থামছে না ৷ ও:হো ওরা বোধহয় আশেপাশের "গ্রীন ভ্যালি' বা অন্য কোন সাইটের কনস্ট্রাকশান ওয়ার্কার ৷ যাক অনেকটা নিশ্চিন্ত ৷ জানা কথা গাড়ী থামিয়ে ওঠার সময় লোকগুলো আমাকেই আগে উঠতে দেবে ৷ এক্স চিহ্নের অগ্রাধিকার --- এক্স চিহ্নেই পিছিয়ে থাকা

কিন্তু -- কিন্তু ----- ওদের ওপর কি সত্যিই --------- মস্তিষ্কের কোষে কোষে হিসহিসিয়ে ওঠে এক্স চিহ্ন ................

চাঁদনী চক : রাত ১১.০৮
----------------------------
ডিমার ডিপার ---- ডিমার ডিপার --- একটা টাটা ইন্ডিগ্লো ---- চলে গেল দাঁড়াল না ৷
ডিমার ডিপার ---- ডিমার ডিপার --- স্যান্ট্রো জিং --- চলে গেল
ডিমার ডিপার ---- ডিমার ডিপার --- হোন্ডা সিভিক আর ফোর্ড আইকন গাঁকগাঁক করে বেরিয়ে গেল , পাশ দিয়ে গোবেচারী মারুতি ৮০০ --- কতগুলো অশ্লীল বাইক শাঁ শাঁ ---------
ডিমার ডিপার ---- ডিমার ডিপার -----
ডিমার ডিপার ---- ডিপার ডিপার ---- একটা টাটা সুমো আসছে ৷
ডিপার ডিমার ---- দেখাই যাচ্ছে গাড়ীটা খালি ৷ মনে হয় দাঁড়াবে ৷
ডিমার ডিমার ---- পার্কিং লাইট টিমটিম ------
ওয়াই চিহ্নের দুটি মানুষ এগিয়ে দাঁড়ায় ৷
এক্স চিহ্নের মানুষটি একটু এগোয় --- বৃষ্টি আরেকটু জোর হয় --- হু হু হাওয়া ৷
হেডলাইটের দিকে তাকিয়ে নারীটি ভিজতে থাকে ৷
সুমোটি সামনে এসে থেমে যায় ৷
............X...................
............X...................


মন্তব্য

মনজুরাউল এর ছবি

ডিমার ডিপার ---- ডিমার ডিপার -----
ডিমার ডিপার ---- ডিপার ডিপার ----
ডিমার ডিমার ---

গল্পটা এখানে......এক্স ক্রোমোজোম
গল্পটা এখানে.....ওয়াই চিহ্নের দু'টি মানুষে
এক্স এন্ড ওয়াই
অথবা এক্স ডিভাইডেড বাই ওয়াই

আমি কি ঠিক বললাম ?
এইটা হ'ল খেলনা নগর......শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হবেই.....

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

বাপরে এ কি গল্প? কিছুই বুঝলাম না------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ব্যতিক্রমধর্মী গল্প -এক কথায় অসাধারন
কিন্তু শেষে এসে "নারীটি ভিজতে থাকে " দরকার ছিল কি
এক্স ওয়াই পরিচয় চিহ্নই যেখানে গল্পের সারাদেহে ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

কীর্তিনাশা এর ছবি

অসাধারন !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কনফুসিয়াস এর ছবি

নারীটি ভিজতে থাকে- এই লাইনটাকে আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়নি। বরং শেষ প্যারার ব্যাতিক্রমী বর্ণনার মাঝে এরকম সাধাসিধে পরিষ্কার লাইনটাকে বেশ মানিয়ে গেছে। এর দরকার ছিলো।
*
গল্পটা দুর্দান্ত হয়েছে দমুদি। আরো আরো লিখো।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মনজুরাউল এর ছবি

মন্তব্য'র সংখ্যা গুনবেন না।লিখুন। নবারুনিয়ালিস্টিক লেখার আকাল চলছে। স্মার্ট রিপ্রেজেন্টেশন। আপনার ধরণ মুগ্ধ করেছে।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

দময়ন্তী এর ছবি

মনজুরাউল,
"খেলনানগর' ভাঙবে এই আশা আমিও করি তবে এইটা ঠিক সেরকম ভেবে লিখিনি ৷ আপনি যা মনে করবেন , সেটা পাঠক হিসাবে আপনার স্বাধীনতা ৷ ও নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই৷ হাসি
আপনার দ্বিতীয় মন্তব্য সম্পর্কে কথা হল: নবারুণ ততটা নয়, বরং আমার চেতনা জুড়ে বসে আছেন আশাপূর্ণা, মহাশ্বেতা আর তারপরই সন্দীপন আর দেবেশবাবু ৷
"মসোলিয়াম' এর নবারুণ আমাকে হতাশ করেছেন ৷
ধন্যবাদ আপনাকে ৷

ক্যামেলিয়া,
আমি না, আমি না, আমি কিচ্ছু জানি না ৷ ঐ যে তানবীরা আমাকে উসকালেন আর আমি পুড়কি খেয়ে কিসব লিখে ফেললাম ৷ আপনি ওঁকে ধরেন হাসি

নুরুজ্জামান মানিক,
একদম ঠিক বলেছেন৷ লেখার পরে বুঝেছি, ঐ লাইনটা বাড়তি৷ না দিলেও চলত ৷ আসলে উত্তম পুরুষ থেকে নৈর্ব্যক্তিকে কি করে যাব বুঝতে পারছিলাম না ৷ তাড়াহুড়ো করে লিখে দিয়েছি ৷
ধন্যবাদ ৷

কীর্তিনাশা, ধন্যবাদ ভাই৷

কনফু বুড়া,
নারে ঐ লাইনটা আমারও বাড়তিই লাগছে ৷ এছাড়াও ২-১ টা জায়গায় একই শব্দের পুন:ব্যবহার হয়েছে ৷
কিন্তু তুই তো জানিস, আমি কিরকম আলসে আর কতদিন বাদে বাদে কিছু লিখতে পারি ৷ হাসি
তবু চেষ্টা করব ৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মনজুরাউল এর ছবি

দময়ন্তী,
আমি আপনার লেখার মধ্যে আশাপূর্ণা,মহাশ্বেতা,সন্দীপন,দেবেশ-কারো 'বসেথাকা ' পাইনি।বরং দেবীর ছেলেকে দেখেছি। যাগ্গে,'মসোলিয়াম' কিনিনি,পড়িনি_তাই হতাশ হইনি। আমার মনে হয়েছে 'কাঙাল মালসাট ' এর পর ওর আর লেখালেখির দরকার ছিল না। সিদ্ধিখাওয়া-ভাংখাওয়া আনন্দবাজারি মাখো-মাখো বঙ্গ সাহিত্যে 'কাঙাল মালসাট' একপিস। অবশ্যি এর সাথে কেউই একমত নাও হতে পারেন।
সবারই কিছু না কিছু 'রদ্দি'থাকে। 'তৃপাকে এক তোড়া ',এটা যে দেবেশ রায়ের ভাবতেই কষ্ট হয়।যাহোক,লেখককাশুন্দি শেষ হবার নয়।আমি আপনার লেখায় তীক্ষ্ন ফলা দেখেছি। তার রোয়াব না হলে কষ্ট পাব।
ভাল থাকুন।
হ্যাঁ, মুমুর পোস্টে শ্রুতিকে নিয়ে আপনার লিমেরিকের মন্তব্য লেখার সময় পাওয়ার ফেইল।
কৃতজ্ঞতা।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।