Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প আর ছবি

গল্প আর ছবিঃ দেশ

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: সোম, ২৮/০৪/২০১৪ - ১২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
।।১।।

দেশে যেতে আমার খুব ভালো লাগে।

যখন বাংলাদেশে থাকতাম তখন দেশের বাড়ি বলতে চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িটাকে বুঝাতাম। আমাদের বন্ধুদের একেক জনের দেশের বাড়ি ছিল একেক জায়গাতে। কারও বাড়ি বরিশালে, কেউ সিলেটের, কেউ ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে, মনে হতো যেন বাংলাদেশটা এক বিশাল জায়গা, কত হাজার হাজার চেনা - অচেনা নাম। বিদেশে গমনের পরে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, এইখানে সব বাংলাদেশির একটাই দেশ। কেউ যখন বলে যে সে দেশে যাচ্ছে - তখন বুঝতে হয় সে বাংলাদেশে যাচ্ছে, সেটা ঝালকাঠি না-কি মানিকগঞ্জ সেই প্রশ্ন পুরোই অবান্তর। আমরা যেই দিন মঙ্গলগ্রহে বসত গড়ব সেই দিন হয়ত দেশে যাওয়ার মানে হবে পৃথিবীর কোন এক জায়গা, সেটা সাংহাইও হতে পারে আবার রোমও হতে পারে।


গল্প আর ছবিঃ কখনো আমার মাকে

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বুধ, ২০/১১/২০১৩ - ৯:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
।।১।।

এই গল্পের সাথে দুটো ছবি আছে। প্রথমটি প্রায় কিশোরী একজন মেয়ের, ১৮/১৯ বছর বয়েসি। পঞ্চাশের দশকের। সেই সময়ে সম্ভবত এই বয়েসি মেয়েদের স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তুলতে হতো। কারণটা অনুমান করা খুব কঠিন কিছু না। স্টুডিওর লোকজনকে হয়ত কিছুই বলতে হতো না। ওরা হয়ত এই বয়েসি মেয়েদেরকে দেখলেই জানতো কিভাবে ছবি তুলতে হবে। এই একই ভঙ্গিমাতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো অনেকের ছবি আমি দেখেছি - এটা প্রায় সবারই সংগ্রহে থাকা বিয়ের আগে তোলা একমাত্র ছবি।


গল্প আর ছবিঃ মধ্যবয়স

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৫/২০১২ - ১০:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
বার্ধক্যের সাথে নিজের বয়সের যোগসূত্র আছে কোথাও। সেদিন এক আড্ডায় বলে বসলাম...আরে ঝন্টু ভাই, উনিতো ইয়াং লোক আমাদের কয়েক বছরের সিনিয়ার, বয়স মাত্র ৪৬। সোভিয়েত রাশিয়ার পলিটব্যুরোর তরুণ নেতাদের বয়সই হতো ষাট। সাতচল্লিশ বেশ তরুণই বলা চলে। বন্ধুরাও সবাই একমত হলো তাতে। আমাদের বয়স যতই বাড়ছে, তারুণ্যের সিলিং ততই বেড়ে যাচ্ছে। চল্লিশ পার হওয়ার পরে মনে হয় ষাট পর্যন্ত মানুষ ছোকরা থেকে যায়। আর ত্রিশ বছর বেচে থাকলে হয়ত আশিকেও যুবক যুবক লাগবে। মনে মনে কেউ নিজেকে বুড়ো ভাবে না বোধহয়।


গল্প আর ছবিঃ তেপান্তরের ছোট্ট শহর

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৫/২০১২ - ১২:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমি বহুদিন ধরেই মনে মনে লিখি। সেই ছোটবেলা থেকেই। বহু বিষয়েই অনেক মানসিক রচনা লিখেছি, কিন্তু আলস্য কাটিয়ে খাতায় আর তোলা হয় নি সেগুলো। অত্যন্ত বাজে হাতের লেখার কারণে লিখতেও বিব্রতবোধ হত। আমার শৈশব এবং কৈশোরের সেই লেখাগুলোর কোন পাঠক নেই – আমার বিশেষ মনেও নেই ওদের কথা । মাঝে মাঝে যদি একটু- আধটু মনেও পড়ে, তবে ওগুলোকে গতজন্মের স্মৃতি বলে উড়িয়ে দেই। ব্লগ ব্যাপারটার কথা মানুষ তখন জানতো না, সচলের নির্মাতার হাফ প্যান্ট পরা বালক, অভ্রের জনক হয়তো হামাগুড়ি দিচ্ছে। এখন লিখতে হলে আর লেখক হতে হয় না, লেখা প্রকাশ করতে গেলে পত্রিকার দ্বারস্থ হতে হয় না - এমনই এক সুসময় চলছে। হাতের লেখা নিয়েও কারুর কোন মাথা ব্যথা নেই।


গল্প আর ছবিঃ আজ আমাদের পঞ্চাশ বছর

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ০২/০৯/২০১১ - ৮:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

১.

ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভেতরে সরু একটা রাস্তা আছে। সেই রাস্তার দুই দিকে বড় বড় সব গাছ এবং পাশেই একটা খেলার মাঠ। রাস্তার পাশে চটপটিওয়ালা, ফলবিক্রেতা আর আইসক্রিমওয়ালার হাঁকডাক আছে। মাথার উপর একটা নীল রঙের বড় আকাশও আছে। সকালে আর বিকেলে সেই রাস্তা আর মাঠ সরগরম থাকে। চোখ বুজলেই এই রকম একটা ছবি আমি আজও দেখতে পাই।


গল্প আর ছবিঃ মেঘের দেশে - ফুলের দেশে

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ২৬/০৮/২০১১ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি ভালোবাসি মেঘ. . .চলিষ্ণু মেঘ...ওই উঁচুতে...ওই উঁচুতে
আমি ভালোবাসি আশ্চর্য মেঘদল !
(অচেনা মানুষ/শার্ল বোদলেয়ার/অনুবাদ বুদ্ধদেব বসু)

[justify]
১.


গল্প আর ছবিঃ ক্ষুধা

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ১:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
সকালবেলা অফিসে যাওয়ার সময় বিলবোর্ডটা চোখে পড়ে। বাসা থেকে দুই কদম দূরেই। সকালের নরম আলোও শব্দগুলোর কাঠিন্য কমাতে পারে না। আবার বিকেলে অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠলেও সেই একই বিলবোর্ডটাই দেখি। এই খোদ মার্কিন দেশে আমার প্রতিদিনের আসা এবং যাওয়ার রাস্তার দুদিকেই মাত্র কয়েক মাইল ব্যবধানে লাস্যময়ী নারীর বদলে আছে ক্ষুধার বিজ্ঞাপন।


গল্প আর ছবি: ফেরা

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৬/২০১১ - ১০:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমার দাদার নাম ছিল ওমর আলী বক্স। উনি সেই নাম পালটে নাম নেন আমির হোসেন। কোথাও কোনো ফর্ম পূরণ করতে গেলে আমি মনে মনে ওনাকে ধন্যবাদ দেই, উনি এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটা না নিলে এই মার্কিন দেশে আমার লাস্ট নেম হতো Box। সেটা হয়ত আমার সহকর্মী জাস্টিন হুকারের চেয়ে ভালো হতো, কিন্তু বিড়ম্বনা থেকেই যেত। এই ছোট্ট সিদ্ধান্তটা থেকে ওনার দূরদৃষ্টির পরিচয়টা বেশ পাওয়া যায়।