কথা হয়ে থাকো। চিঠির শব্দশিয়রে। থাকো ভোর হয়ে
দরোজা খুলেই দেখে নেবো সূর্যপরিধান। আর একটা
হলুদ গোলাপের উঁকি। কিছুটা অবনত হয়ে থাকে যে
প্রশাখা , তার মগ্ন কুর্নিশ। একটা পরদেশী দোয়েলের
প্রস্থান। ছেড়ে যাওয়া মাটির বেদনা। দানা বাঁধা পাথরের
সংযত সংসার।
থাকো পাশে। দূরে গেলে রাতকেও ঘোর মনে হয়। তাই
আমি বয়ে যাই যে নদীর উৎসাণু,তার প্রণিধি হয়ে থাকো।
লেখার ললিত উত্তাপে। থাকো পু্ষ্পের সাথে ...
মহিউদ্দিন শীরুঃ নিভৃতচারী একজন শব্দ সৈনিকের চির বিদায়
ফকির ইলিয়াস
======================================
কী অভিধায় অভিষিক্ত করা যাবে তাঁকে ? কবি, সাংবাদিক, শিক্ষক, সংগঠক, সমাজসেবক ? বড় নিভৃতচারী মানুষ ছিলেন তিনি। কথা বলতেন খুব ভেবে। ছিলেন মহান মুক্তি সংগ্রামের চেতনার অন্যতম ধারক। না-তার কিছুই চাওয়ার ছিল না। সমাজকে, প্রজন্মকে দিয়ে যেতে চেয়েছেন সর্বদা। তিনি সব সময়ই থেকে যেতে চেয়েছেন মফস্বল শহরে।মহিউদ...
নীলাকাশের অচিন দেশে অজানা কোন শহরে
নীলাম্বরী পরে হয়তো সে বিরাজ করে।।
নীল তাহার চোখেরই মনি
তার মাঝে নীল রৌশনী
কেড়ে নিলো আমার প্রাণি
নীল সোহাগ আর আদরে।
নীল রঙের তরনী বাইয়া
তাতে নীল বাদাম উড়াইয়া
আজ হয়তো ঘুরতেছে যাইয়া
নীল সাগরের তীরে।
নীল স্বপনে হয়ে উদাস
এখন দেখি সব উপহাস
নীল সৌরভে ফকির ইলিয়াস
বিরহী এ সংসারে।
ছবি - জয় ওয়ালফর্ড
সমুদ্রের কাছে উচ্ছ্বাস চেয়েছিলাম কিংবা নদীর কাছে ঢেউ
এমন সাক্ষী আমার বিরুদ্ধে কেউ
দিতে পারবে বলে আমি মানি না , মানি না আরো অনেক ঘোরবিশ্লেষণ
যেমন ---
প্রেমের বার্তা নিয়ে কোনো নীলখামের উড়াউড়ি
অথবা কোনো হস্তছাপে ভরা লালঘুড়ি
শুধুই ছড়াবে বিরহ !
তবে ভালোবাসার অন্যনাম কেন হয়নি , বেদনাগ্রহ
আর সেই নভোমন্ডলে
কিছুটা কৌতুক আর কিছুটা বনভোজনের ছলে
আমরাও বুনে যেতে পারতাম আরো কিছু দুঃখবীজ...
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম আর নেই । ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ শনিবার সকাল
৭: ৫৮ মিনিটে সিলেটের নুরজাহান ক্লিনিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
( ইন্না লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাহি রাজেউন)।
তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার এই লেখাটি এখেনে যুক্ত করছি ।
==============================================
বাউল কবি শাহ্ আব্দুল করিম : স্বরূপের অন্বেষণে দূরগামী মরমী পরান
ফকির ইলিয়াস
=======================================
“শুনবে কি, বুঝবে কি ওরে ও মন ...
বার বার
খসে পড়ে তারার
পালক , আমার হাত থেকেই
যেই কুড়াতে যাই ছায়াবিদ
কালের কংকাল আর বিপন্ন উদ্ভিদ
দ্যাখি আমার হাতের মুঠোয়, নেই
আমার কাছে গচ্ছিত পালক
তবে কি সব ক'টি শাদা বক
উড়ে গ্যাছে আমাকে ফাঁকি দিয়ে
যেভাবে প্রহরীরা যায় রাত বাজাতে বাজাতে
কিংবা খোলাহাতে
নগরের মহাপথ দিয়ে সাইরেন বাজিয়ে
ছবি- স্কট আদামি
তুলে রাখি বরফছানা । দানা বাঁধা দুঃখের সম্ভার । পার হবো বলে যে নদীর
দ্রাঘিমায় দেখেছি নিজের মুখ, সেই স্রোত কেও সাক্ষী রেখে যাই। সাজাই
সুরের সাতরঙের ছায়া। কায়া হলে স্পর্শ করতে পারতাম। নিতাম বুক ভরে
নিবিড় নি:শ্বাস । দাস হয়ে থেকে যেতাম এই লোকরূপায়নে। জেনে সব ভোর
আর দুয়ারের বুঝাপড়া। সাড়া দিয়ে যেভাবে নক্ষত্র ও আসে কাছে ; আর বলে
বাধ্য থেকে যাবো আজীবন। হায় ! বপণের রাত-- তুমি তো জানো কিভাবে ...
পথ কি কখনও প্রজা ছিল আমাদের প্রথম সকালে
কিংবা নদীর নিকট থেকে কিছু ঢেউ ধার করে ফেলে
আমরাই সাজিয়েছিলাম বেদনার ঢেউ। এমন আখ্যান
আর হেরে যাবার প্রণম্য বিধান
খুঁজে আবার গোনতে বসি ধূলির বিস্তার
ছাপগুলো পরখ করে দ্যাখি ,একটা পর্দা ঝুলে আছে ঠিক তার
বিপরীতে। হাতে নিয়ে পথগুলো লিখিত গন্তব্য ও ঘোর
এটাও জেনে যাই - ছেড়ে যাওয়াই পৃথিবীতে, আনন্দের অনাগত ভোর।
ছবি- মার্টিন হুচিংগস
আমাকে মাঝে মাঝেই অপহরণ করে স্বপ্নের বিচ্ছিন্ন পাঁজর
সোলেমানী খাবনামার রাত এসে ঘিরে রাখে পথের দুপাশ।
আমি পড়ি, পড়ে যাই বৃক্ষের ললাট। আর সেই নদী , পৌষে
দু'পা ভিজিয়ে পার হতে গিয়ে ভুল করে পড়ে গিয়েছিলাম
গহীন গর্তে ! অতঃপর অলকার শাড়ি ধরে হয়েছিলাম পার।
যে আঁচল আমাদেরকে আশ্রয় দেয়, আমরা তার মর্ম বুঝি না।
দেখি না , এই পুষ্পের সংসার ; আমাদের রাঙাভোর সাজাতেই
উঁকি দেয় বিনীত বিভায়। কাছে আসে। দূ...
এখন আর জমা থাকে না কিছুই। খরচ হয়ে যায় সঞ্চয়ের
সুতো,রাতের রহস্য,আশ্বিনের অহংকার,আর পাড়ি দেয়া
ঘাটের ঘটনা। যে ভাবে স্রোতপাত হবার কথা ছিল সমুদ্রে,
তা,- না হবার কারণেই হয়তোবা এবার পুষ্ট হতে পারেনি
দক্ষিণের ফসল। ধানের দুরু দুরু ভয় তাড়িয়ে গেছে পাখির
পরাণ ও। তাই তারা উড়ে আসেনি উৎসের উত্তর থেকে।
আমি ধান ও ধ্যানের তবক সাজিয়ে রোল করা কাগজে করছি
সেই হিসেব নিকেশ। নির্ধারণ করছি,সমূহ জোয়ারের...