নাটকীয় ট্রায়াল নিয়ে আলোচনার ভিডিও

আড্ডাবাজ এর ছবি
লিখেছেন আড্ডাবাজ (তারিখ: সোম, ১৪/০১/২০০৮ - ৭:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশে চলছে নাটকীয় বিচার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি জনৈক আজম চৌধুরীর নিকট থেকে তিন কোটি চাঁদা নিয়েছেন বলে সামরিক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অবশ্য সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজনের হাতে মামলাকারী উধাও হন। তারপর মামলা দায়ের করার পর পরই তিনি মু্ক্তি পেয়ে বাড়ী ফেরেন। বর্তমান সামরিক সরকার তাঁর হাঁটুতে নেমে আসা বুদ্ধি দিয়ে এই নাটকীয় মামলায় নেমেছে। এর আইনগত বা প্রামাণিক সত্যতা নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞসহ সাধারণ মানুষের মনে যথেস্ট সংশয় ও প্রশ্ন আছে। আজকের চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত আজকের সংবাদপত্রের পর্যালোচনায় অবজার্ভার পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর আলোচনার ভিডিওটি এখানে দেখুন:

বর্তমান সামরিক সরকার তার মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য যে প্রক্রিয়া আর পদ্ধতি গ্রহণ করেছে তা যথেস্ট হাস্যকর। এর ফলে সরকার যে বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতাকে নির্মমভাবে বলি দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিচারের জন্য এধরণের রাখঢাক করে সাজানো মামলা দিয়ে সরকার নিজের রাজনৈতিক এজেন্ডাকে জনগণের কাছে স্পস্ট করছে। এই মামলার অভিযোগের দূর্বলতা ও অস্পস্টতার বিশদ বিশ্লেষণ করেছে এশিয়ান সেন্টার অব হিউম্যান রাইটস। অবশ্য সরকার তার পছন্দের পথে এগোবে। এর মধ্যে আছে নির্বোধদের ঔদ্ধত্য। তা হাস্যকর হলেও সমস্যা নেই। এর আইনগত দূর্বলতা থাকলেও সমস্যা নেই। গোয়ার্তুমির কাছে যুক্তি খাটে না।


মন্তব্য

এস্কিমো এর ছবি

যে মামলার রায় কি হবে সবাই জানে, তার প্রক্রিয়া কি এর চেয়ে উন্নত আশা করা যায়!

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

রেশাদ এর ছবি

একজন বিচারাধীন আসামী যখন বিচার শুরু হওয়ার আগেই বলে "বিচার স্বচ্ছ হলে সে নির্দোষ হিসেবে মুক্তি পাবে" - তখন বিচার প্রক্রিয়া কারা সবসময় প্রভাবিত করে এবং অতীতেও করেছে, সেটা সহজেই বোঝা যায়। জনগণকে এত বেকুব ভাবা ঠিক নয়।

আড্ডাবাজ এর ছবি

বিচারাধীন মামলার আসামী চিরকালই আত্মপক্ষ সমর্থন করে, এ নতুন কিছু নয়। মামলার মেরিট থাকলে অতো লুকোচুরি করে সামরিক সরকারকে মামলার ফন্দি আঁটতে হতো না। নির্বোধের মতো মামলা সাজিয়ে রাস্ট্রপক্ষ বিচার ব্যবস্থাকে যে ধ্বংস করতে নেমেছে এটা অবশ্য সব অথর্বেরা বুঝবে না।

সৌরভ এর ছবি

হাসিনাকে নির্দোষ বলা হলে, তাতে আমি দ্বিমত পোষণ করবো। কিন্তু, কথা হলো, হাস্যকর মামলা বা অভিযোগ তৈরির কারণ কী? একই কথা খাটে খালেদা বা তার পুত্রদ্বয়ের জন্যে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আড্ডাবাজ এর ছবি

সৌরভ,
কথা সত্য। নির্দোষ বা নিরপরাধ বলে এই পৃথিবীতে কি কেউ আছে? তাই বলে মামলা বা বিচারের প্রক্রিয়ায় কোন স্বচ্ছতা থাকবে না? অবশ্যই এটা খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়ার বিচারের ব্যাপারেও প্রযোজ্য। ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।