ছোটগল্প: শরম

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: শুক্র, ২৮/১১/২০০৮ - ৩:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাগলটা জ্বালাতন করে না তেমন একটা। কোন গালাগালি নেই, কারো উপর চড়াও হয়, এমন ঘটনাও নেই। একটাই সমস্যা। সারাক্ষন উলঙ্গ হয়ে থাকে। বাজার বলেই বা কি, ছেলেমেয়েরা তো এই পথ দিয়েই স্কুলে আসাযাওয়া করে! ওদের সামনে এমন একটা জোয়ান মানুষ যদি ল্যাংটো হয়ে ঘুরে বেড়ায়, কেমন দেখায়! কিন্তু কি করা! কয়েকবার মারও দেয়া হয়েছে, একবার এক দোকানদার জোর করে একটি পুরোনো লুঙ্গী পরিয়ে দিয়েছিল। তাতেও লাভ হয়নি। সামান্য দূরে গিয়ে সব খুলে ফেলে আবার পুরো দিগম্বর! শীত, গ্রীস্ম, রোদ, বৃষ্টি বলে কোন কথা নেই, সারাক্ষনই একই অবস্থা। এখন কিছু আর বলে না লোকজন- গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝে স্কুলের ছেলেমেয়েরা ঢিল ছোড়ে। সে কোন প্রতিবাদ না করে পালিয়ে যায় লোকের ভীড়ে। বাজারের দোকানদাররা যতোটা পারে, বাঁধাই দেয় স্কুলের ছেলেমেয়েদের। তারপরও লেগে যায় একটা দুটো। এইতো সেদিন কপাল রক্ত পড়লো অনেকখানি। এখনো দগদগে হয়ে আছে সে ঘা।

ছোট হলেও এই বাজারে লোকজনের আসাযাওয়া খুব কম নয়। দুরের বেশ কয়েকটি বাস এখান থেকেই ছাড়ে। সামান্য দূরেই একটি বস্তি গড়ে উঠেছে। এক সেলাই কারখানার মেয়েরা, কিছু দিনমজুর, আর কিছু রিকশাওয়ালার বাস সে বস্তিতে। তাদের ছেলেমেয়েরা বাজারে এসে ঘোরাফেরা করে। সময়ে অসময়ে সুযোগ পেলে এটা সেটা হাতিয়ে নিতেও দেরী করে না। এরই মাঝে ছাপড়ার ঘরে একটি রেষ্টুরেন্ট খুলেছিল একজন। সাধারণ মাছ-ভাতের সাখে বিরিয়ানীও করতো মাঝে মাঝে। রান্নার হাত খুবই ভালো, আর তাতেই হঠাৎ এমনি নামডাক হয়ে যায় যে, আঙ্গুল ফুলে কালাগাছ। এখন অনেক গাড়ীওয়ালা শহরবাসীরাও খেতে আসে এখানে। সে ছাপড়ার আর ঘরও নেই। চারপাশে ইটের দেয়াল, সামনে পুরু কাঁচ, ভেতরে বেশ আরামে বসে খাওয়াদাওয়া সারা যায়। বাইরে মাঝে মাঝে বস্তির ছেলেমেয়েদের ভীড় জমে- এটা ওটা পাবার আশায়। আর কিছু না পেলেও ভেতরের দিকে তাকিয়ে খাকে লোলুপ দৃষ্টিতে। তাতে এসব শহুরে বড়লোকেরা তেমন একটা শরম বা তোয়াক্কা করে বলে মনে হয়না। কাঁচের আড়ালে সে দৃষ্টির চাবুক তাদের গায়ে লাগারও কথা নয়। গায়ে যে চর্বির আস্তরণ রয়েছে, সেটা বর্ম হয়ে সব লজ্জাকে আড়াল করে আছে। বাইরে এলেই ঘিরে ধরে ছেলেমেয়েরা। বেশীভাগ শহুরেই কোলাব্যাঙের মতো চেহারা করে বাচ্চাদেরকে ধমকে গাড়ীতে ওঠে। যাদের গাড়ী নেই, তারা সহজে পালাতে পারে না। মুখ বেজার করে রিকশায় ওঠার আগে সিঁকি-আধলি ছুড়ে দেয় বাচ্চাদের।

মাঝে মাঝে পাগলটাও এসে দাঁড়ায় ওই রেষ্টুরেন্টের সামনে। স্কুলের ছেলেমেয়েরা ঢিল ছুড়লেও বস্তির বাচ্চাদের সাথে কেমন যেন এক সখ্যতা হয়ে গেছে ওর। আর না হয়েই বা কি! ও খাবার নিয়ে কাউকে জ্বালাতন করে না, বাচ্চাদের সাথে পাল্লা দেবার কোন আগ্রহও দেখা যায়না ওর ভেতরে। বরং দুর থেকে তাকিয়ে থাকে ওদের দিকে। ন্যাংটো না হলে, সেসময় ওকে পাগল বলেই মনে হয়না। কোন এক নরম মেঘ কবুতরের মতো উড়ে এসে তার চোখের উদভ্রান্ত দৃষ্টিকে আড়াল করে দেয়। সে দৃষ্টির প্রভাব এতো বেশী যে, অন্যদেরকেই তখন আরো বেশী অস্থির মনে হয়।

সেকারণেই হয়তো বাইরের লোকজন যাই করুক না কেন, বাজারের লোকজন ইদানীং তাকে সহ্য করে নিয়েছে। মাঝেসাঝে এটা সেটা খেতেও দেয়। আর উলঙ্গপনা নিয়ে সামান্য খুঁতখুতি থাকলেও এতো বেশী বিব্রত বোধ করে না আর। মুদি জামালুদ্দিন একদিন জানতে চাইল,
- কি রে পাগলা, ল্যাংটা হইয়া থাকস্, শরম করেনা তর?
পাগল মিটমিটিয়ে হাসে। এই হাসি দেখে কে বলবে, সে পাগল! মনে হয়, দৃষ্টির আড়ালে পৃথিবীর কোন গোপনীয়তাই অজানা নেই তার কাছে।
- শরম কারে কয়?
- এই যে, লুঙ্গী পরছি, গতর ঢাকছি, এইডারে শরম কয়।
- তুমি লুঙ্গী পড়ছ? গতর ঢাকছ? হাচা কতা কইলা?
বলেই হিহি হাসিতে গড়িয়ে পড়ে পাগল। হাসতে হাসতে দম আটকে একসময় কাশি শুরু হয়। থুতু আর কফ ছিটিয়ে পড়ে এদিক সেদিক। তারপরও হাল ছাড়েনা জামালুদ্দিন। নিজের লুঙ্গীটা দেখিয়ে বলে,
- এই যে, দেহস্ না! লুঙ্গী পইরা আছি!
- সত্য কতাডা কওচাইন দেহি! কাইলকা একডা ছোড পোলা চাইল কিনতে আইছিল। ওজনে কম দিছিলা। তহন ল্যাংটা আছিলা না?
- কেডায় কইছে, কম দিছি ওজনে?
- দিছিলা। তহনও ল্যাংটা আছিলা। এহনও ল্যাংটা অইয়াই আছ! হগ্গলেই ল্যাংটা। হোটেলওয়ালা, মসজিদের মৌলভী, টেরাকের ডাইভার, মিষ্টিওয়ালা, কারো গতরে কাপড় নাই। এই ল্যাংটা দুনিয়ায় শরম আবার কারে কয়?
এবার হাল ছেড়ে দেয় জামালুদ্দিন। এই পাগলের সাথে কথা বলা যায় নাকি! যা ভাগ, বলে বিদায় করে দেয়। পাগলও হাসতে হাসতেই সরে পড়ে কোনদিকে। পাশের দোকানের লোকজনও সেদিকে তাকিয়ে হাসে। জামালুদ্দিন সেদিকে তাকিয়ে তার বাটখারার দিকে তাকায় আরেকবার।

ও কোত্থেকে, কিভাবে এই বাজারে এসেছে, বলতে পারে না কেউ। কয়েক বছর আগে হঠাৎ কোন এক শীতের সকালে বাজারের আমগাছটির তলায় আস্তানা গাড়ে। প্রথমে দুরদুর করে তাড়িয়ে দেয়া চেষ্টা করেছিল অনেকেই। কিন্তু তারপর কিভাবে, কার কৃপায় যে রয়ে গেলো এখানে, সেটাও কেউ বলতে পারবে না। আর এখনতো বাজারেরই একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যায়, হঠাৎ উধাও, আবার ফিরে এসে অকারণেই হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরে মাটিতে। একদিন না এলে কেউ কেউ খোঁজখবরও নেয়। কেউ নাকি শুনেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ও আর ওর বাবাকে বেঁধে ওর মা আর কিশোরী বোনকে ওদেরই সামনে উলঙ্গ করে ধর্ষণ করে পাকিস্তানী সেনা আর রাজাকারের দল। তারপর ওর সামনেই গুলি করে হত্যা করে তিনজনকে। ওকে যে কি কারণে ছেড়ে দেয়া হয়, সেটা বলতে পারে নি কেউ। অনেকদিন নাকি ক্যাম্পে আটকে রেখে সৈন্যদের ফুটফরমাশ খাটতে বাধ্য করা হয়েছে। ওখান থেকে থেকেই নাকি পাগল হয়ে যায়। তারপর নাকি ছেড়ে দেয়া হয় কোথাও অজানা জায়গায়।

এরই মাঝে একদিন এক পেটমোটা শহুরে গাড়ী থামালো রেষ্টুরেন্টের সামনে। প্যাকেট প্যকেট খাবার কিনলো। এক অস্থির মোসাহেব গোছের লোক দোকানের কর্মচারীকে অকারণেই ধমকাতে ধমকাতে সে প্যাকেট তুললো গাড়ীতে। কাছাকাছিই বস্তির ছেলেমেয়েদের থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়েছিল পাগল। পেটমোটা শহুরে লোকটি মিষ্টির দাম দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে পাগলটিকে দেখে কি ভাবলো কে জানে! পাপমোচণ বা পূন্যের লোভেই হবে হয়তো! নিজে গিয়ে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিল তার হাতে। তারপর একটি সিগারেট ধরিয়ে নির্বিকার ভঙ্গীতে গিয়ে উঠলো গাড়ীতে। ষ্টার্ট দিয়ে একগাদা ধোঁয়া উড়িয়ে বিদেয় হলো বাজার ছেড়ে।

পাগল সে প্যাকেট হাতে নিয়ে বাজারের আমগাছটির তলায় এসে বসলো। বস্তির ছেলেমেয়েরাও এলো তার পেছনে পেছনে। ওদের চোখের তারায় যতো না লোভ, পেটে তারচেয়েও জ্বলন্ত ক্ষুধা। কিন্তু কি এক গোপন সমীহের কারণে পাগলকে ঘাটাতে এলো না কেউ। বরং বেশ একটি দূরত্ব রেখে তার দিকে জ্বলন্ত ক্ষুধার চেয়ে আরো তীব্র উৎসাহ নিয়ে তাকিয়ে রইলো সবাই।

পাগল প্যাকেটটি খুললো। ভেতরের খাবারের দিকে তাকিয়ে দেখলো একবার। এদিক সেদিক তাকিয়ে কি যেন ভাবলো একবার। তারপর আপন মনেই হাসলো কিছুক্ষণ। তারপর প্যকেটটি বন্ধ করে এগিয়ে দিল সেটি বাচ্চাদের দিকে। ওদের মাঝে সর্দারগোছের ছেলেটি এগিয়ে এলো সামনে। হাত নেড়ে বললো,
- না, পাগল ভাই, তুমি খাও।
- না, তরা খা, আমি খামুনা!
- ক্যান্?
পাগল কোন উত্তর না দিয়ে তাকিয়ে থাকে কোন এক শুন্যের দিকে প্রশ্নহীন চোখে। রোদের দুপুরের একরাশ লু হাওয়া সে শুন্যতাকে ধুলিময় করে মিলিয়ে যায় আবার। সে হাওয়া আর পাতার মরমর আওয়াজের মাঝে আবার শোনা যায় আরেকটি শিশুর কথা।
- পাগল ভাই, তুমি খাও!
- কইলাম না, তরা খা! আমি খামুনা, আমার শরম করে তগো সামনে।

আবারো দমকা হাওয়া বইল একরাশ। আর তাতে আমগাছ থেকে যে পাতাটি ঝরেছিল সকালে, সে পাতাটি হাওয়ার ঘোরে কোন লজ্জায় কোথায় লুকোলো, কে জানে!


মন্তব্য

শাহীন হাসান এর ছবি

কাঁচের আড়ালে সে দৃষ্টির চাবুক তাদের গায়ে লাগারও কথা নয়। গায়ে যে চর্বির আস্তরণ রয়েছে, সেটা বর্ম হয়ে সব লজ্জাকে আড়াল করে আছে। **

কোন এক নরম মেঘ কবুতরের মতো উড়ে এসে তার চোখের উদভ্রান্ত দৃষ্টিকে আড়াল করে দেয়। সে দৃষ্টির প্রভাব এতো বেশী যে, অন্যদেরকেই তখন আরো বেশী অস্থির মনে হয়। **

তীরন্দাজ,
অনেকিদন পর আপনার লেখা পড়লাম,
জানেনইতো অন্ধকারে ছিলাম ...!!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

তীরন্দাজ এর ছবি

শাহীন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যমিলনের হোটেলে ইন্টারনেট নেই। তাই আপনার কবিতা পড়তে পারিনি।

এই লেখাটা হোটেল বসে লিখেছিলাম। মিউনিকে ফিরে সাথে সাথেই ব্লগে দিয়ে দিলাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

প্রফাইল এর ছবি

"- পাগল ভাই, তুমি খাও!
- কইলাম না, তরা খা! আমি খামুনা, আমার শরম করে তগো সামনে।"

বুকের ভেতরটা টন্টন করে ওঠে। শরম্লাগে সত্যি। আপ্নি আসলে অর্জুন, তীরন্দাজ-শিরোমনি।

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এতো বড় প্রশংসা আমার জন্যে খুবই আনন্দের।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

"ওদের চোখের তারায় যতো না লোভ, পেটে তারচেয়েও জ্বলন্ত ক্ষুধা। "
সাংঘাতিক একটা কথা বলছেন .... আপনাকে স্যালুট

গল্প তো বরাবরের মতোই ,,,ধারালো ফলার মতো ঘা দেয় যেন,,, চলুক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

তীরন্দাজ এর ছবি

খুব খুশী হলাম বাদশা ভাই! ভালো থাকবেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক
দারুন লাগল তীরু'দা। বক্তব্যটা ভীষণ ছুঁয়ে গেল।


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনার জন্যে অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন প্রহরী!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পথে হারনো মেয়ে এর ছবি

পৃথিবিতে দূঃখের কারণ এত বেশি কেন??

লেখা নিয়ে তো আর কিছু বলার নেই...বরাবরের মতই

খেকশিয়াল এর ছবি

অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়লাম তীরুদা, দারুন লাগল ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ শিয়াল ভাই। এর আগেও কিছু লিখেছি, চোখে পড়েনি?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পুতুল এর ছবি

গল্প দারুন লাগল, দাদা কী ভাবে লিখেন এমন গল্প!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তীরন্দাজ এর ছবি

কী যে বলেন! অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগলো পড়ে

...........................
Every Picture Tells a Story

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ। ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

রানা মেহের এর ছবি

খুব খুব খুব ভালো লাগলো গল্প পড়ে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নিবিড় এর ছবি

হুম.....জটিল কথা গুলো এইভাবে বলা আসলেই কঠিন । ভাল লাগল তীরু'দা । ভাল থাকবেন ।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

এই ল্যাংটা দুনিয়ায় শরম আবার কারে কয়?

এক কথায় কতকিছু বলে দিলেন।
খুব ভাল লাগল।

রণদীপম বসু এর ছবি

এই গল্পটার জন্য প্রথম দিকে এতো ডিটেলসের দরকার ছিলো না। তবে
প্রথম দিকে গল্পের বাঁধন মজবুত না হলেও শেষের দিকে এসে চমৎকার আবেদন সৃষ্টি করেছে।
ধন্যবাদ তীরন্দাজ ভাই। ভালো লেগেছে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আপনার লেখা তো সবসময়ই ভালো । তবে এটা অন্য রকম ভালো লাগলো । গল্পটা গল্প হয়ে শেষ হয়েছে । আমদের অনেকের গল্পই তো হয় স্রেফ কিচ্ছা, না হয় প্রবন্ধ কি মুক্তগদ্য হয়ে আর গল্প হয় না শেষ পর্যন্ত !
চেনা কাহিনী, কিন্তু আপনার মুন্সিয়ানা, বলবার ঢঙে ! ভালো থাকবেন ।

( অফটফিকঃ নিস্বন পাবার প্রত্যাশা করে ( আমার ঠিকানাসমেত) আপনাকে ব্যক্তিগত মেইল করেছিলাম একটা , পেয়েছিলেন কি ? শাহীন হাসানকেও করেছিলাম । মেইল-ই গেলো না ! )

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

নির্বাক এর ছবি

অদ্ভুত! আমার মনের অনেক না বলা কথা আপনার গল্পটাতে পেয়ে গেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ রইল তীরন্দাজ! অসাধারন হয়েছে আপনার লেখাটি!

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মনে প্রশ্ন-জাগানো গল্প। যথারীতি সুন্দর।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তানবীরা এর ছবি

পাগল ভাই, তুমি খাও!
- কইলাম না, তরা খা! আমি খামুনা, আমার শরম করে তগো সামনে।

আমাদের আজকাল আর কিছুতেই শরম করে না।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

বর্ষণ দাস এর ছবি

- পাগল ভাই, তুমি খাও!
- কইলাম না, তরা খা! আমি খামুনা, আমার শরম করে তগো সামনে।

অসাধারণ লাগলো !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।