ইচ্ছেঘুড়ি

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৫/০৮/২০১৪ - ৫:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- এই আপু কী করো ওখানে বসে?
- চুপ! আয়, খাবি একটু?
- চট করে আশপাশটা দেখে নেয় তপু। তারপর একান ওকান হাসি দিয়ে
আপুর সামনে হাত পেতে দাঁড়ায়।

ভর দুপুরে বাড়ির সবার ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নিয়ে দু'ভাইবোনে প্রাণপনে চাকাম চুকুম সহকারে দাদির আচারের বোয়াম যতদূর পারা যায় সাবাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বড়রা ভারী নিয়মের যাঁতাকলে রাখে। এটা করা যাবে না, ওটা খাওয়া যাবে না যখন তখন। হতচ্ছাড়া এতসব নিয়মের চোখ রাঙানি কাঁহাতক সহ্য করা যায়? বেশি বেশি চকোলেট খাওয়া চলবে না দাঁতে কিলবিল লেগে যাবে। যখন তখন আচার খেলে পেট কামড়াবে। যখনই তানিয়া দাদির কাছে বায়না করে দাদি ঠিক এমনটাই বলেন। কই? পেট তো কামড়ায়নি এখন পর্যন্ত!

- কিরে তোর পেট কামড়াচ্ছে?

- উঁহু! প্রবলবেগে মাথা নাড়ায় তপু। মুখভর্তি আচারে। অবশ্য মুখ খালি থাকলেও সে বেশি বাক্য অপচয়ের ঘোর বিরোধী। যতটুকু সম্ভব অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা সারা পছন্দ তার। ওর কথা বলতে দেরী হচ্ছে দেখে বাড়ির সবাই ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। তাদের তো জানা ছিল না, এই ছেলে তার ছোট্ট পেটে টনখানিক বুদ্ধি নিয়ে বসে আছে। কথা সে ঠিক সময়েই বলতে শিখেছে। প্রয়োজনবোধ করেনি বলে বলেনি। কিন্তু যেদিন এক মনে খেলতে থাকা ছেলেকে লক্ষ্য করে মা প্রায় কেঁদে কেঁদে বাবাইয়ের কাছে জানতে চাইলো, ' আমাদের ছেলেটা কী কথা বলবেই না!' তখন আর কিছু না বলে পারেনি বেচারা।

ওর আচমকা কথায় সেদিন গোটা বাড়িতে কেমন খুশির হল্লা বয়ে গিয়েছিল। ছোট্ট হলেও স্বল্পবাক হবার গুরুত্ব আর দশজনের চেয়ে ঢের আগেই বুঝে গেছে সে। ছোটফুপিটা যদি বুঝতো! যতক্ষণ বাড়ি থাকে এত কথা বলে। হয় ফোন, নয় দাদি, মনাফুপি, মা, বাবাইয়ের সাথে বকবক করতেই থাকে। কখনো কখনো অবশ্য ওদের গল্প পড়ে শোনায়, লুকোচুরি খেলে। তখন ছোটফুপিকে ভারি ভালো লাগে তপুর। কিন্তু গল্পের মাঝখানে প্রায়ই ফুপিকে উটকো ফোনকল এসে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে যায়। তখন তপুর ইচ্ছে করে ফোনটা ভেঙ্গে ওর ভেতরে বসে থাকা মানুষটাকে চিমটি কাটতে। সে চেষ্টার ত্রুটি করেনি যদিও। কিন্তু ফোনটা ভেঙ্গে টুকরো করেও কোথাও সে ছোটফুপিকে ফোন করার মানুষটির দেখা পায়নি। এজন্য অবশ্য পুরষ্কার হিসেবে ওকে মায়ের গুমাগুম কিল; বাবাইয়ের সেইরকমের চোখ রাঙানি কম খেতে হয়নি। কিন্তু আশ্চর্য! ছোটফুপি ওর কাণ্ডে হেসে খুন। এখনো মজা করে সেটা নিয়ে।

- কিরে গুল্লু ফোনের মানুষ দেখবি? ছোটফুপি ওকে আদর করে গুল্লু নামে ডাকে। ছোটফুপিটা অনেক মজার। বাবাইয়ের পর ছোটফুপি তপুর প্রিয় বন্ধু। বন্ধুকে এই মজার জিনিসটার ভাগ দিতে ইচ্ছে করে তপুর। ছোটফুপিও ওদের মত ভাত না খেয়ে এসব খেতে খুব ভালোবাসে কিনা।

- প্রায় ফিসফিসিয়ে আপুর অনুমতি প্রার্থনা করে, ছোটফুপিকে এট্টুক ভাগ দেবে?

- মুখে কিছু না বলে বোন কষে ভাইয়ের ফর্সা হাতে একটা চিমটি কেটে আপত্তি জানান দেয়।

- স্বল্পবাক শিশুটি বোনের এহেন অমানবিক আচরণে উঁহু শব্দে কাঁদতে গিয়েও কী একটা ভেবে চট করে নিজেকে সামলে নেয়। এক পলক লাল হয়ে যাওয়া জায়গাটি দেখে নিয়ে ওর বিশেষ হাসিটা উপহার দেয় আপুকে। ছোটফুপি বলে ওর এই হাসির নাম নাকি 'কিলার হাসি।' যদিও এর অর্থটা কি সেটা সে জানেনা।

- উফ! ভাইয়ের মুখে অস্ফুট শব্দটা শুনে মুখ তুলে তাকায় তানিয়া।

-কিরে? পেট খাঁমচে আছিস কেন? কী হলো তোর?

- ঠোঁট ফুলিয়ে কান্নার ভাণ করে তপু জানায় ওর খুব পেট কামড়াচ্ছে!

-ভয়ে তানিয়ার হাত থেমে যায় চৌর্যবৃত্তি ভুলে। মুখটা শুকিয়ে যায়।

- শরীরে কেমন একটা শিরশিরানি হয় তানিয়ার। অপেক্ষা করতে থাকে ভাইয়ের মুখ হা করে বাড়ি মাথায় তুলে দেবার মত বিখ্যাত চিৎকারের। চুরি করে দু'জনে খেলেও দায়ভার যে একাই তার কপালে জুটতে যাচ্ছে সে দুর্ভাবনায় করণীয় কতর্ব্য ভুলে বোকার মত বসে থাকে। আপুর বোকা বনে বসে থাকাটা আড় চোখে দেখে তপু পেট ধরেই উঠে পড়ে। চোখের আড়ালে গিয়ে আপন মনে একটু হেসে নেয়। মুখ মুছে লক্ষী ছেলের মত ঘুমন্ত দাদির কানে তার সম্পদ হরণের বিবরণ জানিয়ে আজকের দুপুরের জন্য তার নির্দিষ্ট করে রাখা কর্মটি সারতে আলগোছে বাবাইয়ের অফিসরুমের টেবিলের তলায় ঢুকে পড়ে।

মায়ের সেলাইয়ের বাক্স থেকে আগেই সে কাঁচিটা সরিয়ে এখানে রেখে গিয়েছিল। কাঁচিটা মাথার উপর তুলতেই পাশের রুম থেকে আপুর কান্নার শব্দ ছিটকে আসে। ছোট্ট কপালে ভাঁজ তুলে কিছু সময় চুপচাপ থাকে সে। তারপর তার নাপিত হওয়ার ব্যাপরটিতে বিলম্ব ঘটে যাচ্ছে দেখে দ্রুত হাতে মাথার মাঝ বরাবর চুলে চোখ বুঁজে কাঁচি চালিয়ে দেয়।

আয়নার তরুণ মানুষটার দিকে কতক্ষণ তাকিয়েছিল, মনে করতে পারলো না তপু। চটকা ভাঙ্গতে ইচ্ছে হলো মাথার মাঝখানের চুলগুলোর উপর দিয়ে একবার হাতটা বুলিয়ে আনে, এমনিই।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

শেষে এসেই তো গণ্ডগোল লাগিয়ে দিলেন!
একেবারে শেষের প্যারা পড়লে মনে হয় তপুর মিস্টার টি হওয়ার শখ হইছিলো। কিন্তু তার আগের সিকোয়েন্সে দেখা গেলো সে তার মাথার মাঝ বরাবর চুলের কাঁচি চালাইছে। তাইলে তো ইনভার্স- মিস্টার টি হয়ে যাওয়ার কথা।

মাঝখানের চুল কেটে ফেললে তো ভূগোল শাস্ত্রমতে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্রে, মাথার মাঝখানের চুলগুলোর উপর দিয়ে হাতটা বুলিয়ে আনতে না চেয়ে, মাথার মাঝখানে গিরিখাদের উপর দিয়ে হাতটা বুলিয়ে আনতে চাইলেই মোক্ষম হতো না?

আয়নামতি এর ছবি

খাইছে

আয়নামতি এর ছবি

একটা শব্দ হাওয়া হয়ে যাওয়াতে গল্পের ইতিহাস ভূগোলে গোল বেঁধেছিল বলে দুঃখিত ইয়ে, মানে...

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

হালুম করে পড়ে একটা বানাম্ভুল পাইলাম -("ইয়াহু"- দুহাত মাথার উপরে তুলে লাফাবার ইমো হবে) যাতাকলে->যাঁতাকলে

কী মজা যে পেলাম গল্পটা পড়ে! ছোট্টবেলায় ফিরে গেলাম আবার! যারা এত সুন্দর করে লিখতে পারে, তাদের নিয়মিত না লেখাটা চরম অন্যায় - এই অন্যায়ের ঘোর পেতিবাদ জানিয়ে গেলাম।

ফোনের মানুষ দেখার গল্প পড়ে আমার নিজের একটা অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেলো। হাসি

____________________________

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
খুঁজলে আরো পাবেন হয়ত পোফেসর। টাইপো ঠিক করে দিচ্ছি।
আপনার অভিজ্ঞতার কথা লিখে ফেলুন চট করে। প্রবাস জীবন কী শুরু হয়ে গেছে আপনার(দের)?
শুভকামনা থাকলো।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

হুমম, লেখার সেরা হাত থাকলে তো হইসিলোই!!! যাই হোক, চেষ্টা করবো।
না, প্রবাস জীবন এখনো শুরু হয় নাই, হলে মনে হয় আর সচলে ঢুঁ দেয়া হবে না বেশ কিছু দিন!!

____________________________

আয়নামতি এর ছবি

আমরা কিন্তু ক্লোজাপ টপ টেন প্রতিযোগিতায় নাম লেখাইনি প্রোফেসর! যে যেমন পারি সেভাবেই লিখি তাই না?
কাজেই সেরা টেরার চিন্তায় কাজ নেই(এটা সবার জন্য প্রযোজ্য না যদিও)। জাস্ট লিখে ফেলুন, কেইস ক্লোজ্ড দেঁতো হাসি
নতুন জীবনে খুব দ্রুত গোছগাছ করে মানিয়ে নিয়ে পট্টাস করে সচলে আসতে পারেন যেন সেই মত ফুউউ ফা দিয়ে দিলাম(ফিস্ টা কি ডলারেই পেমেন্ট...?) শুভকামনা।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ওরে নারে! সেরাম লিখতে গিয়ে ম ছুটে গেছ! অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ ওঁয়া ওঁয়া

ফুউউ ফা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনে যেমন সচলেই ফু দিয়ে দিলেন, আমিও তেমন এখানেই বিলটা পেমেন্ট করে দিলাম (যদিও মনে প্রশ্ন দিদির কাছ থেকে ফু পেলে তাতে আবার পেমেন্ট করা লাগবে কেন!)

____________________________

আয়নামতি এর ছবি

ঘা'ই যে ছুটে গেলু আপনার প্রোফেসর হো হো হো রাখেন আপনার দিদি! টাকাগুলো দিয়ে কি কি শপিংশুপিং করা যায় তার লিস্টি করি দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়তে ত আরামই লাগছে কিন্তুক বুঝতে ম্যালা কষ্ট হইতেছে। র‍্যাম কম থাকলে অনেক কষ্ট ওঁয়া ওঁয়া
------------------
আশফাক(অধম)

আয়নামতি এর ছবি

বুঝলাম আপনি কাঁদতে বেশ পছন্দ করেন! তবে এই লেখা পড়ে কান্নার দায়ভার সম্পূর্ণই আমার নিজের ব্যর্থতা।
আন্তরিকভাবে দুঃখিত সে জন্য(যদিও ট্যাগে উল্লেখ করেছি 'চেষ্টা' সেটা যে তেমন সুবিধার হয়নি বেশ বুঝেছি- ব্যাপার না, নেক্সট টাইম হাসি )। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ, বেশ।

গোঁসাইবাবু

আয়নামতি এর ছবি

ঠিক না? খাইছে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মরুদ্যান এর ছবি

শেষটা বুঝিনাই মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আয়নামতি এর ছবি

খাইছে সেভাবে লিখতেই পারিনি যে! বড় হয়ে যাওয়া তপুটা ছেলেবেলার কথা ভাবছিল আসলে।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দীনহিন এর ছবি

আয়নার তরুণ মানুষটার দিকে কতক্ষণ তাকিয়েছিল, মনে করতে পারলো না তপু।

পেরেছেন, বিশেষত, এই লাইনের 'তরুণ' শব্দটি আর কি বোঝাতে পারত, যা আপনি চেয়েছিলেন, তা ছাড়া? আধুনিক গল্পে, এমন খুউব হয়, সময় পরিভ্রমনের সাথে জীবন পরিভ্রমন! সিনগুলি এখানে বড্ড রিওয়াইন্ড করে! এবং এত দ্রুত আর অবলীলায় করে, পাঠককে ধন্দে ফেলে দেয়! আর তাতে সমস্যা নেই, আয়না, কারণ সার্থকতা এখানেই।

যাই হোক, "আয়নার তরুণ মানুষটি" কে আয়না? বলা যাবে আমাদের? আমরা আমরাই তো, নাকি? হাসি

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

আয়নামতি এর ছবি

আয়নার মানুষটা কাজিনের পিচ্চি 'তপু'। যার বয়স এখন সাড়ে তিন চলছে। হাসি

দীনহিন এর ছবি

হুম, ভারি পিছলা তো আপনি! তপুর কথা কে জানতে চেয়েছে? আমি তো জানতে চাইছিলাম, আয়নার সেই তরুণ মানুষটির কথা, যাকে চিমটি কাটতে চেয়ে ফোনটাই ভেঙ্গে ফেলে অপু? থুক্কু, তপু, ধুত্তোরি, অপু, তপু তো একই!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

আয়নামতি এর ছবি

ইয়ে, মানে...

মন মাঝি এর ছবি

চলুক

****************************************

আয়নামতি এর ছবি

ধ্যাৎ! আঙ্গুল দেখিয়ে কচুও বোঝানো যায় কিন্তু! অন্য পোস্টে লেখা/গপ নিয়ে কত সুন্দর আলোচনা করেন।
এট্টু বললে কী হয়, হ্যাঁ? ভুলত্রুটিগুলো না বললে ভালু গপ লেখিয়ে হই কেম্নে দেঁতো হাসি

তাহসিন রেজা এর ছবি

চমৎকার গল্প হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক চলুক

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অভিমন্যু . এর ছবি

আমি আর আমার ছোটবোন এই কাজ বহুবার করেছি তবে তা আমার মার বানানো ছিল।

________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
সেসব ঘটনাগুলো লিখে ফেলুন অভিমন্যু ভাইয়া।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এত দেখি আমার ছোটবেলার কথা। আপনি জানলেন কি করে? চলুক

আয়নামতি এর ছবি

জানি জানি সবই জানি ভাইয়া চোখ টিপি আমাদের সবার ছোটবেলা মোটামুটি একই তাল লয়ে বাধা মনে হয়।
বড় হয়ে গেলেই হয়ে যাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত মন খারাপ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

শুরুটা অসাধারন ছিল, যার জন্যই আশা ছিল অনেক বেশি।একটা পরিপূর্ণ লিখা পরার মজাই আলাদা। সে রকম লিখার আশায় থাকলাম।
___________________
সরীসৃপ

আয়নামতি এর ছবি

সরীসৃপ(নাম আর পাওয়া গেলো না!), আপনার আশা পূরণ করতে পারিনি বলে দুঃখিত।
চেষ্টা থাকবে সেরকম লিখতে পারার। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বন্দনা এর ছবি

হা হা হা, আমার নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।ছোট ভাইয়ের চুল কেটে দিতে চাইতাম, ওকে সাজিয়ে দিতাম,ও ছিল আমার গিনিপিগ।

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
হেহেহে আসলেই নিজের চাইতে বয়সে ছোটগুলোর কিসব ভয়াবহ দিন যে গেছে!
আমার হাত থেকে বড়রাও নিস্তার পেতো না খুব একটা। এখনো সে অভ্যেসটা থেকে গেছে দেঁতো হাসি
লিখে ফেলো বন্দনা ভাইকে নিয়ে মজার ঘটনাগুলো। পড়ি। হাসি

দীনহিন এর ছবি

গল্পের ভাষা বা সংলাপে এত এত আদর! একই সঙ্গে কিছু জীবনদর্শনও ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে! দুর্দান্ত, আয়না!

কিন্তু 'শিশুতোষ গল্প প্রচেষ্টা'? আসলে 'শিশু গল্প' বলতে কি বোঝায়??? শিশুরা যে সকল গল্প পড়তে পছন্দ করবে, সেসব? নাকি, শিশুদের ভাবনা বা মনোজগত নিয়ে যাহাই রচিত হইবে, তাহা-ই শিশুগল্প বলিয়া পরিগণিত হইবে? সমস্যা হচ্ছে, শিশু মানসের গল্পের বড় পাঠক কিন্তু বড়রাই, মানে, শিশুর অভিভাবক/অভিভাবিকারা!

মুখভর্তি আচারে।/চটকা ভাঙ্গতে ইচ্ছে হলো মাথার মাঝখানের চুলগুলোর উপর দিয়ে একবার হাতটা বুলিয়ে আনে, এমনিই।

'মুখভর্তি' বা 'হলো' শব্দে কোন ভুল আছে, আয়না?

কিন্তু গল্পের মাঝখানে প্রায়ই ফুপিকে উটকো ফোনকল এসে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে যায়। তখন তপুর ইচ্ছে করে ফোনটা ভেঙ্গে ওর ভেতরে বসে থাকা মানুষটাকে চিমটি কাটতে।

চলুক

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
বুড়োতোষ গপ লিখতে পারিনা তো, তাই ভাবলাম একটা 'শিশুতোষ' লিখা যাক।
হয়নি কিছুই বেশ বুঝতে পারছি। শিশুরা তো ছোত্তো ওরা কেম্নে লিখে বলেন?
বড়রা ওদের নিয়ে লিখতে গিয়ে নিজেই ঢুকে পড়ে সেই শৈশবে। যেমন তপুর ছোটফুপিটা, সে তো আয়না নিজেই খাইছে

'মুখভর্তি' বা 'হলো' শব্দে কোন ভুল আছে, আয়না?

বিষয়টা একটু পরিষ্কার করবেন প্লিজ?
বুঝিনি আসলে ইয়ে, মানে...

দীনহিন এর ছবি

বিষয়টা একটু পরিষ্কার করবেন প্লিজ?
বুঝিনি আসলে ইয়ে, মানে...

কি পরিষ্কার করব, আয়না, একটু পরিষ্কার করে বলবেন? বুঝিনি আসলে ইয়ে, মানে...

শিশুরা তো ছোত্তো ওরা কেম্নে লিখে বলেন?

এভাবে তো এড়িয়ে গেলে হবে না, আয়না! আমার জিজ্ঞাস্য ছেল, 'শিশুতোষ গল্প' কাকে বলে? এগুলো কি শিশুদের জন্য তৈরী করা গল্প নাকি, শিশু মানস নিয়ে লেখা গল্প? অনেক সময়ই এমনতরো যে শ্রেণীকরনটি করা হয়, তা আমার বড়ই বিদঘুটে লাগে, আয়না, বলতে কি, কিছুতেই মাথায় আসে না; গল্পের পাঠক তো পাঠকই, যে-ই পড়বে, সে-ই পাঠক, তো আপনার এই গল্পটি যদি ছোটরা পড়ে, সে-ও পাঠক, যদি বুড়োরা পড়ে, তবে সে-ও পাঠক; হয়ত ছোট ও বড়দের পাঠ আনন্দ ও প্রতিক্রিয়া একইরূপ হবে না, কিন্তু সে স্বাধীনতা তো পাঠকের চিরকালই আছে, পাঠক সবসময়ই স্বাধীন তার নিজের মত করে লেখাটাকে গ্রহণ করতে। তাহলে কেন এই ক্লাসিফিকেশান, কেনই বা সীমাবদ্ধকরণ? বলতে পারেন, আয়না?

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

আয়নামতি এর ছবি

ডরাইছি দিনুদা ইয়ে, মানে...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি হাততালি হাততালি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
কী বিষয়? আপনি দেখি জনসমাবেশে দলীয়কর্মীর মত খালি হাত্তালি দিচ্ছেন খাইছে
অ্যাঁ অ্যাঁ
সচলে কী ভূতে ভর করলো নাকি! মন্তব্য সাথে সাথেই পাবলিশ্ড হয়ে যাচ্ছে কেনু র‍্যা!!!??

এক লহমা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আজ থেকে তোমার মন্তব্য এমন-ই হবে। আরো দায়িত্ব বাড়ল। মডারেটররা যে তোমার ঐ সব 'ঐ যাঃ' মন্তব্যগুলো সময় থাকতে ক্যাঁক করে চেপে ধরে বেড়ার ওপাশে জমা করে দেবে, সেটি আর হচ্ছে না! সব মন্তব্য নিজ দায়িত্বে লেখা মাত্র প্রকাশ হয়ে যাবে। এই যে দেখ সব প্রবল ভাবে লিখে চলা তাগড়া জোয়ান কিংবা হৈ হৈ সুন্দরী অতিথি সচলেরা পূর্ণ সচল হবার পর থেকে তাদের লেখার স্রোত ক্রমেই কমে আসে, আমার মনে হয় তিনটি কারণ,
(১) পূর্ণ সচল হতে হতে এত বুড়ো হয়ে যায় যে হাতে পায় আর জোর থাকে না, খানিকটা অচলতা এসে যায়; আর বার্ধক্যে যা হয়, এক অচলতা আরো অচলতা ডেকে আনতে থাকে।
(২) লেখালেখি যখন জমে ওঠে তারা কার কার যেন শালীদের খোঁজ পেয়ে যায়। কিংবা কোন কোন দুলাভাইয়ের ইয়ার-দোস্ত-ভাই-বেরাদরেরা যেন তাদের খোঁজ পেয়ে যায়। তখন অন্য অন্য গ্রহে তাদের সচল রথ মহা ব্যস্ততায় ছুটতে থাকে।
(৩) এইটে সবার শেষে কহিনু, তবে এইটেই মনে হয় গোপনে গোপনে সবচেয়ে বেশী চাপে রাখে। মডারেটরদের ছাতা সরে যায় বলে দ্বিধা এত বেড়ে যায়, আঙ্গুল কামড়ে কামড়ে হাড় পর্যন্ত দেখা যায়, নখের ডগা বলে কিছু আর থাকে না, কী বোর্ডে আঙ্গুল আর নাচে না, নাচলেও সব চেয়ে বেশী চাপ খায় 'ডিলিট' বোতাম, আগেকার দিনে হ'লে নাকের জলে চোখের জলে কাগজ ভিজে ন্যাতা ন্যাতা হয়ে যেত, দলে দলে সব নীরব পাঠকের দলে যোগ দিয়ে দ্যায়।
জানই ত, এই ধারণাগুলি সকলই 'কন্সপিরেসী থিয়োরী'-র মতই সদাই স্বতঃপ্রমাণিত। অতএব, সেই পাহারাহীন ইচ্ছামতন মন্তব্যের রাজ্যে পদার্পণে তোমায় অভিনন্দন!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

ঘটমা কিন্তু কিছুই বুঝলেম না দাদাই! এসব কি হচ্ছে? কেনই বা হচ্ছে! চিন্তিত
দায়িত্বশীল মন্তব্যের কথায় তো রীতিমত ভড়কে গেলাম রে বাবা!
ভূতের আসর হলে সহানুভূতির পয়োজন অভিনন্দন দেও কেনু? এত্তো পাষাণ তুমি!
হিহিহি কারণসমূহ বলেছো দারুণ হাততালি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি প্রথমালুর হেডিং হইতারেঃ

লালমতি ও হলুদমতিকে ছাড়িয়ে গেলেন আয়নামতি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

রেগে টং রেগে টং রেগে টং রেগে টং রেগে টং

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আহা, হুদাই আগেভাগে চ্যাতেন ক্যানু র‍্যা? চিন্তিত
ভাইবা দেখেন আসল মতি কমেন্টাইলে তারেও মডারেশন পার হইতে হইব... মাগার আন্নের রাস্তা কিলিয়ার... দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

এভাবে তো ভাবিনি দেঁতো হাসি

এক লহমা এর ছবি

গল্প নিয়ে সবাই সব বলে দিয়েছে, আমার আর কিছুই বলবার নাই। দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
বেশির ভাগ পাঠকই কিন্তু গপটা পট্টাস করে বুঝে গেছেন তা নয়। বরং দুর্বোধ্য লেগেছে সেকথা উঠে এসেছে মন্তব্যগুলোতে।
তোমারও সেরকমই ধারণা? পরিস্কার করে বলোনি কিন্তু! দু'লাইন লিখতে এত আলসেমি কেনু? কেনু? শয়তানী হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

শেষের লাইনটাকে খানিক ঘুরিয়ে লিখলে মনে হয় আরও জমতো! হাসি

গল্প ভালো লেগেছে অনেক! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মরুদ্যান এর ছবি

কোন কারণে আমি বুঝিনাই যে আয়নার দিকে তাকানোর ব্যাপারটা বেশ অনেক পরের ঘটনা। ইয়ে, মানে...

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আয়নামতি এর ছবি

সেভাবে লিখে বোঝাতে পারিনি হয়ত, তাই বুঝে উঠতে কষ্ট হয়েছে, সিম্পল! দেঁতো হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

না, বাকি সবাই বুচ্ছে, আমি বুঝিনাই খালি। আমার ঘটে বুদ্দি কম ওঁয়া ওঁয়া

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আয়নামতি এর ছবি

বেশি বুদ্দি ভালু না। কমই ভালু হাসি

আয়নামতি এর ছবি

লাইন ঘুরাতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি হে বালিকা!
চেষ্টা করবো লেখাকে সিক্সপ্যাকে আনতে। সে পর্যন্ত এসব অখাদ্যই হয়ত পাতে দিয়ে যাবো ইয়ে, মানে...
গপ ভালু পাওয়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আয়নামতি এর ছবি

ডুপ্লি ..ঘ্যাচাং

মর্ম এর ছবি

আমার গল্পটা না - খুব- ভাল লাগল! এমন গল্প মাঝে মাঝে লিখলে, কী এমন ক্ষতি হয় বলেন দেখি! আমরা তাতে একটু আধটু পড়তে পাই, তাই না? খাইছে

যা হোক, শেষ লাইনটা বেশ বদলে গেছে দেখতে পাচ্ছি। আমার এক লাইনের প্রতিচ্ছবি দেখাটা বেশি ভাল লেগেছিল, এখনকার দুই লাইনের ব্যাখ্যার চেয়ে!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লইজ্জা লাগে
গল্পটা দেবার পর মর্মের কথা ভেবেছিলাম কিন্তু! এসব লেখায় সে খুব পারদর্শী কিনা।
ভালো লাগছে ভাইয়া তুমি পড়েছো বলে। তুমি কিন্তু মেলা দিন কিছু লিখছো না রেগে টং

তিথীডোর এর ছবি

শব্দটা চাকাম চুকুম না চাকুম চুকুম? আমি দ্বিতীয়টা বলি, সেটা মনে করে জিজ্ঞেস করলাম। হাসি

গল্প ভালই লেগেছে। নীড়পাতায় আসার সঙ্গেসঙ্গেই পড়েছিলাম, লগানোর সময় না জোটাতে পারায় মন্তব্য দেরিতে এলো। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দীনহিন এর ছবি

শব্দটা চাকাম চুকুম না চাকুম চুকুম?

শব্দের অপভ্রংশ প্রক্রিয়াটির ইতি ঘটাতে চাইছেন, তিথী?

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

আয়নামতি এর ছবি

এমনি খাবার খাওয়ার সময় 'চাকুম চুকুম'ই ঠিক মনে হয়। ওরা তো চুর!
ভয়ের ঠ্যালায় ব্যাকরণ ভুলে ওরকম শব্দ করে ফেলেছে দেঁতো হাসি
গল্পটা পড়েছো সে জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আয়নামতি এর ছবি

হেহেহে এমন কত মজারু স্মৃতি জুড়েই আমাদের সবার ছেলেবেলা আপু!
তালগোল ভালোই পাকিয়ে রেখেছি যে, আপনার কি দোষ!
কাঁদলো তপুর বোন তানিয়া। ঐ যে তপু মাথায় শিল্পকর্মটি করবার আগে দাদিকে জানিয়ে এসেছিল না?
তারই জয়ডঙ্কা শোনে তপু টেবিলের তলায় বসে। বোঝাতে পারলেম?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মন্তব্য লাফাং হয়েছে মনে হয়। যাই হোক, বুঝেছি এখন। তবে তপু একটু বাড়াবাড়ি করেছে, খামাখা বোনের নামে লাগাতে যাওয়া ঠিক হয় নাই। আশাকরি ওকেও খানিক পিটানি দিয়েছিলো পরে। খাইছে

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আয়নামতি এর ছবি

দেঁতো হাসি

আয়নামতি এর ছবি

এমন পেছন পাগল কেন র‍্যা? সামনে অমন সুন্দর আয়নাটা চোখে পড়ে না? রাগানোর ফন্দি যত্তসব রেগে টং
হিহিহি দুষ্টুমিতে পারদর্শী বটেক কিন্তু লিখালেখিতে খামোখাই আর কি!
তবুও গান্ধর্বীর মুখ থেকে প্রশংসা শুনে ভালু লাগলো কিন্তু লইজ্জা লাগে দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

শেষে এসে তাল হারায়ে ফেললাম! কে কাঁদলো, আর কেন? :-/ তবে শুরু থেকে ভালো লাগছিলো। মনে পড়লো, আমার ছোট ভাই যখন হাঁটা শিখেছে, একবার ঘরের পাশেই ছাদে শুকাতে দেয়া আঁচারের বোতলে হাত ঢুকায়ে আঁচার খেয়ে এসে আবার ঘরের দরজায় উঁকি দিয়ে বলছিলো, "কাচ্চি, কাচ্চি!" দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

গান্ধর্বী এর ছবি

এই যে মতিদিদি, এটা কী লিখেচেন, অ্যাঁ? দুষ্টুমির গপ্পো তো খাসা হয়েছে, আর যদি 'লিখতে পারি না' কইতে শুনি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

অতিথি লেখক এর ছবি

আহা রে, কী সুন্দর! হাততালি

দেবদ্যুতি

আয়নামতি এর ছবি

লইজ্জা লাগে... আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।