রাজনৈতিক মিলমিশঃ কিছু ভাবনা

ইয়ামেন এর ছবি
লিখেছেন ইয়ামেন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৮/০৪/২০১৫ - ১১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কয়েক বছর ধরে দেশের কোন নিউজ পোর্টাল খুললে প্রায় এক ধরনের খবর চোখে পড়ে। খবরটা হয় কিছুটা এরকমঃ অমুক জায়গার তমুক সংখ্যক বিএনপি/ছাত্রদল/জামাত/শিবির নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ/ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছেন। এমন অগনিত খবর চোখে পড়েছে, আমি তার কয়েকটা স্যাম্পল হিসেবে এখানে শেয়ার করলামঃ

১) আগস্ট ২৪, ২০১৩ঃ "শরীয়তপুর পৌর ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি বি এম ইউসুফ আলী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সদর উপজেলার আটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আওয়ামীলীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন।" (http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/41475/)

২) ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩ঃ "কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের রোকন নওশের আলী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড়ে শহর যুবলীগ আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে করমর্দন করে তিনি যোগদান করেন।" (http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/112207)

৩) মার্চ ১৬, ২০১৪ঃ "পাবনায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের উপস্থিতিতে দুই শতাধিক কর্মীসহ আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন এক ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমির।" (http://bangla.bdnews24.com/politics/article758608.bdnews)

৪) নভেম্বর ২২, ২০১৪ঃ "খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দুটি পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে বিএনপির বড় একটি অংশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে।" (http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/377428/)

৫) এপ্রিল ৩, ২০১৫ঃ "মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।" (http://www.samakal.net/2015/04/03/128795/?version=beta)

৬) এপ্রিল ৩, ২০১৫ঃ "চলচ্চিত্রের খলনায়ক ঢাকার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনোয়ার হোসেন ডিপজল আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এ ইঙ্গিত দেন তিনি।" (http://www.banglanews24.com/fullnews/bn/382297.html)

৭) এপ্রিল ১৫, ২০১৫ঃ "কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিএনপি-জামায়াতের আট নেতা এবং তাদের এক হাজারেরও বেশি সমর্থক আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।" (http://www.jagonews24.com/%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%20%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%20%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%20%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%20%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%93%20%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80/23260)

৮) এপ্রিল ১৬, ২০১৫ঃ "সব জল্পনা-কল্পনার অবসার ঘটিয়ে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন লালমোহন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বশার সেলিম মৃধা।" (http://www.jugantor.com/bangla-face/2015/04/16/249630)

এমন অনেক মিলমিশের উদহারন গত কয়েক বছরে আমরা সবাই দেখেছি। আর এসব হলো যেসব খবরে এসেছে তার কিছু উদহারন। আর এতো গেল আওয়ামী লীগের কথা। ছাত্রলীগও কোনভাবেই এর ব্যতিক্রম নয়। কোনরকম ফিল্টার ছাড়াই মানুষ নিয়ে নেয়া হয়। শিবিরের সদস্য হতে অনেকগুলো ধাপ পেড়োতে হয়, এ ব্যাপারে আমরা অনেকেই অবগত। তারা কখনও চট করে কাউকে শিবিরকর্মী হিসেবে নিয়ে নেয় না। শুনেছি তারা বেছে বেছে সম্ভাব্য কর্মী হিসেবে মেধাবী ছাত্রদেরকেই টার্গেট করে থাকে। এমনভাবে স্ট্যান্ডার্ড মেইন্টেইন না আওয়ামী লীগ করে, না করে ছাত্রলীগ! তারা দল ভারী করতে পারলেই খুশি, যে দলে ভিরতে আসছে, তার অতীত কখনও ঘেঁটে দেখে না, বা দেখলেও গায়ে লাগায় না, যেটা আওয়ামী লীগের কিছু জ্যৈষ্ঠ নেতাদের কথা শুনলেও বোঝা যায়। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এক সমাবেশেই জামাত-শিবির কর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আহবান জানিয়েছিলেন (http://www.jugantor.com/current-news/2013/09/18/29080)। ২০১৪ সালে দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বড়াই করে বলেছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা আস্থা হারিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে (http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/147718/)। আর হেফাজতে ইসলামীর মত ধর্মান্ধ সংগঠনের সাথে হাছান মাহমুদের গভীর সম্পর্কের কথা আমাদের অজানা নয়।

কুকুরের লেজ যেমন সোজা হয় না, তেমনি যে একবার জামাত করে, সে জীবনে আর কখনও মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা, অথবা নারী স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে পারে বলে অন্তত আমি মনে করি না। আওয়ামী বা ছাত্র লীগ, উভয়েই রাজনৈতিক পাল্লা তাদের দিকে ভারী রাখার আবেশে অন্ধ হয়ে নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড মেইন্টেইন না করে উপরে উল্লেখিতদের মত মানুষকে অবাধে দলে যোগ দিতে দেয়। তাই যখন নানারকম গুন্ডামি/নষ্টামিতে সরকার দলের অনেক নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততার আলামত পাওয়া যায়, আমার হতাশ লাগে, কিন্তু অবাক হই না। ঘটনার পরে ২০/২০ হাইন্ডসাইট দিয়ে যতই আজুহাত দেয়া হোক 'উহারা প্রকৃত আওয়ামী/ছাত্রলীগ নহে', ফ্যাক্ট যেটা থেকেই যায় যে তা হলো এরা গুন্ডামি/নষ্টামিটা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়েই করে গেল। ইংরেজিতে একটা কথা আছে 'Fool me once shame on you fool me twice shame on me'। দলে কে ঢুকল আর না ঢুকল সেদিকে খেয়াল রাখার দায়ভার কিন্তু আওয়ামী/ছাত্রলীগেরই হওয়া উচিৎ, কিন্তু এই বিষয়ে বারবার চরম ব্যর্থতা দেখতে হয়।

এসব দেখে খারাপ লাগে, কারন আমি একাত্তরের চেতনা অথবা প্রগতিশীল মনোভাব সম্পন্ন দল বুঝতে বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগকেই ভাবি। এই দলের সরকারের সময়েই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। ছাত্রলীগ কেবল গুন্ডা আর বাউন্ডুলেদের দল নয়, ছাত্রলীগ বুয়েটের ছাত্র দীপের মত সাহসী আত্মত্যাগী তরুণেরও দল। কিন্তু এইসব ঢাকা পরে যায় যখন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর নাম আরও বেশী করে খবরে আসে বিশ্বজিত হত্যার জন্য, দলীয় কোন্দলে খুনাখুনির জন্য, সংখ্যালঘুদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ ও জমি দখলের জন্য, ওলামা লীগের উগ্রপন্থী সব দাবীর জন্য, এবং সর্বশেষে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া পহেলা বৈশাখে নেক্কারজনক ঘটনার জন্য। যতদিন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনেরা কাদেরকে নিজেদের দলে ঢুকতে দিচ্ছে সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি আর কোয়ালিটি কন্ট্রোল না করবে, ততদিন নিজের 'দলের লোকেরাই' তাদের নাক কাটাতে থাকবে। নীচের ছবিটার মত আর অবাধ রাজনৈতিক মিলমিশ দেখতে চাই না, কারন আমার মতে আওয়ামী লীগের সব সমস্যার একটা বিশাল বড় গোঁড়া এখানেই।

সময় এসেছে এই ব্যাপারে আওয়ামী লীগের টনক নড়ার।

ছবি: 
05/08/2014 - 3:08অপরাহ্ন

মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

লিঙ্কগুলার স্ক্রিনশট নিয়ে লেখায় বা কমেন্টে অ্যাড করে দ্যান, বা ইমেজ ইমগুরে আপ করে তার লিঙ্কও পোস্টে রেখে দিতে পারেন। বেশিরভাগ অনলাইন পত্রিকার (বিশেষ করে প্রথম আলো) লিঙ্ক কিছুদিন পরে আর কাজ করে না। লিঙ্কগুলা সরাসরি পেস্ট না করে লেখার সাথে এম্বেড করে দিলে দেখতে ভালো লাগবে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ইয়ামেন এর ছবি

সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ, ত্রিমাত্রিক। স্ক্রিনশট নিয়ে ইমগুর এ আপলোড করে এম্বেড করার চেষ্টা করলাম। এই প্রথমবার এমন কিছু করছি বলে ফরম্যাটিং বেশী ভালো হয়নি, আশা করছি এর পর থেকে আরও ভালো হবে! হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

সবজান্তা এর ছবি

স্ক্রিনিং এর ব্যাপারে আওয়ামীলীগের মাথা ব্যথা কোনো কালেই ছিলো বলে মনে হয় না। উপজেলা, থানা পর্যায়ে শিবিরের ইনফিল্ট্রেশন তবু কিছুটা মেনে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু অর্থমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পিএস ছিলো শিবির নেতা। একজন মন্ত্রীর পিএস নিয়োগের সময়েও কি তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক হয় না?

খবরের লিঙ্ক- http://bit.ly/1IqTkzH

ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, উহারা সহীহ আওয়ামীলীগ/ছাত্রলীগ নহে বলে বক্তব্য দিলেই দায় এড়ানো যায় না। ছাত্রলীগে শিবির ঢুকে গেলে, সেটা দেখার দায়িত্ব পার্টিরই, সাধারণ মানুষের না। অবশ্য আওয়ামীলীগের অল্পকিছু নেতাকর্মী বাদ দিলে, আর কেউই মনে হয় না আদর্শের জন্য রাজনীতি করে। সে দিক থেকে অবশ্য সকাল বিকাল এরকম দল পালটানো অসম্ভব কিছু না।

ইয়ামেন এর ছবি

আসলেই এসব দেখলে চূড়ান্ত রকম ফ্রাস্ট্রেশন লাগে।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

মরুদ্যান এর ছবি

সুবিধাবাদিতার রাজনীতি সব সময়ই এরকম। দিনশেষে দলের ক্রাইসিসে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বিম্পির এখন যে অবস্থা চলছে আর কি। বিম্পিকে দেখেও যদি আওয়ামি লীগের মেধাবী মাথারা কিছু শিখে!

শিবিরের কাঠামো আর ইনফিল্ট্রেশান দেখলে মাঝে মধ্যে শ্রদ্ধা হয়।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ইয়ামেন এর ছবি

এমন সব ঘটনা দেখেও যদি আওয়ামী লীগ শিক্ষা না পেতে চায় কিছু করার নেই। যা বলেছি, কুকুরের লেজ সোজা হয় না।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

কুকুরের লেজ যেমন সোজা হয় না, তেমনি যে একবার জামাত করে, সে জীবনে আর কখনও মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা, অথবা নারী স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে পারে বলে অন্তত আমি মনে করি না।
একদম খাঁটি কথা কইছেন।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

ইয়ামেন এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য, রনি ভাই।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

মাসুদ সজীব এর ছবি

বাংলাদেশের পুরো রাজনীতি এখন কুষলিত। ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের কথা বাদ দেই। ছাত্রলীগ যারা করে তাদের কতজন ছাত্র কিংবা কতজন ছাত্রলীগের, আওয়ামিলীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানে? একটা সময় ছিলো যখন ছাত্র রাজনীতি করতো মেধাবীরা আর এখন ছাত্ররাজনীতি শুধু নয় দলের যেকোন পোষ্ট পেতে টাকাই একমাত্র যোগ্যতা। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে কোন ছাত্র সংগঠন ন্যায় আর আদর্শের প্রতীক হবে, এমনটা আমি কোনদিনও আশা করি না।

বাংলাদেশ এখন সহি/প্রকৃত তত্ত্ববাদের যুগে আছে। কোথাও কোন অপরাধ ঘটালে নিজ দলের/সম্প্রদায়ের লোক তখনি প্রকৃত বলা হবে মুসলমানের কাজ নয়, ইহা প্রকৃত ছাত্রলীগের কাজ নয়, ইহা প্রকৃত পুলিশের কাজ নয় খাইছে । সুতরাং দায়ভার কারো নেই। এভাবেই চলছে, এভাবেই চলবে।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

ইয়ামেন এর ছবি

দায়ভার কারো থাকলে দলের নিজেদেরই আছে। কিন্তু তারা সেই দায় গ্রহন করে যেসব কোঠর সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার তা নিবে কিনা সেটা নিয়ে আমারও সংশয় আছে।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

এক লহমা এর ছবি

"আমি একাত্তরের চেতনা অথবা প্রগতিশীল মনোভাব সম্পন্ন দল বুঝতে বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগকেই ভাবি। এই দলের সরকারের সময়েই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। ছাত্রলীগ কেবল গুন্ডা আর বাউন্ডুলেদের দল নয়, ছাত্রলীগ বুয়েটের ছাত্র দীপের মত সাহসী আত্মত্যাগী তরুণেরও দল। কিন্তু এইসব ঢাকা পরে যায় যখন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর নাম আরও বেশী করে খবরে আসে বিশ্বজিত হত্যার জন্য, দলীয় কোন্দলে খুনাখুনির জন্য, সংখ্যালঘুদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ ও জমি দখলের জন্য, ওলামা লীগের উগ্রপন্থী সব দাবীর জন্য, এবং সর্বশেষে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া পহেলা বৈশাখে নেক্কারজনক ঘটনার জন্য। যতদিন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনেরা কাদেরকে নিজেদের দলে ঢুকতে দিচ্ছে সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি আর কোয়ালিটি কন্ট্রোল না করবে, ততদিন নিজের 'দলের লোকেরাই' তাদের নাক কাটাতে থাকবে।" - সেইটাই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি যতটা দেখেছি, মাঠ পর্যায়ে ছাত্রলীগ যুবলীগের অধিকাংশ লোকজন মগজের ব্যবহার করে না। এদের পাশে দাড়িয়ে কেউ যদি জয় বাংলা বললে তাকে এরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ধরে বুকে জড়িয়ে নেয়। জামাত শিবির এই সুযোগটা অনেক জায়গায় নেয়। আমি নিজের চোখে জামাতের ক্যাডারকে বিরুদ্ধপক্ষের সমাবেশে যোগ দিয়ে কাজ হাসিল করতে দেখেছি।

আওয়ামী লীগে যে জামাত শিবির পরিকল্পিতভাবে লোকজন পুশ ইন করে এটা মনে হয় শীর্ষ লেভেলেও কেউ বিশ্বাস করে না এখনো। সর্বনাশের চুড়ান্তে ওঠার পর যখন উপলব্ধি হবে তখন আর সময় থাকবে না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।