এতোটা ভীতু হলে চলে কি করে? যেমন হালকা শরীর, তেমনি ছোটখাটো মানুষটি। রোগাপটকা চেহারা। মনে হয় একটু বাতাসেই এলিয়ে যাবে সীমগাছের কঁচি ডগার মতো। ছেলেমেয়েরাও বাবাকে নিয়ে হেসে অস্থির! ভাইবোনে মিলে কারণে অকারণেই হঠাৎ চেচামেচি শুরু করে, আর আরিফ ‚কি হলো, কি হলো’ বলতে বলতে ছুটে যায় পাগলের মতো। খিলখিল করে হেসে দুই ভাই বোন একজনের উপর আরেকজন গড়িয়ে পড়ে। আরিফও ওদের ...
অণুগল্প এক
বিদায়ের সময় বুকে জড়িয়ে ধরলাম ওকে। ভেতরটা একেবারে খালি খালি মনে হলো। একটি ব্ছর ওকে ছাড়া কাটাবো কি করে? আমার কাঁধের উপর ওর চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়া একফোঁটা অশ্রু ওর ভেতরের ঝড়কেও স্পষ্ট করে দিল। তাতে আমার নিজের কষ্ট আরো কয়েকগুন বেড়ে গেলো। একসময় পরস্পর পরস্পরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। আমার দিকে একবার ম্লানমুখে তাকিয়ে বিদায় নিল সে। ওর অপসৃয়মান দেহটির দিকে তাকিয়ে রইলাম অনেকক্ষণ...
যোগসুত্র অনড় আর অদ্বিতীয়-
তোমার আর আমার বড় বেশী নিবিড় বাঁধন!
অস্টেপৃষ্ঠে চৌপ্রহর
বড় বেশী পাংসুটে ধুসর-আলো-দিন!
অস্থির আর অনিয়ন্ত্রিত যুদ্ধদিনে
অনেকেই পেরিয়ে গেলো পথ,
ছায়া কায়া কুয়াশা আর
মোহনায় যতিক্লান্তনিকষআধার!
অথচ তখন দিন ছিল, রাত ছিল,
কারো কারো বোধও ছিল।
কৃষ্ণচুড়োর স্তরে স্তরে জমে ছিল পরাজিত
সারিবদ্ধ পিপড়ের দল।
তারই একপাশে তুমি আর আমি-
বিবমিষা, অসীম উন্মাদনার বাঁশী হ...
বেশ আরামের একটি ঘর ছিল তার। চারপাশে নির্ভরতার দেয়াল, ওমওম উষ্ণতা আর নরোম আবেশ সারা শরীর জুড়ে। দিন কিংবা রাত নিয়ে ভাবতে হতো না, খাবার দাবার, ঘুমের সময় নিয়েও ভাবতে হতো না। শীত, গ্রীস্ম, রোদ, বৃষ্টি, এসব নিয়েও ভাবনা চিন্তারও কোন বালাই ছিল না। পাখির পালকের মতো হালকা সময়কে জড়িয়ে জড়িয়ে বেশ ভালোই কাটছিল তার।
এতো আরামের মাঝেও একটা কিছুর অভাব টের পেয়ে গেলো সে...
ওবামার অভিষেকের আগেই গাজা থেকে ইজরাইলের পাততাড়ি গুটাতে চেয়েছিল, এ কথাটি বেশ ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে এখানকার পত্রিকাগুলোতে। তার অর্থ হচ্ছে যুদ্ধে জেতা বা হারার চেয়ে আরো কোন লুকোনো রহস্য রয়েছে সে যুদ্ধের পেছনে। সেমতোই তো চলছে সব! সামনে আবার নিজেদের পার্লামেন্ট নির্বাচন। রাজনৈতিক কৌশল আর চালই আসল! মানুষের জীবনের মূল্য সেখানে শুন্যের কোঠায়। আর তারা...
খিঁলগাওয়ের ওভারব্রিজটি কয়েকটি বাঁক নিয়ে উঁচুতে ওঠে আবার নেমে মিশেছে আরেকটি রাস্তায়। সবচেয়ে উঁচু যে অংশটি, সেখান থেকে নীচোর রাস্তাটি অনেকটাই নীচে। মানুষজনকে খুব ছোট ছোট মনে হয়। অগুনতি রিক্সা আর স্কুটারের পাশাপাশি বেশ বড়সড় বাস আর ট্রাকও চলে সে রাস্তায়। আত্মহত্যার বেশ উপযুক্ত স্থানই বটে! উপর থেকে একবার লাফিয়ে পড়লেই সাথে সাথেই মরণ। তারপর যদি একটি বাস কিংবা ট্রাক এসে গায়ের উপর প...
২০০৭ এর একুশের দিনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলাম। এর মাঝে সময় অনেক পথ পেরিয়েছে, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও পাল্টেছে পুরোপুরি। আমাদের দেশে আবার ফিরে এসেছে গনতন্ত্র। পাশাপাশি আমরা সপ্ন দেখি ডিজিটাল বাংলাদেশের। কিন্তু তারপরও চিঠিটির কথা মনে করিয়ে দিতে ইচ্ছে হলো।
শ্রদ্ধেয়া শেখ হাসিনা
আজ ইনকিলাবে আপনার অবেদনটি 'প্লীজ সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলু...
হঠাৎ ছোট কোন কথা থেকেও জীবনের অনেক বড় পদক্ষেপের জন্ম হয়। তাতে পাল্টে যায় পুরো গতিপথ। আত্মিক বাঁধন, প্রতিদিনের দেখা কাছের মানুষগুলোর প্রতি সারাজীবনের টান হঠাৎই তুচ্ছ হয়ে পড়ে। ঢাকা শহরের কোন এক ব্যাস্ত দিনে বন্ধু শাজাহান আর আমি কাওয়াসাকিতে ঢাকা শহরেই আরেক বন্ধুর বাড়ীতে আড্ডার পথে।হঠাৎ পেছন ফিরে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
- মোটর সাইকেলে একবার পৃথিবী ঘুরে বেড়ালে কেমন হয় শাজাহান?
শাজ...
বুকের একপাশে প্রিয়জনদের ছেড়ে আসার ব্যাথা তখনো কঠিন বরফের মতো জমাট। অন্যপাশে প্রতিদিন একেকটি নতুন পৃথিবী নতুন চেহারায় উন্মোচিত। সামনে এক অজানা ভবিষ্যত, যার অজানা অবয়ব আমাদের চ্যালেন্জকে আরো বেশী জোরদার করলেও বুকের ভেতরের গুরুগুরু শঙ্কা কালো মেঘের মতো ছেয়ে আছে নিজস্ব পরাক্রমে। এমনি এক সময়ে কাবুলিওয়ালার দেশ আফগানিস্তানের কাবুলের এক হোটেলে আমরা...
পাগলটা জ্বালাতন করে না তেমন একটা। কোন গালাগালি নেই, কারো উপর চড়াও হয়, এমন ঘটনাও নেই। একটাই সমস্যা। সারাক্ষন উলঙ্গ হয়ে থাকে। বাজার বলেই বা কি, ছেলেমেয়েরা তো এই পথ দিয়েই স্কুলে আসাযাওয়া করে! ওদের সামনে এমন একটা জোয়ান মানুষ যদি ল্যাংটো হয়ে ঘুরে বেড়ায়, কেমন দেখায়! কিন্তু কি করা! কয়েকবার মারও দেয়া হয়েছে, একবার এক দোকানদার জোর করে একটি পুরোনো লুঙ্গী পরিয়ে দিয়েছিল। তাতেও লাভ হয়নি। সামান্...