সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে কি?

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০২/২০১৩ - ৫:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ঘৃণ্য ব্যক্তি কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়েছে তার বিপরীতে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়াই ছিলো একমাত্র এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত। সেই শাস্তি কেন দেয়া হলো না, সেটা নিয়ে হতাশা প্রকাশের পাশাপাশি সচেতন এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বহুবিধ দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করছেন সম্ভাব্য ব্যাখ্যা নিয়ে। আলোচনা থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের আপীলের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত।

যেই দিকটি আলোচনায় একেবারেই উঠে আসছে না সেটি হচ্ছে, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ কি কেবলমাত্র ছয়টি? রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি যা কিছু উপস্থাপন করেছেন সেগুলোই কি সব?

নিশ্চয়ই নয়।

তাহলে নতুন অভিযোগ গঠনে বাধা কোথায়? সারা দেশ কাদের মোল্লার বিচারের দাবিতে যতখানি উত্তাল হয়ে উঠেছে, কাদের মোল্লার অসংখ্য অপ্রকাশিত অপরাধের বিরুদ্ধে প্রকৃত সাক্ষী পাওয়া কেবল একটি সরকারি ঘোষনার ব্যাপার। সাক্ষীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্ন জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া একমাত্র সরকারের পক্ষেই সম্ভব, যদি তাদের সেই সদিচ্ছা থাকে।

আসুন সবাই মিলে সংগঠিত হই, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে ট্রাইব্যুনালে নতুন করে উপস্থাপন করাকে একটি গণদাবীতে পরিণত করি।


মন্তব্য

মেঘা এর ছবি

এখানেই তো সমস্যা আমরা অনেক বেশি আবেগ তাড়িত হয়ে অনেক জরুরি ব্যাপার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিচ্ছি। এতো বড় একটা গণহত্যার কি কোন প্রত্যক্ষদর্শী নেই?! নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এখন সরকারের দায়িত্ব। দেখা যাক মানুষের প্রতিবাদে কতদূর কী হয়!

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

জনতাই পারে অসম্ভবকে সম্ভব করতে। কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার দিন দুই হাতের মধ্যমা জোড়া লাগিয়ে ভি চিহ্ন দেখাতে চাই।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আসুন সবাই মিলে সংগঠিত হই, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে ট্রাইব্যুনালে নতুন করে উপস্থাপন করাকে একটি গণদাবীতে পরিণত করি।

আপনার প্রস্তাবটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো লেগেছে।
আমার মতামত হল বর্তমানে চারিদিকে যে প্রতিবাদ চলছে তা জোরেসোরেই চলা উচিৎ। এতে করে কাদের মোল্লার বর্তমান রায়ের পরিবর্তন হোক বা না হোক (যেহুতু আপিলের ক্ষেত্রে এক মস্ত বড় ফাঁক রয়েছে, তবুও আমি আশাবাদী, দেখা যাক কি হয়) পরবর্তীতে যে সকল নরপশু রাজাকারদের বিচার হবে সেখানে অন্ততপক্ষে এই প্রতিবাদের ফলাফল লক্ষিত হবে। তার মানে ভবিষ্যতের রায়গুলোতে জনতার চাওয়ার প্রতিফলন হলে, রাজাকারদের বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মাক্সিমাম শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত হবে।

একটা ব্যাপার কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ যে সাধারন মানুষ চায় রাজাকারদের ফাঁসি হোক আর যখন অনেক মানুষের সম্মিলিত ইচ্ছা একসাথে কথা বলে তখন ইচ্ছাগুলো বাস্তবায়ন কেবল সময়ের অপেক্ষা। সুতরাং এই প্রতিবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবাদ চলুক সকল জায়গা থেকে।

আর আপনার প্রস্তাব অনুজায়ী ও কাজ করা যেতে পারে যদিও প্রকৃত সাক্ষী পাওয়া গেলেও সরকার আদৌ তার সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কিনা অথবা কোন দৈব বলে সাক্ষী পাওয়া গেলেও উধাও হয়ে যাবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে জামাত শিবিরের হাত বহুদুর পর্যন্ত ছড়ান এমনকি সর্ষের ভিতরেও ভুত রয়েছে। তবুও দেখা যাক সরকারের টনক নড়ে কিনা।

তবে সরকার যে প্রকৃত অর্থেই আন্তরিক তার প্রমান কিন্তু সরকারকেই করতে হবে। গত কয়েকদিনের শিবিরের তাণ্ডবের ব্যাপার সহ আরও অনেক ব্যাপারেই সরকারের আচরন কিছুটা নমনীয় মনে হয়েছে। বিষয়টা ভালো লাগেনি।

যাই হোক, ভালো কিছু শোনার অপেক্ষায় আছি, দেখা যাক কি হয়!

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

সরকারের কর্মকান্ড প্রমাণ করে, তারা আন্তরিক নয়। কিন্তু জনতার দাবীর মুখে তাদের নত হতেই হবে।

junayed ahmed এর ছবি

শাহাবাগের সংহতি দেখে ভালো লাগছে কিন্তু বড় দেরী হয়ে গেল নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো বাঙালী ! আমাদের আচরণ সেই পথে বিচরণ করা ক্লান্ত পথিকের মত যে কিছুক্ষণ আগে পিটিয়ে হত্যা করা পাগলা কুকুরের মরদেহের পাশে দাড়িয়ে বলে যেই কাজটা করেছে ভালো করেছে! তোমরা গত চল্লিশ বছরে এক হতে পারোনি এই একটি বিষয়ে কিন্তু তত দিনে জামাত অনেক বড় হয়ে গেছে তারা আজকে নাকি রাস্তায় আন্দোলনরত নারীকে পতিতাও বলে ( জানি না কত খানি সত্যি)! এই ব্যবসায়ী সরকারের তো কোনো মাথা ব্যথা নেই সেই ব্যাপারে কারণ মুক্তি যুদ্ধে তাদের আত্নীয়স্বজন কেউ ধর্ষিত হয়নি, খুন হয়নি, সম্পত্তিও বেহাত হয়নি, যা হয়েছে তা সাধারণ মানুষের! তাই তাদের গাত্রদাহও এই ব্যাপারে অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু তোমার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ তুমি ঠিকই নিয়েছ! তবে একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন চল্লিশ বছর আগের মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ তোমরা আজকে করছ তাহলে এই সরকারের আর তার দলের পোষা কুকুরের মানবতা বিরোধী হিংস্র কর্মকান্ডের প্রতিবাদ তোমরা কবে করবে? জীবদ্দশায় করতে পারবে? আমি তো জানি তোমরা তা কোনদিনই পারবে না কারণ শাহবাগে তোমাদের পিঠের চামড়া নিরাপদ কিন্তু বায়তুল মুকাররমের সামনের তোমার পায়ের জুতার ও নিরাপত্তা কেউ দিতে পারবে না !

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার প্রশ্ন চল্লিশ বছর আগের মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ তোমরা আজকে করছ তাহলে এই সরকারের আর তার দলের পোষা কুকুরের মানবতা বিরোধী হিংস্র কর্মকান্ডের প্রতিবাদ তোমরা কবে করবে? জীবদ্দশায় করতে পারবে?

৪২ বছর পরেই না হয় করমু, সমস্যা কি? আর আমি না হয় এখন প্রতিবাদ করছি না, আপ্নিই না হয় প্রতিবাদ শুরু করুন। শাহবাগে করতে ভয় লাগলে, বায়তুল মোকাররমের সাম্নেই অথবা মসজিদের টাট্টিখানায় করুন। যেখানে আপনার পায়ের জুতার নিরাপত্তা নেই, সেখানে জুতা বগলে নিয়ে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে হামাগুড়ি অথবা হাগন স্টাইলে করুন।

ফারাসাত

অরফিয়াস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

একবার বলছেন সংহতি ভালো লাগছে আবার অন্যদিকে বায়তুল মোকাররমের হুমকি দিচ্ছেন। পুরো কমেন্টই এলোমেলো। আপনি হয় নেশাগ্রস্ত নয় মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। যাই হয়ে থাকুন উপযুক্ত চিকিৎসা নিন। আর শিবিরের লোক হলে ভাগেন

অতিথি লেখক এর ছবি

না কিছুই শেষ হয়নি, শেষ হতে আমরা দিবনা দিতে পারিনা।
একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আর একবার।
কসাই কাদের সহ অন্যান্য মনবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই,ফাঁসি।
5x3.5
শাহবাগ চত্বরের আজকের সমাবেশ এবং কালকের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে দেশ ও জাতি তথা নিজেকে কলংক মুক্ত করুন।
জয় বাংলা, বাংলার জয়।

তুহিন সরকার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।