উইঘুর আদিবাসী এবং রেবিয়া কাদির-কে নিয়ে আমেরিকার এতো উৎসাহের কারণ কী?

যূথচারী এর ছবি
লিখেছেন যূথচারী (তারিখ: শনি, ০১/০৮/২০০৯ - ৯:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাজধানী উরুমচিরাজধানী উরুমচি

রেবিয়া কাদিররেবিয়া কাদির

তুর্কিস্তান থেকে চীনে আসা আদিবাসী উইঘুর (বানানটি উচ্চারণানুগ নয়)। মঙ্গোলিয়া এবং তিব্বতের মাঝখানে এক পাহাড়ি ভূমিতে বসবাসকারী এই জাতিটি সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা হলো, তারা যোদ্ধা এবং দুদর্মনীয়। একসময় এশিয়ার বড়ো অংশ যার দখলে ছিল সেই চেঙ্গিস খাঁ এবং হালাকু খাঁ-এর বাহিনীতে তাদের জায়গা ছিল। এক কোটি জনগোষ্ঠীর দেশ তুর্কিস্তান ১৯৪৯ সালে চীনা বিপ্লবের সময় চীনের অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বাধীনচেতা ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই জাতিটি বর্তমানে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য প্রতি বছর শত শত উইঘুর মানুষ প্রাণ দিচ্ছেন। আর চীন সাম্যবাদের নামে সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যকে মুছে দেয়ার চেষ্টা করছে, শত শত নিহতকে প্রায়ই মাত্র ১২ জন, মাত্র ১৭ অথবা মাত্র ৫১ জন নিহত বলে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচার করছে।

এই পর্যন্ত আমি উইঘুর জনগোষ্ঠীর পক্ষেই আছি। কিন্তু এরপর যখন দেখছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই জাতিটিকে রক্ষা করার জন্য উদগ্রীব তখন ভাবতে বাধ্যই হচ্ছি, ডাল মে কুছ...। নাইন ইলেভেনের হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামলার জন্য দায়ী যেসব দেশ ও সম্প্রদায়ের দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করে, তার মধ্যে উইঘুর-ও ছিল। উইঘুরের মুসলমানরা আমেরিকার কাছে এক অর্থে সন্ত্রাসী বলেই চিহ্নিত। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকা উইঘুরের গণতন্ত্রকামী নেত্রী রেবিয়া কাদিরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার কারণে আমার মনে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারো যদি এগুলোর জবাব জানা থাকে বলবেন।

এক. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আদিবাসী ও অশ্বেতাঙ্গ নির্যাতন দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি স্বাভাবিক ঘটনাই ছিল, এখনো তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাহলে আমেরিকা হঠাৎ চীনের একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা নিয়ে এতো উদ্গ্রীব কেন?

দুই. ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, চেচনিয়া, সুদান, সোমালিয়া, বসনিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানরা যখন রোজ নির্মমভাবে নিহত হচ্ছে, তখন সেই বিষয়ে আমেরিকার ভূমিকা খুবই ন্যাক্কারজনক, বিশেষত ইজরেলের সাথে আমেরিকার শালা-দুলাভাই সম্পর্কটা তো সর্বজন বিদিত। তো, হঠাৎ চীনের মুসলমানদের ওপর নির্যাতন নিয়ে আমেরিকা এতো সোচ্চার কেন?

তিন. গুয়ান্তানামো কারাগার থেকে সম্প্রতি ১৭ জন উইঘুরকে মুক্তি দেয়া হয়, আরো অনেক উইঘুর গুয়ান্তানামো সহ আমেরিকার বিভিন্ন জঘন্য কারাগারে বন্দী আছে, এইসব কারাগারে উইঘুরদের (এবং অন্য বন্দীদের) ওপর যে পাশবিক (আসলে আরো জঘন্য) নির্যাতন চালানো হচ্ছে; সেই বাস্তবতা থাকার পরেও, চীন যখন রেবিয়া কাদির ও তার সহযোগীদের কারাদণ্ড দিল, তখন তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া এবং তাদের নিয়ে রীতিমতো ডকুমেন্টারি তৈরি করে, সেই ডকুমেন্টারির বিশ্বব্যাপী প্রমোশনের জন্য গাঁটের পয়সা খরচ করার নিগুঢ় রহস্য কী?

চার. উইঘুর বিষয়ক চায়না ফ্যাক্ট: চীনা সরকার উইঘুর সম্প্রদায়ের স্বাতন্ত্র্য ও বিশেষ অধিকার স্বীকার করে নিয়ে নিয়ে উইঘুর অঞ্চলকে স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশেষ অঞ্চলের মর্যাদা দিয়েছে। শিনজিয়াং (অন্য বানানে জিনজিয়াং)-এর রাজধানী উরুমচি এবং অন্য শহর ও গ্রামে সুষম উন্নয়নের জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছ। শিনজিয়াং এর বর্তমান জিডিপি বাৎসরিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, যার ৪৮% আসে শিল্প থেকে, জিডিপি পার ক্যাপিটা ১৯০০ ডলারের মতন। চীনের দাবি, ওই অঞ্চলের ৫০ শতাংশ মানুষ অমুসলিম এবং অধিকাংশ উইঘুর স্বাধীন দেশ চায় না। এই লিংকটিতে শিনজাং-এর রাজধানী উলুমচির থ্রিডি ম্যাপ-এর মাধ্যমে চীন সেখানে বিপুল উন্নয়নের ছবি তুলে ধরছে। চীনের এই তথ্য সত্ত্বেও আমেরিকান ইহুদি মিডিয়াগুলো যেখানে মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী বা কোন ঝামেলা খুঁজে পায়, সেখানে তাদের উইঘুরের মুসলিম প্রীতি এবং সেখানকার স্বাধীনতা নিয়ে এতো উৎকণ্ঠার কারণ কী?

এইসব প্রশ্ন নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত আছি, কারণ আমেরিকা যার বন্ধু তার কোনো শত্রুর দরকার হয় না।

[/img]


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমিও জানতে চাই। আপনি কিছু জানলে সেটাও লেখেন।

মামুন হক এর ছবি

খুবই ইন্টারেস্টিং লেখা।
মুসলিমরা পৃথিবীর সব প্রান্তেই আজ দাবার গুটি। এতদিন এক গুল্লিতে দুই পক্ষী মারার কথা শুনছেন, আম্রিকা চাইনিজ মুসলিমদের দিয়া বহু পাখি মারার ধান্ধায় আছে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এর মূল কারণ হলো মুসলিমরা (সবাই নয়, যারা দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হয় তারা) ধর্মকে না বুঝে, ধর্মের প্রকৃত শিক্ষায় নিজেকে শুদ্ধ না করে কেবল কতিপয় শব্দমালার দ্বারা তাড়িত হয়ে ইসলামী তন্ত্র কায়েম করতে চায়। এই সুযোগটাই নেয় অন্যেরা।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বিষয়টা কি মুসলিম নাকি উইঘুর জাতিগোষ্ঠী? উইঘুরদের নিষ্পেশনের কারন কি - ধর্ম বিশ্বাস না জাতিগত?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তারিক [অতিথি] এর ছবি

আমেরিকার ইন্টারেষ্ট বোঝাটা খুব এক্টা কঠিন না। চায়না বাটে পড়লেই হলো।

১ টা লিংক দিলাম, যেখানে উইঘুর আর হান ডেমোগ্রাফির পরিবর্তন, চায়না পলিসি ও তার ফলাফল নিয়ে কিছুটা আলোচনা করেছে। অনেক পুরাতন যদিও।

http://www.atimes.com/atimes/China/FD23Ad03.html

মূলত পাঠক এর ছবি

এ বিষয়ে কিছু লিঙ্ক আছে কি? জানতে চাই এ নিয়ে।

ব্লগার এর ছবি

আপনার চতুর্থ পয়েন্ট পড়ে মনে হল চায়না সরকারের প্রেসনোট পড়ছি।

বিবিসি থেকে কোট করছি

What complaints have been made against the Chinese in Xinjiang?

Activists say the Uighurs' religious, commercial and cultural activities have been gradually curtailed by the Chinese state.

China is accused of intensifying its crackdown on the Uighurs after street protests in the 1990s - and again in the run-up to the Beijing Olympics.

Over the past decade, many prominent Uighurs have been imprisoned or have sought asylum abroad after being accused of terrorism.

China is said to have exaggerated the threat from Uighur separatists in order to justify repression in the region.

Beijing has also been accused of seeking to dilute Uighur influence by arranging the mass immigration of Han Chinese, the country's majority ethnic group, to Xinjiang.

The percentage of Han Chinese in the region has gradually been rising. Han currently account for roughly 40% of Xinjiang's population, while about 45% are Uighurs.

সূত্র:http://news.bbc.co.uk/2/hi/asia-pacific/7540636.stm

যূথচারী এর ছবি

চার নম্বর পয়েন্টটা তো বলেছিই চায়না সরকারের বক্তব্য


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

দিগন্ত এর ছবি

আপনার চার নম্বর বক্তব্যের সাথে একমত নই। এই বক্তব্য ভারত সরকারও নিয়মিত দিয়ে থাকে। হতেই পারে আমেরিকা যে ঘোলা জলে মাছ শিকারে ব্যস্ত কিন্তু এর অন্য দিকটাও লক্ষ্যণীয় - আমেরিকায় ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা আছে। তাই আপনার বর্ণিত ইরাক-আফগানিস্তান যুদ্ধ বা গুয়ান্তানামো বে-র বন্দীদের নিয়ে আমেরিকাতেও অনেক অনেক লোক সরব। তাদেরকেও তো আমেরিকা সরকার জেলে ভরে দিচ্ছে না বা আটকাচ্ছে না। রেবিয়া কাদিরকেই বা কেন আটকাবে? দলাই লামাকেই বা কেন আটকাবে? এরা কেউই মানুষ মারে না বন্দুকও ধরে না। শান্তিপূর্ণভাবে নিজের মতপ্রচার করার স্বাধীনতা সবার আছে। চিনে এই প্রচার এখন চলতেই পারে যে রেবিয়া কাদির আমেরিকা চর - কিন্তু সেটাও চিনের স্বার্থেই প্রচার।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

যূথচারী এর ছবি

আমেরিকার বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার ব্যাপারটি বুঝলাম না। আমেরিকার কোনো স্টেট আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য কেউ আহ্বান করলে অথবা সশস্ত্র হওয়ার আহ্বান করলে আমেরিকা কিছুই বলে না? জানতাম না।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

দিগন্ত এর ছবি

আমেরিকার বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার ব্যাপারটি বুঝলাম না। আমেরিকার কোনো স্টেট আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য কেউ আহ্বান করলে অথবা সশস্ত্র হওয়ার আহ্বান করলে আমেরিকা কিছুই বলে না? জানতাম না।

অবশ্যই না। টেক্সাস একবার আলাদা হয়ে গিয়েছিল, পরে আবার যোগদান করেছে। কানাডায় কুইবেক আলাদা হতে চেয়েছিল - তাদের গণভোটে আলাদা হতে চাওয়ারা হেরে গেছে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

তানভীর এর ছবি

অবশ্যই না। টেক্সাস একবার আলাদা হয়ে গিয়েছিল, পরে আবার যোগদান করেছে।

!!!
যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দেবার পর টেক্সাস একবারই শুধু ১৮৬১ সালে আলাদা হয়েছিল। দাস প্রথার সমর্থক আরো ১০ টি রাজ্যের সাথে আলাদা হবার ফলস্বরূপ আমেরিকায় তখন গৃহযুদ্ধ হয়েছিল। সশস্ত্র যুদ্ধে পরাজিত হবার পরই কেবল এরা আবার ইউনিয়নে যোগ দিতে বাধ্য হয়। যে কোন রাজ্য কখনো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা হতে চাইলে এটাই একটা মেসেজ তাদের জন্য। আমেরিকার মটোই হচ্ছে- United we stand, divided we fall. যে কোন মূল্যে তারা এটা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। এইখানে গণভোট, ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোন ব্যাপার নাই।

দিগন্ত এর ছবি

কিন্তু গৃহযুদ্ধ তো আলাদা হয়ে যাওয়া স্টেটগুলোই শুরু করেছিল। তবে টেক্সাসের উদাহরণ শিঞ্জিয়ানের সাথে মেলে না, এখানে আলাদা জাতি আলাদা হতে চায়। আমেরিকার এক স্টেট অন্যের থেকে জাতিগতভাবে আলাদা নয়। তাই এদের মধ্যে আলাদা হবার কোনো গণ-উদ্যোগও নেই। কানাডার কুইবেকই ভাল উদাহরণ - শেষ গণভোটে ৫০.৫৮ বনাম ৪৯.৪২ শতাংশের ভোটে কুইবেক কানাডায় রয়ে গেছে। কুইবেকের অধিকাংশ মানুষ ফরাসি ভাষায় কথা বলেন।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

যূথচারী এর ছবি

আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয়, একটা ওয়েবসাইট খুলে লিখুন, হে আমেরিকার আদিবাসী ভাই ও বোনেরা, আসুন আমরা আমেরিকা থেকে অ-আদিবাসীদের বিতাড়িত করে, স্বাধীন আদিবাসী ভূমি প্রতিষ্ঠা করি, আমাদের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখি। এর জন্য রক্ত দিতে হলে দেবো, সশস্ত্র হতে হলে হবো, তবু আমেরিকাকে অ-আদিবাসী মুক্ত করে ছাড়বোই। (পুরো আমেরিকা না হোক, অন্ততঃ একটা স্টেট-এর আদিবাসীদেরকে এই আহ্বান-টা জানাতে পারেন।) দেখি আমেরিকা কি প্রতিক্রিয়া করে অথবা এই ধরনের কাজ যদি আগে হয়ে থাকে আমাকে একটু জানান। গ্রামে থাকি তো, আমেরিকার বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার খবর পাই না। বরং ওয়েবসাইট ঘাটলেই আমেরিকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন, আদিবাসী ও কালো মানুষদের ওপর অত্যাচার এইসব খবর চোখে পড়ে। তার ওপর জাতিত্ব নিয়ে কাজ করি বলে, হাতের কাছে যেসব বইপত্র আছে, সবই আমেরিকার বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দলিল। দয়া করে আমেরিকায় আদিবাসী মানুষদের স্বাধীন ভূমি ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার অন্তত একটা নজির আমাকে জানান। অজমূর্খ থেকে মারা যাবো, এটাই কি আপনারা চান?


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

দানবাধিকার খুব যত্ন কইরা রক্ষা করা হয় এইটা শিউর.....



অজ্ঞাতবাস

দিগন্ত এর ছবি

আপনি বরং আগে কিছু নিপীড়ণের উদাহরণ দিন গত দশ বিশ বছরের, তারপরে আলোচনা চলুক।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

যূথচারী এর ছবি

আচ্ছা দিবো, একটা কম্পিউটার হাতের কাছে পেয়ে নিই, তারপর লিখবো। মোবাইল থেকে ব্লগিং করা খুব ঝামেলা


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

রাগিব এর ছবি

আপনার কি ধারণা এই রকম ওয়েবসাইট নেই? অজস্র রয়েছে। রীতিমত রাজনৈতিক দলও আছে, যাদের মূলনীতি হলো রাজ্য স্বাধীন করা।

উদাহরণ দেই। আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের একটা বড় দলের নাম হলো আলাস্কা ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অধিবাসীদের স্বাধীন হবার গণভোট আয়োজনের দাবীতে। এখন এরা অনেকটা নরমপন্থী, কিন্তু একবার আলাস্কার গভর্নর পদও পেয়েছিলো তারা।

টেক্সাসের স্বাধীনতার উপরে বইপত্র, ওয়েবসাইট সব প্রচুর চালু আছে। কয়েকটা লিংক দিচ্ছি, যাতে স্পষ্ট করে স্বাধীনতার কথা বলা আছে।

http://www.texasnationalist.com/
http://texas.freecountries.org/

হাওয়াই এর সার্বভৌমত্বের উপরেও দল ও সাইট রয়েছে -

http://www.hawaii-nation.org/

কাজেই যেভাবে ভাবছেন, আমেরিকাতে কেউ কোনো রাজ্যকে স্বাধীন করার কথা বললে দমন-পীড়নের শিকার হবে, তা ঠিক না। মার্কিনীরা আর যাই করুক, বাকস্বাধীনতাকে খুব গুরুত্ব দেয়। অন্তত নিজের দেশের ভেতরে। চরম বর্ণবাদী/নাজীপন্থীরাও এখানে চাইলে দল গঠন, বই ছাপানো, ভাষণ/সভা করা -- এসব করতে পারে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

গৌতম এর ছবি

দিনে দিনে আমেরিকা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, দেশটি কারো পক্ষ নিলে স্বভাবতই তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর করতে হয়। এমনকি রাষ্ট্র যদি আমাকেও অত্যাচার করে এবং এর ফলে আমেরিকা আমার পক্ষ নেয়, তাহলে আমি নিজেও দ্বিতীয়বার নিজের সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য হবো।

আমেরিকা উপরে উপরে চায়নাকে চটাতে না চাইলেও ল্যাং মারার জন্য সদাপ্রস্তত। সুতরাং চায়না-বিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ডেই তারা সমর্থন দিবে- এটা স্বাভাবিক। উইঘুরদের নিয়ে তাদের উৎসাহ বোধহয় এই কারণেই। পত্রপত্রিকার নিউজ দেখে এটা আমার জাস্ট সরল সমীকরণ। ভেতরে কিছু আছে কিনা জানি না।

তবে পত্রপত্রিকাতে যা পড়েছি, তাতে আমার সমর্থন উইঘুরদের পক্ষেই গিয়েছে, এখনো যাচ্ছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

খুব বেশী সরলীকরন হয়ে গেলো না?
সবসময়ই ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থেই অন্যদের সমর্থন/বিরোধীতা করে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারত, সোভিয়েত সমর্থন ও তাদের নিজেদের স্বার্থেই ছিলো। ভারত, সোভিয়েত ও তখনো অনেকের কাছে সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীই ছিলো( এমনকি চীন পন্থী কমিউনিষ্টরা ও তাই বলতেন) । তাই বলে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম নাজায়েজ হয়ে যায়নি।

একটা জাতিগোষ্ঠী যদি স্বেচ্ছায় কোন রাষ্ট্র কাঠামো থেকে বেরিয়ে যেতে চায়, তার ইচ্ছেকে সমর্থন জানানোই শুভবোধ বলে মনে হয়- তত্বীয় বেড়াজালে আটকে যাওয়া সবসময় যুক্তিযুক্ত নয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

যূথচারী এর ছবি

যে কোনো আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর স্বাধিকার সংগ্রাম আমি সমর্থন করি। কিন্তু যে আমার কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা হলো, এখানে মার্কিন উৎসাহ। বিশেষ করে এই ঘটনার সাথে সোভিয়েত সময়ে আল-কায়েদাকে আমেরিকার সমর্থন করা, অর্থ ও অস্ত্র দেয়া এবং আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আমেরিকায় আশ্রয় দেয়ার সাথে এখন ইউডিএম-কে আমেরিকার সমর্থন করা, অর্থ ও অস্ত্র দেয়া এবং ইউডিএম নেতা রেবিয়া কাদিরকে আমেরিকায় আশ্রয় দেয়ার সাথে অদ্ভুত ভাবে মিলে যায়। সোভিয়েত নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে আমেরিকা ওসামা বিন লাদেনকে এখন যে কী সুখে রেখেছে, সেটা বলাই বাহুল্য। রেবিয়া কাদিরের জীবনেও এই ধরনের সুখ বরাদ্দ আছে কিনা, সেটাই আমার প্রশ্ন। তার ওপর আরেকটি তথ্য- সোভিয়েত সময়ে আল-কায়েদা আমেরিকার সন্ত্রাসী তালিকাতে ছিল না, বরং তারা আল-কায়েদা এবং তাদের পুরনো নেটওয়ার্কগুলোকে স্বাধিকারকামী বলেই মনে করতো, কিন্তু ইউডিএম আমেরিকার সন্ত্রাসী তালিকায় আছে, এবং শত শত (সংখ্যা অনির্দিষ্ট) উইঘুর, গুয়ান্তানামো সহ আমেরিকার বিভিন্ন জঘন্য কারাগারে আছে। এক দিকে চীনকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে গালিগালাজ করছে, অন্যদিকে ইউডিএম-কেও সর্তক অবস্থায় রেখে এখনই আমেরিকা তার উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মার্কিন উৎসাহের অপরাধে আমরা কি উইঘুরদের স্বাধীকার আন্দোলনকে সন্দেহ করবো? কারে তুলসী পাতা মানবেন? সোভিয়েতরা সাম্রাজ্য বানায় নাই পূর্ব ইউরোপ দখল করে? চীনারা তো এখনই সাম্রাজ্য সম্প্রসারন করছে আফ্রিকায়।
আমেরিকা যদি চীনের ক্ষতির জন্য ও উইঘুরদের পিঠ চাপড়ায় সেটা বড়জোর দুই সাম্রাজ্যবাদীর কামড়াকামড়ি ভাবা যেতে পারে নাকি চীনকে আপনারা এখনো সমাজতান্ত্রিক অভিভাবক মানেন?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

যূথচারী এর ছবি

আস্তাগফিরুল্লাহ, তওবা তওবা। চীন এখনো সমাজতান্ত্রিক আছে নাকি????!!!!???


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হলুদ-মডু এর ছবি

একই সময়ে প্রথম পাতায় একসাথে দুটির বেশী পোস্ট দৃশ্যমান হওয়ায় তৃতীয় পোস্টটিকে নিজের পাতায় প্রকাশ করা হলো।

যূথচারী এর ছবি

খুবই ভাল কাজ করছেন, তবে জনগুরুত্বপর্ণ (?) উইঘুর ইস্যুটিকে প্রথম পাতায় রেখে নাওযাত্রা ১ কে নিজের পাতায় সরালে ভাল হতো।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

Sazeeb এর ছবি

I know it very well that US is being involved in the issue for it's best interest. However, Wighur people are being oppressed in China from long ago. Firstly, the independent land of Turkestan was taken forcefully by the Chinese regime during the time of Chairman Mao. Secondly, almost 100% Wighur populated area is being populated by the Hun(Chinese people) gradually (now Wighur pop is only 40%) just like the Israeli invaders or like Bengali people in the Bohman Circle of Bangladesh. No matter who supports whom- we all should raise voice against all of the oppressors- NOT ONLY AGAINST THE US BUT ALSO AGAINST THE CHINESE REGIME !!!

বেগুনী-মডু এর ছবি

সচলায়তনে ইংরেজি ভাষা কিংবা রোমান হরফে মন্তব্য কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। বিষয়বস্তু বিচারে মন্তব্যটি প্রকাশ করা হল। অনুগ্রহ করে মন্তব্যের ঘরের ফিচারগুলো (ফোনেটিক, অভ্র, ইউনিজয়, মাউস দিয়ে বাংলা) ব্যবহার করুন। ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।