বইমেলায় যাচ্ছেন?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/০২/২০১৫ - ৭:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুষঙ্গ: একুশে বইমেলায় প্রকাশিত সচলদের বইয়ের লিস্টি পেতে চাই।

একজন জানতে চাইলেন, কবে, কখন বইমেলায় যাচ্ছি।

অসুস্থ মানুষ। তারপর যা দিনকাল! বাসার গার্ডিয়ানদের বারণ, হুটহাট যেন কোথাও বেরিয়ে না পড়ি। আমার এই গার্ডিয়ানেরা হচ্ছেন, আমার বাসার গৃহকর্মীরা। সর্বক্ষণ আমার উপর খবরদারি! হ্যাঁ, আমি বুঝি বটে, তারা আমায় খুব ভালবাসে। তা দু-চারদিনতো নয়! একজনের এই ২৩ বছর হলো আরেকজনের ১২ বছর চলছে। প্রথমজন এসেছিলো তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের পর। আর দ্বিতীয়জন, তার মায়ের মৃত্যুর পর তার বাপ আরেকটা বিয়ে করায়।

থাক, সে ঘরের কথা, পরকে জানানো কেন!

হ্যাঁ, বলছিলাম, বইমেলার কথা। তা অনেককাল ধরেই বইমেলায় যাওয়া হয় বটে। এখনতো এটা রীতিমতো একটা অভ্যাসেই পরিণত হয়ে গেছে। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি আসলেই মনটা কেমন আইঢাই করে বইমেলায় যাবার জন্য। সত্যি বলতে কী, খুব যে একটা বই কেনা বা নতুন নতুন বই দেখার আগ্রহ বা আকর্ষণ ঠিক তেমনটা নয়।

মেলায় যাওয়ার অন্তরের মূল টান, সেই ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি! যদিও তখন ঢাকাতেই থাকতাম তারপরও ঠিক চিত্তরঞ্জন সাহার আমলের মানে সেই স্বাধীনতার পরপরের বইমেলায় কখনই যাওয়া হয়নি। নিয়মিত যাতায়াত শুরু আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই। বই কেনার মতো পর্যাপ্ত পয়সা তখন ছিলোনা বটে তবে প্রায় প্রতিদিনই বইমেলায় যাওয়া হতো, বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দেবার জন্য।

আহা, বাঁধভাঙ্গা যৌবনের সেই সব স্মৃতি মনে পড়লেই কেমন যেন লাফ দিয়ে উঠতে ইচ্ছে হয়! মনে হয় আরেকবার, শুধু আরেকবার যদি... টিউব থেকে বেরিয়ে আসা টুথপেস্ট যদি আবার টিউবের মধ্যে ঢোকাতে পারতাম (মুজতবা আলী থেকে মেরে দিয়েছি), যদি আবার সেইখান থেকে শুরু করতে পারতাম!

হ্যাঁ, আমরা সদলে উপস্থিত হতাম সেই সেসব দিনের বইমেলায়। তখন কিন্তু বইমেলার পরিসর এত বড় ছিলোনা আর লোক-জনের সমাগমও এখনকার মত এত বিপুলসংখ্যক ছিলোনা। মানে ভীড়ের গুঁতোগুঁতি খুব একটা ছিলোনা।যদিও এখন বইমেলার স্থান এক্সটেন্ডেড হওয়ায় গুঁতোগুঁতির মাত্রা কমেছে।

গুঁতোগুঁতি! হ্যাঁ, এই গুঁতোগুঁতির প্রাসঙ্গিকতায় বলতে হয়, তখনতো মেয়েদের শরীরের কোন কোন অঙ্গে হালকা গুঁতো বা ধাক্কা লাগলে উভয় পক্ষই যথেষ্ট বিব্রতবোধ করতো। সত্যিকার অর্থেই তখন মধ্যবিত্ত নারীরা ছিলেন এসব বিষয়ে অত্যন্ত রক্ষণশীল ও সংবেদনশীল। তখনকার সমাজে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে নির্ভেজাল প্রগাঢ় বন্ধুত্বের ধারণাটি স্বীকৃত হয়নি। ছেলে-মেয়ে মানে যুবক ও যুবতীর মধ্যে প্রেমজ/কামজ সম্পর্কের বাইরেও যে কোনরূপ প্রগাঢ় সম্পর্ক হতে পারে এ ধারণাটি তখনও কল্পনাতীত। আমাদের মাঝেও এই বিষয়ে দ্বিধা ছিল বৈকি!

তখনতো শাড়ীর আঁচলের একটু হঠাৎ ছোঁয়া বা ওড়না/দোপাট্টার ঝলকানি বুকে/মুখে স্পর্স করলেই মনটা কেমন আনচান করতো! হা হা, আপনার হাসি পাচ্ছে! অধিকাংশক্ষেত্রে এটাই ছিল বাস্তবতা।

তবে তখন থেকে ছেলে-মেয়েদের মাঝে বন্ধুত্বের ধারণাটি অনেকটাই স্বচ্ছ হতে শুরু করেছে এবং ছেলে-মেয়েদের মাঝে প্রয়োজনে নিছক বন্ধুত্বের সম্পর্কও তৈরি হচ্ছে এবং তা মেনে ও মানিয়ে নেয়াও যাচ্ছে বটে।

এই দেখ, একেই বোধহয় বলে ধান ভানতে শীবের গীত!

বলছিলাম বইমেলার কথা। হ্যাঁ, এবারও বইমেলায় যাব বৈকি! সচলদের লেখা বইগুলো কিনবো বটে। এদিক-ওদিক ঘুরবো, দেখবো, চা-কফি-খাব। অনেককাল হলো সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি। তা, মেলায় তেমন সঙ্গ পেলে চাইকি সিগারেটে একটা-দুটো টানও দিতে পারি!

মনের মতো কাউকে না পেলে একাই ঘুরবো। পুরনো দিনের কথা স্মরণ করে সময়কে ছুঁয়ে দেখবার চেষ্টা করবো। স্টলে স্টলে ঘুরে নতুন বই নেড়ে চেড়ে গন্ধ শুঁকে পুরনো আধ-প্রেমিকার শাড়ির মাড়ের, বগলের ঘামের গন্ধ পাবার চেষ্টা করবো!

কি ভাবছেন? আমার মতো বয়স হোক, বুঝবেন, পুরনো দিনের স্মৃতিচারণে কত মধু! কত সুখ! আহা!

ও হ্যাঁ, বইমেলায় যাচ্ছি। আপনার সাথে দেখা হয়েও যেতে পারে বৈকি! হাসি


মন্তব্য

আয়নামতি এর ছবি

তখনতো মেয়েদের শরীরের কোন কোন অঙ্গে হালকা গুঁতো বা ধাক্কা লাগলেই তাদের ইজ্জত পাংচার হয়ে যেত!

এই অংশটুকু পরের অংশের সাথে ঠিক ভাব জমাতে পারেনি যেন!

সবার কথা তো জানিনে, দু' একজনের কথা বলতে পারি:

১। "আশাকর্পুর" মাহবুব আজাদ(এটার বিস্তারিত লেখকের কাছ হইতে জেনে নিন প্লিজ)

২। "সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ" , সুহান রিজওয়ান (Shuhan Rizwan, ME'06)
১৯৭১ এর মার্চ হতে ১৯৭৫ পর্যন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে উপন্যাস, মুল্যঃ ৪০০টাকা
শুদ্ধস্বর প্রকাশনী (স্টল নং - ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬)

৩। চরম উদাস এর : ''এসো নিজে করি'' --
প্রাপ্তিস্থানঃ নান্দনিক ( স্টল নং-১৯১-১৯২)

৪। লীলেনদার মহাভারত নিয়ে লিখা সিরিজটা বই হয়ে আসবে শুনেছি(তাঁর কাছ থেকে জেনে নিন বিস্তারিত)

৫। "গবেষণায় হাতে খড়ি", রাগিব হাসান
ধাপে ধাপে হাতে ধরে গবেষণা শেখার "চোথা", মুল্যঃ কমিশনের পরে- ১৫০/=
আদর্শ প্রকাশনী (স্টল নং - ৪১১, ৪১২)
"মন প্রকৌশল -- স্বপ্ন, অনুপ্রেরণা, আর জীবন গড়ার ফর্মুলা", রাগিব হাসান
মটিভেশন, ইন্সপিরেশন, স্বপ্ন দেখার সিস্টেম শেখা, হাতে কলমে, মুল্যঃ কমিশনের পরে - ১১২.৫/=
আদর্শ প্রকাশনী (স্টল নং - ৪১১, ৪১২)
(দুইটা বই একসাথে কিনলে ২৫০ টাকা)

আপাতত এটুকুই দেঁতো হাসি বইমেলা যাত্রা সুন্দর নিরাপদ হোক ভাইয়া।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ধন্যবাদ, দিদি। আমি আরও তিনটি বইয়ের কথা জানি।
১৷ 'পথ চলাতেই আনন্দ' - তারেক অণু
২। 'বাংলার তরু লতা গুল্ম' - আব্দুল গাফফার রনি
৩। চার্বাকের খোঁজে ভারতীয় দর্শন' - রণদীপম বসু।
তা, দিদি, তোমার জন্য কোন কোন বই কিনবো? মস্করা না, সত্যি বলছি মাইরি! হাসি

আয়নামতি এর ছবি

সত্যি সত্যি? লিস্টি করছি তা'হলে দাঁড়ান হাসি হাসি হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

দাঁড়ানোয় একটু কষ্ট দিদি। তবে বসে থেকে অপেক্ষায় আছি। শুধু লিস্টিটা পাঠাও।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অবশ্যই আসছি, কবে বলেন শুধু দেঁতো হাসি

আয়নাদি সব বলেই দিয়েছেন প্রায়,
আরেকটা আসছে শুদ্ধস্বরেঃ রনদীপমদা'র লেখা 'চার্বাকের খোঁজে'
এবং ছায়াবীথিতেঃ তারেকাণুদা'র লেখা 'পথ চলাতেই আনন্দ'

হাসি শুভ বইমেলা। কোলাকুলি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

১৩ তারিখ, শুক্রবার, বিকাল ৪টায়, বিশ্ব সাহিত্য ভবনের সামনে, স্টল নং ১৩৬-১৩৮। (শারীরিক সুস্থতা সাপেক্ষে)
দেখা হয়ে যাবে নিশ্চয়! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

বিকাল ৪টা? অফিস বাঙ মারা সাপেক্ষে দেখা হয়ে যাবে নিশ্চয়---

স্বয়ম

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ইয়ে, মানে...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কোলাকুলি এএএএএনশাললাহ শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

সচলের তিনজন সহ মোট ৩৬ জন লেখকের একখানি আসমানী কিতাব সাইজের বই এসেছে বইমেলায়। নাম তার “অক্ষর”। তিনজন সচল সদস্য হলেন হাসান মোর্শেদ ভাই, তারেক অণু এবং মাসুদ সজীব খাইছে । প্রাপ্তিস্থান সিঁড়ি প্রকাশনী, স্টল নং-২১৪

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বাব্বা! তা বইটা আনতে ট্রাক-পিকআপ জাতীয় কোন বাহন লাগবেনাতো? মূল্য কত? হাসি

মাসুদ সজীব এর ছবি

সাড়ে ছয়শ পৃষ্ঠার পুস্তকখানার দাম পড়বে খুব সম্ভব সাড়ে সাতশ টাকা (মাত্র)। দেঁতো হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

সেচলরা সব আওয়াজ দিন। পারলে প্রকাশনিসহ। লিস্টটা পূর্ণ হওয়ার দরকার। লিলেনদার মহভারত চলে আসছে।
সবার জন্য শুভকামনা।

স্বয়ম

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বাহ্! তাহলে এতদিনে মহাভারতের একটা প্রাকৃত ভার্সান পাওয়া যাবে! হাসি

তিথীডোর এর ছবি

সেচল? দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সেই রকম* সচল = সেচল (মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস)

*রকমফেরঃ লেখক, কবি, গাতক, ঔপন্যাসিক, ছড়াকার, আলোকচিত্রী, চিত্রকর...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

বড় হয়ে আমিও একদিন, বইমেলায় ... ... ...

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ছোটবেলায়ও অনেকেই বাবা-মায়ের হাত ধরে বইমেলায় যায় বৈকি! হাসি

শান্ত শান  এর ছবি

লিলেন ভাইয়ের "মহাভারত" এর হাদিয়া কত ? এবং প্রসব করেছে কোণ প্রকাশনী।

রন দার "চার্বাকের খোজে" বইয়ের দাম (১৪০০) এত কেন মন খারাপ

বইয়ের যে দাম , ধার/চুরি করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

লীলেনদার 'মহাভারত' এর বিষয়ে পুরোটা জানতে পারিনি। তবে, রণদীপম বসুর 'চার্বাকের খোঁজে ভারতীয় দর্শন' বইটা মেলায় ১০৫০ অথবা ১০০০ টাকায় পাওয়া যাবে। হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অ্যাঁ এত্ত দাম কেনু? ওঁয়া ওঁয়া

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

প্রথমত: বইটার পৃষ্ঠাসংখ্যা ৮৫০ এর উপর। আর মূলত: এই বইটার জন্য তিনি ৩/৪ বছর ধরে বিভিন্ন রেফারেন্স বই যোগাড় করেছেন। তার জন্য তাঁকে অনেক শ্রম ও অর্থও ব্যয় করতে হয়েছে। যাহোক বইটা নেড়েচেড়ে দেখলে তবেই বিষয়টি বোঝা যাবে হয়তো!
আশা করছি পহেলা ফাল্গুনেই দেখা হয়ে যাবে আমাদের। ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন। হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

নাহ, ঠিকাছে লইজ্জা লাগে
পয়লা ফাগুনের অপেক্ষায় রইলাম দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রণদীপম বসু এর ছবি

গত ছ'বছর ধরে রণদীপম বসু যে বিভিন্ন রেফারেন্স বই যোগাড় করেছেন সেজন্য বইয়ের দাম এতো হয়নি, হয়েছে বইটার আয়তনের কারণে ! তারপরও স্বাভাবিক নিয়মে সার্বিক বাজারমূল্য ও অন্যান্য ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে প্রকাশকরা ফর্মা প্রতি একটা নির্দিষ্ট টাকার গুণিতকে যেভাবে বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করেন সে হিসাবেও বইটার মূল্য আরো বেশি হয়। তবু প্রকাশক তাঁর সাধ্যানুযায়ী যতোটা সম্ভব রেট কম ধরেই মূল্য বসিয়েছেন। তা হয়তো বইটা বেরোলে হাতে নিয়েই পাঠক বুঝতে পারবেন। কিন্তু বইটার ভেতরে কী জিনিস পুরে দেয়া আছে সেটা বিবেচনায় নিলে লেখক হিসেবে বলা যেতে পারে যে, এই সামান্য সৌজন্যখরচের বদলে আগ্রহী পাঠককে অমূল্য জিনিসই হাতে তোলে দেয়া হচ্ছে ! হা হা হা ! বিষয়টা ফান করছি না সত্যি !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক উত্তম জাঝা! গুল্লি কোলাকুলি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

রণদা, ছ'বছরের কথা জানতাম না। তবে দীর্ঘকাল যে এর সাথে লেগে ছিলেন, সেটা জানতাম। আপনার একটা লেখায় আমার মন্তব্য ছিল,

লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৩/২০১২ - ১:৩৯অপরাহ্ন)
চার্বাক দর্শন নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ লেখার সাহসী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও আপনার সফলতা কামনা করছি। এটা ঠিক যে, দেবগুরু বৃহস্পতিকেই লোকায়ত দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। আর এই দর্শনের প্রবরর্তক ছিলেন চার্বাক অথবা চার্বাকগোষ্ঠী। এই দর্শনের সমুদয় নিদর্শন ধংস করে ফেলা হয়েছে। বিরোধী মতাবলম্বীদের এই মত খন্ডনের যে প্রচেষ্টা, তা থেকেই সম্ভবত এই দর্শনের কিছু উপকরন পাওয়া যায়। তাছাড়া বাংলাভাষায় এই মতবাদ নিয়ে তেমন কোন কাজ হয়নি। এ রকম একটি কঠিন এবং প্রায় অসম্ভব কাজ হাতে নেবার জন্য আবারও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি, আপনার প্রচেষ্টা ও শ্রম সফল হোক।

রণদীপম বসু এর ছবি

কতোটা সফল হয়েছি তা বলতে পারবো না, তবে এ বইটা লেখার পর আসলে আমার অতৃপ্তিটা আরো বেড়ে গেছে ! কেননা, প্রয়োজনীয় তথ্য, উদ্ধৃতি ও রেফারেন্স কালেকশনেই বইটার সাইজ বর্তমান রূপ ধরেছে ! বাকি বিশ্লেষণে যেতে হলে এরকম সাইজের অন্তত আরেকটা বই লেখার দরকার হবে মনে হচ্ছে ! কেন দরকার হবে তা আগামীতে কোন পাঠক যদি বইটা পড়ে আলোচনা উত্থাপন করেন তখন বলা যাবে।
কিন্তু এটা প্রকাশের পরই আমাকে একইসাথে করা বাকি যে কাজগুলোকে বইয়ের আকার দিতে হবে সেগুলোই হয়তো কয়েকটা খণ্ড করে প্রকাশ করতে হবে। 'চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শন' নামের সেই গ্রন্থটিতে বাদবাকি ভারতীয় দর্শনগুলোর (পূর্ণাঙ্গ কাজ তো এক জীবনে সম্ভব নয় তবে) একটা বিস্তৃত পরিচয় থাকবে। জৈন, বৌদ্ধ, সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, মীমাংসা ও বেদান্ত। এগুলোর কাজও প্রকাশকের দপ্তরে জমা আছে।
এরপরে পরবর্তী কাজে হাত দেবো। প্রাচীন ভারতীয় দর্শন ও সমাজের জটিল জগতের সপ্তবুহ্যে যখন ঢুকেই পড়েছি তা কেটে বেরিয়ে আসতেও তো আরো কিছু সময় দিতে হবে ! বেঁচেবর্তে থাকলে ! হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সেই আশির দশকে কেন জানি আমার এতদঞ্চলের ধর্ম ও দর্শন সম্পর্কে আগ্রহ জন্মে। সেই সময়েই অনেক ঢ়ুঁড়ে চতুর্বেদের পাঁচটি খণ্ড সংগ্রহ করেছিলাম। হ্যাঁ, হরফ প্রকাশনীরই বটে। যাহোক, সচলে আপনার এতদসংক্রান্ত লেখা দেখে আপনার কাজের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ি। তা, কাজগুলো শেষ করে ফেলুন, যত শীঘ্র সম্ভব। বলাতো যায়না...। সুস্থ থাকুন। আনন্দে থাকুন। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আহা! যা লিখলেন । মনটাকে বিষন্নতাও দিল আবার আনন্দও দিলো । যদি বেধে রাখতে পারতাম সময়কে তাহলে
প্র্রৌঢ় হবার ভাবনা না করলেও হতো।

---------
রাধাকান্ত

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

একটাই জীবন।
জীবনের একেকটা খন্ডে একেক রকম রূপ-রস-গন্ধ। একেক রকম আনন্দ, ভাবনা-চিন্তা।
এখন হয়ত ভাবছি জীবনটাকে কিভাবে উন্নততর করা যায়। একটু বয়স হলে ভাবব "বেঁচে তো আছি"।
______

আহমাদ মুহাইমিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।