এসো জ্ঞান বৃক্ষের বাষ্পীয় বাগানে

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৭/০৮/২০১৩ - ৪:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পেটের মধ্যে বিকট সাইজের জ্ঞান থাকলে তাকে বলে বিজ্ঞানী। বুঝলেন আমার জ্ঞানের কথাটা? না বুঝলেও সমস্যা নাই। কারণ জগতের সব মানুষই কমবেশী জ্ঞানী। কেউ বিজ্ঞানী কেউ অজ্ঞানী। আমিও কোন এক প্রকারের জ্ঞানী, পড়া শেষ করে টের পাবেন আমি কোন জ্ঞানী। আমি জ্ঞানের কথা বলবো চমকে যাওয়ার কিসসু নেই। হবে আমাকে দিয়েও হবে, এমনকি বিজ্ঞানও হবে। পেটে যেটুকু জ্ঞান আছে তাতে ছোটখাট পাঁচফোড়ন মিশিয়ে ছোট্ট সোনামণিদের জন্য দিব্যি 'এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে' রেসিপি নামিয়ে ফেলা যায়। ভাবছেন সেটা কিভাবে সম্ভব? করে দেখিয়ে দেই যদি?

খুব ছোট্ট যারা তাদের ঈশ্বরকণা, কোয়ান্টাম থিওরী, ন্যানোটেক, হেন তেন জানার দরকার পড়ে বলুন? দরকার পড়ে না। ওসব জানার ঢের সময় পাবে। আমি শুরু করবো একদম প্রাথমিক পর্যায় থেকে। যাকে বলে ভিত তৈরি করে দেয়া আর কী! তবে ঝড় ঝাপটায় সে ভিতের টিকে থাকবার গ্যারান্টি দিতে পারবো না বাপু। ছোট্টদের কতটুকু জানলে চলে সে আমি বিলক্ষণ জানি। ছোট তো আমিও ছিলাম নাকি? জানা নেই শুধু ঠিক কতটা বড় হলে জানবার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়! ইয়ে দার্শনিক চিন্তা এসে পড়ছে দেখি! কী নিয়ে যেন আলাপ চলছিল? ও হ্যাঁ, বিজ্ঞান, ছোটদের বিজ্ঞান। খুব ছোট ছিলাম যখন, তখন যা কিছু দেখতাম অবাক হতাম। কিন্তু অবাকটা কেন হচ্ছি বুঝতাম না। এখন বুঝি। চারপাশের সবকিছু কিভাবে দেখি, বিস্ময়বোধ আসলে সেটা নিয়েই।

তো সেটা দিয়ে শুরু করা যাক বিজ্ঞানের শিশুতোষ ক্লাস। আমরা কিভাবে দেখি? ভড়কে যাবার কিসসুটি নেই। একদম ভিটামিন ওয়াটারের মত করে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ছোট্টসোনামণিরা, দুম করে চোখবন্ধ করো দেকিনি সব্বাই। করেছো? হুউম, লক্ষী। দেখতে পাচ্ছো কেউ কিছু? পাচ্ছে না তো! এইবার পটাং করে খুলে ফেলো চোখ। দেখতে পাচ্ছো দেয়াল জোড়া হেনরি ক্যাভিলের পোস্টার? এই তো হয়ে গেল বোঝা। তাহলে বুঝেছো তো কিভাবে দেখি আমরা? ঠিক বলেছো! চোখ খোলা থাকলে আমরা দেখি। আর বন্ধ থাকলে দেখি না। শিখলে? ভেরি গুড। এ্যাজ সিম্পল এ্যাজ ওয়াটার, ইজন্টিট?

তো এভাবে ছোট্ট সোনামণিদের ভবিষ্যত কুজ্ঞানে ইয়ে থুরি, বিজ্ঞানে বিজ্ঞানে সয়লাব করে দেয়া যায় বলুন? ভবিষ্যৎ চিত্তির এক্কেবারে। কিন্তু সমস্যা হলো আমার আবার মায়ার শরীর। বিজ্ঞান লেখকদের ভাত এভাবে মারাটা কি ঠিক হবে? এ প্রজেক্ট বরং বাদ দেই। বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কিছু শেখায় তারচে। শিশুদের শিক্ষা দেবার ক্ষেত্রে আমার জুরি মেলা ভার। কিছু একটা শিক্ষা ওদের না দিলেই না।

খুব ভেবে চিন্তে দেখলাম বিজ্ঞানের আগে আসলে মোরাল নিয়ে কিছু বলা দরকার। একজন মানুষ যতই তার খাম্বার মত শক্তপোক্ত হোক না কেন, নীতিবোধ না থাকলে লবন ছাড়া পিৎজার দশা হয়। তাই মোরালিটি নিয়েই বরং শুরু করি ছোট্টদের শিক্ষাদান কর্মসূচী। নীতিবোধ আসলে কী? সত্যি মিথ্যা ভালো মন্দের বেশ একটা খিঁচুড়ি। সত্যি কথা বললে ভালো কাজ করলে টিনটিন, কিটক্যাট। আর পঁচা কাজ করলে পিট্টা লালে লাল। তো কোন্টা ভালো? এই রে লেখার মাঝখানে কে ফোন দেয়? ইশশ শিক্ষাদানের মহান ব্রতে কে হানে আঘাত। আরে! জান্টুর ফোন দেখি! তাত্তাড়ি ধরি। হেলু জান। কেমন আসো? তুমার কথাই ভাবতেসিলাম বসে বসে। আর কি করি? গান শুনি ...'হা মুঝে পেয়ার হুয়া, পেয়ার হুয়া, আল্লাহ মিয়া'

এই! এই! এট্টুশ হোল্ড করো, আম্মুর ফোন। হ্যালুউ আম্মু? হুম...হুমম...জলদি বলো আর কী বলতে হবে? জরুরি এ্যাসাইনমেন্ট রেখে আসছি! ওক্কে, বলে দেবো দাদুকে আব্বু আর আম্মুর ফিরতে দেরি হবে, নো ওরিজ। বাঈঈঈ....

নাহ! জান্টুর সাথে কথা বলে মনটা ভীষণ রকমের হালুয়া টাইপ হয়ে গেল। হালুয়া টাইপ মন নিয়ে শিশুতোষ শিক্ষাদান কি সম্ভব বলুন? তারচে' বরং আজ থাক এই শিক্ষাদান কর্মসূচী। ওরা তো মাত্র কলি, ফুল হয়ে ফোটবার কত্ত সময় পড়ে আছে সামনে। এখন বরং আমার মামা মামীর গল্প বলি খানিক। ওদের না খুউব পেয়ার মোহাব্বতের সম্পর্ক। যাকে বলে ইয়ে মানে বেশ মাখোমাখো সম্পর্ক আর কী! মামা যখন ব্যাপক গদগদ হয়ে গলা তুলে মামীকে 'বেলু! বেলু!' করে ডাকেন শুনতে কী যে ভালু লাগে। আমার জান্টুটাও ঠিক এভাবেই আমাকে 'মালু! মালু!' নামে ডাকবে। ভাবতেই কেমন শিহরিত হচ্ছি। এই যে দেখেন! দেখেন! গায়ে কিভাবে কাঁটা দিচ্ছে।

তো আমার এই মামা পেটে কোন কথাই রাখতে পারে না। লুডু কিংবা দাবা খেলতে খেলতে কুটকুট করে পেটের সব কথা মামীকে সব বলা চাই-ই চাই। নিজের সবটা কেউ বলে দেয় বলুন? মামাটা মহা বোকা। আমি কিন্তু জান্টু কে সবকিছু বলি না। গোপন রাখি কিছু কথা। রাখতে হয় যে! বলি না পাশের বাড়ির চিন্টুর ছোট চাচা আমাকে সেদিন বলেছেন আমি নাকি 'হেব্বি কিউট!' ক্লাসের ফরিদ বলেছে আমার মত লক্ষী মেয়ে না পেলে নাকি সে এ জীবনে এ্যাফেয়ারই করবে না! এসব জান্টুকে বলে কী কুরুক্ষেত্র বানাবো বলুন? মামাকে যেমন হঠাৎ মাঝরাতে বালিশ বগলে নিয়ে নীচতলায় নেমে আসতে হয়,সব বলে দিলে আমাকেও তেমন কিছু একটা করতে হবে। ও আমি মরে গেলেও পারবো না। বাবা গো! অত রাতে একা একা সিড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসতে হবে, এ কথা ভাবতে এখুনি তো গায়ে কাটা দিচ্ছে আমার। তাছাড়া নীচের তলাই বা কোথায় পাবো? জান্টু কী আর আমাদের বাড়ির ঘর জামাই হবে নাকি! এম্মা ঘর জামাই! ব্যাপারটা কেমন বিচ্ছিরি, নেকু নেকু।

বালিশ বগলে নিয়ে মামাকে মাস দুই মাস পরপরই নেমে আসতে হয়। যেদিন নানুর ঘুম ভাঙে না সেদিন মামা আমাদের ঘরে চলে আসে। মামাকে আমি দারুণ পছন্দ করি। এত প্রাণখোলা মানুষ না আমার মামাটা! বালিশ নিয়ে কেন আসো মামা? আমাদের কি বালিশ নেই? হা হা করে হাসতে হাসতে মামা উত্তর করে থাকবে না কেন রে পাগলি? কিন্তু এটা তোর মামীর হাতের তৈরি তো ঘুম আসবে না অন্য বালিশে। মা মুখ টিপে হাসে। এই তো গত পরশুই মামার এই মাসের 'বগলে বালিশ' ব্যাপারটা হয়ে গেলো। নানা-নানু গেছে বড়খালার বাড়িতে। কাজেই সোজা আমাদের ফ্ল্যাটে। এসেই বেশ নাটকীয় কায়দায় বলে বড় প্রেম তো ভাগ্নিনী, তাই দূরে ঠেলে দেয় বালিশসহ হা হা হা.....

আপনারা অবাক হচ্ছেন না? কেন মামাকে এভাবে মাঝ রাতে এত প্রেমময় মামীকে ছেড়ে আসতে হয়? বলছি দাঁড়ান। আমার মা-মামারা দেখতে মাশাল্লাহ সেইরকম। ইউনির্ভাসিটি পড়ুয়া এরকম হ্যাণ্ডসাম রূপবান ছেলের কোন এ্যাফেয়ার ছিল না একথা মামী নাকি একদমই বিশ্বাস করে না। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে প্রায় মামী জানতে চায় 'বলো না, বলো না মেয়েটার নাম কি ছিল?' মামাকে যথার্থই আকাশ থেকে পড়তে হয়। কারণ মামার সত্যিই কোন এ্যাফেয়ার ছিল না। আমি স্বাক্ষি। মামা আমায় সব কথা শেয়ার করে। তো মেয়ের নামকে ইস্যু করে একথা সেকথায় লেগে যায় ক্যাচাল। কিন্তু সেটা বালিশ বগলে নেবার পর্যায়ে যায়নি তখনো। কবে নাকি মামা কথায়, কথায় বলে ফেলেছে ইউনিভার্সিটির একটা মেয়েকে একবার ওর হোণ্ডায় করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। বেচারি কোন রিক্সা না পেয়ে মামাকে অনুরোধ করায় মামা অনুরোধটা রেখেছিল। কিন্তু মামীর মনে সন্দেহের পোকা কামড় বসায়। আর যায় কোথায়! সেই থেকে মামার জীবন তেজপাতা। মাঝ রাত্রে মামী ঘুম থেকে মামাকে তুলে জানতে চায়, 'আচ্ছা মেয়েটা খুব সুন্দরী ছিল বুঝি?' কোন মেয়ে? মামা বেচারার ঘুমে থাকায় ঠাওর করতে সময় লাগে। মামী তখন রেগে আগুন হয়। এই তুমি মনে মনে কী বলবে সেটা গুছিয়ে নিচ্ছো কায়দা করে না? আবার নাকি ঘুম ভাঙিয়ে মাঝে মাঝে জানতে চায়, 'আচ্ছা মেয়েটা তোমাকে খুব করে জাপটে ধরে বসেছিল না?' কি মুসিবত বলুন! অবধারিত ভাবেই মামার উত্তর না হয়। পরিণতিতে মামীর হুকুমজারী হয় পরবর্তী চব্বিশ ঘন্টা তিনি মামার চেহারা দর্শন করতে চান না। মামা তাই বালিশ বগলে নিয়ে হাজির হয় আমাদের ফ্ল্যাটে বা নানুর ওখানে। মামার এই ইজ্জত নিয়ে হুজ্জুত থেকে শিক্ষা নেয়া সারা আমার। মাথা খারাপ! কথা পেটেই চাপা থাকবে। পেটে আলসার হোক কিংবা পেট ফাঁপুক। সহ্য করে নেবো। কিন্তু মামার মত হুজ্জুতে আমি পড়তে রাজী নই বাবা!

এই দ্যাখেন ছোট্টসোনামণি আর বুড়ো ধেড়েদের নিয়ে বকতে বকতে আগামীকাল সন্ধ্যার মেহেদী পার্টির কথা বেমালুম ভুলে বসে আছি! ইশশশ এবার সিলভিয়াকে একটা সেই রকম শিক্ষা না দিলেই না। গতবার সে আমাকে টেক্কা দিয়েছিল। কী মেহেদির নকশায়, কী পোষাকের বাহারে। এবার কিছুতেই ওটি হতে দিচ্ছিনা। সব রকমের ব্যাকআপই নেয়া আছে। বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই, শিক্ষাদানের ব্যাপারে আমি সেইরকম চৌকষ! যাই এবার মুখে গোল্ড ফেসপ্যাকটা লাগিয়ে ম্যানিকিউর পেডিকিউরের কাজটা সেরে ফেলি। নইলে সিলভিয়া ঠিক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে হাত-পা মুখের খুঁতগুলো বের করে হিংসুটের মত হাসবে। কেউ আমার থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, ব্যাপারটা কেমন অসহ্য নয় বলুন? আজ আর বকছি না। চাঁদ উঠলেই ঈদ এক দু'দিনের মধ্যে। সবাই জমিয়ে ঈদের আনন্দ করুন। সময় মত নতুন শিক্ষা কর্মসূচী নিয়ে হাজির হয়ে যাবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সব্বাই।


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মাঝ রাত্রে মামী ঘুম থেকে মামাকে তুলে জানতে চায়, 'আচ্ছা মেয়েটা খুব সুন্দরী ছিল বুঝি?' কোন মেয়ে? মামা বেচারার ঘুমে থাকায় ঠাওর করতে সময় লাগে। মামী তখন রেগে আগুন হয়। এই তুমি মনে মনে কী বলবে সেটা গুছিয়ে নিচ্ছো কায়দা করে না? আবার নাকি ঘুম ভাঙিয়ে মাঝে মাঝে জানতে চায়, 'আচ্ছা মেয়েটা তোমাকে খুব করে জাপটে ধরে বসেছিল না?'

অ্যাঁ খাইছে,
বিয়ার পর মাইনষ্যে বলে সুখে শান্তিতে বসবাস করে? সেকি তবে কেবলি গ্রীক পুরাণ?? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

শয়তানী হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হে হে হে, আয়নামতিদিদি, ভাল, ভাল, তুমি এই রকম-ই লিখে যাও। হাসি
- একলহমা

আয়নামতি এর ছবি

হিহিহি ... এরকম জ্ঞানের প্লাবনে সচল ভাসিয়ে দেই কি বলো একলহমাদি? দেঁতো হাসি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

নতুন শিক্ষা কর্মসূচীর জন্য হা পিত্যেশ করে বসে রইলাম -
লেখা একেবারে মুচমুচে ঝালমুড়ির মত হয়েছে।

____________________________

আয়নামতি এর ছবি

আয়হায় প্রোফেসর সাহেব আপনারও জ্ঞানের অভাব অ্যাঁ
হা মুখ চেপে ধরে শ্বাস বন্ধ করে বসে থাকুন। সময় মত সেইরাম জ্ঞান বিতরন করা হবে দেঁতো হাসি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

শ্বাস বন্ধ করে বসে থাকতে আপত্তি নেই - যদি দম বন্ধ হয়ে মারা যাবার আগেই আবার এরাম লেখা দেন।

____________________________

তানিম এহসান এর ছবি

ছোট্ট-সোনামণিরা, দুম করে চোখবন্ধ করো দেকিনি সব্বাই। করেছো? হুউম, লক্ষী। দেখতে পাচ্ছো কেউ কিছু? পাচ্ছে না তো! এইবার পটাং করে খুলে ফেলো চোখ। খাইছে চাল্লু

বাষ্পীভূত বাগানে বসে এই লেখা পড়তে পড়তে আর কিছু না হোক, আপনি যে জ্ঞানী, সেটা বিলক্ষণ বুঝতে পারছি মশাই! দেঁতো হাসি

ঝরঝরে আয়নামতি’য় লেখা, লেখা চলুক!

আয়নামতি এর ছবি

শয়তানী হাসি তানিম ভাইয়ার অনেক বুদ্ধি, আমি যে অনেককক জ্ঞানী সেটা বুঝে গেছেন দেঁতো হাসি

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো

আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো, ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

আয়নামতি এর ছবি

আপনার ঈদও আনন্দের হোক পিচ্চি ভাইয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি ,জবর মজা পাইলাম
ইসরাত

আয়নামতি এর ছবি

ছাত্রী হিসেবে আপনাকে আমার পছন্দ হলো ইসরাত। আনন্দের সাথে জ্ঞানলাভ চলতে থাকুক দেঁতো হাসি

আয়নামতি এর ছবি

আবার জিগায় চোখ টিপি
আহা এমন সব জ্ঞান লাভে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দ দেখে আমার তো আহ্লাদে আট দু'গুণে
ষোলখানা হয়ে যেতে ইচ্ছে করছে রণদা চাল্লু

রণদীপম বসু এর ছবি

ওরে ওরে ! আমাদের শিক্ষাপামণি'র কত্তো জ্ঞান ! কিন্তু কিছুতেই কিচ্ছুটি বলে না কাউকে ! এটি হবে না, আমাদেরকে এত্তো এত্তো জ্ঞান দিতেই হবে ! নইলে তোমাকে কোত্থাও যেতে দিবো না কইলাম ! জান্টুর কাছেও না, হুমম !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মর্ম এর ছবি

লেখার ধরণটা পছন্দ হল-

কিন্তু এই শুরু হল আর এই শেষ হয়ে গেল লেখা, এইটা একটা কথা? রেগে টং

আর ইয়ে, পাপ মন তো, 'জ্ঞানবৃক্ষ' পড়তেই মহামহিম আদম-কে মনে পড়ে গেল খাইছে

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আয়নামতি এর ছবি

হাসি
কি বলে! এত্তো বড় করে ফুলিয়ে ফাপিয়ে লিখলাম ছোতো লাগলো?
তাই তো রে! যাক বাবা আমার চরিত্র তা'ইলে ফুলের মতই পবিত্র দেঁতো হাসি
কারণ সত্যি কথা, আমার মুখফোড়ের কথা মাথায় আসেনি।
মুখফোড় কোথায় হাওয়া হয়ে গেলেন রে?

আয়নামতি এর ছবি

খবরদার! খবরদার! পেটের কথা পেটেই রাখুন। তবে সবচে' বড় শিক্ষাটা হলো:
'শিখবার শেষ নাই, শিখবার চেষ্টা বৃথা তাই খাইছে

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এত্তদিনে একটা জিনিস শেখা হলো বটে, বউকে সব কথা বলতে নেই। কিন্তু একটু দেরি হয়ে গেল যে ! আমিতো বউকে সব বলে দিয়েছি। হ্যাঁ, তার জন্যে মাঝরাতে একটু-আধটু ঝামেলা হয়েছে বটে। তবে হ্যাঁ, আপনার কথা, মানে এই আপনার কাছ থেকে আজ যা শিখলাম, সেটা বলিনি কিন্তু। তা, আরও কিছু শেখান, নতুন করে শিখি। হি হি হি।
লেখা ভাল লেগেছে।

তারেক অণু এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে

মজা পেলাম, লেখা চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।