Archive

May 31st, 2006

ছাগুরামকাব্য ০১ : যাজাকুল্লা খাইর

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ৩১/০৫/২০০৬ - ৩:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(ছাগুরামের ভাষ্য রপ্ত করা দরিদ্র মুখফোড়ের জন্য দুঃসাধ্য। তবুও গরীবের এই সামান্য কোশেশ ...।)

ছাগুরাম জড়োসড়ো গোবেচারা নহে
যাহাই উচিত বলে মনে করে, কহে।
বুঝুক বা না বুঝুক, বক্তব্যে সে বীর
সঙ্গে হানে ঘনঘন রেফারেনসে তীর।
লক্ষবস্তু ভেদ নয়, বাণনিক্ষেপে পটু
মাঝে মাঝে ঘন ঘন ব্যা ব্যা করে কটু।
কাঁঠালপাতার তাপে আস্ফালিয়া ওঠে
এলিপসিসে পুষ্ট পত্রে অগি্নধারা ছোটে।
তিন বাহুতে পেশী ঝলকে, বুঝি দেবে মাইর!
শেষ মূহুর্তে সামলে বলে, যাজাকুল্লা খাইর।

ছিলো ছাগু নির্বিরোধী, পনসপূজারী
পাতা খেয়ে লতা খেয়ে ফূর্তি ছিলো ভারি।
লাদি ছাড়ে গুটি গুটি ধন্বন্তরী বড়ি ...
কবিরাজি পাতা খেয়ে বায়ু গেলো চড়ি।
হঠাৎ ক্ষেপিয়া শেষে ব্লগে হানে বাজ
ভি


বাউন্ডুলে কথন মন্তব্যের খপ্পরে

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ৩১/০৫/২০০৬ - ১১:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পেশাদার প্রাবন্ধিক না হলে বিষয়নিষ্ঠতা থাকে না তেমন করে এবং অন্য আরও একটা বিষয় থাকে সেটা হলো মানুষের শ্রেনীবিভাগ করে ফেলার অবচেতন প্রয়াস এবং 3য় যে সম্ভবনার কথা মনে পড়ছে তা হলো শব্দের অর্থ বিভ্রান্তি, এসবের যেকোনো এক কারনে বাউন্ডুলে কথন পড়ে ওয়ালির ভেতরে 2টা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে,আমি কি আস্তিকদের সৎ প্রমানের চেষ্টা করছি? অন্য প্রশ্নটা আরও বিমূর্ত এক বোধের বিষয় আমি যখন বলছি আমরা প্রকারান্তরে নিজেদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছি তখন এই অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার সম্ভবনায় বিজ্ঞান কি বলে?

প্রথম প্রশ্নটা নিয়ে আমার নিজের সংশয় আছে, আমি আস্তিকদের পক্ষ নিয়ে কোনো কথা বলি নি, হয়তো শব্দবিভ্রাট এটা কোনো, নাস্তিকদের সৎ প্রমানের কোনো চেষ্টা


বাগানে গোপনে একজন মালী আসে অথবা আসে না

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৫/২০০৬ - ৯:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অনেকদিন ধরে অবহেলায় পড়েছিলো তাদের বাগান। বাগানের মালিক দুই বন্ধু বহুদিন পর খোঁজ নিতে এসে দেখলেন ছোট ছোট আগাছায় ভরে গেছে বাগানটি তবে আগাছাগুলোর মাঝে কিছু ফুলের গাছ হয়েছে যেগুলো ভারী সুন্দর। এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বললো, "নিশ্চয়ই কোনো মালী এখানে আসে এবং এই ফুলগাছগুলোর পরিচর্যা করে"। এ বিষয়ে তারা খোঁজখবর করা শুরু করলো কিন্তু কোনো প্রতিবেশিই এমন খবর দিতে পারলো না যে তারা কাউকে এই বাগানে কখনও কাজ করতে দেখেছে। বন্ধুটি তখন তার মালী যে আসে সেই বক্তব্যের প


আমার ছাত্রশিবির জীবন-৬

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৫/২০০৬ - ৭:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নিজ ধর্মের প্রতি কৌতুহল থাকা স্বাভাবিক। ইসলামকে আরো ভালোভাবে জানার আগ্রহেই আমি ছাত্রশিবিরের কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাই। কিন্তু ছাত্রশিবিরের কর্মকান্ড বলতে নামাজ আর জেহাদের ট্রেনিং বুঝায় না। নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নতুনদের আকর্ষণ করা হতো ছাত্রশিবিরের দিকে। স্কুলে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরষ্কার বিতরণ ছিল একটি। স্কুলের অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মকান্ডগুলোর নেতৃত্ব ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাই তুলে নিত। ঝামেলা মনে করে অন্যান্যর


আমার ছাত্রশিবির জীবন-৬

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৫/২০০৬ - ৭:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নিজ ধর্মের প্রতি কৌতুহল থাকা স্বাভাবিক। ইসলামকে আরো ভালোভাবে জানার আগ্রহেই আমি ছাত্রশিবিরের কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাই। কিন্তু ছাত্রশিবিরের কর্মকান্ড বলতে নামাজ আর জেহাদের ট্রেনিং বুঝায় না। নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নতুনদের আকর্ষণ করা হতো ছাত্রশিবিরের দিকে। স্কুলে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরষ্কার বিতরণ ছিল একটি। স্কুলের অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মকান্ডগুলোর নেতৃত্ব ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাই তুলে নিত। ঝামেলা মনে করে অন্যান্যর


May 30th

দাসেরে করিও ক্ষমা

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৫/২০০৬ - ১১:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গনিকা আমার অপ্সরা প্রিয়তমা
শাড়ী খুলে রেখে পরো আকাশের নীল,
যুগল কুসুমে থরো থরো অনুপমা
চোখ দুটো হোক স্বপ্নের গাঙচিল ।

গনিকা আমার অপ্সরা সোনামনি
আঙ্গুঁলে বাজাও রুপার মুদ্্রা টাকা,
শংখিনী ফনা তোলো তুমি এক্ষুনি
বিষে ভরে যাক বাদশাহী আংরাখা ।

নেহাত ভৃত্য বাদশাহী করি কেনো?
তুমি প্রিয় তুমি জানো নাকি শাহজাদী?
পকেটে তোমার মোহরের ধ্বনি যেনো
সসাগরা দেশ,পৃথিবী করেছে বাদী ।

আমারই কেবল, আমারই হে প্রিয়তমা
তুমি তো আমার স্বদেশের শাহজাদী
যুগল কুসুমে থরো থরো অনুপমা
তুমি তো আমার সোনামনি শাহজাদী ।

গনিকা আমার অশলীল অভিমান
তবু ও যখন দুর্ভিক্ষের অমা
গ্রাস করে দেশ , নাভিতে সবুজ ধান
বুনে দিয়ে তুমি 'দাসেরে


বাউন্ডুলে কথন

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৫/২০০৬ - ১০:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই আলোচনার মূল সুর সংস্কৃতি, কৃষ্টি মানুষের যৌগিক চেতনার উৎপত্তি এবং আমাদের সরলিকরন প্রক্রিয়া, বাকি অংশ এই ভাবনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন চিন্তার আঁচর। এখানে বিবেচিত বিষয়ের মধ্যে আমার ধারনায় সমাজগঠনের মূল প্রক্রিয়া এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনের পার্থক্য কিভাবে সমাজের সত্তাকে বদলে ফেলে এটার উপর আমার অনুভব, মানুষ মাত্রই অনিশ্চয়তায় ভুগে, এটাও আমার অভিমত, সত্যকে যাচাই করার মূল উপায় পরীক্ষন, কিন্তু সমাজের মতো অনেক লতানো প্যাঁচানো জীবন্ত সত্ত্বাকে পরীক্ষন করার জন্য যেই বিচ্ছিন্নতা প্রয়োজন তা আমাদের নেই, আমরা মানুষকে গিনিপিগ হিসাবে ব্যাবহার করতে পারি না, এবং বিষয়টা মানবিকও না আমার বিবেচনায়, একেবারে প্রাচীন সভ্যতার উত্তরাধিকারি মানুষকে হঠাৎ করে যন্ত্রযুগের


May 28th

বারোমিশালি প্যাঁচাল

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ২৮/০৫/২০০৬ - ২:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিজ্ঞান এবং ধর্ম নিয়ে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে ব্লগটা বিভক্ত। অবশ্য ইদানিং সাধারন কিছু নতুন মাপের ঐক্য এসেছে, শালিনতা আন্দোলন, সমমনা ব্লগারদের নিয়ে অশালিনতার বিরুদ্ধে বর্জন কর্মসূচি- মানুষ উদযাপন ভালোবাসে,
মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকবে, মানুষের গন্তব্য এবং উদ্দেশ্যের পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক, একেবারে উগ্র ধরনের কামুকও থাকবে এবং অন্য পাল্লায় থাকবে তীব্র বৈরাগি দল। সাধারন মানুষ এই 2 মাত্রার ভেতরে নিজেদের অবস্থান গ্রহন করবে, প্রকৃতির সাম্য বজায় রাখার জন্য মধ্যপন্থি জনগনের সংখ্যা বেশি হবে, ওরাই সংখ্যাগুরু সমপ্রদায় হবে। কিন্তু শালিনতা আন্দোলনটা কি নিয়ে এটাই বুঝে উঠতে পারলাম না এখনও? একেক জন একেক ভাবে বিষয়টাকে


আদমচরিত ০০৭

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৯:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

স্বর্গে মহা ক্যাচাল লাগিয়া গিয়াছে। পালের গোদা স্বর্গদূতগণের মধ্যে কাজকর্মে ফাঁকি দিয়া দুই নম্বরি কাজে মন দেয়ার কারণে স্বর্গের বড়বড় কাজ সব ভজঘট লাগিবার যোগাড়।

গুজরিলের দায়িত্ব ছিলো প্রাণসংহারের। সে বড়সড় একখানি রশ্মিনির্মিত দাও লইয়া ঘুরিয়া বেড়ায়, কারো আয়ু ফুরাইলে সে গিয়া দাও দিয়া কোপাইয়া সংশ্লিষ্ট হতভাগ্যের জান কাটিয়া লইয়া আসে। সম্প্রতি তাহার কী জানি হইয়াছে, সে আনমন...


May 27th

ব্যাবিলনের দেবতাকূল

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৮:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সভ্যতায় প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মাগমনের বিষয়টা নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম, অনেক আগে থেকেই, আরও কিছু দিন সময় লাগবে বিভিন্ন উপকথার জন্ম এবং বিবর্তন কিভাবে হলো এটা বোঝার জন্য। গত কোনো এক লেখায় উৎসের মন্তব্য ছিলো মিশরের পুরোহিত তন্ত্রের অনুমান কেনো, অন্য কোনো সমসাময়িক সভ্যতায় কি পুরোহিত তন্ত্র ছিলো না? সমসাময়িক এবং কাছাকাছি সভ্যতা বলতে ব্যাবিলনের সভ্যতা এবং এসিরিয় সভ্যতা, মিশরের সভ্যতার আচমকা বিবর্তনে এদের ভূমিকা আছে, এমন কি প্যালেস্টাইনের সভ্যতাও মিশরের মাটিতে প্রবাহিত হয়েছে, পারস্পরিক বিনিময়ের সবটা হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না, মানুষ নির্মম, যখনই কোনো শহর দখল করেছে সেই শহরের সবকিছু পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে, এবং মানুষ ফিনিক্সের মতো সেই পোড়া শহরেই আবার নতুন বসতি গড়েছে